প্রাক্তন,৭+৮ পর্ব
Wendrilla Jahan Nira
আমি ও এবার তাকে উপেক্ষা করে স্পর্শ এর সাথে গল্প করছি সে দেখছে আর ফুলছে।
আমার বেশ মজা লাগছে কেনো জানি।
তার দিকে দেখে আছি।কোকের ক্যান টা হাত দিয়ে দুমড়ে মুছরে ফেললো। কাটা হাত টা দিয়ে রক্ত পরছে।
হঠাত করে স্পর্শ এর ফোন বেজে উঠলো।
__নীরা একটা খুব জরুরী ফোন। কিছু মনে করবেন না আমি একটু আসছি।
নাহ নাহ কি মনে করবো। আপনি কল টা রিসিভ করুন।
__থেক্স।
আমি শুধু হাসলাম।
আর সে অগ্নিদৃষ্টিতে আমার দিয়ে তাকিয়ে আছে।নাক, কাল সব লাল তার।
স্পর্শ ফিরে এলো।
__নীরা কিছু যদি না মনে করেন আমায় যেতে হবে।
__না কিছু মনে করবো না। আপনি যান।
__আজ আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসবো।কোনো কথা শুনবো না।আজ যা সুন্দর লাগছেন কেউ তুলে নিয়ে যেতে পারে।
__তাই নাকি? আগে বুঝি খারাপ লাগতো আমায়?
__নাহ নাহ আমি সেটা বলতে চাই নি।আমি তো এমনি ই বললাম।আপনি বরাবর ই আমার কাছে সুন্দর লাগেন।আই এম সরি।
__আরেহ সরি বলার কিছু নাই আমি মজা করছিলাম।
__আপনি যান আমি বিল টা দিয়ে আসছি।
__না আজ আমি বিল দিবো।বিগত ২দিন বিল আপনি দিয়েছেন আজ আমি দিবো।
__আরেহ না। আমি ই দিবো।
__বললাম না আমি দিবো।চুপ চাপ বাইরে যান আমি আসছি।__নীরা। ধুরু। আচ্ছা
হুম যান আমি আসছি।
বিল দিয়ে দেখি সমুদ্র ওখানেই বসে আছে।হাত দিয়ে অনবরত রক্ত পরছে ও দিকে মশাই এর হুস ই নেই। কিছু কি বলবো?
না থাক।
__এই যে নীরা আসুন।(স্পর্শ)
__জ্বি।
তাড়াতাড়ি যাওয়ার চক্কর ই শাড়ির সাথে হোচট খেয়ে পরে যাচ্ছিলাম ভাজ্ঞিস স্পর্শ ধরেছে না হলে পরেই যেতাম।।
__নীরা একটু দেখে হাটুন।
শাড়ি পরার অভ্যেস নেই তো।
__হুম বুঝেছি।গাড়িতে বসুন।
হুম।বসছি।
__আচ্ছা নীরা একটা কথা জিজ্ঞাস করবো?
হুম করুন।
__আমাকে কি ভালোবাসা যায় ই না??
যার মনে অন্য কেউ থাকে সে কি অন্য কাউকে মন দিতে পারে??
__আমার যে মন টা আপনার কাছে চলে গেছে। সেটার কি হবে?
ফিরিয়ে নিন।কারন আপনার মন কে ভালো রাখতে তো পারবো না।কষ্ট পাবেন।
__আমি রাজি আছি।
শুধু হাসলাম। কারন এর জবাব আমার কাছে নেই।
শুনুন আমার থেকে অনেক ভালো মেয়ে আপনি পাবেন।দেখতে সুন্দর।
সে আমায় থামিয়ে দিয়ে বললো
__আমার আপনাকে চাই।
থামান থামান চলে এসেছি।এই বাসাটায় আমি থাকি।(আমি)
সে থামালো আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম।
__ভালো থাকবেন নীরা।
আপনি ও ভালো থাকবেন।
__আসি।
আচ্ছা।
বাসায় ঢুকলাম দেখি আন্টি সিরিয়ার “কে আপন কে পর দেখছে”!!আন্টি জবা এখনো মরে নি??
__নাহ।
কেনো মরে নি??
__কেনো মরে নি আবার কেমন কথা তুই কি চাস নাকি মরে যাক।
হ্যা চাই তো।
__নীরা এইগুলো বলবি না।
আচ্ছা।বলবো না।তুমি দেখো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আংকেল বললো,
কেনো বলবে না?? তোমার জন্য আমি পাকিস্তান আর ইংল্যান্ড এর খেলো দেখতে পারছি না “।
আচ্ছ আংকেল তুমি দারাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি আমরা ল্যাপটপ এ দেখবো।মন খারাপ করো না।
যেই না ঘরের দিকে পা বাড়িয়েছি।
সমুদ্র পিছন থেকে এসে হাত ২টা টেনে নিয়ে পিছোনে কমরের সাথে শক্ত করে চেপে ধরেছে।
আমি ভয়ে প্রায় চেচেয়ে উঠেছি।
কি করছেন আপনি??
__যা করছি তা অনেক আগে করার দরকার ছিলো।
__মানে টা কি?আহ আমার হাত ছাড়ুন আমার লাগছে।
__লাগুক। আমাকে যে কষ্ট গুলো দিছো আর এখনো দিয়ে যাচ্ছো?? সেগুলোর বেলা??
আমি আপনাকে কখন কষ্ট দিলাম? আজব তো।
__এই আমাকে ছাড়ছিলা কেনো?? অন্য কাউকে ধরার জন্য?কি আছে ওই স্পর্শ না কি নাম জানি ছেলে টার মধ্যে যা আমার মধ্যে পাও নি?
আমি এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।পাস্ট ইস পাস্ট। আমাকে ছাড়ুন আমার লাগছে।
__লাগুক আজ সব হিসাব নিবো।আমাকে ছাড়ে অন্য কারো কাছে জাওয়ার সাহস হয় কি করে তোমার হ্যা?বলছিলাম না অন্য কারো কাছে গেলে মারে ফেলাবো?
আংকেল আর আন্টি ভুত দেখার মত চোখ বড় করে আছে।কারন তারা কিছুই বুঝছে না।
শেষ মেশে আন্টি বলে উঠলো “সমু তুই এগুলো কি বলছিস আমি কিছু বুঝতে পারছি না।”
আংকেল বলবো “নীরা কে ছাড়ো ওর লাগছে সমুদ্র।”
__লাগুক। মা শুনো এই হচ্ছে নীরা সেই নীরা যে আমার ভালোবাসা নিয়ে খেলছে।আমাকে কখনো ভালোইবাসে নি।তুমি বলতা না সমু তুই দেশ ছেড়ে যাচ্ছিস কেনো?? এই নীরা ই সেই কারন।
সমু এগুলো কি বলছিস তুই?।
__হুম মা, তুমি ঠিকি শুনছো। ভালোবাসতাম ওকে আর ও শুধু আমাকে নিয়ে খেলছে।খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর
আবর্জনার মত ফেলে দিছে।
এইবার আর নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারলাম না হাত টা ছাড়িয়ে নিয়ে অকে ধাক্কা মরে সরিয়ে দিয়ে বললাম।
আমি আপনাকে নিয়ে খেলছি?? বাহ কি সুন্দর কথা।খেলেছেন তো আপনি আমাকে নিয়ে।পুরাতন হয়ে গেছিলাম তাই ফেলে দিয়েছিলেন।আপনার নতুন তো রাইহাতুল রাহা ছিলো আপনার ।যার সাথে আপনার নতুন সম্পর্ক শুরু হয়েছিলো।আমি তো সব জানার পর আপনাকে আমার কাছ থেকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম।এখন কেনো আমাকে দোষ দিচ্ছেন? আমার কষ্ট হয় নি? তাও আপনাকে আমি কিছুই বলি নি।আর এখন সব কিছুর দোষ আমায় দিচ্ছেন বাহ মশাই বাহ।
__আল্লাহ!! রাহা আমাকে পছন্দ করতো।আমি ওকে না করে দেওয়াতে ও পাগলামি করতেছিলো।জাষ্ট ওকে বুঝানোর জন্য ও সাথে ছিলাম।
__আর মিথ্যে না বললে হয় না??
আমি মিথ্যে বলছি না।বিশ্বাস কর আমায়।
__বিশ্বাস তাও আবার আপনাকে? পাগল আমি?? আপনার মনে আছে আপনাকে বলতাম আমাকে আর ভালো না লাগলে বলে দেন।আমি চলে যাবো? কিন্তু আপনি কি করলেন? বেঈমানি করলেন।জনাব সমুদ্র আহমেদ আমি আপনাকে ভালোবেসে ভুল করেছি।নিজের প্রতি ঘৃণা হয় এখন কেনো বিশ্বাস করেছিলাম আপনাকে?
নীরা আমি সত্যি বলছি আমি তোমায় ভালোবাসতাম এখনো ভালোবাসি আগের মতই।
__আপনি আগেও আমাকে ভালোবাসেন নি। এখনো আমাকে ভালোবাসেন না।আপনি আমার কাছে এসেছিলেন আপনার সময় কাটছিলো না,তাই সময় কাটানোর জন্য এসে ছিলেন।তারপর অন্য কাউকে পেয়েছেন আমায় ভুলে গেছেন।
চুপপপপপ।একদম চুপ।শেষ করে ফেলবো কিন্তু তোমায়।
__কেনো সত্যি কথা শুনতে খারাপ লাগছে? আমি তো শুরু করি নাই।আপনি ই পুরোনো ময়লার স্তব ঘাটছেন পচা ময়লা থেকে দূর্গন্ধ তো বের হবেই।
__নীরা চুপ করো আর পারছি না।
হুম।এটা নিয়ে আর কথা না বাড়ানোই ভালো।
আংকেল আন্টি কি বলবেন নিজেরাও বুঝতে পারছেন না।
আংকেল শুধু বলো সুফি(আন্টির নাম) চল ঘরে চলো।অনেক দিনের দুজনের জমানো খোরাক আছে।তারা মিটিয়ে নিক।আন্টি অসহায় এর মত আমার আর সমুদ্রর দিকে তাকাচ্ছে।তারা চলে গেলেন।আমিও চলে আসছিলাম।
সে পিছন থেকে হাত টা আবার টেনে ধরলো আর নিজের খুব কাছে টেনে নিয়ে ঘারে মুখ গুজে ফেলেছে পিছন থেকে।আমি ছাড়ানো চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না খুব শক্ত করে ধরে আছে।আনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ। প্রায় ৫মিনিট ধরে থাকার পর সে বলবো “ভালোবাসি “।কথা টা শুনার পরে পুরো শরীরে কেমন একটা জানি শিহরণ হলো।কেপে উঠলাম। আমি তাকে ছারিয়ে নিলাম।সাথে সাথে সে ধপাস করে ফ্রোরে বসে পরলো। মাথা টা নিচু করে আছে।দেখি ফ্রোরে তার নোনাজল পরছে।আর পারছি না আমার কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে আমিও তাকে বলে দেই সমুদ্র “আমিও তোমাকে ভালোবাসি ”
কিন্তু পারছি না।আমারও চোখ বেয়ে নোনা ভালোবাসা পরছে কিন্তু আমি কিছু বলতে পারছি না।
আমি চলে এলাম রুম এ আসে দরজা টা বন্ধ করে ফেললাম শাড়ি টা খুলে শুয়ে পরলাম। চোখ গুলো আর সায় দিলো না জাগে থাকতে ঘুমিয়ে গেছি।
রাত ২;৪৫
__নীরা এই নীরা উঠ মা। নীরা উঠ(আন্টি)
ঘুম থেকে চমকে উঠে দরজা খুলে বললাম কি হয়েছে??__সমু আমার সমু(বলেই কেঁদে ফেললো)
কি হয়েছে সমুদ্রের?(ভয়ে ভয়ে)
চলবে………
প্রাক্তন
অষ্টম পর্ব
Wendrilla Jahan Nira
__সমু আমার সমু(বলেই কেঁদে ফেললো)
কি হয়েছে সমুদ্রের?(ভয়ে ভয়ে)
__আমার সমু (কেঁদে ফেলেছেন উনি)
আন্টি বল না কি হইছে সমুদ্রর? প্লিজ আন্টি বল?
__সমুর এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে নীরা।আমার ছেলে টার এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।আমার মাথা কাজ করছে না।
আন্টি কোথায় ও??
__হাসপাতালে আছে।যাবি তুই নীরা? তোর আংকেল গাড়ি বের করতে গেছে।যাবি তুই?
আন্টি এইটাও জিজ্ঞাস করতে হবে তোমায়? জানো না যাবো কি না??
__যদি এখন না যাস।তাই জিজ্ঞাস করলাম।
চলো তুমি আমি যাবো।
পুরোটা রাস্তা আন্টি কেঁদেছে আমি কি বলবো কি করবো বুঝতে পারছি না।খালি বললাম
“আন্টি তুমি চিন্তা কর না সমুদ্রর কিচ্ছু হবে না।”
__হুম দুয়া কর মা।
হুম আন্টি।
হাসপাতালে ডুকে রেসিপ্সন এ বললাম সমুদ্র আহমেদ নামে কেউ এসেছে??
__নাহ।
এক্সিডেন্টাল কেজ। একটু দেখেন না।
__হ্যা একজন এসেছে।ওটি তে আছে।নাম জানা যায় নি।রাস্তার লোকজন নিয়ে আসেছে তাকে।
ওটি তে আছে? (বুক টা কেমন জানি কেপে উঠলো)
__জ্বী।
ওটি কোন দিকে?
__থার্ড ফ্রোরে গিয়ে বাম দিকে যাবেন।পেয়ে যাবেন।
থেক্স।
সে শুধু হাসলো।
আমি আংকেল আর আন্টি কে নিয়ে ওটির দিকে চলে গেলাম।দেখি একটা লোক আর রাইসা (আন্টির ওই বান্ধবীর মেয়ে) ওখানে বসে আছেন।লোক টা মনে হয় রাইসার বাবা চেহারায় মিল আছে।
আন্টি লোক টাকে দেখে বললো “রাফিস ভাই তুমি কি সমুদ্র কে নিয়ে এসেছো?”
__হুম রে সুফিহা আমি এনেছি।
আমি বললাম আংকেল কি হয়েছিলো? আর এখন কি অবস্থা?
সে আমাকে কিছুই না বলে আন্টি কে বললো নীরা কে রে? তোর ছেলে এক্সিডেন্ট এর পর থেকে নীরা নীরা করে যাচ্ছে।
আমি বললাম আংকেল আমি নীরা।
জামান(আংকেল এর নাম) এই মেয়ে টা কে?
__আমার বাসায় থাকে।
অহহ।তোর ছেলেকে একটা ট্রাক এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে।আমার মেয়ে রাইসা তোর ছেলে কে চিনতো তাই ওকে উঠিয়ে এনেছি।
__ভালো করেছিস।আমি কৃতজ্ঞ তোর কাছে।
আরেহ আমার ও তো ছেলে ও।
আমি বললাম আংকেল সমুদ্রর কি আবস্থা?
__আমি তোমাকে বলতে প্রয়োজন মনে করছি না।ভাড়াটিয়া তুমি ভাড়াটিয়ার মত থাকো।
আমি কিছু বললাম না।
ডাক্তার বের হয়ে এসে বলল “সে সুস্থ আছেন। আমরা তাকে ক্যাবিনে শিফট করছি। আর হ্যা নীরা কে? উনি যেনো উনার সাথে আগে দেখা করেন।
__আমি নীরা।
একটু আসেন কথা আছে আপনার সাথে।
__জ্বী বলেন।
একটু এদিকে আসেন।
__জ্বী
শুনুন উনি আপনাকে সত্যি ই খুব ভালোবাসেন।আর কষ্ট দিয়েন উনাকে।আমি কি বলবো বুঝতেই পারছি না।
সে আবার বললো “জানি না আপনাদের মধ্যে কি হয়েছে।কিন্তু সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যদি আপনি ওনার পাশে…….
__আমি উনার পাশে থাকবো।
গুড। যান ক্যাবিনে যান।আগে বাবা মা চাইলে যায়ে দেখে আসতে পারেন।তার পর নীরা কে পাঠিয়ে দিয়েন।
এবার রাইসার বাবা বললো “তাকে কি দরকার ডক্টর? সে তো ফ্যামিলির কেউ নয়।
__আপনি ও তো মনে হয় ফ্যামিলির কেউ নন।তো আমিও আপনাকে বলার প্রয়োজন মনে করছি না। আর হ্যা আপনারা চাইলে থাকতে পারেন রাতে তার সাথে কিন্তু নীরা যেনো থাকেই।
আংকেল বলল ও থাকবে।
রাইসার বাবা বললো ভাড়াটিয়া কে তোর ছেলের কাছে থাকতে দিবি??
আন্টি বললো ভাই ও আমার মেয়ের মত। আমি ওকে খুব বিশ্বাস করি।
বলতে বলতে আমাদের সামনে দিয়ে সমুদ্র কে নিয়ে গেলো মাথায় আঘাত পেয়েছে হাতেও আঘাত পেয়েছে। এই অবস্থায় দেখে খুব খারাপ লাগছে। কান্না ও পাচ্ছে।
ডাক্তার বললো বাড়ির লোক গিয়ে তাকে দেখে আসুন।আর রাতে নীরা থাকলেই ভালো হয়।
রাইসার বাবা এইবার বলে উঠলেন ওই মেয়ে তো ফ্যামিলির কেউ না ও কেনো থাকবে??
__আপনি ও তো ফ্যামিলির কেউ না আপনি কেনো মাঝ খানে কথা বলছেন?(ডাক্তার)
এইবার সমুদ্রর বাবা বলে উঠলো ডাক্তার সাহেব নীরা ই রাতে থাকবে
নীরা তুমি আমার সাথে এসো!
_জ্বী
বোসো।
__জ্বী বলেন।
ভালোবাসো খুব ওই ছেলেটা কে?
__নাহ।
তাই?
__জ্বী।
ও কিন্তু তোমায় ভালোবাসে।
__থাক না এসব কথা।
হ্যা তাই ভালো।তোমাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আচ্ছা শুনো সব রোগ কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে সারানো যায়। আর ওর ভালোবাসার হয়তো বেশি প্রয়োজন।
__আচ্ছা।আমি আসি।
হুম যাও।
এসে দেখি রাইসা আর ওর বাবা বাইরে দারায় আছে।আমি রাইসা কে বললাম “ধন্যবাদ রাইসা”
ও শুধু হাসলো আর বললো আপু আমি থাকতে পারবো? মেয়ে টার চোখে সমুদ্রর জন্য অন্য কিছু দেখলাম।পছন্দ না শুধু তার থেকে একটু বেশি কিছু।হয়তো ভালোবাসা। কথা টা ভাবতেই বুকের ভেতর কেমন জানি করে উঠলো।
আমি বললাম ডোক্তর আংকেল কে বলে দেখো কি বলেন!
__আচ্ছা আমি যাচ্ছি বলতে।
এইবার রাইসার বাবা বলল এই মেয়ে তোমার মতো মেয়ে আমার খুব ভালো করে চেনা আছে। আই উইল কিপ আইজ অন ইউ।
অনেক ক্ষন থেকে এই লোক এর আজাইরা কথা যহ্য করতেছি এইবার কিছু বলেই ফেলবো ভাবলাম তখন ই আন্টি আর আংকেল বেরিয়ে এলো আর কিছু বলা হলো।
আন্টি বললো।
নীরা তুই ভিতরে যা সমুর এখনো অজ্ঞান। জ্ঞান ফিরলে জানাস আমরা বাইরে আছি।
__তোমাদের বাইরে থাকার দরকার নাই তোমরা বাড়ি যাও রেষ্ট নাও সকালে আবার এসো।আমি আছি এখানে।
নাহ নাহ আমরা বাইরেই থাকি।
__না থাকবে না। তোমরা যাও। তোমারাও অসুস্থ হতে চাও? যাও বাড়ি যাও।
__আচ্ছা।(মন খারাপ করে)
রাইসা এসে বললো তাকে পারমিশন দেয় নি।মেয়ে টা মন খারাপ করেছে।আমি বললাম যাও তুমি ওকে দেখে এসো।তারপর আমি যাবো।
সবাই চলে গেলো আমি ক্যাবিনে ঢুকলাম ঘুমোচ্ছে নিষ্পাপ বাচ্চার মত লাগছে।
অনেক্ষন দেখে থাকলাম। তাকে খুব ছুতে ইচ্ছে করছে।আবার একটা ইগো ও কাজ করছে। ইগো জিতে গেলো আমি সোফায় গিয়ে বসলাম।
কখন যে ঘুমিয়ে গেছি তাকে দেখতে দেখতে তা মনেই নেই আযান দিলো ফজরের নামাজ পরে ওর কাছে আবার এলাম।
এইবার ডাক্তার আংকেল এলো
নীরা কি অবস্থা।
__এই তো
ওকে চেক করে বললো ওর হয়তো একটু পরেই জ্ঞান ফিরবে।তখন নার্সকে বলিয়ো আমি এসে দেখে যাবো।
__জ্বী আচ্ছা।একটা কথা জিজ্ঞাস করবো?
রাইসা কে কেনো থাকতে দেই নি এই কথা টা বাদে অন্য কিছু থাকলে বলতে পারো
__ওইটাই জিজ্ঞাস করতে চাইছিলাম।
আচ্ছা আমি আসি
__আচ্ছা।
বসে বসে আমাদের আগের কথা, স্মৃতি গুলো ভাবছি।
ভাবছি রাহার সাথে ওর কত কি না নিজের চোখে দেখেছি। আর এখন সে বলছে হাহাহা।নীরবেই হেসে ফেললাম। ওকে দেখে আছি অনেক্ষন এবার আর পারলাম না কপালে একটা চুমু দিলাম টুল নিয়ে বসলাম ওর কাছে হাত টা ধরলাম।সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হাত টা ধরেই থাকবো।তার পর অন্য কারো হাতে এ উঠিয়ে দিবো।রাইসার হাতে মেয়ে টা ভালোবেসে ফেলেছে।
প্রায় ১ঘন্টা পর ওর জ্ঞান ফিরলো আমি নার্স কে বললাম ডাক্তার কে বলেন ক্যাবিন ১৮৪ এর জ্ঞান ফিরেছে।
ডাক্তার এসে চেক করে গেলো সে ভালো আছে।মনে শান্তি পেলাম।
সমুদ্র বললো
নীরা??
__হুম আছি বলো।
কেমন আছো?
(প্রশ্ন টা শুনে হাসবো না কাদবো না রাগ করবো না খুশি হবো বুঝতে পারছি না)
__হুম আছি।আমি আংকেল আন্টি কে জানিয়ে দেই আপনার জ্ঞান
ফিরেছে।
__আচ্ছা।
(চলবে……)