অতলস্পর্শ,পার্ট_১১,১২

0
3488

অতলস্পর্শ,পার্ট_১১,১২
জান্নাতুল বিথী
পার্ট_১১

পড়ন্ত বিকেলে সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ছে।চারদিকে পাখিদের নীড়ে ফেরার তোড় শুরু হয়ে গেছে।পড়ন্ত বিকেলে পাখিরা যখন পশ্চিম আকাশে উড়ে নীড়ে ফেরার উদ্দেশ্য তখন প্রকৃতির দৃশ্য হয়ে উঠে মনোমুগ্ধকর। আর সেই কখন থেকে ছাদে দাড়িয়ে আমি প্রকৃতির এই মনোরম দৃশ্যকেই উপভোগ করছি।কতো নিখুত ভাবে তৈরি এই দৃশ্য নেই কোনো কৃত্রিমতা। মানুষের মতো এই দৃশ্য কখনো চলনা করতে পারে না।মানুষের মতো অভিনয় করতে পারে না।মানুষ তো তার সারাটা জীবন অভিনয় করতে করতেই কাটিয়ে দেয়।ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার আকাশের দিকে তাকাই আমি।

আজ ভার্সিটিতে যাই নাই আমি। নাঈমা ফোন করে কারন জানতে চাইলেই বলছি আমি অসুস্থ তাই আসতে পারবো না।বাসায় ও একটা বলে কাটিয়ে দিয়েছি।সেই ঘটনার পর রাত গড়িয়ে সকাল এবং এখন বিকেল বেলা।তারপরও আমি কুশান ভাইয়ার বলা একটা কথাও ভুলতে পারছি না।আমার মনে হচ্ছে আমি ভাইয়াকে সত্যিই ভালোবাসি।কিন্তু আমি কি করবো এখন।মানুষটা তো বলেই দিলো আমাকে নাকি তার বিরক্ত লাগে।যার কাছে আমি একটা বিরক্তি কর প্রানী সেই মানুটা আমাকে কি করে ভালোবাসবে।মনে পড়ে যায় আবার ভাইয়ার কাল রাতে বলা শেষ কথাটা..

“আমি তোকে ইগনোর করতে যাবো কেনো।আমি তোকে ইগনোর করার কে হুমম??নিজেকে এতো ইম্পরট্যান্ট ভাবার কোনো প্রশ্নই উঠে না।এখানে কি তোর.??যা না ভার্সিটিতে যা।ওইখানে তো তোর জন্য কতো জন অপেক্ষা করছে তাহলে আমার কাছে কি তোর।বিরক্ত লাগছে আমার জিহু প্লিজ রুম থেকে বের হয়ে যা।একা থাকতে দে আমাকে একটু প্লিজ।”

কথাটা মনে পড়তেই আবার চোখ দিয়ে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে।হঠাৎ কোনো কিছুর শব্দে আমি ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসি।আমার ঠিক পেছন দিক থেকেই শব্দটা আসছে।তাই আমি পেছনে ঘুরতেই কুশান ভাইয়ার মুখোমুখি হয়ে যাই।ভাইয়া আমার বরাবর দাড়িয়ে আছে।আর শব্দটা ছিলো ভাইয়া এসেই ছাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।সকাল থেকে আমার বেহায়া চোখ দুটো শুধু তাকেই খুজেছিলো।এখন মনে একটু শান্তি হলো তাকে দেখে।তার দিকে তাকিয়ে আমার মুখে ক্ষীন হাসির রেখা ফুটে উঠার আগেই তা মিলিয়ে যায়।কাল রাতে বলা তার কথা গুলো মনে পড়তেই।আমি চোখ বন্ধ করে আবার উল্টা দিকে ঘুরে দাড়িয়ে আকাশ দেখার অভিনয় করতে থাকি।ভাইয়া এতক্ষন আমার দিকেই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো।আমি বুঝি না যে মানুষটার কাছে আমি বিরক্তিকর প্রানী সে এখন আমার কাছে কেনো আসছে।এখন যদি কিছু জিজ্ঞেস করি তাহলে বলবে আমার চাচ্চুর বাসা আমি যখন ইচ্ছে তখন আসবো তাতে তোর কি.??

হঠাৎ আমার ঘাড়ে কারো গরম নিশ্বাস পড়তেই আমি কেপে উঠি।পেছনে ঘুরে দাড়ানোর ক্ষমতা আমার নেই।কুশান ভাইয়া আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে।মুহূর্তেই আমার শরীরে একটা শীতল হাওয়া বয়ে যায়।ভাইয়া আমার চুলে মুখ গুজে আছে।তার গরম নিশ্বাস আমার ঘাড়ে আছড়ে পড়ছে।আমার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম।আমি চোখ বন্ধ করে ভাইয়াকে অনুভব করতে থাকি।হঠাৎ আমার কাল রাতের কথা মনে হতেই আমার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।আমি ভাইয়াকে ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে দেই।

হঠাৎ এমন আক্রমনের জন্য কুশান মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।তাই সে ছিটকে কিছুটা দুরে চলে যায়।আমার দিকে তাকাতেই আমি বলি…

“লজ্জা করে না আপনার এভাবে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে।অবশ্যই লজ্জা করার কথাও না যে ছেলে ছোট বেলা থেকে আমেরিকায় বড় হয়েছে সে তো এমন করবেই যখন তখন এভাবে জড়িয়ে ধরতেই পারে স্বাভাবিক।কিন্তু মিস্টার কুশান চৌধুরি আপনি ভুলে যাবেন না এটা বাংলাদেশ।আমেরিকা না তাই আপনার এসব মেয়েদের সাথে ঘেসাঘেসি করাটা এখানে মানায় না।”

কিছুটা জোরেই আমি কথাটা বলি।আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া কিছুটা হকচকিয়ে যায়।ও যে এমন কথা বলবে সেটা কুশান জীবনেও ভাবে নাই।তাই অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলে..

“কি বলস এসব তুই জিহু.??মাথা ঠিক আছে তোর.??”

কুশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি প্রচন্ড রেগে যাই।হঠাখ ভাইয়ার কলার চেপে ধরে বলি..

“একদম আমাকে এই নামে ডাকবেন না।আমার নাম জিহা আর ওই নামেই আমাকে ডাকবেন।আমাকে জিহু তো তারাই বলবে যাদের কাছে আমি কখনোই বিরক্তিকর প্রানী হয়ে থাকবো না।যারা আমাকে মনে প্রানে ভালোবাসে একমাত্র তাদেরই এই নামে ডাকার অধিকার আছে।আর আপনার সেই অধিকার নেই মিস্টার কুশান চৌধুরি। কজ আপনি সেই অধিকার টুকু হারিয়েছেন।কারো বিরক্তির কারন হয়ে থাকতে চাই না আমি।”

শেষের কথাটা অনেক জোরে চিৎার করে বলি।আর কান্না করে দেই।আমি তাড়াতাড়ি ভাইয়াকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে যাই।
,

কুশান এখনো হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে।সব কিছু যেনো তার মাথার উপর দিয়ে গেলো।কিছু একটা হবে এটা জানতে সে।কিন্তু জিহা যে এমন কিছু করবে বা বলবে তা স্বপ্নেও ভাবে নাই সে।কালকে রাতে যে সে কতো বড় ভুল করলো তাই ভাবছে।কিন্তু তার নীল পরীর মুখ থেকে যে শেষ পর্যন্ত এই কথাটা শুনতে হবে তা কখনোই ভাবে নাই।কুশান এখন বুঝতে পেরেছে যে সে তার অজান্তেই তার নীল পরীকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।ভাবতেই তার চোখ ছলছল করে উঠে।তার এখন মাথাটাকে ফাটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু সে তো তার নীলপরীর সাথে এমন ব্যবহারের জন্য নিজেকে শাস্তি দিয়েছেই।তারপরও কি করবে সে এখন তাই ভাবছে..

আমি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে ফ্লোরে বসে হাটুতে মুখ গুজে কান্না করতে থাকি।আমি কি তার সাথে এভাবে কথা বলতে ছেয়েছি.??তাহলে কেনো করলাম এমন।কিন্তু আমারও বা কিই বা করার ছিলো।আমার যে প্রচুর রাগ উঠেছিলো।এসব ভেবেই কান্না করতে থাকি আমি।

রাত ঠিক ১০ টার দিকে আমার রুমের দরজায় কেউ কড়া নাড়ে।আমি উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে পানি ছিটিয়ে দরজা খুলে দেই।দরজার পাশেই হেলান দিয়ে জিদান ভাইয়া দাড়িয়ে আছে।আমি তার দিকে তাকিয়ে মুখে কৃত্রিম হাসি নিয়ে বলি..

“কি হলো ভাইয়া কিছু লাগবে তোমার.??”

ভাইয়া আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে..

“নাহ তেমন কিছুই না।এখন বের হতে পারবি আমার সাথে।??”

ভাইয়ার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই।এতো রাতে ভাইয়া বের হতে বলছে কেনো তাই ভেবে পাচ্ছি না।আমি ভাইয়ার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলি..

“কেনো ভাইয়া.??কোথায় যাবে এতো রাতরে.??”

“ট্রিট দেবো তোকে ভুলে গেছিস নাকি তুই সব।আসলে ব্যস্ততার জন্য সময় পাই না তো তাই এখন বের হতে চাইছি।বাট যদি তোর কোনো সমস্যা থাকে তাহলে যেতে হবে না।”

“আরে না না সমস্যা হবে কেনো।আমি আমার ট্রিট পাবো এটাই তো অনেক।তুমি ১০ মিনিট অপেক্ষা করো আমি তৈরি হয়ে আসছি।”

আমার কথা শুনে ভাইয়া আচ্ছা বলে চলে যায়।আসলে ভাইয়া নাকি মিতুকে পছন্দ করে।আর ওকে বিয়ে করতে চায়।এটার জন্য আমি একটু মিতুকে যেনো রাজি করাই।আমিও কোনো কিছু না ভেবেি মিতুকে রাজি করানোর পেছনে লেগে যাি।কারন মিতুকে আমার অনেক পছন্দ।আমার বন্ধ বলে কথা।ওকে রাজি করানোর পর ওর ফ্যামিলিকে জানানো হয়।তারাও এক কথায় রাজি হয়ে যায়।সেদিন ভাইয়া এতোই খুশি হয়েছিলো যে আমাকে বলছে ট্রিট দেবে।আর তাই এখন নিজের কথা রাখতে আসছে।

ঠিক ১০ মিনিট পর আমি রেডি হয়ে নিচে নামতেই ভাইয়া আমাকে মেসেজ করে বলে সে বাহিরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে আমি যেনো বাহিরে চলে যাই।তার মেসেজ দেখে আমি মাকে বলে বের হয়ে বাহিরে আসতেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।…

চলবে

অতলস্পর্শ
পার্ট_১২
জান্নাতুল বিথী

আমি বাহিরে আসতেই দেখি কুশান জিদান ভাইয়া আর মিতু গাড়ির সাথে হালান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আমাদের তো কথা ছিলো আমি আর জিদান ভাইয়া যাবো তাহলে কুশান আর মিতু আসলো কোথা থেকে।আমি এসব ভাবতে ভাবতেই ভ্রু কুচকে তাদের দিকে এগিয়ে যাই।আমাকে আসতে দেখে ভাইয়া বলে..

“অবশেষে চলে আসলো জিহু।তাহলে যাওয়া যাক.??”

“হুমম ভাইয়া বাট যাওয়ার কথাতো ছিলো শুধু আমি আর তুমি যাবো তাহলে এখানে অন্যকেউ না মানে বলতে চাইছি..??”

‘”ওহহহ আচ্ছাহ এতো পর করে দিলি তুই আমাকে যে এখন আমি অন্যকেউ হয়ে গেলাম।ঠিক আছে আমি তোর সাথে যাবো না। আমার হবু বরের সাথে যাবো বাইকে করে।তুই বরং কুশান ভাইয়ার সাথে চলে আয়।”

আমার কথা শেষ করতে না দিয়েই মিতু বলে উঠে।ওর কথা শুনে আমি আৎকে উঠি।..

“ন-না আমি ক-কারো সাথে যেতে পারবো না।”

“জিহু প্লিজজ আমরা একটু আলদা সময় কাটাতে চাই। সো বুঝতেই তো পারস তুই।প্লিজজজ তুই কুশান ভাইয়ার সাথে চলে আয়।আর না আসলে কিন্তু খবর আছে।বাইইইই।”

বলেই জিদান ভাইয়া মিতুর হাত ধরে চলে যায়।যাওয়ার সময় মিতু আমাকে চোখ মারে।এতক্ষন যা হয়েছিলো সব যেনো মাথার উপর দিয়ে গেলো।আমি যেনো একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম এতক্ষন।হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমার পাশে দাড়িয়ে আছে কথাটা ভাবতেই আমি ভাইয়ার দিকে তাকাই।মনে মনে ভাবতে থাকি কিছুক্ষণ আগের ঘটনার জন্য যদি কুশান ভাইয়া আমাকে ধরে থাপ্পর দেয় তাহলে আমি কি করবো।আমার ইজ্জতের ফালুদা হবে ভাবতেই আনমনেই গালে হাত চলে যায়।ভাইয়া আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।আমি তার দিকে তাকাতেই সে আমাকে চোখ দিয়ে ইশারা করে গাড়িতে উঠার জন্য।আমি নিচের দিকে তাকিয়ে সুন্দর করে গিয়ে ফ্রন্ট সিটে বসে পড়ি।ভাইয়াও গিয়ে বসে গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে একবার আমার দিকে তাকায়।আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য অনুভব করতে থাকি।..

“ম্যাম আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি তাই যদি আপনি আমাকে অনুমতি দেন তো আমি আপনাকে জিহু বরে কি ডাকতে পারি.??”

ভাইয়ার এমন কথা শুনে আমি অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাই।ভাইয়ার মনোযোগ সামনের দিকে।আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি হঠাৎ সে আবার বলে উঠে..

“জিহু সেদিন তোর সাথে এমন বিহেব করার পর থেকে আমার নিজের কাছেই অনেক খারাপ লেগেছিলো।আমি তো তোর সাথে এমন বিহেব করতে চাই নাই।আসলে কয়েকদিন যাবত আমার অফিসে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকায় সময় মতো কিছুই করতে পারি নাই।সেদিন অফিসে কাজের চাপ একটু কম থাকায় তাড়াতাড়ি বাগি চলে এসেছিলাম আমার প্রচুর মাথা ব্যাথা করেছিলো তাই।আর ছোট বেলা থেকেই আমি মাথা ব্যাথা সহ্য করতে পারি না।নিজেকে পাগল পাগল মনে হয় তখন।তার উপর আবার অফিস থেকে ফেরার পথে এমন কিছু দেখেছিলাম যা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি।আর তা দেখার পরই আমার মাথা আরও বেশি গরম হয়ে যায়।প্রচুর রাগ করে বাড়ি ফিরেছিলাম কন্ট্রোলে ছিলো না। আর সেই মুহূর্তেই তোর কথা শুনে আরো মেজাজ খারাপ হয়েছিলো তাই উল্টা পাল্টা বলছি।বিশ্বাস কর জিহু আমি ইচ্ছে করে কিছু করি না।তখন আমি হুশে ছিলাম না।প্লিজ ক্ষমা করে দে আমাকে।আমি আমার ভুলের জন্য নিজেকে শাস্তিও দিয়েছিলাম।”

ভাইয়ার করুন কন্ঠ শুনে আমি অবাক হয়ে যাই।আমি ভাইয়ার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি।এসবের পেছনে এমন কিছু যে লুকিয়ে আছে তা আমার জানাই ছিলো না।এখন নিজের মাথা ফাটাতে ইচ্ছে করছে যে কেনো ভাইয়াকে তখন এতো গুলো কথা বলেছিলাম।হঠাৎ ভাইয়ার শেষ কথাটা মাথায় আসতেই তার দিকে তাকিয়ে বলি..

“নিজেকে শাস্তি দিয়েছেন মানে.?? কি করছেন আপনি.??”

কথাটা শুনেই ভাইয়া মুচকি হাসে।তারপর তার বাম হাত আমার দিকে এগিয়ে দেয়।ভাইয়ার বাম হাত দেখতেই আমার চোখ ছলছল করে উঠে।আমি কেদে দেই।কারন ভাইয়ার ফর্সা হাত একদম কালো হয়ে আছে।হাত কেটে হাতের অবস্থা বেহাল করে রেখেছে।..

“আপনি কি পাগল.??কি করছেন এটা.??আমি আপনার কে যে আমার সাথে খারাপ বিহেব করার কারনে আপনি নিজেকে এভাবে কষ্ট দিলেন।??”

আমার কথা শুনে ভাইয়া মুচকি হেসে একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলে..

“যখন থেকে আমি বুঝতে শিখেছি ঠিত তখন থেকেই আমার এই মনে তোমার বসবাস।তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে।তোমার হাসিতে মুগ্ধ হয়ে যাই আমি।চোখ বন্ধ করলেই শুধু তোমাকেই দেখতে পাই।আর এখন আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি এই তুমি ছাড়া আমি পুরোই অচল।”

আমি মুগ্ধ নয়নে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।নিমিষেই আমার সব রাগ অভিমান ধুলোয় মিশে যায়। যখন ভাইয়ার কথা গুলোর মানে বুঝলাম তখন লজ্জায় নুইয়ে পড়ি।ভাবতেই অনেক খুশি লাগে আমার।হঠাৎ আমি ভাইয়ার বাম হাতটা উচু করে কাটা স্থানে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে তার বুকে মাথা রেখে বলি..

“আমিও মনে হয় একই রোগে আক্রান্ত।”

বলেই ভাইয়ার বুকে মাথা রেখে এই সময়টাকে অনুভক করতে থাকি।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here