তোর উঠানে বিকাল ছায়া?,১৯তম খন্ড,২০তম খন্ড

0
2781

তোর উঠানে বিকাল ছায়া?,১৯তম খন্ড,২০তম খন্ড
লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
১৯তম খন্ড

রুহি খাবার নিয়ে ছায়ার রুমে প্রবেশ করতে হটাৎ একটা ঠান্ডা হাওয়া ফিল করে।
রুহি কিছুটা সিউরে ওঠে।
তার পর দেখতে পায় জানাটা খোলা বাইরে বৃষ্টি শুরু হবে।
বাইরে মেঘ করেছে ভিশন।
রুহি গিয়ে জানালা লাগিয়ে দেয়।
–ছায়া ওঠ।
ছায়া চোখ মৃদু করে খোলে।
–উঠে পর বাবুর আম্মু,
রুহির মুখে বাবুর আম্মু শুনে ছায়া রুহির দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকায়,
রুহি তা দেখে চোখের পানি আড়াল করে বলে,
–আরে দেখিস তুই আমার বাবার মধ্যে ভাইয়াকে পেয়ে যাবি।
–তুই কি করে জানলি বাবা হবে?
–হবে দেখিস ওঠ খেয়ে নে তোকে খাইয়ে আন্টিকে খাওয়াতে যাবো।
–তোর কষ্ট হচ্ছে না।
–আমার তুই ছাড়া কে আছে বল।
–তুই বেস্ট রুহি।
–আমার কাছেও তুই বেস্ট নে খেয়ে নে।
রুহি ছায়াকে খাইয়ে দিলো।
ছায়ার খাবার শেষে রুহি নয়লা বেগমের কাছে গেল।
ছায়া পেটে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করলো,
ফিল হচ্ছে ছায়ার।
–জানিস তোর বাবা চাইত না তুই এতো জলদি দুনিয়াতে আয়।
সব সময় আমায় বলত আমি মেডিকেল এ চান্স পাবার পর আমাকে তোর মতো একটা বাবু দিবে।
আমি কখনো ভাবি নি তুই আসবি আমার কাছে কিন্তু তখন তোর বাবা থাকবে না।
কখনো ভাবি নি।
কেন এমন হলো রে বলনা।
তোর বাবাকে এনে দে না বাবু।
আমি যে ওকে ছাড়া এজ মুহুর্ত কাটাতে পারছি না তোর বাবকি বুঝতে পারছে না বাবু।
ছায়া চোখ বন্ধ করে চোখের পানি ফেলছে আর বাইরে থেকে কেউ বুকে পাথর দিয়ে ছায়ার কষ্ট ফিল করছে।
কষ্ট হচ্ছে ভিশন কষ্ট।
যা কল্পনার বাইরে।
,,
,
,
নয়লা বেগম কে খাবার দিয়ে রুহি বাইরে এলো।
দেখতে পেল আবির ঢুলছে।
সে কন্ট্রোলে নাই পড়ে যাবে যাবে।
রুহি দৌড়ে গিয়ে আবিরকে ধরে বসে,
রুহি আবির কে ধরে বুঝতে পারে আবির ড্রিক করেছে।
এই ভরদুপুরে আবির ড্রিক করেছে।
রুহি ভেবেই আবির কে ঘরে নিয়ে আসে।
এতো দিন রুহি এ বাড়িতে আছে রুহি এক দিন ও আবির কে ড্রিক করতে দেখে নি।
রুি আবির কে শুইয়ে দিয়ে পায়ের জুতা খুলে দিলো।
আবির কি সব বিরবির করছে।
রুহি আবিরের হাত থেকে ঘড়িটা খুলে রাখলো।
আবিরের টাই টা খুলতে আবির রুহির হাত ধরে তাকে নিজের বুকের উপর ফেলল,
রুহি হটাৎ এমন কাজে হতভাগ হয়ে গেল।
–কি করছেন ভাইয়া।
–ভালোবাসা দিবি আমায়।
একটু ভালোবাসা দে না রে।
আমার না ভিশন কষ্ট হয় এভাবে জীবন কাটাতে।
কারোর থেকে ভালোবাসা পাই না আমি।
পেতাম এক জনের থেকে সে নেই আর যাকে সব দিয়ে ভালোবেসেছি সে ধোঁকা দিলো।
দিবি আমায় একটু ভালোবাসা।
(মাতাল কন্ঠে কথা গুলো বলছে আবির)
আবির রুহির ভিশন কাছে রুহি আবিরের হৃৎস্পন্দনের গতি বুঝতে পারছে।
আবিরের নিশ্বাস আর রুহির নিশ্বাস মিলিত হয়ে যাচ্ছে।
রুহি উঠতে গেলে আবির রুহিকে আরো করে জড়িয়ে ধরে।
রুহি বুঝতে পারছে না কি করবে।
আবির রুহির হাত ধরে আছে।
কিছু সময় এভাবে থাকার পর আবির নিদ্রায় চলে গেল।
আস্তে রুহির হাতটা ছেড়ে দিলো।
রুহি আবিরের গায়ে চাদর টেনে দিয়ে বাইরে চলে এলো।
কিন্তু বাইরে থেকে কেউ এই দৃশ্য দেখেছিল।
সে আর কেউ নয় নয়লা বেগম।
ঘরে গিয়ে নয়লা বেগম ভাবতে থাকে রুহিকে আবিরের বউ হিসাবে এই বাড়িতে রেখে দিলে আবিরের কষ্ট টা মোচন হবে।
কিন্তু এই বিষয়ে রুহির মতামত প্রয়োজন।
নয়লা বেগম কিছু সময় ভেবে কাউকে ফোন করে,
–হ্যালো।
–জি ম্যাম বলুন।
–আমার একটা লাল শাড়ি লাগবে।
আর একটা লাল ওড়না।।
–ম্যাম বিয়ের জন্য।
–কিছুটা সেরকম কিন্তু এ কথা যেন বাইরে না যায়৷
তোমার লোককে বলব এসে আমার হাতে জিনিস টা দিতে।
–জি ম্যাম।
নয়লা বেগম ফোনটা রেখে দেয়।
,
,
রুহি ছায়ার মাথা টিপে দিচ্ছে।
–জানিস রুহি তোর ভাইয়ার মাথা এভাবে চেপে দিতাম আমি।
–হুম জানি তোদের ভালোবাসার গভীরতা কল্পনার বাইরে।
ছায়া মৃদু হাসলো।
কিন্তু মুহুর্তে নির্ঝর এর কথা মনে হতে মৃদু হাসি টুকু গায়েব হয়ে গেল।
–ঘুমা ছায়া।
–কতো ঘুমিয়ে রাখবি আমায়।
–এই কষ্টের শেষ এক মাত্র ঘুমে।
তাই ত ঘুমিয়ে রাখতে চাই৷।
–রুহি আমায় একটু বাইরে নিয়ে যাবি।
–তুই পারবি না যেতে কাল একটা উইল চেয়ারের ব্যাবস্থা করব তার পর যাস।
–আচ্ছা।
ছায়া চোখ বন্ধ করে তখন হটাৎ ঘরে নয়লা বেগম আসে,
–আন্টি আপনি।
–হ্যাঁ কিছু কথা ছিল।
ছায়া একটু উঠে বস মা।
নয়লা বেগম ছায়াকে ধরে বিছনার সাথে হেলান দিয়ে শুইয়ে দেয়।
–আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
–কি সিদ্ধান্ত মা।
–রুহির সাথে আবিরের বিয়ে দিবো।
কথাটা শুনতে রুহির চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল।
হৃদয়ের স্পন্দন দ্বিগুণ গতিতে বেড়ে যেতে লাগলো।
–কিন্তু মা রুহি কি,
–সেটাই শুনবার জন্য এখানে আসা।
তুই কি আমার ছেলের বউ হবি রুহি৷।
হাতে একটা থালায় একটা লাল শাড়ি আর ওড়না নিয়ে কথাটা বলল নয়লা বেগম।
–কিন্তু আন্টি উনি কি রাজি?
–হুম রাজি।
আজকেই তোদের কলমা করে রাখবো আমি।
আর দেরি করতে চাই না।
বাইরে থেকে মানুষ তোকে অনেক কথা শুনায় তোদের বিয়েটা হয়ে গেলে কেউ আর কথা শুনানোর সাহস পাবে না।
নয়লা বেগমের কথায় রুহির চোখের কনে পানি চিকচিক করতে লাগলো।
এই পরিবার থেকে যে রুহি এতো কিছু পাবে তা কখনো কল্পনা করে নি রুহি।
বিকাল বেলা,
কাজি ডেকে বিয়েটা পড়ানো হয়ে যায়।
সব সুন্দর ভাবে পরিপূর্ণ হয়৷
আবিরের মত ছিল বিয়েতে ।
না থেকেও উপায় নেই রুহির কথা ভাবতে গেলে তাকে বিয়েটা করতে হয়।
,
রাতে,
ছায়াকে খাইয়ে দিয়ে বিছনা ঠিক করতে গেলে রুহির হাত ধরে বসে ছায়া।
–কি হয়েছে?
–কিছু না তুই ভাইয়ার রুমে যা।
–আরে না। তুই যে কি বলিস তোকে এভাবে রেখে।
–না সমস্যা নেই আমি ঠিক আছি মা ওকে নিয়ে ভাইয়ার রুমে দিয়ে আসুন।
–আন্টি,
–এই আন্টি কি মা বল এখন থেকে।
রুহি কিছুটা লজ্জা মখা কন্ঠে মা ডাকে নয়লা বেগম কে।
নয়লা বেগম রুহির পাশে এসে বলে,
–চল আমি ছায়ার পাশের রুমেই থাকব সমস্যা হবে না আয়।
নয়লা বেগম রুহিকে আবিরের রুমে বসিয়ে দিয়ে আসে।
ছায়াকে শুইয়ে নিজের রুমে চলে যায়।
রাত ১২ টা,
আবির রুমে এসে বিছনার মাঝে নববধূ সাজে রুহিকে দেখতে পায়৷
আবির রুহি দুজনের হৃৎস্পন্দনের গতি প্রবাহ বেড়েছে।
আবির ধিরে রুহির দিকপ এগিয়ে গিয়ে রুহির পাশে বসে।
হালজা ডিম লাইটের আলোতে রুহির চেহারাটা দেখে।
মেয়েটা বেশ ফর্সা কিন্তু অত্যাধিক নয়।
গোলগাল মুখটা তার৷
মায়াবী চোখ।
রুহির হাতটা ধরে হাতে আংটি পরিয়ে দেয়।
রুহিও কিছু বলতে পারে না।
আবির ও না,
,
এদিকে,
ঘুমের মাঝে হটাৎ ভিশন শীত অনুভব হচ্ছিল ছায়ার।
কাথাটা আরো টেনে নেয়৷
পাশ ফিরে হাতের কাছে যা পায় তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায় ছায়া।
ছায়াকে এভাবে নিজের সাথে জড়ানো দেখে লোকটা হেসে বসে,
–আজ নয় কাল যে মা হবে সে এখানো বাচ্চাটি রয়ে গেল।
ছায়ার কপালে আলতো চুমু দিয়ে ছায়াকে জড়িয়ে নেয়।
,
এদিকে,
আবির চুপচাপ রুহির হাতটা ধরে বসে আছে।
কিছু বলবে বলবে করে অনেকটা সময় কেটে যায়,

চলবে,

তোর উঠানে বিকাল ছায়া?
২০তম খন্ড
লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা

–রুহি!
অনেকটা নিরাবতা কাটানোর পর আবির রুহির নামটা ধরে ডাকলো।
রুহি মুখটা আবিরের দিকে করে তাকালো শান্ত দৃষ্টিতে।
আবির রুহিকে তাকাতে দেখে শান্ত গলায় রুহির চোখে চোখ রেখে বলল,
–কখনো ছেড়ে যেও না।
যদি কখনো চলে যাও সে দিন হয়ত আবির নামের এই মানুষ টা এই পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিয়ে চিরতরে অন্য দেশ পাড়ি দিবে।
আবিরের কথা শুনে রুহির বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো।
আবিরের হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে বলল,
–কখনো না এমন হবে না আমি যাবো না কখনো ছেড়ে।
–ভালোবাসতে পারবা আমায়?
–খুব পারব।
অনেক বেশি পারব।
মেয়েটার কন্ঠ আটকে আসছে।
বার বার।
ভিশন কষ্ট হচ্ছে কথা বলতে
আবির বুঝতে পেরে রুহিকে জড়িয়ে নেয়।
আবিরের মনে হচ্ছে একটা সঠিক মানুষের হাত ধরেছে সে।
এ হাত হয়ত তাকে জীবনের সমস্ত সমস্যার মধ্যে টিকিয়ে রাখবে।
বাঁচিয়ে রাখবে সবার মাঝে।
প্রবন্ধ হবে জীবন।
,
,
ঘুমের মাঝেই মনে হচ্ছে একটা জোড়া ঠান্ডা হাত খুব ভাবে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে রুহিকে।
রুহির খুবই ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।
ঘুমের মাঝেই লোকটার আরও কাছে এবং বুকের আরো মাঝে চলে যায় রুহি।
লোজটার শরীরের ঘ্রাণ টা রুহিকে একটা শান্তির ঘুম উপহার দিচ্ছে।
এলোমেলো চুল গুলো মুখের উপর থেকে সরিয়ে দিলো রুহির।
–পাগলি মেয়ে একটা।
লোকটা রুহিকে ভলো করে চাদরের নিচে নিয়ে এলো।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে তাই জেয়েটার শীত করছে
তাই লোকটা এসি টা বন্ধ করে দিলো।
এতেই রুহির শান্তি।
চুপচাপ ঘুমিয়ে রইলো কারোর হৃদমাঝারে।
,
,
বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার সাথে ভালোবাসা গুলো বেশ গভীরতা তৈরি করছে।
বৃষ্টি কে ভালোবাসার প্রতিক বলা উচিত।
করন বৃষ্টি জানান দেয় প্রিয় মানুষ টা তোমার কতো বেশি প্রিয়।
বৃষ্টির দিনে ভালোবাসার অভাব হয় না।
বৃষ্টিতে ভিজে ভালোবাসার প্রকাশ করা সম্ভব।
মোট কথা বৃষ্টির দিনে ভালোবাসা হয় গভীর।
,
রাত কেটে সকাল হলো
সূর্য চোখের উপর পরতে রুহি নিজেকে আবিরের বুকের মাঝে আবিষ্কার করে।
মুখ তুলে মিচকি হাসি দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়।
গোসল করে বেরিয়ে দেখে আবির উঠে গেছে,
–আপনি এতো জলদি উঠে গেছেন।
–হুম নামাজ পড়বো।
–ওহ ঠিক আছে
আবির ফ্রেশ হয়ে আসে দু’জন এক সাথে নামাজ পড়ে নেয়।
–আমি খাবার তৈরি করতে যাই ছায়াকে দেখে আসি।
ও ত সারা রাত একা ছিল।
–আচ্ছা।
আমিও অফিস যাবো।
–ঠিক আছে আমি সব গুছিয়ে দিয়ে যাচ্ছি
রুহি সব গুছিয়ে দিয়ে বাইরে গেল।
রুহির যাবার দিকে আবির চেয়ে চুপ করে রইলো।
এমন করে তার জন্য কেউ কখনো সব ঠিক করে নি।
তমার থেকে আবির কখনো কিছু আসা করে নি।
সত্যি একটা খুব ভুল মানুষ কে ভালোবেসেছিল আবির।
,
রুহি খাবার রান্না করে টেবিলে রাখতে বলল সার্ভেন্ট দের।
তার পর ছায়ার খাবার নিয়ে উপরে এলো।
ছায়া কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে।
রুহি গিয়ে ছায়াকে ডাক দিলো,
–ছায়া এই ছায়া।
–হু।
–উঠ বাবু খাবার খাবি ত
ছায়া আস্তে উঠতে চাইলে পেটে ব্যাথা অনুভব করলো।
–কিরে সমস্যা হচ্ছে।
–না চিন্তা করিস না একটু ব্যাথা আরকি।
–ওহ

রুহি ছায়াকে ধরে খাটের সাথে শুইয়ে দেয়।
তার পর বিছনায় পানি এবং পেস্ট এনে দেয় ছায়া ফ্রেশ হলে রুহি খাইয়ে দেয় ছায়াকে।
ছায়া খেয়ে নেয়।
খাবার শেষে রুহি নিচে চলে আসে।
আবির আর নয়লা বেগম কে খেতে দেয়।
আবির অফিসে গেলে রুহি ছায়ার কাছে চলে আসে।
–কিরে ব্যাথা আছে
–ব্যাথা ত আছে কি করব বলত কষ্ট হয় ভিশন।
–একটু সহ্য কর সব ঠিক হয়ে যাবে।
ছায়া চোখ বন্ধ করে আছে।
রুহি ছায়ার পায়ে ম্যাসাজ করে দিচ্ছে ছায়ার পায়ে পানির মতো নেমেছে।।
বেশ খানিকটা ফুলে গেছে।
–ছায়া তুই রাতে এসি বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলি।
–কই নাতো।
–না আমি ত চালিয়ে দিয়ে গেছিলাম তাহলে বন্ধ কে করলো।
–মনে নেই রাতে শীত করছিল মনে হলো তার পর পাশে যা পেলাম তাই জড়িয়ে নিলাম তার পর মনে নেই।
–ও হয়ত ঘুমের ঘের করেছিল।
সমস্যা নেই।
–রুহি একটা না কথা ছিল।
–বল,
–আমার না মনে হয় রাতে কেউ আমার রুমে আসে।
–কি যে বলিস চৌধুরী বাড়িতে কারোর ঢোকা সাহস আছে।
–রুহি সত্যি বলছি আমি না ওনাকে ফিল করি।
ওনার শরীরের সেই ঘ্রাণ টা।
–খুব বেশি ভালোবাসিস তাই তার অস্তিত্ব তোর সাথে মিশে আছে।
–নারে আমার মনে হয় সত্যি উনি আছে আমার কাছে এক দিন আসবে দেখিস।
রুহি মৃদু হেসে বলে,
–হুম আসবে সে ত তোর কাছেই আছে।
কোথাও যায় নি।
ছায়া চোখ বুঁজে নেয়।
চারিদিকে নির্ঝর কে ফিল করে ছায়া।
সত্যি নির্ঝর ছায়ার শরীরের ঘ্রাণ টুকুতেও মিশে আছে।
ছায়া যে নির্ঝর এর গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুরে,
বিকাল ছায়ার মতো।
ছায়া হলো নির্ঝর এর প্রশান্তি।
,
,
,
সাদা সার্ট আর ব্লু জিন্স পরে কেউ বের হলো একটা বাড়ি থেকে।
পেছনে অনেক গুলো গার্ড।
চোখে সানগ্লাস পরে সামনের দিকে হাঁটছে।
ছেলেটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে বেশ রেগে আছে।
ছেলেটা গাড়িতে করে সোজা একটা পরিত্যক্ত বাড়িতে,
সেখানে কিছু গার্ড মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,
–ও পালালো কি করে।
ছেলেটার কথা শুনে সবাই মাথা নিচু করে আছে
–কি হলো কথার উত্তর নেই কেন ও পালালো কি করে (চিল্লিয়ে)
–স্যার আসলে জানি না কি করে কি হলো।
–জানো না মানে কি আমি যে জন্য আত্ম গোপন করে আছি সেই আদনানকে পালাগে দিলে কি করে বলো আমায়
বিকট এক চিৎকার দিয়ে কথাটা বলল আদনান।।
সবাই মাথা নিচু করে আছে,
–স্যার বুঝতে পারি নি এমনটা হবে।
–তোমরা কিছুই বুঝতে পারো না গিয়ে ওকে শহরের প্রতিটা কোনায় খোঁজ ২৪ ঘন্টার আগে ওকে আমার সামনে চাই।
–জি স্যার।
সবাই বেরিয়ে গেল,
–আরিফ,
–জি স্যার।
–ছায়ার দিকে খেয়াল রাখো।
আদনানের চলে যাওয়া মানে আমার ছায়ার উপর ভয়ের প্রভাব পরা৷
–জি স্যার।
–আদনান তোকে এবার আর ছাড়বো না।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here