তোমার মাঝে সিজন_০২,পর্ব_০১
সারিফা তাহরিম
জ্ঞান ফিরতেই অনুভব করলাম আমি হাওয়ায় ভাসছি।পড়ে যাব ভেবে আমি কারো গলা জরিয়ে ধরলাম।তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারলাম কেউ আমায় কোলে নিয়ে হাটছে। সেই ব্যক্তিটি কে তা জানার জন্য ভারী হওয়া চোখের পাতা খোলার ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগলাম।চোখ টেনে খোলার চেষ্টাটা ধীরে ধীরে সফলতা পেল। আমি চোখ খুলে তাকাতেই এক আগন্তুকের চেহারা দেখতে পেলাম। সে শক্ত মুখে আমাকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সবটা বুঝে উঠে কিছু বলার আগেই সে ব্যক্তি আমাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও ড্রাইভিং সিটে এসে বসল।
আমার মনে হলো আমি হয়তো তাকে কোথাও দেখেছি। ভাবতে ভাবতেই মস্তিষ্ক আমায় জানান দিল যে এই ব্যক্তিকে আমি ভার্সিটিতে দেখেছি। কিন্তু উনি এখানে কেন? আর আমিই বা কোথায়। আমি তো বাড়িতে দিয়া আপুর এনগেজমেন্টে ছিলাম।নাফিজ ভাইয়ার ফ্রেন্ড যে পানি দিয়েছিল তা খাওয়ার পরে কেমন জানি মাথা ভার হয়ে আসছিল। তারপর তো কিছুই মনে নেই। এখন উনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? কোনো আমাকে কিডন্যাপ করে নি তো।
ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে। আমাকে নিয়ে যদি মেরে ফেলে। আচ্ছা এই ব্যক্তির আমাকে কোলে উঠিয়ে আনার মানে কি? উনি কি আমার সাথে……
আর কিছু ভাবার আগেই গাড়ির হর্ণের শব্দে আমার ধ্যান ভাংলো। পাশে তাকিয়ে দেখলাম ব্যাক্তিটি চোয়াল শক্ত করে দৃষ্টি সামনের দিকে নিবদ্ধ করে রেখেছেন। এই গাড়িতে যে তিনি ছাড়া আর কেউ আছে তা যেন তিনি জানেনই না। খুব গম্ভীর আর রাগী মানুষ লাগছে। কেমন যেন ভয় লাগছে। না না ভয় পেলে চলবে না। আমার উনাকে জিজ্ঞেস করতেই হবে আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। মনে সাহসের সঞ্চার দিকে তাকিয়ে কিছুটা জোরে বললাম,,
“এই যে,, কে আপনি? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়?আমি এখানে কি করে এলাম?”
কিন্তু লোকটির চোয়াল আরো শক্ত হয়ে এলো এবং স্টেয়ারিংটা শক্ত করে চেপে ধরল কিন্তু কোনো উত্তর দিল না। মনে হচ্ছে রাগ কন্ট্রোল করছে। কিন্তু উনি রাগবে কেন? রাগার তো কথা আমার।ওপাশ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে রাগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।এবার প্রায় চিল্লিয়ে বলে উঠলাম,,
“কানে কি কথা যাচ্ছে না? কি বলছি আমি আপনাকে শুনতে পাচ্ছেন না? কে আপনি? আর আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আপনি আমাকে কিডন্যাপ করেছেন তাই না?কেন করেছেন এমন?দেখুন আমি একবার সবাইকে বলে দিলে আপনার কি অবস্থা হবে আপনি ভাবতে পারছেন?আমি আবার বলছি আমায় যেতে দিন নাহলে সত্যি অনেক খারাপ হয়ে যাবে।”
কথাগুলো জোরে চিল্লিয়ে একসাথে বললাম। কিন্তু তাতেও ব্যক্তিটি প্রতুত্তর না করে গাড়ির স্পিড আরো বাড়িয়ে দিল। আশেপাশের অন্ধকার রাস্তা দেখে বুঝতে পারলাম না। আমি আবার কিছু বলতে নিব তার আগেই তিনি বললেন,,
“এখন তোমাকে এতো কিছু এক্সপ্লেইন করার মতো টাইম এবং মুড কোনটাই আমার নেই। আর এখন তুমি আমার কোনো কথা বিশ্বাসও করবে না। তাই বলছি চুপচাপ বসে থাকো। একটু পরেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।”
তার কথা শুনে বুঝা যাচ্ছে রাগ দমিয়ে কথাগুলো বলছে। কিন্তু এতে আমার রাগ আরো বেড়ে গেল। আমি দ্বিগুণ তেজের সাথে বলে উঠলাম,,
“আপনার মতো মানুষের সাথে আমি চুপচাপ বসে থাকব। আমাকে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইসে?আমি যাব না আপনার সাথে। যাব না মানে যাব না। শুনেছেন আপনি?আপনার উদ্দেশ্য কি তা আমি বুঝতে পেরেছি। কোনো এক্সপ্লেনেশন চায় না আমার। ”
উনি বাতাসের গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। আর আমি যা ইচ্ছা তাই বলে যাচ্ছি। উনি আমার সাথে কি খারাপ কিছু করতে চাইছে?উফফ..কেমন ফালতু লোক!! ভাবতেই ঘৃণা লাগছে। আমি উনাকে হাজারো কথা শুনাতে শুনাতেই উনি গাড়ি থামালো। আচামকা এমনটা হওয়ায় আমি টাল সামলাতে না পেরে অনেকটা সামনে ঝুঁকে গ্লাসে মাথা লাগার আগেই মাথায় কারো ছোঁয়া পেলাম। হ্যাঁ, সেই মানুষটি আমাকে মাথা ফাটানোর বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে।
আমি তারাতাড়ি সোজা হয়ে বসতেই উনি শক্ত মুখেই বলে উঠলেন,,
“” নেমে পড়ো। আমরা এসে পড়েছি।””
আমি কোথায় এসেছি তা না দেখেই হুড়মুড়িয়ে নেমেই যেই না দৌড় দিতে যাব,, তার আগেই শক্ত পুরুষালি হাত আমার এক হাত ধরে থামিয়ে দিল। দৃঢ় কন্ঠে বলল,,
“চুপচাপ ভিতরে চলো।”
~”বলেছি না আমি আপনার সাথে কোত্থাও যাব না। ছাড়ুন আমার হাত।”
~”তিতলি বেশি বাড়াবাড়ি করো না। যা বলছি তা করো।নাহলে আমি অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হব।”
~”বললাম তো কোথাও যাব না আমি।ছাড়ুন আমার হাত।”
কথাটি বলার দেরি কিন্তু উনার আমাকে কোলে উঠানোর দেরি নেই। আমায় নিয়ে এগিয়ে চলল। কোথায় যাচ্ছে তা তে আমার কোনো খেয়ালই নেই। আমি সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছি। কিন্তু বরাবরের মতোই ব্যর্থ হচ্ছি আর শক্তি হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।কারণ উনি আমাকে শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছেন। তবুও খুব চিল্লাচিল্লি আর ছোটাছুটি করেই যাচ্ছি। আমার রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
তারপর উনি আমাকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম এটা তো আমাদের বাড়ি। আমাদের বাড়িতে ঢুকেই উনি আমাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলেন।সবাই উদ্বিগ্ন মুখে লিভিং রুমে বসে ছিল।আমাদেরকে এভাবে আসতে দেখে সবাই আমাদের দিকে চেয়ে রইল।
কিন্তু এবার আমি আর নিজের রাগ দমিয়ে রাখতে পারি নি।আমাকে কোল থেকে নামিয়ে দিতেই আমি সারা শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে মানুষটির গালে সজোরে চড় বসিয়ে দিলাম।রাগে আমার চোয়াল কাপছে। একটা মানুষ কতোটা খারাপ হলে একটা মেয়েকে কিডন্যাপ করে সেই সাথে অনুমতি ছাড়া কোলে উঠিয়ে নেয়।
~”তিতলি মা তুই ঠিক আছিস? তোর কিছু হয়নি তো?আর তুই মেহরাব বাবাকে এভাবে মারলি কেন?”
বাবা আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে কথাটি বলতেই আমি মেহরাব নামক মানুষটির দিকে তাকালাম। সে রেগে লাল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার ফর্সা ডান গাল লাল টকটকে হয়ে আছে। মনে হচ্ছে দাড়ির ফাঁক দিয়ে এক্ষুণি রক্ত ঝরবে।আমি চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললাম,
“বাবা উনি আমাকে কিডন্যাপ করেছে।আর এখন বাড়ি নিয়ে এসে ভালো সাজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার আসল রূপ তো আমি জানি। থার্ড ক্লাস মানুষ একটা। এই চড়টা উনার প্রাপ্তি ছিল বাবা। ”
~”আরে মা তুই ভুল বুঝছিস।মেহরাব তোকে কিড…
বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,,
~”আমি ঠিকই বুঝেছি বাবা। বরং তোমরা ভুল বুঝছো। এই মানুষটার এমন রূপ দেখেও তাকে ভালো মনে করছো। কিন্তু আমি তা করছি না।”
~”আরে মা কথাটা তো শুন।”
~”I don’t wanna hear anything about this stupid person. I just hate him.”
বলেই ধুপধাপ পা ফেলে নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম। বাহিরের সবাই ডাকাডাকি করছে। কিন্তু আমি কোন প্রতিত্তোর করছি না বলে কিছুক্ষণ পরে চলে যায়।কারণ তারা জানে যে এখন হাজার ডাকলেও কোন লাভ হবে না। রাগ কমা ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলব না।
~~~~~~~~~~~~
আজ আমার জেঠাতো বোন দিয়া আপুর এনগেজমেন্ট ছিল।তাই বাসায় অনেক মেহমান ছিল। সন্ধ্যার পরে ছেলেপক্ষের মানুষ ও চলে আসে। যখন অনুষ্ঠান শুরু হবে,, তখন আমার খুব পিপাসা পেয়েছিল।তাই আমি কিচেনে যেতে নিলেই নাফিজ ভাইয়া অর্থাৎ আমার ফুফাতো ভাইয়ের এক বন্ধু এসে আমার দিকে একটি পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলে আমাকে কে যেন বাগানে ডেকেছে।
আমি পানি খেয়ে বাগানের দিকে পা বাড়াই। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে না দেখে ফিরে আসতে নিলেই আমার চোখে মুখে অন্ধকার নেমে আসে। মাথা ঝিম ধরে যায়। আমি নিজের ভর আর ধরে রাখতে না পেরে পড়ে যেতে নিলেই কেউ আমাকে ধরে ফেলে। কিন্তু কে তা আর দেখতে পারি নি আর তারপরের কিছুই আমার মনে নেই।যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে মেহরাবের কোলে আবিষ্কার করলাম
~~~~~~~~~~~~~
অনেকক্ষণ এভাবে শুয়ে থাকার পরে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ কানে এলো।
“এই প্রজাপতি,, আমি এসেছি দরজাটা খোল প্লিজ।”
দিয়া আপুর কন্ঠ পেয়ে আমি উঠে বসলাম। এই মানুষটা আমার খুব প্রিয়। আমাকে বুঝে,, খুব সুন্দর করে বুঝায়,, আর সবসময় আমার পাশে থাকে। আমি উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। দিয়া আপু ভিতরে এসে আমাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলল। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলাম আপু খাবার নিয়ে বসে আছে। আপু আমাকে খাইয়ে দিল আর আমাদের টুকটাক কথা চলতে থাকল। আমি জ্ঞান হারানোর আগের এবং পরের সব কথা আপুকে বললাম। কথাগুলো শোনার পরে আপু বলল,,
“প্রজাপতি তুই ই তো বলিস যে চোখের সামনে আমরা যা দেখি সব ঠিক না তাই না?”
~”হুম। তা তো ঠিক।”
~”তাহলে আমার কথাগুলো একটু মন দিয়ে শুন।”
~”হুম বলো আপুনি। ”
~”তুই যা দেখেছিস তা মিথ্যা না।কিন্তু তুই যা ভাবছিস তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের রিং পড়ানোর সময় তোকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা তারাতাড়ি রিং এক্সচেঞ্জ করে তোকে খুজতে থাকি।সবাই যখন তোকে খুজছিল তখন মেহরাব বাগান থেকে আসে। ও নিরিবিলি জায়গায় ওর ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে গিয়েছিল। ও যখন শুনে যে তোকে পাওয়া যাচ্ছে না তখন ও বলে বাগানে একটা মেয়েকে ঘুরে পড়ে যেতে দেখেছিল। সে যখন ধরতে গিয়েছিল তার আগেই অন্য একটা ছেলে এসে তাকে তুলে নেয়। তাই মেহরাব এর ওদিকে যায় নি। আর মেহরাব তোকে চিনত না। তাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারে নি যে সেটা তুই ছিলি। পরে তোর ছবি দেখে বলে যে সেই মেয়েটা তুই ছিলি। কিন্তু যে ছেলেটা তোকে ধরেছিল মেহরাব তার চেহারা দেখে নি।
তারপর সকলে বেড়িয়ে পড়ে তোকে খুজতে। মেহরাব ও বের হয়। ও একটা গাড়ির লুকিং গ্লাসে তোকে দেখে। তারপর সেই গাড়ির পিছু নিতে থাকে। অবশেষে এক জঙ্গলের সামনে গিয়ে তারা থামে।সেখানে বেশ কয়েকটা ছেলে ছিল যাদের দিয়ে তোকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের লিডার সেখানে ছিল না। মেহরাব কৌশলে সেখানে গিয়ে কয়েকজনকে পেছন থেকে মেরে বেহুশ করে। একজন তো ওর উপর আক্রমণ ও করেছিল যার কারণে ওর কপালে কিছুটা আর হাতের অনেকটা অংশ কেটে যায়।
আর ওই লোকটার মাথায় আঘাত করে তোকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। আর তার বদলে তুই ও কে চড় মেরে দিলি।”
আপুর কথা শুনে আমার এখন নিজের চুল নিজের ছিড়তে ইচ্ছে করছে। আমি এমন কেন করলাম। আমি আপুকে জিজ্ঞেস করলাম,,
~”এই মেহরাবটা কে?”
~”আমার খালা শাশুড়ীর ছেলে মানে আমার খালাতো দেবর।”
~”ওহ। কিন্তু এখন আমি কি করব। যে জোরে চড়টা মেরেছি আমার হাত তো এখনো জ্বলছে। আর যা রাগী চেহারা নিশ্চিত আমাকে কাচা চিবিয়ে খাবে।”
~”হুম। মেহরাব এমনি বেশ শান্ত স্বভাবের। কিন্তু যখন রেগে যায় তখনকার কথা বলার বাহিরে। আর ও এমনিতে ওই ছেলেগুলোর উপরে যথেষ্ট রেগে ছিল। যা তোর উপর ঝারতে চায়নি। কিন্তু তার উপরে তুই ও কে চড় মেরে দিলি। তোর উপর যথেষ্ট রেগে আছে। এই রাগ এতো সহজে ভাংবে না। আর ও ছেলেগুলোকে ধরে নিয়েছে। তাদের কি হাল করে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।”
আমি কাদো কাদো ফেস করে বললাম,,
“আপুনি আমি এখন কিভাবে সরি বলব উনাকে। আমার অনেক ভয় লাগছে।”
~”তা আমি কি করে জানি। তবে তোদের ভার্সিটিতেই ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। ভার্সিটিতেই নাহয় সরি বলে দিস। এখন এসব চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়।”
~”ওকে। ”
আপু রুম থেকে চলে গেল। কিন্তু আমার তো দুচোখে ঘুমই আসছে না। এতো ভালো একটা মানুষকে আমি সবার সামনে কতো খারাপভাবে অপমান করলাম। এখন কিভাবে তার রাগ ভাঙাই?
~~~~~~~~~~~
আর এদিকে মেহরাব সেই ছেলেগুলোর সামনে বসে আছে। মেরে তাদের খুব খারাপ অবস্থা করেছে। বিভৎস চেহারা করে ফেলেছে প্রত্যেকের। মেহরাব এবার হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠল,,,
“আমি জানতে চাই এসবের পেছনে কে আছে। তিতলিকে কেন উঠিয়ে এনেছিস। কে পাঠিয়েছে তোদের? আন্সার মি।”
চলবে
(আসসালামু আলাইকুম। তোমার মাঝে গল্পের সিজন টু নিয়ে চলে এলাম। সিজন ১ থেকে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে।
ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ ?)