অল্প থেকে গল্প? অরিত্রিকা আহানা পর্ব:১৭

0
2288

অল্প থেকে গল্প?
অরিত্রিকা আহানা
পর্ব:১৭

ছবির পরনে একটা হাফ হাতা টপস আর একটা ফ্লাজু।টফসের হাতাটা বেশ ঢিলা অনেকটা ম্যাগি হাতার মত।শুদ্ধ ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে নিল।তারপর কোন কথা না ছাড়াই ভেতরে ঢুকে গেলো।ছবি লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে আছে।ওর ভীষণ আনইজি লাগছে শুদ্ধকে দেখে।শুদ্ধ বাসায় থাকলে ও কখনোই এসব পরে না।আজকে শুদ্ধর আরো দেরীতে আসার কথা ছিলো।তাড়াতাড়িই চলে এসেছে।ছবি রুমে ঢুকে দ্রুত চেইঞ্জ করে নিলো।হালকা বেগুনী রংয়ের সুতি একটা থ্রিপিস পরে বেরিয়ে এলো সে।ওড়নাটা কোমরে বেধে কিচেনে ঢুকলো কফি করার জন্য।

কফি হাতে নিয়ে শুদ্ধর ঘরে ঢুকে দেখলো শুদ্ধ ফ্যানের নিচে বসে টাওয়েল দিয়ে মুখ মুছছে।
ছবি কফিটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
—সাথে বিস্কিট দেবো?
—না।
শুদ্ধ কফিতে চুমুক দিলো। চুমুক শেষ করে জিজ্ঞেস করলো,
—ভাবীরা ফিরবে কবে?
—আমাকে তো কিছু বলে যায় নি।
—আশ্চর্য!
অনুরা চিটাগাং গেছে শুদ্ধর বাবার বন্ধু ইমরান আহমেদ মারা গেছেন তাকে দেখতে।শুদ্ধ সেমিনার এটেন্ড করতে দুদিনের জন্য নেপালে গিয়েছিলো।আজকে সন্ধার ফ্লাইটেই ফিরেছে।ছবির ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গতকাল বাসায় এসেছিলো।হুট করে ইমরান সাহেবের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে অনুরা ওকে রেখেই চিটাগাং রওনা দেয়।
শুদ্ধ জিজ্ঞেস করল বললো,
—কখন রওনা দিয়েছে?
—ভোরেই।দশটায় মাটি হবে।
—তুমি যাও নি?
—না মানে আমি ভেবেছিলাম আবার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে তাই।আর আপনি তো আসছেন ই।
—বোকার মত কথা বলো না তো ছবি।ধরো, কোন কারনে যদি আমি না আসতে পারতাম অথবা আমার ফ্লাইট মিস হয়ে যেত?
–তাহলে শিলাকে ফোন করে এখানে চলে আসতে বলতাম।
ছবির জবাবটা যদিও শুদ্ধর পছন্দ হয় নি তবুও আর কিছু বললো না।
কফিতে চুমুক দিতে দিতেই বামহাতে ল্যাপটপ অন করলো।চশমা চোখে দিয়ে টানা দুইঘন্টা জন্য সেটা নিয়ে বসে পড়লো।ছবি খালি কফির মগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো।শুদ্ধ হঠাৎ ডাক দিলো,
—ছবি শোনো?
—জ্বী কিছু বলবেন?
—আমি রাতে কিছু খাবো না।শুধু একমগ কফি দিয়ে যেও কেমন?
—জ্বী!
শুদ্ধর ঘর থেকে বেরিয়ে ধারা রান্নাঘরে ঢুকলো রাতের খাবারে ব্যবস্থা করার জন্য।

বুয়া চলে গেছে।বাসায় শুধু ওরা দুজন।রান্না শেষ হতেই ছবি শুদ্ধকে খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলো।একা একা খেতে ইচ্ছে করছে না। রুমে ঢুকে দেখলো শুদ্ধ ঘুমিয়ে পড়েছে।মাথার পাশে চশমাটা ভাঁজ করে রাখা।শুদ্ধর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ টায়ার্ড।ছবি চুপচাপ চশমাটা টেবিলের ওপর রেখে লাইট অফ করে নিঃশব্দে বেরিয়ে এলো।

সকাল বেলা শুদ্ধর ঘুম ভাংলো দেরীতে।ফ্রেশ হয়ে বেরোতে দেখলো ঘরে দরজায় ছবি কফি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখে চশমা নেই।ফোলা ফোলা চোখদুটোটে শুদ্ধকে ভীষণ কিউট লাগছে।ছবি ড্যাবড্যাব করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
শুদ্ধ টেবিলের ওপর থেকে চশমার ভাঁজ খুলে চোখে দিলো। মিষ্টি হেসে বলল,
—গুড মর্নিং!
—গুড মর্নিং!নাশতা কি টেবিলে দেবো নাকি এখানে নিয়ে আসবো?
—টেবিলে দাও আমি আসছি।
পরোটা আর ডিমভাজি করেছে ছবি।সাথে শুদ্ধর ব্ল্যাক কফি!শুদ্ধ চেয়ার টেনে খেতে বসে গেলো।খেতে খেতে ছবি বললো,
—আপনি কি আজকে হস্পিটালে যাবেন?
—নাহ।
—ছুটি নিয়েছেন?
—নাহ।
—তাহলে?
—সেমিনার তিন দিনের ছিলো।তার আগেই আমার কাজ শেষ।তাই চলে এসে,
—আমি একটু বেরোবো।
—এখনই?
—হ্যাঁ।
—ফিরবেন কখন?
—দুপুরের আগে ফিরতে পারবো বলে মনে হয় না।
—লাঞ্চ কোথায় করবেন?
—বাসায় এসেই করবো।
—ঠিক আছে।
—তোমাকে যেটা বলতে চাইছি,সেটা হলো তোমার রান্নাবান্না করা লাগবে না।আমি বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসবো।একা একা বাসায় থাকবে চুলার কাছে যাওয়ার দরকার নেই।দরজা জানালা সব ভালো মত বন্ধ করে রাখবে।ম্যাজিক আই এ না দেখে দরজা খুলবে না বুঝেছো?
—আমি কি বাচ্চা নাকি?
—আমি জানি আপনি বাচ্চা না!
—তো?
—তো কিছু না।আমি যা বলেছি তুমি শুধু তা মনে রাখবে।কি মনে থাকবে?
—থাকবে।
—কি থাকবে?
—আপনি যা বলেছেন তা মনে থাকবে।
—কি বলেছি আমি?
—দরজা জানালা ভালো মত আটকে রাখতে।আর ম্যাজিক আই এ না দেখে দরজা খুলতে না।
—গুড!আর কি বলেছি?.
ছবি বোকার মত তাকিয়ে আছে।শুদ্ধ আর কি বলেছে মনে করতে পারছে না সে।জোর দিয়ে মনে করার চেষ্টা করল আর কি বলেছে শুদ্ধ? কিন্তু কিছুতেই মনে পড়লো না।
শুদ্ধ চামচ দিয়ে ওর আঙ্গুলের ওপর হালকা টোকা দিয়ে বললো,
—আমি না আসা পর্যন্ত একা একা কিচেনে যাবে না।মনে থাকবে?
—থাকবে।
—ঠিক আছে।

শুদ্ধ ড্রেসিংটেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বডি স্প্রে করছে।ছবি দরজার কাছে ঘেঁষে ওড়নার সাথে আঙ্গুল পেঁচাচ্ছে।শুদ্ধ আয়নার ভেতর দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,
—কিছু বলবে?
—না।
—তাহলে কাঁচুমাচু করছো কেন?
শুদ্ধর কথা শুনে ছবি লজ্জায় দরজার কাছ থেকে সরে এলো।”তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।” হাজার চেষ্টা করেও কথাটা বলতে পারে নি সে।
শুদ্ধ আলমারি থেকে কিসব কাগজপত্র বের করে সেগুলো একটা ফাইলে ভরে নিলো।তারপর আলমারিটা বন্ধ করে চাবিটা আলমারির ওপরে রেখে বেরিয়ে গেলো।
বেরোনোর সময় ছবিকে ডেকে আবার সতর্ক করে দিলো একা একা চুলার কাছে যাওয়ার দরকার নেই।সে ছাড়া অন্য যেই হোক ছবি যেন দরজা না খুলে। ছবি বাধ্য মেয়ের মত মাথা নাড়িয়ে শুদ্ধকে আশ্বস্ত করলো যাওয়ার সময় বলল,
—আমার বেশি দেরী হবে না।ভয় করবে?
—না।
—ভয় করলে আমাকে ফোন করো, আমি চলে আসবো।
—আপনি যান আমার ভয় করবে না।
—সত্যি তো?
—হুম!
—ঠিক আছে।আসি?
—খোদা হাফেজ।
শুদ্ধ চলে যেতেই ছবি দরজা আটকে টিভি চালু করে দিলো।টিভি দেখতে ভালো লাগছে না।টিভি বন্ধ করে রুমে এসে টুকটাক কাজ গুলো সেরে নিলো সে।এর মধ্যেই অনু ফোন দিয়েছে।
—হ্যালো ছবি? উঠেছিস?
—হ্যাঁ আপু অনেক আগেই উঠেছি।
— উঠে গেছিস? ভালো হয়েছে।আমি ভাবলাম একা বাসায় দুজনেই হয়ত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস।
—উনি তো নেই।
—নেই মানে?
—উনার কি কাজ আছে তাই বেরিয়েছেন।
—আমাকে তো বললো আজকে হস্পিটালে যাবে না।
—হস্পিটালে যায় নি, অন্য কি কাজ আছে বললো।
—তুই কি এখন বাসায় একা?বুয়া আসে নি?
—না।
—এই মহিলাকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না।কাজের সময় একে পাওয়া যায় না।ভালো কথা তোর রান্নাঘরে যাওয়ার দরকার নেই।আমি শুদ্ধকে বলে দিচ্ছি ও আসার সময় খাবার নিয়ে আসবে।
—তার আর দরকার নেই।উনি নিজেই আমাকে নিষেধ করে গেছেন।
—তাহলে তো ভালোই হলো।তুই আবার কারবারি করে রান্নাঘরে ঢুকে পড়িস না।
—না যাবো না।তোমরা ফিরবে কবে?
—আর বলিস না।এখানে পরিবহণ ধর্মঘট চলছে।তোর ভাইয়া বললো আরো দু তিন দিন নাকি চলবে।
—তারমানে তো তোমরা আজকেও ফিরতে পারবে না।
—তো আর বলছি কি? আজকে নয় আরো দু তিনদিনেও ফিরতে পারবো কি না কে জানে।এদিকে অনুপলার জ্বর,সর্দি এক অবস্থা।
—সর্বনাশ।ডাক্তার দেখিয়েছো?
—হ্যাঁ।তোর ভাইয়া সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে এনেছে।
—এখন কি করছে ও?
—ঘুমাচ্ছে।
—আন্টি কেমন আছেন?
—উনি বেশ ভালোই আছে।কথাবার্তা বলার মানুষ পেয়েছেন।বাসায় তো সারাদিন একাই থাকেন।এখানে মানুষ পেয়ে সারাদিন গল্পে গুজবে সময় কাটে উনার।
—ঠিক আছে রাখছি।
—কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে শুদ্ধকে ফোন করে বলবি।
—আচ্ছা ঠিক আছে।
—রাখছি।খোদা হাফেজ।

একা একা ভীষণ বোর লাগছে ছবির।কিছুক্ষণ বারান্দায় গিয়ে বসলো।বারান্দা থেকে উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে গোসল সেরে নিলো।গোসল শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কিছুক্ষন দেখলো। আলমারি থেকে একটা লাল খয়েরী রংয়ের একটা শাড়ি বের করলো।শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন নিজেকে দেখলো।সাতপাঁচ না ভেবে চট করে শাড়িটা পরে নিলো।ভেজা চুলগুলো আঁচড়ে কপালে গাঢ় লাল রংয়ের একটা টিপ দিলো।গাঢ় করে চোখে কাজল দিলো।
আয়নার নিজেকে দেখে নিজেই হাসছে।জীবনে এই নিয়ে দুইবার উঁহু! তিনবার শাড়ি পরেছে সে। একবার অনুর হলুদে,আজকে ছাড়া সবশেষে যেবার ওকে দেখতে এসেছিলো সেবার পরেছে। বড় হওয়ার পর থেকে আর কখনো শাড়ি পরে নি।শাড়ি পরলে নাকি মেয়েদের অদ্ভুত সুন্দর লাগে তাই সে ঘুরেফিরে আয়নার নিজেকে বারবার দেখছে।

কলিংবেল আওয়াজ শুনেই ওর মনে পড়লো শুদ্ধ আসার সময় হয়ে গেছে।শুদ্ধ গেছে অনেক্ষন হয়ে গেছে।সময় কীভাবে কেটে গেছে টেরই পায় নি সে।একলাফে শাড়িটা খুলে ব্লাউজের ওপর দিয়েই একটা জামা পরে নিলো।কপলের টিপ খুলে ফেললো,কাজল মোছা হয় নি,কিন্তু এখন এসব ভাবার সময় নেই।শুদ্ধ অনেক্ষনযাবত বেল বাজিয়ে যাচ্ছে।দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
দরজার বাইরে শুদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে।গতকাল রাতের মতই ছবিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলো ওর পরনে একটা জামা তার নিচে পেটিকোট।প্রেগেন্যান্সির সময় অনু প্রায়ই পেটিকোটের সাথে জামা পরতো।
ছবি দরজা থেকে সরে শুদ্ধকে ভেতরে ঢুকার জন্য জায়গা করে দিতেই শুদ্ধ ভেতরে ঢুকলো।তারপর গলার টাই টা ঢিলে করতে করতে বললো,
—এটা কোন দেশি পোশাক পরেছো তুমি? কামিজের সাথে পেটিকোট!
—মানে?
—মানে বাইরের দেশে কাউকে স্বাগতম জানানোর জন্য নতুন পোষাক পরে অভিবাদন জানানো হয়।আমি ভাবলাম তুমি আমাকে ওয়েলকাম করার জন্য এই উদ্ভট পোষাক পরে দাঁড়িয়ে আছো।
নিজের দিকে তাকিয়ে ছবি গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।শুদ্ধর সামনে এমন অস্বস্তিতে পড়তে হবে জানলে এই জীবনে শাড়ি পরার নামও মুখে নিতো না।ইশশ!কি লজ্জা!
শুদ্ধ ওকে টেবিলের ওপর রাখা খাবারের প্যাকেট গুলো দেখিয়ে বললো,
—তুমি টেবিলে খাবার রেডি করো।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
ছবি প্যাকেট গুলো হাতে নিয়ে দেখলো অনেকগুলো প্যাকেট।প্যাকেট গুলো নিয়ে দ্রুত রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো।
টেবিলে খাবার সাজানো শেষ।খেতে বসে শুদ্ধ একবার খাবারের দিকে তাকাচ্ছে একবার ছবির দিকে।
—আসলে…
ছবি ইতস্তত করছে।শুদ্ধ ওকে অনুসরণ করে বলল,
—আসলে?
—মানে…
—মানে?
ছবি অসহায়ভাবে বসে রইলো।শুদ্ধ দুষ্টি হেসে বলল,
—বাকি খাবার কই ছবি?একা একা খেয়ে ফেলেছো?
ছবি ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে গেলো।খাবারের প্যাকেট বেশি দেখে ও রাতের জন্য রেখে দিয়েছিলো।
শুদ্ধ আবারও হাসলো। বললো,
–সরি!আমার এভাবে বলা ঠিক হয় নি।খিদে পেলে খাবে এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।
—না মানে এত খাবার কে খাবে।বাসায় মাত্র আমরা দুটো মানুষ।তাই রাতের জন্য কিছু রেখে দিয়েছি।
শুদ্ধ ছবির দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ হাসলো।তারপর ঠান্ডা গলায় বললো,
—খাবার গুলো আমি শুধু দুপুরের জন্য এনেছি।রাতেরটা অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে।ওরা এসে দিয়ে যাবে।জলদি করে বাকি খাবার নিয়ে এসো।
—এখন?
—তো আর কখন?
—এত খাবার কে খাবে?
—কেন আমরা?
—শেষ করতে পারবেন?
শুদ্ধ মুখটা সিরিয়াস সিরিয়াস ভাব করে বলল,
—না পারলে তুমি তো আছই।তোমার এমনিতেও ভিটামিনের অভাব।পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া উচিৎ।যদিও এখন লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু ঠিক জানি না।তারপরও মেডিকেল সাইন্স যেহেতু বলে পঁচিশ বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই চেষ্টা করতে দোষ কি?
ছবি অগ্নিচোখে শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে আছে।
—কি হলো বসে আছো কেন?
মিটিমিটি হাসছে শুদ্ধ।ছবি ভেংচি কেটে বলল,
—আমার কি? কথায় আছে ,” কম্পানিকা মাল, দরিয়া মে ঢাল।” যে এনেছে সে বুঝবে।নষ্ট হলে তার হবে।
—তার নষ্ট হলে কিন্তু তোমারও হবে!
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here