তুমিময়_অসুখ পর্ব-২

0
5387

তুমিময়_অসুখ পর্ব-২
#লেখিকা-ইশরাত জাহান ফারিয়া

৩.
অভ্র ভাইয়ার আবোলতাবোল কথা শুনে আমি যতটা না শকড হয়েছি ততটা রাগ আমার নিজের উপর হচ্ছে।এই মুহূর্তে আমি নিজের ঘরে বসে আছি।আমি খুব সাধারণ একটা মেয়ে।পরিবারের সবার আদরের হলেও আমার নিজের স্বপ্ন আছে,বড় হবার ইচ্ছে আছে।কিন্তু আমার সেই ইচ্ছেটাকে ফ্যামিলির লোকেরা ভালোবাসা নামক অদৃশ্য শিকলে বন্দি করে বিয়ের কথাবার্তা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে, যেটা আমি কখনোই চাইনি।তাও আবার আম্মুর ভাই মানে আমার বড় মামার একমাত্র ছেলে অভ্র ভাইয়ার সাথে।যাকে আমি আমার জন্মের পরে কখনোই দেখিনি,শুধু শুনেছি তার কথা।ইনফেক্ট আমি আমার নানুকে পর্যন্ত দেখিনি কখনো, কারণ বহু বছর আগে মামা অস্ট্রেলিয়াতে স্যাটেলড হয়ে গিয়েছে পুরো ফ্যামিলি সহ।কিন্তু এতদিন পরে হঠাৎ করে কারো ফোনে আমার ছবি দেখে ওনারা আমাকে নিজের ছেলের বউ করবে বলে ডিসাইড করেছে।আমি কখনোই এতে রাজি না।

এতই কি সহজ সবকিছু?যাকে আমি চিনি না,জানি না,কখনো দেখিইনি,কথা বলিনি তাকে কিভাবে আমি বিয়ে করবো?তাছাড়া বিদেশে বড় হয়েছেন অভ্র ভাইয়া,উনি যেখানে প্রথম দেখাতেই কোনো মেয়েকে সংকোচ না করে জড়িয়ে ধর‍তে পারেন,তিনি না জানি আরও কতকিছু করতে পারেন ভেবে আমি কাল আজ সকালে আমি আম্মুকে সাফ মানা করে দিয়েছি যে,আমি এ বিয়েতে রাজি না।আমি এ বিয়ে করবো না।

আমার কথা শুনে আম্মু প্রথমে কিছু বলেনি।হয়তো আমার জায়গায় নিজেকে রেখে ভেবে দেখেছেন,তাই আমাকে বলেছিলেন যে,অভ্র ভাইয়ার সাথে কথা বলবেন।বলেছেও আমার কথা,এই কথার এফেক্টেই হয়তো অভ্র ভাইয়া আমাকে একটু আগে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

যাইহোক,আমি এসব হুমকিতে ভয় পাওয়ার মেয়ে না।আমি ইরাম!কখনোই কোনো অন্যায়কে পশ্রয় দিইনি।যেখানে আমি একবার বলেছি রাজি না,তখন আর কেউ আমাকে ফোর্স করিয়ে সেই বিয়েতে রাজি করাতে পারবেন না।আমার সৃষ্টিকর্তা আছেন।আমি উনার উপর ভরসা করি।

“ফ্ল্যাশব্যাক, কাল বিকেল!”

অভ্র ভাইয়ার লাগামহীন কথা শুনে আমি প্রচন্ড বিরক্ত এবং অবাক হলাম।এই ছেলের সহবত সম্পর্কে আমার প্রচন্ড ডাউট হচ্ছে,মামা কি কিছুই শিক্ষা দেয়নি উনাকে?আমি আর ভদ্রতা দেখাতে পারলাম না।বললাম,এই যে আপনি আমার হাত ছাড়ুন।

অভ্র ভাইয়া হাসিমুখে আমার হাতটা ছেড়ে কিছু একটা বলতে যাবে তখনই আমি বলে উঠলাম,আপনি এত বেয়াদব কেন?মেয়েদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা আপনি জানেন না?একটা অচেনা মেয়েকে তার বাসায় এসে আপনি প্রথম থেকেই কিসব উল্টাপাল্টা কাজ করে যাচ্ছেন?আপনার মাথায় কি মিনিমাম সেন্স নেই?

অভ্র ভাইয়া আমার কথা মুগ্ধ হয়ে শুনলেন যেন।দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,তোকে দেখে আমার সেন্স আমি হারিয়ে ফেলেছি ইরাম!

—“আপনার বাজে কথা বন্ধ করুন প্লিজ!”

—“আমি কোনো বাজে কথা বলছি না।বাজে কাজটা তুই করছিস!”

—-“আমি কি বাজে কাজ করলাম?”

—-“এই যে,জামাটা ছেঁড়া হওয়া স্বত্তেও তুই আমার সামনে এটা পড়েই দাঁড়িয়ে আছিস!”

আমার হুঁশ ফিরলো এতক্ষণে।তাড়াতাড়ি করে গায়ের ওড়নাটা একপ্রকার টানাটানি করে পেটের এপাশটায় এনে ছেঁড়া দিকটা ঢেকে দিলাম।রাগী ভাব নিয়ে অভ্র ভাইয়ার দিকে তাকাতেই দেখলাম,উনি বেয়াদবের মতো আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন।আমি কটমট করে উনার দিকে তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে নিজের ঘরের দিকে রওনা দিলাম!

পেছন পেছন অভ্র ভাইয়াও এলো।আমি আমার ঘরে কেউ আসুক সেটা একদমই পছন্দ করি না।তবে সেটা বাইরের মানুষদের ক্ষেত্রে।উনি আচমকা আমার ঘরে ঢুকতেই আমি একপ্রকার চিৎকার করে বললাম,আরে আরে আপনি আমার ঘরে কি করছেন?আজব!

—“আমার হবু বউয়ের রুমে ঢুকেছি তাতে তোর কি?”

“আমি কড়া গলায় বললাম,আপনি আসার পর থেকে আমার পিছু লেগে আছেন কেন বলুন তো?”

অভ্র ভাইয়া সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বললো,ড্রইংরুমে সবাই তোকে দেখার জন্য ওয়েট করছে।আমার সাথে চল এক্ষুনি।

“আমি দাঁত কেলিয়ে বললাম,আমি অপরিচিত কারোর সামনে যাই না!”

—“যাস না?লাইক সিরিয়াসলি?তাহলে আমার সামনে গেলি কেন?”

আমি অবাক হয়ে বললাম,’আমি কোথায় আপনার সামনে গেলাম?আপনিই তো ঢ্যাঙ্গার মতো অচেনা অজানা একটা মেয়ের রুমে এসে বসে আছেন।’

অভ্র ভাইয়া এবার একটু কড়া গলায় ধমকের সুরে বললেন,’তাহলে দরজা খুলে কে আমার সামনে গিয়েছিল?’

—“দেখুন, আমি ভেবেছিলাম ভাইয়া নয়তো ইলহাম এসেছে।তাই দরজা খুলতে গিয়েছিলাম।কিন্তু দরজা খুলে যে আপনার মতো একটা আপদের দেখা পাবো সেটা জানলে আমি কখনোই দরজা খুলতাম না!”

অভ্র ভাইয়া কিছু বললেন না।আমি বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। নিজের ঘরে এসেও শান্তি নেই।কি মুসিবতে পরলাম। এখন কপাল চাপড়াতে ইচ্ছে করছে।ড্রইংরুম থেকে সবার কথার আওয়াজ আসছে।আমার এখন ঘুমানোর ইচ্ছে হচ্ছে,কিন্তু একদল মেহমান বাসায় রেখে আমি যদি ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে দুনিয়ার কথা শুনতে হবে আম্মুর কাছ থেকে।

এমন সময়ই হঠাৎ আমাকে এই অভদ্র লোকটার হাত থেকে বাঁচাতেই বুঝি ভাইয়া আমার রুমে এলেন।অভ্র ভাইয়াকে দেখে একটু অবাক হয়ে বললেন,তুমি?

অভ্র ভাইয়াও ভাইয়াকে দেখে বলে উঠলেন,তুমি?এতক্ষণ কোথায় ছিলে?আমি আসার পর থেকেই তোমাকে খুঁজছি!

ভাইয়া অভ্র ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করলেন।ভাইয়া বললো,আমি ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়েছিলাম,অফিস বন্ধ তো আজ তাই।কিন্তু তোমরা যে আসবে সেটা তো ভাবতেও পারিনি।

অভ্র ভাইয়া হেসে বললেন,এতদিন পরে নিজের দেশে ফিরে আমি অনেক বেশি এক্সাইটেড।সবাইকে সারপ্রাইজড করার ইচ্ছা ছিলো আমার।

বলতে বলতে আমার দিকে তাকালো।আমি একপ্রকার রাগ,বিরক্তি নিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম,ভাইয়া প্লিজ একটু বেরুও আমার রুম থেকে।আমার একটু পার্সোনাল কাজ আছে।

অভ্র ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।চুলগুলোতে হাত বুলিয়ে ভাইয়াকে বললেন,আচ্ছা!আমরা তাহলে যাই?ইরাম তুই আয় তাড়াতাড়ি, সবাই তোর জন্য ওয়েট করছে।

ভাইয়াও আমাকে বললেন,আচ্ছা যাচ্ছি বুড়ি।

৪.

ভাইয়ারা চলে যাওয়ার পর আমি দরজা লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম বিরক্ত ভঙ্গিতে।এই মুহূর্তে রাগে আমার নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে,কিন্তু আপাতত এই ইচ্ছা পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না।তাই ছেঁড়া জামাটা পাল্টে একটা ভালো জামা পড়ে ওড়না দিয়ে মাথাসহ পুরো শরীর ঢেকে নিলাম।আরও কিছুক্ষণ বিরক্ত হয়ে বসে থেকে দরজা খুলে রান্নাঘরে গেলাম।আম্মু নানা রকম নাস্তা সাজাচ্ছেন ট্রে’তে।আমাকে দেখে একটু হেসে বললেন,’নে!তুই এটা নিয়ে যা।’

—“মানে?”

—“মানে মানে করছিস কেন?বাসায় তোর মামারা এসেছে, নানু এসেছে এতবছর পর।আর তুই আমার মেয়ে হয়ে ওদের সামনে নাস্তা নিয়ে যেতে পারবি না?”

—“আমি ওসব বলিনি আম্মু।কিন্তু তুমি যেভাবে বলছো আমার মনে হচ্ছে আমি পাত্রী।আমাকে সবাইকে খাবার সার্ভ করে দিতে হবে।আমার নিজেকে কেমন কেমন মনে হচ্ছে!”

—“তুই নিজেকে কি কাজের মেয়ে ভাবতে চাচ্ছিস?অবশ্য আমার তাতে কোনো সমস্যা নেই।যে মেয়ে মায়ের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে না,সেই মেয়েকে আমি সবার সামনে কাজের মেয়ে হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দেবো।”

আমি আম্মুর কথায় অবাক হয়ে বললাম,’আমি তোমার কোনো কথা কি অমান্য করেছি?আমি শুধু মাঝেমধ্যে কাজে ফাঁকি দিই,সেটা তো তুমিও জানো।’

আম্মু আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,’আচ্ছা এখানে কথা না বলে সবাইকে তুই খাবারগুলো দিয়ে আসতে পারবি কি না বল!

—“যাচ্ছি আমি!”

“ট্রে’তে করে বিভিন্ন নাস্তা নিয়ে একহাত ঘোমটা টেনে ধীরপায়ে হেঁটে গেলাম ড্রইংরুমে।ধুকপুকুনি বাড়ছিলো হাঁটার সাথে সাথে।ড্রইংরুমে যাবার পর সবাই অবাক হয়ে আমাকে দেখলো,পাশ থেকে একটা ফর্সা মহিলা আমার হাত থেকে ট্রে নিয়ে রাখলো।আমাকে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো,’তুমি ইরাম?’

আমি মাথা নাড়লাম।সবাই আমাকে দেখে একপ্রকার খুশিই হলো।বয়স্ক মহিলা মানে আমার নিজের নানু আমাকে জিজ্ঞেস করলো,’কেমন আছিস বাবুনিটা?’

আমি উঠে গিয়ে নানুকে সালাম করলাম।বললাম,’ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?এতো বছর পর তুমি তোমার বাবুনিটাকে দেখতে এলে?’

নানু হেসে বললো,’এখন তো এসে পড়েছি তাই না? তুই আমার সাথে সাথেই থাকিস।’

তারপর মামানির সাথে কথা বললাম।অনেক হাসিঠাট্টা করা হলো।অতঃপর মামানি বলে উঠলো,’মিষ্টিটাকে সবার পছন্দ হয়েছে তো?’

ঘরের ভেতর থাকা একদল লোক হইহই করে বললো,’খুব হয়েছে।’

আমি লজ্জ্বা পেলাম।সাথে সাথে আবারও একরাশ ভয় আর বিরক্তি আমায় গ্রাস করলো।আমি সেখান থেকে চলে এলাম।

ঘরে এসে আমার প্রচুর গরম লাগছিলো।দম বন্ধকর পরিস্থিতি।তাই আমি শাওয়ার নেওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম ওয়াশরুমের দিকে।দীর্ঘ একঘন্টা পরে যখন ওয়াশরুম থেকে বেরুলাম,তখন আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো।আমার ঘরের সোফায় পায়ের উপর পা তুলে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছেন অভ্র ভাইয়া।মনোযোগ ল্যাপটপের দিকে,ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দ কানে আসতেই মাথা উঁচিয়ে ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকালেন।

—“ভেজা চুলে তোকে দারুণ লাগছে ইরাম।আর ওড়না ছাড়া তো সে..”

উনার কথা পুরোটা শোনার অপেক্ষা না করে আমি ওয়াশরুমের ভেতর ঢুকে দরজা আটকে দিলাম।ছিঃ ছিঃ!নাউজুবিল্লাহ মার্কা কাজ করেছি আমি।কিভাবে ওড়না না নিয়ে আমি ওয়াশরুমের এসেছিলাম ফ্রেশ হতে?ছিহ।কিন্তু এখন এসব ভাবলে চলবে না,আমাকে তো এখান থেকে বেরুতে হবে।আর এই উল্লুকটা এখনো কি এখানে বসে আছে নাকি?

আমি একটু উনি আছে কিনা জানার জন্য বললাম,’ঘরে কি কেউ আছেন?’

হাওয়ার বেগে অভ্র ভাইয়ার উত্তর এলো,’আছি।’

আমি যেন মিইয়ে গেলাম।কি করা যায় ভাবতেই লজ্জ্বা শরম দূরে রেখে আমি বললাম,’ভাইয়া!’

—“হুম!”

—“একটা হেল্প করতে পারবেন?”

অভ্র ভাইয়া গম্ভীর গলায় বললো,’বলতে পারিস!’

—“আমার ওড়নাটা প্লিজ একটু দিবেন!আমি রুমে আসতে পারছি না!”

অভ্র ভাইয়া মনে হয় একটু রেগে গিয়েছেন।উনি আমার কথা শুনে গম্ভীর গলায় বললেন,’আমি চলে যাচ্ছি।নিজেই নিজের ওড়না নিয়ে নে।এতো অবিশ্বাস নিয়ে তোকে আমার সামনে আসতে হবে না।আমি বেরিয়ে যাচ্ছি!’

আমি মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।ওয়াশরুমের দরজা খুলে বাইরে বেরুতে যেয়েই ঘটলো বিপত্তি।দরজার চৌকাঠে উষ্ঠা খেয়ে একেবারে অভ্র ভাইয়ার সামনে গিয়ে পড়লাম।অভ্র ভাইয়া তখন আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো।আমাকে হঠাৎ ওনার সামনে উষ্ঠা খেয়ে পড়তে দেখে তিনি হতভম্ব!

?মুমিনদেরকে বলুন, তাঁরা যেন তাঁদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাঁদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।

(সূরা আন নূর-আয়াত ৩০)

চলবে….ইনশাআল্লাহ!

আজকাল যেটা ট্রেন্ড সেটাই মানুষ বেশি উপভোগ করছে।((একজন বলেছেন,আমরা দিনদিন এইসব গল্প লিখে ছেলেদের অসভ্য প্রুফ করছি আর মেয়েদেরকে ছেলেদের হাতের পুতুল বানিয়ে দিচ্ছি।আচ্ছা,আমি কি প্রথম পর্বে এইরকম কোনোকিছু লিখেছি যে,মেয়েটিকে ছেলেটির হাতের পুতুল মনে হয়েছে?বা,অত্যাচার করেছি?))((আবার এটাও বলেছেন যে,মেয়েদের মতামতের কি কোনো গুরুত্ব নেই?,আমি কি প্রথম পর্বে মেয়েটির মতামতের বিষয় সম্পর্কে কিছু লিখেছি?))প্রথম পর্ব সবাই-ই চায় একটু অন্যরকম হোক,একটু ধামাকা টাইপ কিছু থাকুক,আমিও সেভাবেই লিখার চেষ্টা করেছি।মাত্র গল্পটা শুরু করেছি,এটলিস্ট কয়েকটা পর্ব পড়ে যদি এই মন্তব্য করতেন তাহলে আমি হয়তো অন্যকিছু করার ট্রাই করতাম।যেখানে গল্পই শুরু হয়নি,সেখানে আমাকে এ্যাটেনশন সিকার বলা হলো।আমি গল্প লিখতে চাই,কিন্তু খারাপভাবে নয়।আমিও খারাপকিছু লিখতে চাইনা।আপনাদের কথা ভাবলাম,নিজেকে সত্যিই এ্যাটেনশন সিকার মনে হয়েছে আমার।ভুল কিছু বললে মাফ করবেন।আর এভাবেই গল্পের ভুলত্রুটি ধরে আমাকে শুধরে দিবেন ইনশাআল্লাহ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here