তোর উঠানে বিকাল ছায়া?,চতুর্থ খন্ড
লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
নির্ঝর কে খুব কষ্টে ব্যালেন্স করে নিঃশব্দে খুব কেয়ারফুলি ঘরে নিয়ে আসে।
নির্ঝর সমানে বির বির করতে আছে ছায়া এসে দরজা টা বন্ধ করে শান্তির নিশ্বাস নেয়।
এদিকে নির্ঝর ছায়াকে হাত ধরে টেনে নির্ঝর এর বুকের উপর ফেলে,
ছায়া থতমত খেয়ে যায়।
ছায়া উঠে আসতে চাইলে নির্ঝর চেপে ধরে ছায়ার কোমড়।
–কি সমস্যা?
–কোথায় সমস্যা (মাতাল কন্ঠে)
–ছাড়ুন আমাকে লেবু পানি এনে দিচ্ছি।
–না দিবা না তোমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাবো ছায়া।
–কেন?
–তুমি খুব মিষ্টি ছায়া।
–না আমি মিষ্টি না ছাড়ুন৷
–তুমি আমার চকলেট ছায়া তোমায় খেয়ে ফেলি।
–হুম
–জি হুম তুমি জানো আমি তোমার কতো খেয়াল রাখি।
–হুম জানি ঠিক কতোটা খেয়াল রাখেন এবার ছাড়ুন৷
–ছায়া।
–হুম৷
–আকাশে বিরাট এক চাঁদ যাকে বলে সুপার মুন৷
লাল বর্ন ধারন করেছে।
এই লাল বর্ন যেন কনো রক্তে মাখা।
মাটির এক রাস্তা দিয়ে তুমি হাটছো।
রাস্তা টা ভিশন ভয়ের এবং বিশন পেছল।
একটু অসাবধানে কারনে তুমি মাটির নিচে হাজার ফুট গভীরে চলে যেতে পারো।
–কেন?
–কারন কেউ তোমার জন্য ফাঁদ রেখেছে।
–আচ্ছা তার পর,
–সে ফাঁদ থেকে তোমায় বাঁচানোর জন্য আমি তোমার সঙ্গে যেই না হলাম হলো এক নতুন সমস্যা।
যারা আমার শত্রু ওরা ঘিরে ধরলো তোমায়।
আমি সত্যি অসহায় এর মতো তোমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেলাম।
–নির্ঝর কি বলতে চাইছেন।
–ছায়া তুমি আমার জ জীবন,
ভা……
কিছুটা সময় চুপচাপ থাকার পর ছায়া মাথা উঠালো নির্ঝর ঘুম।
ছায়া বুঝতে পারল না নির্ঝর কি বলতে চাইছিল।
ছায়া নির্ঝর এর বুক থেকে সাবধানে উঠতে যাবে তখনি নির্ঝর ছায়াকে আবার চেপে ধরলো,
–চকলেট কই যাও তুমি আমার মিষ্টি চকলেট ইচ্ছে হয় খেয়ে ফেলি।
–ছাড়ুন।
–না।
–এই সত্যি আপনার নেশা হয়েছে তো নাকি।
–না।
–কি!
–হ্যাঁ চুপ থাকো ঘুমাবো।
কথাটা বলে ছায়াকে টেনে নির্ঝর এর বুকে নিয়ে নির্ঝর শুয়ে পরে।
–আরে ছাড়ুন।
–না।
ছায়া উপায় না পেয়ে চোখ বুজে নেয়,
রাত ১ঃ২০
নির্ঝর ছায়ার ঠোঁট দুটো ধরে রাবারে মতো টেনে টেনে খেলা করছে।
ছায়া ঘভির ঘুম থেকে উঠে নির্ঝর এর হাত সরায়।
–ধুর ঘুমাচ্ছি তো।
–সহ্য হচ্ছে না তো।
–কি?
–তোমার ঘুম।
–নির্ঝর প্লিজ। ছাড়ুন আমি অন্য জাগায় সরে ঘুমাই।
–না এখানেই ঘুমাও আর কিছু করছি না।
–সত্যি ।
–হুম।
রাত ১ঃ৪০
ছায়া আবার ঘুম৷
নির্ঝর এবার ছায়ার নাক ধরে টানাটানি করছে।
এবার ছায়া ঘুম ঘুম চোখে অসহায় হয়ে তাকিয়ে বলল,
–ঘুমাচ্ছি ত।
–না ঘুমিও না।
ছায়া এবার উঠতে নিলে নির্ঝর আবার ছায়াকে চেপে ধরলো।
–নির্ঝর।
–ছায়া প্লিজ আর করবো না।
ছায়া আবার ঘুমিয়ে গেল।
এবার নির্ঝর ও ঘুমিয়ে গেল।
সকালে,
নির্ঝর ঘুম থেকে উঠে ছায়াকে নিজের বুকে আবিষ্কার করে।
মাথাটা তার ভিশন ভার।
সে উঠে ছায়াকে দেখে
মায়াবতী ঘুমিয়ে আছে কিন্তু ও এখানে আসলো কি করে।
নির্ঝর চুপচাপ উঠে সাওয়ার নিতে চলে যায়।
নির্ঝর এর যাবার কিছু সময় পর ছায়া ঘুম থেকে উঠে যায়।
কাল সারা রাত নির্ঝর ছায়াকে নিয়ে খুঁটাখুঁটি করেছে।
ছায়া বিরক্ত। তাও চুপচাপ সহ্য করেছে।
ছায়ার নির্ঝর এর এসব কাজ গুলো বিরক্ত লাগলেও বেশ মজা নেয় ছায়া।
কারনটা ছায়া নিজেও জানে না।
নির্ঝর সাওয়ার থেকে বের হতে ছায়া নির্ঝর এর দিকে তাকায়।
ভেজা চুল থেকে পানির বিন্দু কনা বেয়ে পরছে।
ফর্সা মুখটা লাল লাল হয়ে আছে।
অপরুপ সুন্দর দেখাচ্ছে তার স্বামী কে।
কিন্তু পর মুহূর্তে নির্ঝর এর কথা গুলো মনে পরতে ছায়া নিজেকে সামলে ওয়াসরুমে চলে যায়।
,
,
,
খাবার টেবিলে সবাই মিলে খাবার খাচ্ছে।
নির্ঝর এর পুরো পরিবার আছে এক সাথে।
তমা আর ছায়া সার্ভ করছে,
–এই ছায়া বস তুই আমি সার্ভ করছি।
–না এক সাথেই করি তার পর বসছি।
–আরে না না তুই বস।
–না ছায়াও সার্ভ করুক তমা (নির্ঝর)
–কেন ভাইয় আমি ত করছি।
–না আপনি করছেন ওকেও সাথে রাখুন সমস্যা নেই।
তমার মুখে কিছুটা রাগি ভাব প্রকাশ পেলেও তা প্রকাশ করলো না।
সবাইকে খাবার পরিবেশন করে ছায়া আর তমা খেতে বসলো।
ছায়া খাবার শেষ করছে ধিরে ধিরে।
আবির এর খাবার শেষ হতে শেষ রুটিটা আবির খেতে চেয়ে তার প্লেটে নিয়ে নেয়।
আবিরের পাশে তমা বসে ছিল।
আবির রুটিটা মুখে তোলার আগে তমা সবার সামনে থেকে রুটিটা চেলে ফেলে দেয়।
ঘটনাচক্রে সবাই বিস্মিত চেহারা নিয়ে তমার দিকে তাকায়।
–কি করলে এটা তমা৷
–আবির ওতে না টিকটিকি পরেছিল।
(থতমত খেয়ে)
–না তমা আমাদের বাসায় এগুলা নেই (নির্ঝর খেতে খেতে বলল)
–না ভাইয়া আমি দেখেছি।
–কিন্তু আমি,
–ব্যাস নির্ঝর বাদ দেও হয়ত সত্যি ছিল।
(নায়লা বেগম নির্ঝর এর মা)
–আচ্ছা।
নির্ঝর খাবার শেষ করে উঠতে উঠতে বলল,
–ছায়া ৫ মিনিটে রুমে এসো।
ছায়া কিছুটা অবাক হলো নির্ঝর এর কথা শুনে
তার পর সবার দিকে তাকিয়ে উঠে গেল।
–কি আজব আমি এনাকে কখনো বুঝতে পারব না নাকি।
ছায়া রুমে এসে নির্ঝর এর দিকে নির্ঝর এর ঘড়ি এগিয়ে দেয়,
–কিছু বলবেন,
–আমি বাসা থেকে কাজে যাচ্ছি।
–হুম ত।
–ত তুমি তমা বা মায়ের দেওয়া কিছু মুখে দিবে না।
–মানে।
–মানে মা বা তমা কিছু খেতে দলে সেটা খাবে না আমার কথার অবাধ্য হবার চেষ্টা করবে না তোমার উপর ২৪ ঘন্টা প্রতিটা কাজের উপর নজর আছে আমার।
সো ওরা কিছু দিলে যদি খেয়েছো মনে রেখো রাতে তোমার উপর কেয়ামত এনে দিবো।
নির্ঝর এর চোখের দিকে তাকিয়ে ছায়া শুকনো ডোক নিয়ে বলে,
–ঠ ঠিক আ আছে
–হুম গুড আর হ্যাঁ,
–কি!
–সাবধানে থেকো।
কথাটা বলে নির্ঝর ছায়ার কপালে একটা চুমি দিলো।
ছায়া ত থ।
–দুপুরে আমি না আসা পর্যন্ত খাবার খাবে না।
বুঝেছো।
–হুম।
–হুম টাটা।
নির্ঝর বেরিয়ে গেল।
ছায়া মৃদু হেসে দিলো।
চলবে