অল্প থেকে গল্প? অরিত্রিকা আহানা পর্ব:১৩

0
2333

অল্প থেকে গল্প?
অরিত্রিকা আহানা
পর্ব:১৩

—তোমার পড়াশোনা নেই?
শুদ্ধর গলা শুনে চমকে উঠলো ছবি।বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল,
—কি হবে পড়াশোনা করে? আমি সংসার করবো!
ছবির বিড়বিড় করে বলা কথাগুলো শুনেছে শুদ্ধ।ছবিকে একটু টাইট দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করলো সে। হাতের বইটা বিছানার ওপর রেখে হাত দুটো বাড়িয়ে দিলো ছবির দিকে।বলল,
—আসো সংসার করি!
ছবির চোখ কপালে চলে গেছে।কন্ঠে একরাশ বিস্ময় নিয়ে বলল,
—মানে?
—মানে তুমি না সংসার করবে বললে? সংসার করবে কাকে নিয়ে? বাচ্চা লাগবে না?
শুদ্ধ খাট থেকে নেমে ছবির সামনে এসে দাঁড়ালো।ছবির হাতের কফির মগটা দুলছে ভয়ে।শুদ্ধ কি করতে চাইছে? বাচ্চা? ও আল্লাহ!.না! আজকে সকালে অনুর চিৎকারের কথা মনে পড়লে এখনো ওর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে।হাতপাঁ ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে!শুদ্ধ ঠোঁট কামড়ে বলল,
—তোমার আঠারো হয়েছে না?
—হ্যাঁ?
—হয়েছে? তাহলে আসো!পড়াশোনা যখন করবে না তখন বাচ্চা পালো!
শুদ্ধ আরেকটু কাছে এগোলো।ছবি আর একসেকেন্ডও দেরী করে নি।কফি মগটা টেবিলের ওপর রেখে একছুটে নিজের ঘরে!শুদ্ধ নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন হো হো করে হাসলো।
ছবি নিজের ঘরে ঢুকে বড়বড় দম নিচ্ছে।কানে ধরছে সে!আর জীবনেও শুদ্ধর সামনে এমন কথা বলবে না।তওবা!তওবা!

তিনদিন বাদে অনুকে বাসায় নিয়ে আসা হলো। দুদিন খুব ধুমধাম চললো।তারপর আবার স্বাভাবিক ভাবেই সব কিছু চলতে শুরু করলো।শুদ্ধর ট্রেনিং পড়ে গেলো দশদিনের জন্য।সে চলে গেলো ময়মনসিংহ!ছবির কোচিং মডেলটেস্ট চলছে নিয়মিত।সে তার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত!উপলকে যথারীতি অফিসে যেতে হয়!আনোয়ারা বেগম এখন আর বিরক্তি অনুভব করেন না।নাতনীকে নিয়ে তার সময় কেটে যায়।কিন্তু অনু? অনু প্রায়ই মুখ কালো করে বসে থাকে।বাচ্চাটার প্রতিও ইদানীং অনিহা তার।

উপল অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এলো। মেয়েকে না দেখলে ওর শান্তি লাগে না।একটুপর পরই ভিডিও কল দিয়ে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করে।অনু গতকাল খুব রেগে গেছিলো।তাই আজকে আর ওকে ফোন করার রিস্ক নেয় নি সে।
সোজা বাসায় চলে এসেছে।ঘরে ঢুকেই দেখলো বিছানায় অনুপলা হাতপাঁ ছুড়ে কাঁদছে।গলাফাটিয়ে চিৎকার করছে।অনু নির্বিকার ভাবে বারান্দায় বসে আছে।মেয়েকে কোলে নিয়ে উপল অনুর কাছে গেলো।
—কি হলো অনু তুমি দেখছো না অনুপলা কাঁদছে?
অনু জবাব না দিয়ে বারান্দা থেকে উঠে ড্রেসিংটেবিলের সামনে চলে গেলো।চুলে তেল দিতে বসে গেলো সে।
—মেয়ে কাঁদছে।তোমার চুলে তেল দেওয়াটা এখন বেশি হয়ে গেলো?
অনু তেলের কৌটা ঠাস করে টেবিলের ওপর রেখে বলল,
—সামনে থেকে সরো!আমার ক্ষিদে পেয়েছে।
—অনুপলা কাঁদছে তুমি শুনতে পাও নি?
—আমার সামনে থেকে সরো বলছি!
—অনু আমি তোমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছি?
—আমি তোমার কোন প্রশ্নের উত্তর দেবো না।
—আশ্চর্য!তুমি না মা?..মেয়ে ক্ষিদের যন্ত্রনায় গলা ফাটিয়ে কাঁদছে আর তোমার কোন বিকার নেই? কেমন মা তুমি?তোমার মনে দয়ামায়া বলে কিছু নেই?
—না নেই।তোমার মেয়ে তুমি সামলাও।সারাদিন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে,আমার মাথা ধরিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছে করছে গলা টিপে মেরে ফেলি।
উপল হতবম্ভ হয়ে গেলো।অনু কি বলছে এসব?
চোখমুখ শক্ত করে অনুর দিকে তাকালো সে।অনু ওর রাগের বিন্দুমাত্র ধার ধারলো না।গটগট করে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।
উপল রাগে ক্ষোভে চেঁচিয়ে উঠে বলল,
—তুমি মা নামের কলঙ্ক!লজ্জা হওয়া উচিৎ তোমার!
মেয়েকে কোলে নিয়েই রান্নাঘরে দুধ গরম করতে গেলো সে।ছবি কোচিংয়ে গেছে।আনোয়ারা বেগম তার বোনের বাসায়।রাগে মাথার চাঁদি ফেটে যাচ্ছে উপলের।সে না এলেই নিশ্চই এই মাসুম বাচ্চাটাকে অনু সারাদিন না খাইয়ে রাখতো।অনুর কাছে একা বাচ্চাটাকে রেখে যেতেও ভয় করছে তার।

ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হুহু করে কেঁদে উঠলো অনু।নিজের দিকে তাকিয়ে তার ঘেন্না হচ্ছে তার।বাচ্চা হওয়ার ফলে বুড়িয়ে গেছে সে!চেহারায় ডার্ক সার্কেল পড়ে গেছে,চামড়ার ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে গেছে,শরীরে মেদ জমেছে।মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না,কেমন বুড়ি বুড়ি লাগে।লজ্জায়,দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছে করছে তার!

উপল দুধ গরম করে ফিডারে করে খাইয়ে দিচ্ছে মেয়েকে।অনু ওকে অবাক করে দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে সোজা ডাইনিং টেবিলে গিয়ে খেতে বসে গেলো।খাওয়া শেষে চুপচাপ বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো সে।রাগে,দুঃখে বাক্যহারা হয়ে গেলো উপল।মেয়েকে কোলে নিয়ে নির্বাক হয়ে বসে রইলো সে।

সপ্তাহ খানেকবাদে একদিন হঠাৎ উপল অফিস থেকে ফিরতেই আনোয়ারা বেগম চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দিলেন।ছবি ভয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
আনোয়ারা বেগম রাগে গজগজ করতে করতে বললেন,
— আমার এত বছর বয়সে এই কারবার আমি দেখি নাই।আপন মা কি করে এমন ডাকাত হয়!
—কি হয়েছে মা? অনুপলা ঠিক আছে?
—সেটা তোর বউকেই জিজ্ঞেস কর!
উপল দ্রুত পায়ে ঘরে গেলো।অনুপলা ঘুমাচ্ছে।তাহলে মা এমন চিৎকার চেঁচামেচি করছে কেন?
অনু টিভি দেখছে।উপল শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
—কি হয়েছে অনু?মা এত চিৎকার চেঁচামেচি করছেন কেন?
অনু জবাব দিলো না।খাটের ওপর বসে পা দোলাচ্ছে সে।উপল টিভির সুইচ অফ করে দিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালো!
—আমি তোমার কাছে কিছু জানতে চাইছি অনু!
—আমি কি করে বলবো তোমার মা কেন চিৎকার করছেন?
—তুমি জানো না?
—না!
উপল বামহাতটা কপালে চেপে ধরে বড়করে নিশ্বাস নিলো।রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সে।
—তুমি কি আমাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না? কি অন্যায় করেছি আমি?
—অন্যায় তুমি করো নি।অন্যায় আমি করেছি।তোমার বাচ্চার মা হয়ে!
—অনু?
ঘর কাঁপিয়ে ধমক লাগালো উপল।তাতেও অনুর কিচ্ছু এসে গেলো না।রাগে চেঁচিয়ে উঠে বলল,
—কি করবে গায়ে হাত তুলবে? তোলো!দেখি কত ক্ষমতা তোমার?
উপলের চিৎকারে শুনে আনোয়ারা বেগম ভেতরে এসে ঢুকলেন।ছেলেকে টেনে বের করে নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন।
—মাথা ঠান্ডা কর বাবা!আমার বয়স হয়েছে,মাথা ঠিক রাখতে পারি না তাই চিৎকার চেঁচামেচি করি।তোরা তো আমার মত না।পড়ালেখা করে বড় চাকরীবাকরী করছিস। তোরা এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করলে মানুষ কি বলবে?
—তুমি দেখেছো মা ও কি বলেছে?
আনোয়ারা বেগম জবাব দিলেন না।আজকে দুপুরে উনি যেই ঘটনা দেখেছেন তা শুনলে তো উপল লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে দেবে।চেপে গেলেন তিনি।ছেলের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
—তুই মাথা গরম করিস না বাবা।বউমা কেন এমন করছে তাকে জিজ্ঞেস কর!
—আমি জিজ্ঞেস করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছি।একটা কথারও জবাব দেয় না।মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।আমি অসহ্য হয়ে গেছি।
আনোয়ারা বেগম অসহায়ভাবে ছেলের মুখের দিকে চেয়ে আছেন।উপল অসহায় কন্ঠে বলল,
—আজকে কি হয়েছে মা?
আনোয়ারা বেগম থতমত খেয়ে গেলেন।কি বলবেন তিনি?
—কিছু না!
উপল উনার হাত চেপে ধরে কাঁদোকাঁদো গলায় বলল,
—প্লিজ মা!আমার মেয়েটার জন্য হলেও আমাকে বলো আজকে কি হয়েছে? ইদানীং ওকে অনুর কাছে রেখে যেতে আমার ভয় লাগে!
আনোয়ারা বেগম দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।বলবেন কি বলবেন না?উপল অধৈর্য কন্ঠে বলল,
—প্লিজ মা!
—দুপুরের দিকে আমি নামাজ পড়ছিলাম। অনুপলার চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি সালাম ফিরিয়ে তোদের ঘরে যাই।গিয়ে দেখি দেখি অনুপলা কাঁদছে।
একটু বলেই ভয়ে আনোয়ারা বেগম চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।ঢোক গিললেন,বললেন,
—অনু বিরক্ত হয়ে টাটকা গরম পানি নিয়ে এসেছে ওকে খাওয়ানোর জন্য!ভয়ে আমার কলিজা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছিলো।কোনরকমে দৌঁড়ে গিয়ে ওকে আটকাই।
উপল হতবম্ভ হয়ে তাকিয়ে আছে।কি শুনছে সে এসব?মুহূর্তেই ওর কপালের রগ ফুলে উঠলো।তাতে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়েছে।চোয়াল শক্ত করে বলল,
—এতবড় ঘটনা তুমি আমার কাছ থেকে চেপে যাচ্ছিলে? কি করে মা? মেয়েটার যদি কিছু হয়ে যেত? অনেক হয়েছে অনুর এসব পাগলামি আর না।আজকে এর একটা বিহিত আমি করেই ছাড়বো।কি পেয়েছি কি ও?
আনোয়ারা বেগম ছেলের হাত চেপে ধরলেন।নরম গলায় বললেন,
—আমি দুপুরে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছি।তুই আর এখন কিছু বলিস না বাবা!শান্ত হ!
—মা?..এতকিছুর পরেও তুমি কি করে আমাকে শান্ত থাকতে বলছো?
—সবাই একসাথে রেগে গেলে সংসার চলবে কেমন করে? ধৈর্য ধর আল্লাহ ভরসা!আনুপলাকে রাতে আমার ঘরে দিয়ে যাস।তুই ঠান্ডা মাথায় আবার একবার বউমার সাথে কথা বল!
উপল হতাশ কন্ঠ বলল,
—আর কোন কথাবার্তা বলে লাভ হবে না মা।ও আলোচনার উর্ধে চলে গেছে।ওর সাথে কথা বলা মানেই ঝগড়া হওয়া!

আনোয়ারা বেগম অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ছেলেকে ঠান্ডা করলেন।দুদিন ধরে অনুর সাথে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছে উপল।অনুপলাকে দিনে ছবি আর আনোয়ারা বেগম সামলান,রাতে উপল।
দুদিন বাদে বিকেলে শুদ্ধ বাসায় ফিরলো।রাতে খাবার টেবিলে অনু এলো না।উপলও রাগে খেতে ডাকে নি ওকে।
শুদ্ধ যখন জিজ্ঞেস করলো,
—ভাবী খাবে না?
উপল থমথমে কন্ঠে জবাব দিলো,
—ওর ক্ষিদে নেই।
—ক্ষিদে না থাকলেও তো খেতে হবে। মেজর অপারেশন এর পর খাওয়া দাওয়া অনিয়ম করা তো ঠিক না।
—যার ব্যাপার সে না বুঝলে আমি কি করবো?
শুদ্ধ খাওয়া থামিয়ে দিলো।সন্দিগ্ধ কন্ঠে বলল,
—কি হয়েছে ভাইয়া?
—কিছু হয় নি!
উপল চুপচাপ খাওয়ায় মনোযোগ দিলো।শুদ্ধর খটকা লাগছে!উপল এভাবে কেন কথা বলছে?
—কোন সমস্যা ভাইয়া?
—নারে!
উপল আধখাওয়া প্লেট রেখে উঠে গেলো।শুদ্ধ প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকালো।উনি কপাল চাপড়ে বললেন,
—সব আমার কপালের দোষ বাবা!

শুদ্ধ নিজের ঘরে সবে বই নিয়ে পড়তে বসছিলো এমন সময় উপল বাইরে থেকে নক করলো,
—আসবো?
শুদ্ধ হাতের বইটা রেখে বলল,
—এসো ভাইয়া।
উপল ভেতরে ঢুকে শুকনো মুখে খাটের ওপর বসলো।
এখন বাজে সাড়ে বারোটা।কোন বিশেষ কাজ ছাড়া উপল এত রাত অব্দি জেগে থাকে না।শুদ্ধ ভাইয়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে আন্দাজ করে নিলো কিছু একটা হয়েছে।
—কফি খাবে ভাইয়া?
—কে বানাবে তুই?
—হুম!
—ঠিক আছে বানা।
শুদ্ধ কফি বানাতে কিচেনে ঢুকলো। ছবির ঘর থেকে ওর পড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে।শব্দ করে ঢুলেঢুলে পড়ে ছবি।শুদ্ধ মনে মনে হাসলো।যাক সেদিনের ডোজ তাহলে কাজে দিয়েছে!
শুদ্ধ চট করে চুলায় গরম পানি বসিয়ে মগে কফির গুঁড়ো ঢেলে নিলো।পানি গরম হয়ে এলে মগে ঢেলে নিলো ব্যস!শেষ কফি বানানো।উপলের মগে অবশ্য হালকা দুধ চিনি দিলো।কফি নিয়ে বেরোতে যাবে এমন সময় দেখলো কিচেনের দরজায় ছবি দাঁড়িয়ে আছে।শুদ্ধর হাতে দুমগ কফি!
—আপনি এখনো ঘুমান নি?
—না।তুমি উঠে এসেছো কেন?
—কিচেন থেকে আওয়াজ শুনলাম তাই।
শুদ্ধর হাতে দুইটা মগ দেখে বলল,
—দুইমগ কেন?..আমার জন্য?
ছবি উৎসাহী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শুদ্ধর দিকে।শুদ্ধ মুচকি হাসলো।বলল,
—হ্যাঁ!ভাবলাম তুমি পড়ছো তাই!
—কিন্তু আমি তো চিনিছাড়া কফি খাই না।
—দুধ চিনি দেওয়া আছে।
ছবির খুশি হয়ে শুদ্ধর হাত থেকে কফির মগ নিয়ে বলল,
—থ্যাংক ইউ!
—পড়া শেষ?
—না!আরো অনেক পড়া বাকি।সমুদ্রের মত সিলেবাস!আমি ডুবে যাচ্ছি পড়তে পড়তে!এত পড়া আমি জীবনেও পড়ি নি
শুদ্ধ হাসলো।ছবি মুখ কালো করে বলল,
—হাসছেন যে?আপনার কি মনে হয় আমি মিথ্যে কথা বলছি?
—নাতো!
—তাহলে?
—তাহলে আর কি আমি বুঝতে পেরেছি আপনি প্রচুউউর পড়াশোনা করেন।তো এখন আমাকে বলুন চুলে তেল দেন নি কেন? চুল তো পাখির বাসা হয়ে আছে।
ছবি দুইসেকেন্ডের জন্য কোন কথা বলতে পারলো না।ফ্যালফ্যাল করে শুদ্ধর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।তারপর বিড়বিড় করে বলল,
—আপু অসুস্থ তাই!
—চুলে তেল দিতে আবার আপুকে লাগে? আপু এখন অসুস্থ!নিজের কাজ নিজে করবেন!ঠিক আছে?
ছবি বাধ্য ছাত্রীর মত ঘাড় বাঁকালো।
—এবার যাও!
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here