একটু ভালোবাসা,পর্ব_৪

0
1647

একটু ভালোবাসা,পর্ব_৪
মুন্নি আক্তার প্রিয়া

রিশাদ কিছু বলার আগেই ফটাফট ছবি তুলে নিয়েছে অনিক। রিশাদের শার্ট থেকে চুল ছাড়িয়ে নিয়ে প্রিয়ু অনিককে বলে,
“মাগনা ছবি কি সবাইরে তুলে দেন ভাইজান?”
অনিক মুখটা ছোট করে বলে,
“ভাই বলবা না।”
“ওকে কাকু!”
অনিক বিরস মুখে বলে,
“আচ্ছা থাক! ভাই ডাকটাই ঠিক আছে।”

প্রিয়ু মিটিমিটি হাসে। বলে,
“আচ্ছা আমি তাহলে যাই। পরে একদিন কথা হবে।”
“আরে, আরে! এত তাড়া কীসের? চলো কোথাও বসে কথা বলি।” বলে অনিক।
“না, আমার একটু কাজ আছে।”
“কিছু কিনবে?”
“হ্যাঁ। চুড়ি কিনব।”
“চলো আমরাও যাই।”
অনিকের আগ বাড়িয়ে এসব ঢং করায় রিশাদ খুব বিরক্ত হয়। কী দরকার এতসব ন্যাকামো করার? কিন্তু এখানে কিছু বলাও যাবে না। চুড়ির দোকানে গিয়ে চুড়ি দেখছে প্রিয়ু। পাশেই রিশাদ আর অনিক দাঁড়িয়ে আছে। চুড়ি কেনা শেষ হলে তিনজনে একটা ক্যাফে বসে। প্রিয়ু চুড়িগুলো নেড়েচেড়ে দেখছে। রিশাদ জিজ্ঞেস করে,
“চুড়ি কি খুব পছন্দ?”
“পছন্দ। তবে এগুলো আমার নয়।”
“কার?”
“তিতলি দি’র।”
“সে কে আবার?”
“অরণ্য ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড। কখনো সম্ভব হলে পরিচয় করিয়ে দিবনে।”

রিশাদ কিছু বলে না। অনিক বলে,
“আচ্ছা এসব বাদ দাও। প্রিয়ু একটা কথা বলি?”
“ওহ হ্যাঁ, আপনি তো সেই বিয়ের দিনই কী যেন বলতে চেয়েছিলেন? বলেন।”
“আর সে কথা! সে কথা বলে লাভ নেই।” আফসোসের মতো করে বলে অনিক। থেমে আবার বলে,
“এখন অন্য কথা বলব।”
“আচ্ছা।”
“তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?”
অনিকের প্রশ্নে রিশাদ রেগে যায়। কীসব প্রশ্ন করছে! প্রিয়ু হেসে ফেলে। হেসে হেসেই বলে,
“না।”
কফি আসলে তিনজনে কফি খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করে। রিশাদের কথা শুনে হেসে লুটোপুটি খায় খায় প্রিয়ু আর অনিক। রিশাদের ভালোই লাগে। দুঃখী মানুষ হাসলে বোধ হয় সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। হঠাৎ হাসতে হাসতে প্রিয়ু থেমে যায় পাশের টেবিলের দিকে তাকিয়ে। মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কাউকে কিছু না বলেই দৌঁড়ে ঐ টেবিলে চলে যায়। একটা চেয়ার টেনে এক মহিলার পাশে বসে। তাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“খালামনি!”

মমতা বেগমের বোন লিসা বেগম প্রিয়ুর একমাত্র খালা। প্রিয়ু লিসাকে দেখে যতটা খুশি হয়েছে ঠিক ততটাই বিরক্ত হতে দেখা যায় লিসা বেগমকে। পাশেই ছয় বছরের লিয়াদ বসে আছে। প্রিয়ুকে দেখে খুশি হয়ে বলে,
“আপাই! তুমি? ভালো আছো?”
প্রিয়ু খালামনিকে ছেড়ে লিয়াদকে কোলে নেয়। আদর করে বলে,
“ভালো আছি ভাই। তুই ভালো আছিস?”
লিসা বেগম ছো মেরে লিয়াদকে প্রিয়ুর কাছ থেকে নিয়ে যায়। রাগীস্বরে বলে,
“তোকে বলেছিলাম না কখনো আমার সামনে আসবি না? তাও তুই এসেছিস?”
“রাগ করছো কেন খালামনি?”
“কীসের রাগ? রাগ মানুষ আপন মানুষের সাথেই করে। তুই আমার কেউ নস। তোর ওপর রাগ করার কোনো মানেই হয় না। খবরদার বলে দিচ্ছি, ফারদার আমার বা আমার বাচ্চার সামনে আসবি না।”

এরপর তিনি লিয়াদকে নিয়ে কফির বিল দিয়ে চলে যায়। প্রিয়ু দাঁড়িয়ে থাকে মাথা নিচু করে। ক্যাফের অনেকেই তাকিয়ে আছে প্রিয়ুর দিকে। লিসা বেগমের রাগী রাগী কথা সকলের কানেই গেছে। প্রিয়ুর চোখে পানি টলমল করলেও মুখে হাসি। কী অদ্ভুত মেয়ে! এত মানুষের সামনে অপমান করার পরও মুখে হাসি। রিশাদ আর অনিক প্রিয়ুর কাছে যায়। বিল দিয়ে তিনজনে বের হয়ে আসে। ক্যাফের বরাবর শপিংমল। ঐতো খালামনি লিয়াদকে নিয়ে দোতলায় হাঁটছে। লিয়াদ প্রিয়ুকে দেখে হাত নাড়িয়ে ডাকছে। লিসা লিয়াদকে ধমক দিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। প্রিয়ু তবুও তাকিয়ে থাকে সেখানে।
“উনি আপনার আপন খালামনি?” জিজ্ঞেস করে রিশাদ। প্রিয়ু ছোট করে বলে,
“হু।”
“এমন ব্যবহার করলেন কেন সবার সামনে?”
“ভালোবেসে!”
“পাগল হয়ে গেছেন? ভালোবাসলে কেউ কাউকে অপমান করে না। উনাকে দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে উনি আপনাকে সহ্য করতে পারেন না।”
“আচ্ছা মুখে কিছু বলব না। চলেন খালামনির ভালোবাসাটা দেখাই।”

প্রিয়ু শপিংমলের দিকে এগিয়ে যায়। রিশাদ আর অনিক মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে পেছন পেছন যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর খালামনির দেখা মেলে। রিশাদ আর অনিককে কিছুটা দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে প্রিয়ু খালামনির কাছে যায়। পথ আগলে দাঁড়িয়ে বলে,
“প্লিজ খালামনি! এমন কোরো না আমার সাথে।”
লিসা প্রিয়ুকে সরিয়ে দিয়ে চলে যায়। প্রিয়ু বুকের বাম পাশে হাত রেখে চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। লোকজন এগিয়ে আসে চিৎকার শুনে। রিশাদ আর অনিকও ভয় পেয়ে যায়। দ্রুত আসে সেখানে। লোকজনের ভীড় কাটিয়ে দেখে লিসা বেগম প্রিয়ুকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন আর সবাইকে বলছেন সাহায্য করতে। অন্যরা সাহায্য করার আগে অনিক আর রিশাদই এগিয়ে আসে। অনিক রিশাদকে ঢেলে পাঠায় প্রিয়ুকে কোলে নিতে। অসুস্থ একজন মানুষকে কোলে নেওয়া মানে তাকে সাহায্য করা। তাই রিশাদ আর কিছু না ভেবেই প্রিয়ুকে কোলে তুলে নেয়। দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে। লিসা বেগম আর রিয়াদ কাঁদতে কাঁদতে পিছু পিছু আসছে। সাথে আসছে অনিকও। অদ্ভুত মহিলা! একটু আগেও প্রিয়ুর সাথে কত খারাপ ব্যবহার করল আর এখন কেঁদেকেটে বুক ভাসাচ্ছেন। একটা সিএনজি ডেকে প্রিয়ুকে পেছনে বসিয়ে দেয় রিশাদ। যখন সরে আসতে যাবে তখন প্রিয়ু ফিসফিস করে বলে,
“বড় হওয়ার পর কেউ কোলে নেয়নি কখনো। এই আপনিই নিলেন প্রথম। ভালোই হলো খালামনির ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে কোলে চড়াও হয়ে গেল।”

রিশাদ চমকে তাকায় প্রিয়ুর দিকে। প্রিয়ু সঙ্গে সঙ্গে চোখ মারে। তার মানে এতক্ষণ সব অভিনয় ছিল। খালামনি প্রিয়ুর পাশে এসে বসার পর প্রিয়ু স্বাভাবিক হয়ে বলে,
“হয়েছে আর কাঁদতে হবে না।”
তিনি থমকে যান। অবাক হয়ে বলেন,
“তুই…”
“আমার কিছু হয়নি। নাটক করলাম এতক্ষণ। তুমি সবার সামনে আমায় বকলে কেন তখন?”
“অসভ্য, বদ মেয়ে। এমন নাটক করার মানে কী? জানিস আমি কত ভয় পেয়ে গেছিলাম?”
প্রিয়ু খালামনিকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“আমি জানি তো খালামনি। তুমি আমায় ভালোবাসো খুব ভালোবাসো।”
“কিন্তু আফসোস! তুই আমার ভালোবাসাটা বুঝলি না।”

রিশাদ দম নিয়ে মনে মনে বলে,
“সাংঘাতিক মেয়ে!”
.
.
পূজা সরকারের একমাত্র মেয়ে তিতলি সরকার। একই স্কুলে পড়েছে তিতলি আর প্রিয়ু। কিন্তু তিতলি প্রিয়ুর এক বছরের সিনিয়র ছিল। পূজা সরকার সেই স্কুলেই শিক্ষকতার চাকরী করতেন। যেমন ভালো তেমনই রাগী তিনি। কিন্তু প্রিয়ুকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। হয়তো প্রিয়ুর অসহায়ত্ব বা সংগ্রামী ব্যক্তিত্বের জন্যই! প্রিয়ু বাড়িতে এসে দরজায় নক করে। দরজা খুলে দেয় তিতলি। প্রিয়ুকে দেখে খুশিতে লাফাতে শুরু করে। জড়িয়ে ধরে বলে,
“কত্তদিন পরে আসলি তুই!”
“তুমি তো কখনোই যাও না।”
“মা যেতে দেয় না।”
“জানি। ম্যাম কোথায়?”
“ঘরেই আছে। আয়।”
দরজা লাগিয়ে দিয়ে তিতলি প্রিয়ুকে রুমে নিয়ে যায়। পূজা সরকারও প্রিয়ুকে দেখে খুশি হয়। জিজ্ঞেস করে,
“ভালো আছো প্রিয়ু? আজকাল তো তোমার দেখাই পাওয়া যায় না।”
“ভালো আছি ম্যাম। আসলে পড়াশোনা, টিউশনি এসব করে তেমন সময় পাওয়া যায় না। আপনি ভালো আছেন?”
“ইশ্বর ভালোই রেখেছেন। তোমার বাড়ির খবর কী?”
“যেমন ছিল!”
“বিয়ে করে ফেলো। ঐ নরকে আর কত?”
“দেখি না কতদূর সহ্য ক্ষমতা আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছেন।” মৃদু হেসে বলে প্রিয়ু। পূজা সরকার বলেন,
“আচ্ছা তুমি তিতলির সাথে গল্প করো। আমি নাস্তা বানাই।”
প্রিয়ু সায় দেয়। পূজা সরকার চলে যাওয়ার পর প্রিয়ু আগে ব্যাগ থেকে চিঠিটা বের করে বলে,
“অরণ্য ভাইয়ার চিঠি এটা। ম্যাম খাবার নিয়ে আসার পর তুমি চিঠি নিয়ে রুমে চলে যাবে। চিঠি পড়ে উত্তর লিখে দেবে। ততক্ষণ আমি ম্যামের সাথে গল্প করব।”
“ঠিকাছে।”
“এই নাও তোমার কাঁচের চুড়ি।”
ব্যাগ থেকে মোট ১০ ডজন চুড়ি বের করে প্রিয়ু। তিতলি খুশি হয়ে বলে,
“অরণ্য পাঠিয়েছে না?”
“জি না। ভাইয়া টাকা দিয়েছে আর আমি কিনেছি।”

পূজা সরকার নাস্তা আনার পর তিতলি নিজের রুমে চলে যায়। তিতলি না আসা পর্যন্ত প্রিয়ুও বিভিন্ন কথাবার্তা চালিয়ে যায়। কথার এক ফাঁকে পূজা সরকার জানান তিনি তিতলির বিয়ের কথা ভাবছেন। কিন্তু তিতলিকে রাজি করানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তিনি এটাও বলেন প্রিয়ু যেন তিতলিকে বোঝায় একটু। প্রিয়ু বড়সড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে। বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়ার আর মানুষ পেল না? তিতলি চিঠি লিখে আনার পর প্রিয়ু বিদায় নিয়ে চলে আসে। আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে। আজ যে কোনো টিউশনি নেই এটা বাড়ির সবাই জানে। আব্বা আর মা বাড়িতে আসার আগেই যেতে হবে। বাড়িতে গিয়ে রান্নাবান্না আবার নিজেকেই করতে হবে। আশা আপু তো অসুস্থ। যাওয়ার পথে একটা বিরাট বাড়ির সামনে আবারও রিশাদের সাথে দেখা হয়ে যায়। সিকিউরিটি গার্ডের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। ছেলেটার হাসিটা দারুণ। সাথে কণ্ঠটাও। সবার সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। সূর্যের রক্তিম আভা রিশাদের মুখে পড়ায় মুখটা কমলা বর্ণ ধারণ করেছে। ফর্সা মুখটা আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে। প্রিয়ুর হিংসা লাগে ভীষণ। একটা ছেলেকে কেন এত সুন্দর হতে হবে? সুন্দর হবে মেয়েরা। আর ছেলেরা মুগ্ধ হয়ে দেখবে। প্রিয়ুকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সিকিউরিটি সালাম চাচা। তিনিই রিশাদকে বলেন,
“ঐ মেয়ে এইদিকে তাকিয়ে আছে কেন বাবা?”
রিশাদ এবার প্রিয়ুর দিকে তাকায়। হেসেই বলে,
“আপনি এখানে?”
এরপর দুজনই এগিয়ে যায়।
“তিতলি দি’র বাড়িতে গিয়েছিলাম।” বলে প্রিয়ু। এরপর জিজ্ঞেস করে,
“আপনি এখানে থাকেন?”
“আমি ঐ তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকি।”
“আর কে থাকে?”
“আমি একাই থাকি। ব্যাচেলর বলতে পারেন।”
“ওহ। একটু পানি খাব।”
“চলেন বাড়িতে যাই। নাকি ভয় পাবেন?”
“কাকে?”
“আমায়।”
“না, আপনাকে ভয় লাগে না।”
রিশাদ মিষ্টি করে হাসে। সালাম চাচার সাথে প্রিয়ুর পরিচয় করিয়ে দেয়। ফ্ল্যাটে গিয়ে রিশাদ প্রিয়ুকে পানি দেয়। প্রিয়ু ঘুরেঘুরে ফ্ল্যাট দেখছে। খুব সুন্দর ফ্ল্যাটটা। বিশেষ করে ব্যলকোনিটা অসাধারণ। রিশাদ শুধু পানিই আনে না। সঙ্গে করে চা আর বিস্কুটও আনে। রিশাদকে দেখে প্রিয়ু বলে,
“বাড়িটা অনেক সুন্দর।”
উত্তরে রিশাদ হাসে। চা প্রিয়ুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“আপনি তো খুব ভালো নাটক করতে পারেন।”
“সে তো আমি প্রতিনিয়তই করি। খালামনির সাথে নাটকটা করা দরকার ছিল।”
“আপনার ওপর রাগ কেন উনি?”
“খালামনি চেয়েছিল আমি যেন তাদের সাথে থাকি। আমি প্রথমে রাজি না হলেও আব্বা বিয়ে করার পর রাজি হই। ১৫ দিন খালামনির বাসায় ছিলামও। একদিন শুনি খালু খালামনির সাথে ঝগড়া করছে খুব। ঝগড়ার রিজন ছিলাম আমি। খালু আমার দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। পরে আমি নিজেই কান্নাকাটি করে আবার বাড়িতে চলে আসি। খালামনি অনেক বুঝিয়েছিল। শুনিনি আমি। তারপর থেকেই আমার ওপর খালামনির রাগ। অথচ খালামনি এখনো জানেই না সেদিন আমি সব শুনেছিলাম। কী দরকার বলেন? শুধু শুধু আমার জন্য খালামনি আর খালুর মধ্যে ঝগড়া হবে বিষয়টা খারাপ দেখায়। তাছাড়া এসব এখন অতি সামান্যই লাগে আমার কাছে।”
“এতকিছুর পরও আপনি কত ভালো থাকেন!”
“থাকতে হয়। আপনিই তো বলেছেন, ‘নিজে যেমনই থাকো না কেন, যত কষ্টেই থাকো না কেন নিজের কষ্টটা কখনো কাউকে বুঝতে দিও না। সবাই না হয় তোমার মিথ্যে হাসিটা দেখেই ভালো থাকুক।’ মনে পড়ে?”
“এটা তো…”
প্রিয়ু জিহ্বা বের করে বলে,
“আপনার ডায়েরীটা খুলেই লাইনগুলো দেখলাম। ভালো লেগেছে তাই মনে গেঁথে নিয়েছি।”
“মেমোরি ভালো।”
“ততটাও নয়। তবে মাথায় কিছু রাখলে সেটা ভুলে যাই। কিন্তু মনে কিছু রাখলে সেটা ভুলি না। আপনাকে মনেই রেখেছি।”
“ওহ আচ্ছা! আমায় মনে রেখেছেন?”
“আপনার কথাগুলো মনে রাখা মানে তো আপনাকেই মনে রাখা। যাই হোক, এখন আমি আসি। ওহ হো! একটা কথা।”
“কী?”
“একটা গান শুনাবেন? মনটা অস্থির অস্থির লাগছে খুব। বাড়িতে গেলে খারাপ কিছু হবে মনে হচ্ছে। গান শুনিয়ে দেন মনটা ফ্রেশ করে বাড়িতে যাই।” রিশাদ কিছু না বলে গাইতে শুরু করে,
“তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কী বা দূরে রও;
মনে রেখো আমিও ছিলাম,
এই মন তোমাকে দিলাম।”

প্রিয়ু হেসে বলে,
“মন ভালো হয়ে গেছে।”
“আশা করি খারাপ কিছু হবে না।”
“হবে না!”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here