অল্প থেকে গল্প?
অরিত্রিকা আহানা
পর্ব:৯
সুমনার পালিয়ে যাওয়ার খবর উপলের কানে পৌঁছাতেই সবার আগে আনোয়ারা বেগমকেই খবরটা দিলো সে।তাতে অবশ্য লাভ হলো।উনার রাগ কিছুটা পড়লো।কিন্তু নতুন করে আরেকটা জিনিস মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।উনার পছন্দ করা মেয়ে এমন একটা জঘন্য কান্ড ঘটিয়েছে শুনে লজ্জায় উনার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।শুদ্ধকে ভেতরে ডেকে পাঠালেন।
শুদ্ধ ভেতরে ঢুকতেই ওর হাত ধরে ডুঁকরে কেঁদে উঠে বললেন,
—আমার কপাল খারাপ শুদ্ধ!আমার কপাল খারাপ!আমি বোধহয় তোর সংসার দেখে দেখে যেতে পারবো না।
—তুমি একটু শান্ত হয়ে বসো তো মা।তোমার শরীর খারাপ করবে!
শুদ্ধ উনাকে শুইয়ে দিলো।তিনি একটুপর পর শাড়ির কোনা দিয়ে চোখ মুছছেন আর শুদ্ধ উনার প্রেশার চেক করছেন।সুমনার সাথে শুদ্ধর বিয়েটা হলে কি সর্বনাশটাই না হতো!উনার আদরের ছেলের জীবনটা বরবাদ হয়ে যেত।তার জন্য দায়ী থাকতেন উনি!অবধারিত বিপদের কথা ভেবে বারবার শিউরে উঠছেন তিনি।নিজের কপালকে দোষারোপ করছেন।
স্টেথো খুলে শুদ্ধ আনোয়ারা বেগমের ওষুধের বক্স থেকে প্রেশারের ওষুধ বের করে উনাকে খাইয়ে দিলো।আনোয়ারা বেগম শুদ্ধর হাত চেপে ধরে বলল,
—তুই কি আমার ওপর রেগে আছিস বাবা?
—আমি তোমার ওপর রেগে নেই মা।তুমি প্লিজ এসব চিন্তা বাদ দিয়ে এখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো।তোমার বি.পি.মারাত্মক হাই।
—ঘুম আসবে না বাবা!
—আসবে।তুমি চোখ বন্ধ করো ঘুম এসে যাবে।
শুদ্ধ বক্স খুলে একটা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিলেন উনাকে।ওষুধ খাওয়ার আধঘন্টার মধ্যেই আনোয়ারা বেগম ঘুমে অচেতন হয়ে গেলেন।
শুদ্ধ বাতি নিভিয়ে সাবধানে বেরিয়ে এলো।দরজার বাইরে উপল,অনু,ছবি,মুক্তা মেহেদী সবাই দাঁড়িয়ে আছে।
মেহেদী বলল,
—কি অবস্থা খালাম্মার?
—ঘুমাচ্ছে।
শুদ্ধ অনুকে উদ্দেশ্য করে বলল,
—আর কোন চিন্তা নেই ভাবি।তুমি যাও শুয়ে পড়ো!..ভাইয়া?.ভাবিকে নিয়ে যাও।
একে একে সবাই যার যার ঘরে চলে গেলো।মুক্তা আর মৌনতা টেনে শুদ্ধকে ছাদে নিয়ে গেলো।ছাদে উঠে দেখলো নাহিদ,মেহেদী ওরাও আছে।
মৌনতা চেঁচিয়ে উঠে বলল,
—সত্যি করে বলতো শুদ্ধ তুই কি আগে থেকেই জানতি ঐ মেয়ের অন্য কোথাও লাইন আছে?
শুদ্ধ হাসলো।সবগুলো চোখ উৎসুক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে উত্তরে আশায়। চুলের গোড়ায় আঙ্গুল চালাতে চালাতে শুদ্ধ বলল,
—হুম আমি আগেই জানতাম সুমনা অন্য একজনের সাথে রিলেশন আছে।
—তাহলে প্রথমে বারণ করে দিলি না কেন?
—কারণ আমি বিয়েটা করতে চাইছিলাম না..
মৌনতা ওর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল,
—আমি জানি তো তুই আমার জন্যই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিস।তুই মুখে না বললেও আমি তোর মনের কথা বুঝতে পারি।কি হবে মনের কথা চেপে রেখে?বলে ফেল আমাকে ভালোবাসিস!
শুদ্ধ চোখ পাকিয়ে মৌনতার দিকে তাকালো।মৌনতা ভিলেনমার্কা হাসি দিচ্ছে।নাহিদ ওর মাথায় চাপড় মেরে বলল,
—কয়টা লাগে তোর?
মৌনতা শুদ্ধকে খোঁচা মেরে বলল,
—শুদ্ধ রাজী হলে বাকি সব বাদ!
শুদ্ধ হামি তুলে বলল,
—তোরা কি এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাত পার করে দিবি?আমার ঘুম পাচ্ছে আমি গেলাম।
শুদ্ধ ছাদের দরজা দিয়ে নেমে যাচ্ছিলো নাহিদ এসে ওর হাত চেপে ধরে বলল,
—তোর সাথে আমার জরুরী কথা আছে?
শুদ্ধ আবারও হামি তুলে বলল,
—এত রাতে?
—হুম।এখুনি।
—ঠিক আছে বল!
নাহিদ ইতস্তত করে বলল,
—ছবির কি কোন এফেয়ার আছে?
শুদ্ধ স্থিরভাবে কিছুক্ষন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে একটু হাসলো।তারপর স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
—না ওর কোন এফেয়ার নেই।
নাহিদ খুশি হওয়ার ভঙ্গিতে বললো,
–দোস্ত তাহলে আমার একটা উপকার করে দে না।
–কি?
নাফিস লাজুকভাবে হেসে বললো,
—ছবিকে আমার বেশ ভালো লেগেছে।মেয়েটা একটু ছোট বাট সুইট।ও রাজী থাকলে আমি বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো।
— ও বিবাহিত!
নাহিদ চরম আশ্চর্য কন্ঠে বলল,
—তুই কি মজা করছিস?
—না।আমি মজা করছি না।
—আশ্চর্য!ওকে দেখলে তো মনেই হয় না ও বিবাহিত!
—ইয়েস!বাট সি ইজ ম্যারিড!
—ওর হাজবেন্ড?
—আপাতত ছুটিতে আছে।
—তারমানে বেকার?
—বেকার কেন হবে? বললাম না ছুটিতে?
নাহিদের কাছে সবকিছু অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।ছবি কে দেখলে মনেই হয় না ও বিবাহিত।আর যদি বিয়ে হয়েও থাকে তবে শুদ্ধদের সাথে কি করছে?
নাহিদ অবিশ্বাসের সুরে বলল,
—দোস্ত তুই কি সত্যি সিরিয়াস?
—ড্যাম সিরিয়াস!
—তাহলে ছবি তোদের সাথে কেন থাকে? মানে ওর হাজবেন্ড কোথায়?
—সে তার হাজবেন্ড এর সাথেই আছে!
—মানে? কে সে?
—আমি!
নাহিদ তব্দা মেরে রইলো কতক্ষন।কথা গুলো ওর মস্তিষ্ক হজম করতে পারছে না।অস্ফুটসরে বলল,
—তুই বিয়ে করেছিস?
—হুম।
—কিন্তু কবে? কখন?আমাদেরকে জানালি না কেন?
—এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় বাবার ইচ্ছেতেই আমার সাথে ছবির বিয়ে হয়।ও তখন ক্লাস ক্লাস এইটে।
—-তারমানে…
নাহিদ কথা খুঁজে পাচ্ছে না।
—ওয়াও শুদ্ধ দ্যা গ্রেট ছুপারুস্তম!
দরজা কাছ থেকে মৌনতার গলার আওয়াজ পেয়ে শুদ্ধ সেদিকে তাকালো।মৌনতা
ফুঁসে উঠে বলল,
—আমাদের এতদিন জানালি না কেন?
—যতটুকু জানতে চেয়েছিস জানিয়ে দিয়েছি।বাকিটা থাক!
মৌনতা কিছু বলতে নিচ্ছিলো সালমানের ফোন পেয়ে থেমে গেলো।ফোন রিসিভ করে কাঁদোকাঁদো স্বরে বলল,
—হ্যাঁ জান! শুদ্ধ বিয়ে করে ফেলেছে!আমার কি হবে জান?
কথা বলতে বলতে ছাদের অন্যপাশে চলে গেলো সে।ওর কান্ড দেখে শুদ্ধ সহ সবাই হেসে ফেললো।
মুক্তা বলল,
—সালমান ভাই যে কি করে এত ঢং সহ্য করে আমি বুঝিনা।
মেহেদী বলল,
—ও সালমান ভাইকে রাগানোর জন্যই ইচ্ছে করে এসব করে!
শুদ্ধ নাহিদ কে উদ্দেশ্য করে বলল,
—তুই কি আর কিছু বলবি?
নাহিদ বলবে কি।সে এখনো ধাক্কা সামলে উঠতেই পারে নি।কোনরকমে দুদিকে মাথা নাড়িয়ে বলল,
—না।
ছবি দোতলার বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো।সিঁড়িঘরের কাছে কারো কথার আওয়াজ পেয়ে কান খাড়া করে ফেললো।অস্পষ্ট স্বরে শুনলো ‘ছবি’।তারমানে ওকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? দুটো সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে উপরে উঠলো সে।শুদ্ধর গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।এতরাতে ছাদে কি করছে সে? একটুপর নাহিদের গলার আওয়াজ পেলো।একে একে মুক্তা,মৌনতা মেহেদী সবার গলার আওয়াজ শুনতে পেলো।হঠাৎ নাহিদ বলে উঠলো ‘ছবি’।
ছবি বুঝতে পারছে না নাহিদ তাকে নিয়ে কি আলোচনা করছে।সে কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে আরো দুই সিঁড়ি উপরে উঠলো।
আচমকা শুদ্ধর গলার আওয়াজ পেয়ে ভূত দেখার মত চমকে উঠলো।শুদ্ধ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
—তুমি এতরাতে এখানে কি করছো?
ছবি উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না।এর আগেও অনেকবার আড়িপাততে গিয়ে শুদ্ধর কাছে ধরা খেয়েছে সে।
ওড়নার কোনা চেপে ধরে মিনমিনে গলায় বলল,
—ঘুম আসছিলো না তাই ছাদে হাঁটাহাটি করতে যাচ্ছিলাম।
শুদ্ধ চুপচাপ ওকে পর্যবেক্ষণ করছে।ধরা খাবার ভয়ে ছবি তড়িঘড়ি করে জিজ্ঞেস করল,
—আপনি ছাদে ছিলেন?
—হুম!
—নাহিদ ভাইয়ের গলায় আওয়াজ শুনলাম কি বলছিলেন উনি?
—তোমার বিয়ের ব্যাপারে!
শুদ্ধ পাশ কাটিয়ে নেমে গেলো।
ছবির মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো।এটা কি বলে গেলো শুদ্ধ?
পরেরদিন সকাল থেকেই আনোয়ারা বেগম মুখ ভার করে রইলেন।নাশতার টেবিলে কারো সাথে কোন কথা বললেন না।ব্রেকফাস্ট সেরে চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেলেন।সবাই টেনশনে পড়ে গেলো।কেউ ভয়ে জিজ্ঞেস করতেও পারছে না।
দুপুরের দিকে উপল শুদ্ধ দুজনকেই উনার ঘরে ডেকে পাঠালেন।
ওরা ভেতরে ঢুকে দেখলো চাপা স্বরে কাঁদছেন আনোয়ারা বেগম।সম্ভবত গতকাল রাতের শোক এখনো সামলে উঠতে পারছেন না ।
উপল ভয়ে ভয়ে বলল,
—আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।বাদ দাও মা!
আনোয়ারা বেগম ফুঁপিয়ে উঠলেন।কান্নাজড়িত গলায় বললেন,
—আমি কি পাপ করেছিলাম আল্লাহর কাছে,খোদা কেন আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছেন?
উপল নরম গলায় বলল,
—আচ্ছা মা বিয়েটা তো হয় নি।তুমি শুধুশুধু কেন কান্নাকাটি করছো?
—হয় নি!হতে তো পারতো।ঘটনাটা যদি বিয়ের পর ঘটতো?আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারতাম?আমার ছেলেটার কি হতো?
শুদ্ধ হাসলো।আনোয়ারা বেগমের হাত চেপে ধরে বলল,
—বিয়েটা যখন হয় নি তখন আর এসব ভেবে কোন লাভ আছে? কোন লাভ নেই! তারচেয়ে বরং মিলে আনন্দ করি চলো।অনেকদিন পর বাড়িতে আসা হলো,এই সুযোগ আর হবে?বিয়ে উপলক্ষে সবাই একত্র হলার এটাই বা কম কিসে?
উপল সমর্থন করে বলল,
—শুদ্ধ ঠিকই বলছে মা।এসব আলোচনা আর না করাই ভালো।অনেকদিন পর ছুটি পেয়েছি।তুমি এখন আর এসব নিয়ে মন খারাপ করে থেকো না।তুমি এভাবে মন খারাপ করে থাকলে তো আমাদেরও ভালো লাগবে না।
আনোয়ারা বেগম পরম স্নেহের দৃষ্টিতে দুই ছেলের দিকে তাকালেন।পরম মমতায় দুজনকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।এদের ভরসাতেই এখনো বেঁচে আছেন তিনি।এরাই উনার সব।
পরেরদিন বিকেলবেলা শুদ্ধ,মৌনতা নাহিদ সবাই মিলে ঘুরতে বেরিয়েছিলো।
এই সুযোগে ছবি ঘুরে ঘুরে শুদ্ধর ঘরটা দেখছিলো।এটাচড বারান্দা এবং বাথরুম আছে।আর বারান্দাটাও বেশ বড়সড়।ছবি পুরো ঘরে চোখ বুলিয়ে দেখলো।ছিমছাম ভাবে সাজানো।একটা খাট,খাটের পাশে ছোট টি-টেবিল,একটা আলমারি, একটা ড্রেসিংটেবিল আর কয়েকটা বুক শেলফ !প্রত্যেকটা বুক সেল্ফই বই দিয়ে ভর্তি।
ড্রেসিংটেবিলের আয়নার ঠিক অপজিট ডিরেকশনে শুদ্ধর ফ্রেমে বাধানো একটা ছবির দিকে চোখ পড়লো ছবির।কনভোকেশনএর ড্রেস পরা।হাসিতে ঝলমল করছে সারা মুখ।ওর এই এক হাসিতেই যে কেউ ঘায়েল হয়ে যেতে পারে।ছবি আয়নার ভেতর দিয়েই মন্ত্রমুগ্ধের মত কিছুক্ষণ ছবিটার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
—আমাকে আপনার বেশি ভালোবাসতে হবে না ঠিক আছে?খালি অল্প একটু ভালোবাসলেই হবে।আপনার অল্প অল্প ভালোবাসা দিয়েই আমি আমাদের ভালোবাসার গল্প বানাবো।আপনি হবেন আমার রাজা,আমি আপনার রানী!রাজা রানীর গল্প!
আয়নার ওপর দিয়েই শুদ্ধর গাল বরাবর ছবিটাতে চুমু খেতে গিয়েই লজ্জায় সরে এলো। একবার আগায় একবার পিছায়।শেষমেশ আর নিজেকে সংবরণ করতে পারলো না, চোখবন্ধ করে একটা চুমু খেয়েই নিলো ছবিটাতে।কিন্তু চোখ খুলতেই ওর চোখদুটো ছানাবড়া!ভূত দেখলেও এইমুহূর্তে এত চমকাতো না সে শুদ্ধকে দেখে যতটা চমকে গেছে!
মুহূর্তেই লজ্জায় সারা শরীর মিইয়ে এলো।আয়নার ভেতর দিয়ে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে শুদ্ধ!চোখে চোখ পড়তেই ইশারায় জিজ্ঞেস করলো,
–কি হয়েছে?
ছবি মাথা নাড়িয়ে কিছু না বোঝালো।ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে ওর।কিন্তু নড়তে পারছে না!অদৃশ্য একটা শক্তি ওর পা দুটো জড়িয়ে ধরে আছে।শুদ্ধ ওর অবস্থা দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো। জিজ্ঞেস করলো,
—কোন সমস্যা?
ছবি জবাব দিতে পারলো না।ওকে চুপ থাকতে দেখে শুদ্ধ মুখ খুললো।কিছুটা অবাক হয়েই বললো,
–তুমি আয়নাতে চুমু খাচ্ছিলে কেন?
–কই নাতো?
শুদ্ধ এখনো আয়নার ওপাশে তার ছবির দিকে খেয়াল করে নি। আরেকটু এগিয়ে এসে ছবির ঠিক পেছনে এসে দাঁড়ালো সে।তারপর ছবির কাধের ওপর দিয়ে আয়নায় একটা হাত রাখলো ছাপের জায়গায় আঙ্গুল রেখে বললো,
—এই যে দেখো আয়নার ওপর তোমার লিপবাম এর ছাপ পড়ে গেছে।
শুদ্ধ কি বলছে সেটা ছবির কানে ঢুকছে না।সে চোখ বন্ধ করে মনে মনে যত রকম দোয়া আছে সব পড়ে নিলো।
বিড়বিড় করে বলল
—ইয়া আল্লাহ উনি যাতে ছবির ব্যাপারটা খেয়াল না করে।
কিন্তু বিধিবাম!শুদ্ধ আরো কিছু বলতে যাবে এমনসময় আয়নার ওপাশে তার নিজের ছবির দিকে চোখ পড়লো।ওর গাল বরাবরই লিপবাম এর ছাপ লেগে আছে।অবাক হয়ে একবার আয়নার দিকে একবার নিজের ছবির দিকে তাকালো সে।ছবি বজ্রাহতের মত চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
শুদ্ধ এবার অবাক হয়ে ছবির দিকে তাকালো।ছবি লজ্জায় হীম হয়ে যাচ্ছে।এতক্ষনে আসল ঘটনা বুঝতে পেরেছে শুদ্ধ!ভ্রু জোড়া উদ্ভুতভাবে খেলে উঠলো তার।ছবি দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না।শুদ্ধর হাতের নিচ দিয়েই একদৌঁড়ে ওর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
.
.
চলবে