তোর নামের রোদ্দুর, পর্বঃ২৬

0
1900

তোর নামের রোদ্দুর
পর্বঃ২৬

লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা

জর্জেটের মাত্রাতিরিক্ত ঘেরওয়ালা গাঢ় নীল রঙের গাউন হাতে দম মেরে দাড়িয়ে আছি।শরীরের প্রতিটা শিরা উপশিরায় সৃষ্ট শিহরন যেনো মস্তিষ্কের নিউরনগুলোকে অকেজো করে দিয়েছে।এরমধ্যেই বিছানায় পরে থাকা মুঠোফোন নামক বস্তুটায় টুইং শব্দে ম্যাসেজ! ‘ ফিফটিন মিনিটস্ মোর ‘

.
সারাদিন বাসায় ছিলেন আজ শুদ্ধ।অফিস যান নি।কারন?সিয়ার জ্বর,যেটা সিয়া নিজেও টের পাচ্ছে না।খাবার খাওয়ানো,ওষুধ খাওয়ানো তার ব্যস্ততার শেষ নেই।বাবা অফিসে,আম্মু মাহি তো আছে নাকি?ওদের দেখে তো এতোটুকো লজ্জা পাওয়া উচিত!কিন্তু এই লোকটার কোনো হেরফের নাই।ওনার এসব কাজে একরাশ বিরক্তি আর অস্বস্তি নিয়ে থেকেছি সারাদিন।বিকেলের দিকে গাল ফুলিয়ে কোলে বালিশ নিয়ে বেডে বসে ছিলাম।শুদ্ধ ল্যাপটপ দেখছিলেন।তাকাইনি তার দিক।উনি আমার কপালে হাত দিলেন।আড়চোখে তাকালাম। ল্যাপটপে চোখ রেখেই শুদ্ধ বললেন,

-এইতো!জ্বর নেই।

ঝারা মেরে কপাল সরিয়ে নিয়ে বললাম,

-ছিলোও না জ্বর।খালিখালি আদিক্ষেতা!

-কি বললি তুই?

-ঠিকই বলেছি!

-রেগেছিস কেনো এতো তুই?

তীক্ষ্ম চোখে তাকালাম তার দিকে।রাগার কারন নেই আমার?কাল কি একটা মুহুর্ত ছিলো,আর আজ সারাদিন?এমন বিহেভ করেছে যেনো নার্সিংহোমে সিস্টারবেশী বর!নিজেও তো পারতো একবার ফিল্মি স্টাইলে গোলাপ এনে ভালোবাসি বলতে।সারাদিনে একবার জরিয়েও ধরেনি আজ!

-ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?খেয়ে নিবি নাকি আমাকে?

হুহ! শব্দে চোখ সরিয়ে নিলাম।শুদ্ধ বিছানা ছেড়ে উঠে গেন্জি পাল্টে শার্ট পরে নিলেন।এবারও তাকাইনি আমি।লজ্জা তার নেই!আমারতো আছে।বেরিয়ে যাচ্ছিলেন উনি।কি মনে করে দরজায় কাছে দাড়িয়ে বললেন,

-বেরোচ্ছি।সারাদিন তোর সেবা করে ক্লান্ত লাগছে।রিফ্রেশমেন্ট দরকার।

ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে রইলাম।উনি চলে গেলেন।রাগ লাগছে প্রচন্ড।এমন কেনো করছেন উনি?ভালোবাসি শুনে এভোয়েড কেনো করছেন?বিছানার বালিশদুটো মেঝেতে ছুড়ে মেরে ফুসতে লাগলাম।গা জ্বলছে।মনে হচ্ছে উচিত ছিলো লোকটাকে আরো বেশ কয়েকদিন ভালোবাসি না বলা।পুড়তো!সো কলড্ আমার নামের রোদ্দুরে!

সন্ধ্যায় ফিরলেন শুদ্ধ।ভাবলেশহীনভাবে আমাকে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে নিজের মতো ব্যস্ত হয়ে পরলেন।ডিনার শেষে আম্মুকে রুমে পৌছে দিয়ে দেখলাম মহারাজ আবারো ওই ল্যাপটপে ব্যস্ত।শব্দ করে চেয়ার টেনে পড়ার টেবিলে বসলাম।শুদ্ধর ঠান্ডা আওয়াজ,

-পড়তে বসতে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করেছিস কেনো?

….

-অসুস্থ্য ছিলি,আজ পরতে হবে না।

জেদ করে আরো জোরে জোরে শব্দ করে পড়তে লাগলাম।টের পেলাম চেয়ারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন শুদ্ধ।মাথা উচু করে দেখি সে বুকে হাত গুজে দাড়িয়ে।

-সারাদিন রুমেই ছিলি,দম বন্ধ লাগছে না?যা না?মাহির রুমে গিয়ে আড্ডা দিয়ে আয়!যা!

এখন রুমেও চাইছে না আমাকে?কি হলোটা কি এর?বেশ!আমিও দেখাবো ইনসিয়া কি জিনিস।গটগট করে ফুসতে ফুসতে বেরিয়ে এলাম রুম থেকে।মাহি দেখলাম ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।আমাকে দেখে বললো,

-তুমি এখানে?শুদ্ধ ভাইয়া জানলে আমাকে…

বিছানায় চাদর টেনে শুয়ে পরলাম।মেঘ ডাকছে বাইরে।আর ভেতরে জোয়ালামুখী।মাহি হাতে টান লাগিয়ে বললো,

-কি ব্যাপার?ঝগড়া করেছো?

উঠে বসে খেকিয়ে বললাম,

-আমি ঝগড়া করি?

-রুমে যাও না ইনসিয়া ভাবি।শুদ্ধ ভাইয়া আসলে কিন্তু…

-তোমার শুদ্ধ ভাইয়াই আমাকে পাঠিয়েছে এখানে।আরকিছু?

-কিহ্?

মাথার উপর চাদর দিয়ে শুয়ে রইলাম আবারো।মাহির কথা আর এক্সপ্রেশনে আরো রাগ লাগছে।মাহি টেনে চাদর সরিয়ে দিয়ে বললো,

-এ রুমে কেনো আসতে বললো তোমাকে?

-ঘুম পাচ্ছে মাহি।শুয়ে পরো।

-কিন্তু….

-আরো প্রশ্ন করলে এ রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে গিয়ে ঘুমাবো মাহি।

ও আর কিছু বললো না।বিরবির করতে করতে পাশেই শুয়ে পরলো।আমিও দাত কিড়মিড়িয়ে ঘাপটি মেরে শুয়ে রইলাম।মাহি ঘুমিয়ে পরেছে।অনেকটা সময় হলো শুধু এপাশ ওপাশ করেছি।শুদ্ধর শরীরের ঘ্রানের বদ অভ্যাসটার জন্য ঘুমও আসছে না।হঠাৎই ফোনে ম্যাসেজ।এমনিতেও রেগে ছিলাম,ভাবলাম মৌনতাকে ঝাড়লে কিছুটা শান্তি পাবো।কিন্তু ফোন হাতে নিয়ে শুদ্ধর ম্যাসেজ দেখে কপাল কুচকে এলো আমার।

“দরজা খোল!আড্ডা দিতে পাঠিয়েছিলাম।শুতে নয়”

ইহ্!এতোক্ষনে মনে পরেছে!যাবো না।খুলবো না দরজা।ঘুমিয়ে পরেছি আমি।দেখি নি আপনার ম্যাসেজ!
সাথেসাথে আরেকটা ম্যাসেজ,

“দরজা খুলবি নাকি মাহিকে কল করবো?জানি ঘুমাস নি তুই।এখন যদি মাহি জেগে যায় ওর সামনে কোলে করে রুমে নিয়ে যাবো তোকে।ভাল্লাগবে?”

প্রতিটা কথায় রাগ হচ্ছে।চেয়েছিলাম উনি রুমে নিয়ে যাক আমাকে।কিন্তু এভাবে কেনো বলছেন উনি?নাকি আমিই ওভাররিয়্যাক্ট করছি?কেনো?উনি একটু দুরে দুরে আছেন বলে?

“কল দিবো মাহিকে?”

উকি দিয়ে দেখলাম মাহি বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।তাড়াতাড়ি উঠে দরজা খুলে দিলাম।এ বিষয়ে আমার এতোটুকো বিশ্বাস নেই শুদ্ধকে।একটুখানি দরজা খুলে তাকালাম শুদ্ধর দিকে।লোকটা ঘেমে গেছে।খয়েরি রঙের গেন্জিটা ভিজে গেছে।কপালেও ঘাম অল্পবেশি।কি হলো?এভাবে ঘেমে গেছেন কেনো উনি?কি এমন কাজ করলেন?দরজার ওটুকো ফাক দিয়েই একটা ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে কড়া গলায় বললেন,

-দশ মিনিটের মধ্যে এটা পরে রুমে আয়।

কিছু বুঝলাম না।হাত বারিয়ে ব্যাগটা কখন নিয়েছি তাও টের পাইনি।উনি চলে যাচ্ছিলেন।রেগে আছি মনে পরতেই ব্যাগ টা সামনে ধরে কিছুটা গলা উচিয়ে বললাম,

-এসব কি?পারবো না পরতে!

শুদ্ধ পিছন ফিরলেন।তাকানোর ভাব দেখেই অন্যদিকে মুখ ফিরলাম আমি।

-কি বললি তুই?

-য্ যাবো না রুমে।

আড়চোখে দেখলাম বিরক্তি নিয়ে চোখ বন্ধ করে ডানহাতের দু আঙুল কপালে স্লাইড করালেন শুদ্ধ।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-দশ মিনিটের জায়গায় বিশ মিনিট দিলাম।তারপর মাহিকে ডেকে হোক আর দরজা ভেঙে হোক তোকে কোলে করে নিয়ে যাবো।ওটা নিজে থেকে পরলে ভালো,নইলে আমিই রুমে নিয়ে গিয়ে পরিয়ে দেবো।ইউর টাইম স্টার্টস্ নাও!

হনহনিয়ে চলে গেলেন উনি।ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে চলে যাওয়া দেখছিলাম তার।তখনই ম্যাসেজ,” এইটিন মিনিটস্ মোর! “হতভম্ব হয়ে দরজা লাগিয়ে ব্যাগটার দিকে তাকালাম।হচ্ছে টা কি?চাইছেন টা কি উনি?ব্যাগের ভেতর থেকে জামাটা বের করতেই চোখ ছানাবড়া আমার।ফোনের ফ্লাশ অন করে যেটুকো দেখেছি তাতেই মাথা ঘুরছে।হঠাৎই লাইট জ্বলে উঠলো।মাহি লাফিয়ে উঠে এসে জামাটা কেড়ে নিলো হাত থেকে।আতকে উঠে তবুও পুর্ন আলোতে জামাটাই দেখছি আমি।মাহিও হা করে তাকিয়ে আছে ওটার দিক।ধপ করে বেডে বসে পরলাম।

.
একটা গাঢ় নীল রঙের প্রম গাউন।জর্জেট,অনেক ঘেড়।হাতা নেই।অফ শোল্ডার যাকে বলে।পিঠসহ,কাধ,ঘাড়ের অনেকটা নিচ অবদি দেখা যায় ওগুলো পরলে।চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম আমার।কি কিনেছেন শুদ্ধ এটা?কি বললেন উনি?এটা আমি পরবো?মাহি টেনে দাড় করালো আমাকে।কাধে ধাক্কা‌ মেরে দাত কেলিয়ে বললো,

-ওয়াহ্ ইনসিয়া‌ ভাবি,নট ব্যাড হা?দিল দিয়া গাল্লা?কেয়া খুব!কেয়া খুব!শুদ্ধ ভাইয়ার চয়েজ আছে বলতে হবে।

আমি যেনো কোনো ঘোরের মধ্যে আছি।ভাষাহীনভাবে মাহির দিকে তাকালাম।আবারো ম্যাসেজ!অসহায়ভাবে ফোনের দিকে তাকালাম। ” দশ মিনিট শেষ ”

-চলো যাও যাও।চেন্জ করে আসো।বেশ মানাবে তোমাকে এটা।

লাফিয়ে দুহাত পিছিয়ে বললাম,

-অসম্ভব।এ্ এটা আমি পরবো না।

-কেনো?

-কেনো মানে?এটা পরে কি করবো আমি?

-শুদ্ধ ভাইয়া তো বললো পরে যেতে।

চোখ ছোটছোট করে বললাম,

-ঘুমোও নি তুমি?

-নোপ।জানতাম শুদ্ধ ভাইয়া আসবেই।যাই হোক,তার কথামতো কাজ করো।ইশ্!কি রোমান্টিক!মেবি সারপ্রাইজ প্লান করেছে তোমার জন্য রুমে।জলদি যাও!

-না।

-না মানে?

-মানে এটা পরবো না আমি দ্যাটস্ ইট।এটা পরে আয়নায় নিজেই নিজের দিকে তাকাতে পারবো না।আর তো…

-শুদ্ধ ভাইয়ার সামনে যাওয়া তাইনা?

চুপ মেরে‌ গেলাম।এই লোকটার পাগলামি দিন দিন আমাকে পাগল বানিয়ে দেবে।কিন্তু আজ হঠাৎ এসব কেনো?সারাদিন ওমন ব্যবহার করে এখন এটা পরে রেডি হতে কেনো বলছেন উনি?সাধারন লেহেঙ্গার গলাটা বড় ছিলো বলে চুল ছাড়া নিয়ে কতো কিছু,আজ এটা পরতে বলছেন কোন হিসেব কষে?সেরকম কি করলাম আমি?

নিমিষেই ভেতরটা ধক করে উঠলো।চোখ গেলো সোজা ঘড়ির দিকে।এই মুহুর্ত থেকে ঠিক আটাশ ঘন্টা আগে তাকে ভালোবাসি বলেছি।যার অপেক্ষা পাঁচবছর হলো করে আসছেন উনি।শ্বাসপ্রশ্বাস জোরে চলতে লাগলো এবার।কানে শুধু শুদ্ধর বলা কথাগুলো বাজছে, ” আমার সব ইচ্ছে বলা,করা তোর বলার উপর নির্ভর করছে।”
“যেদিন আমি কাছে আসবো,তোর এই লজ্জাই তোর শনি হবে সিয়া দেখিস।এতোটা কাছে আসবো,সব লজ্জা ছিনিয়ে নেবো একদম।”
“টুয়েন্টি ফোর আওয়ারস্ শুদ্ধ গুড বয়।তারপর….”

জামা খামচে ধরে শুকনো ঢোক গিললাম একটা।মাহির হাতে থাকা জামাটা যেনো চেচিয়ে বলছে,আজ তোকে ধরা দিতেই হবে ইনসু।পালানোর কোনো উপায়ও নেই,কারনও নেই।একপা একপা করে পিছোতে লাগলাম।মাহি এগিয়ে এসে হাতের কনুইর উপরে ধরলো আমার।বললো,

-কি হলো ইনসিয়া ভাবি?পেছাচ্ছো কেনো হুম?

….

-এই?এমন কেনো করছো তুমি?শুদ্ধ ভাইয়ার এটুকো চাওয়া রাখতে পারবে না?

নুইয়ে গেলাম।শুদ্ধর চাওয়া!এটুকো চাওয়া!হ্যাঁ।তাইতো।আমার কাছে শুদ্ধর এটুকো চাওয়া।সেই মানুষটার এটুকো চাওয়া যে পাগলের মতো ভালোবাসে আমাকে।একনজর মাহির দিকে তাকালাম।ও বাকা হেসে বললো,

-নাকি চাইছো শুদ্ধ ভাইয়া কোলে করে নিয়ে গিয়ে নিজে থেকে পরিয়ে দিক তোমাকে?

সবটা শুনে নিয়েছে তারমানে মাহি।আর কোনো উপায় অবশেষ নেই যা দিয়ে এতোটুকো লজ্জা লুকোতে পারবো।আবারো জামাটার দিকে তাকালাম।মনে হচ্ছে জামাটার মাঝে শতশত লজ্জার গিফট্ হ্যাম্পার রেখে গেছেন শুদ্ধ।কান গরম হয়ে গেছে আমার।কাপাকাপা হাতে ধরলাম জামাটা।বুকে জরিয়ে চেন্জ করে আসলাম ওয়াশরুম থেকে।

-তোমার বিউটি বোনের কাছের তিলটা বেশ সুন্দর দেখতে!

মাহি মিটমিটিয়ে হেসে কথাটা বললো।তাড়াতাড়ি বেডে রাখা ওড়না চাদরের মতো জরিয়ে নিলাম।মাহি এগিয়ে এসে থুতনি ধরে বললো,

-ওওওরে লজ্জাবতী লতিকা!আজ তুমি শেষ!

খামচে ধরলাম ওড়না।জমে দাড়িয়ে আছি।আবারো ম্যাসেজ টোন!

-ওই দেখো!রিমাইন্ডার!বাজুক!আগে তো সাজিয়ে দেই একটু!

মাহি আমাকে ধরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসালো।একটাবারও আয়নায় দেখিনি নিজেকে।চোখ বন্ধ করে অনুভব করলাম মাহি একদম উচুতে খোপা করে দিলো।ঠোটে লিপস্টিকও দিয়েছে।কাজল দিতে যাচ্ছিলো,দিতে দেইনি।শুদ্ধ পছন্দ করেন না।মাহি ওর কাজ শেষে তুলে দাড় করালো আমাকে।বললো,

-মাশাল্লাহ!খুব সুন্দর লাগছে গাউনটায় তোমাকে ইনসিয়া ভাবি।মনে হচ্ছে শুধু তোমার জন্যই স্পেশালি বানানো ওটা।

নিচদিক তাকিয়ে একহাতে জামাটা মুঠো করে ধরলাম।আমার জন্য স্পেশালি বানানো হোক না হোক,এ সাজ সবটাই শুদ্ধর জন্য।শুধুই শুদ্ধর জন্য।আমার নিজের দেখারও অধিকার নেই।মাহি,পারলে তুমিও তাকিও না আমার দিক।তাকিও না।

-দেখো তো ভাবি,আমার হাতের সাজ পছন্দ হয় কি না?

পিছন ফিরে দাড়িয়ে বললাম,

-ত্ তুমি সাজিয়েছো,অবশ্যই ভালোই হয়েছে।

-তাই বলে একবার নিজেকে দেখলেও না আয়নায়?

দেখার প্রয়োজন নেই।আজ শুদ্ধর চোখে নিজেকে দেখবো আমি।উত্তর না পেয়ে মাহি কাধ ধরে রুমের বাইরে এনে বললো,

-রুমে যাও।

একনজর তাকালাম ওর দিক।ঠোট টিপে হাসছে।আঙুল উচিয়ে রাস্তা দেখিয়ে দিলো।নিচদিক তাকিয়ে জামা আর নিজের মনকে সামলাতে সামলাতে গুটিগুটি পায়ে রুমের সামনে এসে দাড়ালাম।হৃদপিন্ডটা লাফাচ্ছে।ধুকধুকানি শোনা যাচ্ছে।কোনোমতে নিজেকে ঠিক রেখে‌ দরজায় হাত লাগানোর আগেই পুরোপুরিভাবে খুলে গেলো ওটা।দরজায় দাড়িয়ে চোখ তুলে তাকাতেই থমকে গেলাম।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here