তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি?,পর্ব_০৫

0
2903

তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি?,পর্ব_০৫
Anika Fahmida

আদ্রের ধমক খেয়ে অনু চুপ করে রইল। আদ্রের হাতের মধ্যে আবদ্ধ করা অনুর নিজের হাতটি অনু আর ছাড়ানোর চেষ্টা করল না। এভাবেই হাঁটতে লাগল দুজন। সামনে নিরিবিলি রাস্তা। এই রাস্তায় রাতের বেলা মাঝে মাঝে গুন্ডারা বসে থাকে। আজকেও কিছু গুন্ডারা আড্ডা দিচ্ছিল। অনু গুন্ডাগুলোকে দেখে আদ্রের হাত আরও শক্ত করে চেপে ধরল। আদ্র বুঝতে পারছে অনু ভয় পাচ্ছে। তাই অনুকে আদ্র শান্ত স্বরে বলল,

–ভয় পাস না অনু। আমি তোর সাথে আছি।

অনু আস্তে করে আদ্রকে বলল,

–গুন্ডাগুলো তো ঐসময় ছিলো না। এখন কোথা থেকে আসল আদ্র ভাইয়া? আমি বুঝতে পারছি না।

আদ্র অনুর কথায় বিরক্ত হয়ে বলল,

–গুন্ডাদের ডানা আছে বুঝলি অনু। তাই গুন্ডাগুলো ডানা মেলে উড়ে উড়ে এসেছে তোকে আপ্যায়ন করার জন্য। তুই ওদের গেস্ট।

অনু ভয় পাওয়া দৃষ্টিতে আদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল,

–এসব তুমি কি বলছো আদ্র ভাইয়া?

আদ্র একটু মুচকি হেসে অনুকে বলল,

–ঠিকই তো বললাম।

আদ্রের কথা অনুর ভালো লাগল না। অনু খেয়াল করে দেখল গুন্ডাগুলো অনুর দিকে কেমন লোভী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অনুর দিকে গুন্ডাগুলো বাজে নজর দিচ্ছে। অনু আদ্রের হাত চেপে ধরে নিজের চোখ বন্ধ করে চুপচাপ হেটে চলল। নিরিবিলি গলির রাস্তা পাড় হওয়ার পর অনুর মনটা হালকা হলো। যাক গুন্ডাগুলো অনুর সাথে আদ্রকে দেখে ঝামেলা করে নি। আকাশে মেঘ জমেছে অনেকক্ষণ ধরে অনু লক্ষ্য করে দেখেছে। যেকোনো মুহুর্তেই বৃষ্টি নামবে মনে হচ্ছে। আদ্র ভাইয়ার জ্বর। এই এতো রাতে আবার আদ্র ভাইয়া বৃষ্টিতে ভিজলে কি হবে? অনু আদ্রকে বলল,

–আদ্র ভাইয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো মেঘ জমেছে। যেকোনো সময় বৃষ্টি নামবে।

আদ্র গম্ভীর স্বরে অনুকে বলল,

–তো কি হয়েছে?

অনু মন খারাপ করে আদ্রকে বলল,

–তোমার এমনিতেই জ্বর। এখন বৃষ্টি নামলে কি হবে বুঝতে পারছো? তোমার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। আমি চাই না তুমি আরও অসুস্থ হও।

আদ্র রাগী দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,

— দেখ অনু যেহেতু আমার এমনিতেই জ্বর আছে তাই বৃষ্টিতে ভিজলেও এখন আমার কিছু হবে না। তুই এবার অতিরিক্ত বকবক করা বন্ধ কর।

অনু বিরক্ত হয়ে আদ্রকে বলল,

–দরকার কি ছিলো হেঁটে যাওয়ার? গাড়িতে বসে বাসায় গেলেই তো হতো। তোমার এতো এতো গাড়িগুলো কোনো কাজের না আদ্র ভাইয়া। এখন এই রাতে আমাদের বৃষ্টিতে ভিজতে হবে। ভালো লাগে না একদম।

আদ্র রেগে গিয়ে অনুকে বলল,

–বেশি কথা বলছিস তুই। গাড়িতে চড়ার বেশি শখ হয়েছে? আমি ইচ্ছে করেই তোকে আমার গাড়িতে উঠাই নি। হেঁটে বাসায় যাবি। হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য ভালো।

অনু মুখ গুমোট করে অন্য দিকে তাকিয়ে বলল,

–ইচ্ছে করে গাড়ি আনো নি ভালো কথা। কিন্তু আমার জন্য হাঁটা ভালো হলেও তোমার জন্য এখন এই হাঁটাহাঁটি করাটা খুব ক্ষতিকর হবে আদ্র ভাইয়া। তুমি আরও কঠিন জ্বর ঠান্ডা বাঁধিয়ে বসবে।

আদ্র অনুকে গম্ভীর স্বরে বলল,

–তাতে আমার কিছু যায় আসে না অনু ।যদি জ্বর- ঠান্ডা আরও হয় তবে হোক।

আদ্রের কথায় অনু মন খারাপ করে হাঁটতে লাগল। অনুর কথা আদ্র ভাইয়া শুনবে না অনু বুঝতে পেরেছে। এরই মাঝে প্রচুর বাতাস বইতে লাগল। মেঘেদের ঘর্ষণের মৃদু আওয়াজ হতে লাগল। অনু আর আদ্র রাস্তা দিয়ে হাঁটছে তো হাঁটছেই। এরই মাঝে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। অনু আদ্রের হাত টেনে বলল,

–আদ্র ভাইয়া চলো কোনো দোকানের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। প্রচুর বৃষ্টি নেমেছে।

কিন্তু আদ্র অনুর কথা শুনছে না। সে তো একইভাবে হেঁটে চলেছে। অনু আবারও আদ্রকে ডাক দিল,

–এই আদ্র ভাইয়া তুমি কি আমার কথা শুনছো না?

আদ্র অনুর দিকে তাকিয়ে রাগী স্বরে বলল,

–চুপ করে থাক অনু। আমাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দে।

বৃষ্টিতে আদ্র এবং অনু দুজনেই ভিজে একাকার হয়ে গেল। ঠান্ডা বৃষ্টির পানিতে অনুর খুব শীত লাগছে। শীতে অনু থরথর করে কাঁপছে। আদ্র অনুর শীতে কাঁপা কাঁপি অবস্থা দেখে অনুকে সাথে নিয়ে একটি বন্ধ দোকানের টিনের ছালের নিচে দাঁড়াল। রাতের আঁধারে বৃষ্টির মাঝে চারিদিকে যখন জনমানবহীন তখন সেখানে একটি দোকানের টিনের ছালের নিচে অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে আদ্র এবং অনু। শীতের কারণে অনু ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছে না। অনু কান্না করে আদ্রকে বলল,

–আদ্র ভাইয়া আমার খুব শীত লাগছে। আমি কি করব এখন? আমি আর এই ঠান্ডা সহ্য করতে পারছি না।

অনুর খুব শীত লাগছে আদ্র খেয়াল করে দেখল। তাড়াতাড়ি কোনোরকমে ভেবে আদ্রের মাথায় একটা বুদ্ধি কাজ করল। আদ্র অনুকে বলল,

–তোর খুব শীত লাগছে তাই না অনু?

অনু মাথা উপর নিচ নাড়িয়ে বলল,

–হুম খুব শীত লাগছে।

আদ্র অনুর দিকে নিজের দু হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

–তাহলে আমাকে জড়িয়ে ধর।

অনু অবাক হয়ে আদ্রকে বলল,

–তোমাকে জড়িয়ে ধরব মানে?

আদ্র রেগে গিয়ে এবার অনুকে বলল,

–বোকা মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলে তোর শীত লাগবে না। তাই বলছি আমাকে জড়িয়ে ধর।

অনুর লজ্জা লাগছে। শীত খুব করছে কিন্তু আদ্রকে জড়িয়ে ধরবে কি করে?এদিকে আদ্র বুঝতে পারে অনু তাকে জড়িয়ে ধরবে না। তাই আদ্র নিজের হাত নামিয়ে আগের মতো স্বাভাবিক করে নেয়। এরই মাঝে আকাশে প্রচুর বজ্রপাতের আওয়াজ হলো। অনু চিৎকার করে এবার না পেরে আদ্রকে জড়িয়ে ধরল। আদ্র বুঝে গিয়েছিল এমনটাই হয়তো হবে। শেষে কিনা আকাশের বজ্রপাতই চাচ্ছে অনু আদ্রের কাছে আসুক। অনু আদ্রকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। অনুর শরীর থরথর করে কাঁপছে। আদ্রও অনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আদ্র এবার মুচকি হেসে অনুর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,

–সেই তো আমাকে জড়িয়ে ধরলি।

অনু চোখ বন্ধ করেই আদ্রকে বলল,

–আমার খুব ভয় করছে আদ্র ভাইয়া। আমার বজ্রপাতের শব্দ খুব ভয় লাগে। আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি বলে প্লিজ কিছু মনে করো না।

আদ্র উত্তরে কিছু বলল না। চুপ করে রইল। অনুর বুকের ভিতরের ঢিপঢিপ আওয়াজ আদ্র শুনতে পারছে। আদ্রের শরীরে জ্বর থাকলেও বৃষ্টির ঠান্ডা পানিতে আদ্রের শরীর শীতল হয়ে গেছে। সাথে অনুর শীতল দেহখানা আদ্র জড়িয়ে ধরে রেখেছে। আদ্রের হঠাৎই কেমন যেন অনুভব হতে লাগল। অনুকে জড়িয়ে ধরার পর আদ্রের বুকের হৃদস্পন্দন খুব তীব্র বেগে ঢিপঢিপ আওয়াজ শুরু করল। কিছুক্ষণ পর অনু আদ্রের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে চলে যেতে নিল কিন্তু আদ্র অনুর হাত ধরে ফেলে। অনু ঘন নিশ্বাস ফেলে আদ্রকে বলল,

–আমার হাত ছাড়ো আদ্র ভাইয়া।

আদ্র অনুকে নেশাতুর কন্ঠে বলল,

–যদি না ছাড়ি তাহলে কি করবি অনু?

আদ্র একটান দিয়ে আবারও অনুকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। অনু আদ্রের বুকে গিয়ে পড়ে। অনু আদ্রের দিকে মুখ তুলে তাকালে দেখতে পায় আদ্র ঘোর লাগানো দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে। আদ্র অনুর মুখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।অনুর উজ্জ্বল শ্যামলা মুখের উপর বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু ফোঁটা ঠোঁট বেয়ে নিচে পড়ছে। আদ্র হুট করে অনুর কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল। অনু অবাক হয়ে আদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। অনু আদ্রকে ভয় পেয়ে বলল,

–আদ্র ভাইয়া আমাকে ছাড়ো।

আদ্রের কোনো হুঁশ নেই। আদ্র অনুর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।আলাদা অনুভূতি অনুর মাঝেও ঘিরে বসেছে। অনু চোখ বন্ধ করে নিল।অনু আদ্রের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে মন চাইলেও পারছে না। শীত ও ভয়ে অনু বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে। আদ্র অনুর ঠোঁটের একদম কাছে চলে এসে শেষ পর্যন্ত আদ্র নিজের ঠোঁট অনুর ঠোঁটের মাঝে ডুবিয়ে দেয়। আদ্রের স্পর্শে অনুর পুরো শরীরে এবার কারেন্টের মতো শক খেল। অনু চোখ খুলে আদ্রকে নিজের কাছ থেকে ছাড়াতে চাইলেও পারল না। বেশ কিছুক্ষণ পর আকাশে আবারও বজ্রপাতের আওয়াজ ভেসে এলো। বজ্রপাতের শব্দে এবার আদ্রের হুঁশ ফিরল। আদ্র অনুর ঠোঁট ছেড়ে অনুকে ধাক্কা দিয়ে নিজের কাছ দূরে সরিয়ে নিল। অনু পেছনে ছিটকে পড়তে গিয়েও নিজেকে সামলে নিল। অনু ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলতে লাগল। আদ্র নিজের ঠোঁট মুছে অনুকে বলল,

–আই এম সরি অনু। আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না।

অনু আদ্রের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,

–আদ্র ভাইয়া আমার সাথে এমন করল কেন?

অনুর ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়ছে। ঠোঁট কেটে গেছে অনুর। বৃষ্টির পানিতে অনুর ঠোঁটে জ্বালা করছে। অনু সেদিন আদ্রের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আদ্রের ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিলেও সেটা ছিল সামান্য হালকা চুমু। কিন্তু আদ্র এখন এটা অনুর সাথে কি করল? অনুর মাথা ঘুরছে। এমন চুমু সে জীবনেও খায় নি। অনু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে নিলে আদ্র তাড়াতাড়ি করে অনুকে শক্ত করে ধরে ফেলে বিচলিত স্বরে বলল,

–এই অনু তোর কি হলো? তুই ঠিক আছিস তো?

অনু কিছু বলছে না শুধু আদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। অনুর সবকিছু কেমন ঘোলাটে লাগছে।বৃষ্টি বেশ কিছুক্ষণ পর থেমে গেল। আদ্র অনুকে শান্ত স্বরে বলল,

–অনু বৃষ্টি থেমে গেছে। চল এবার।

অনু এখনও আদ্রের বুকে মাথা রেখে একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে। অনুর পুরো শরীর কাঁপছে। আদ্র বুঝতে পারল একটু আগের করা কাজের জন্য অনু হয়তো বেশি ভয় পেয়েছে। আদ্র অনুকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা ধরল। অনু আদ্রের শার্টের কলার খামচে ধরে রেখেছে। চোখ বন্ধ করে রেখেছে অনু। আদ্র অনুর দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে লাগল,

–তোর জন্যই কেন যে আমার এমন অনুভূতি হয় আমি জানি না। রিনি, সুমি আরও অনেক মেয়েই তো আমার বান্ধবী। কই ওদের জন্য তো আমার এমন অনুভূতি কাজ করে না! তাহলে তোর বেলাতেই কেন? আমি এই অনুভূতি চাইলেও শেষ করতে পারছি না। তুই আমাকে পাগল করে না ছেড়ে কি শান্তি পাবি না অনু?

আদ্র অনুকে নিয়ে অনুর বাসায় কলিংবেল চাপলে অনুর বাবা আরমান রহমান দরজা খুলেন। অনুকে চোখ বন্ধ অবস্থায় আদ্রের কোলে দেখে আরমান রহমান আদ্রকে চিন্তিত ও অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,

–আদ্র বাবা আমার মেয়ের কি হয়েছে?

আদ্র অনুর বাবাকে শান্ত স্বরে বলল,

–আংকেল অনুর বৃষ্টিতে ভিজে এমন হয়েছে।

আদ্র অনুকে নিয়ে অনুর রুমে গিয়ে শুইয়ে দেয়।

অনুর বাবা আদ্রকে বলল,

–আদ্র বাবা আমার মেয়ে সুস্থ হয়ে যাবো তো? ওর কোনো ক্ষতি হবে নাতো?

আদ্র অনুর বাবাকে বলল,

–অনুর কিছু হবে না আংকেল। ঠিক হয়ে যাবে।

অনুর মা আমেনা বেগমও অনুর রুমে এসে অনুকে চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে আদ্রকে বলল,

–বাবা আদ্র অনুর কি হয়েছে?

আদ্র অনুর মাকে বলল,

–খালামনি আমি অনেকবার না করার পরেও অনু বৃষ্টিতে ভিজেছে। ওর নাকি বৃষ্টি ভালো লাগে। বারণ করেছিলাম না ভিজতে কিন্তু শুনছিল না। তাই আর কি করব? অনুর ঠান্ডা লেগে এখন এই অবস্থা।

আদ্রের কথা শুনে মনে মনে আমেনা বেগম অনুর প্রতি অভিমান হলো। অনুর বাবা বলল,

–মেয়েটা আমার এখনও ছেলেমানুষী গেল না। কখন যে নিজের ভালোটা বুঝতে পারবে।

আদ্র অনুর মা ও বাবাকে বলল,

–আচ্ছা খালামনি, আংকেল আজ রাতটা যদি আমি অনুর পাশে থেকে অনুর খেয়াল রাখি আপনাদের কোনো অসুবিধা হবে নাতো?

আদ্রের কথায় অনুর মা এবং বাবা দুজনেই অবাক হলো। আমেনা বেগম আদ্রকে বলল,

–তুমি এমনিতেই অনুর জন্য অনেক ঝামেলায় পড়েছো বাবা। তোমার অনুকে সামলাতে অসুবিধা হবে। আবার তারওপর তোমার জ্বর।

আদ্র অনুর মাকে বলল,

–আমি একদম সুস্থ আছি খালামনি। আমার কোনো অসুবিধা হবে না।

অনুর মা চিন্তিত হয়ে আদ্রকে বলল,

— সুস্থ হয়েছো ভালো কথা কিন্তু সারারাত অনুর খেয়াল রাখলে তুমি ঘুমাবে কখন আদ্র বাবা?

আদ্র হেসে অনুর মাকে বলল,

–বেশি ঘুম পেলে আমি গেস্ট রুমে চলে যাবো খালামনি।

অনুর মা-বাবা আদ্রকে বিশ্বাস করে তাই কিছু বলল না। আদ্র অন্য রুমের বাথরুম ফ্রেশ হতে চলে গেল। অনুর বাবা নিজের রুমে চলে গেল।অনুর মা শুধু অনুর রুমে। আমেনা বেগম অনুর ভিজা জামা পাল্টে দিয়ে অনুকে শুইয়ে দিল। আমেনা বেগমের চোখ পড়ল অনুর ঠোঁটের দিকে। অনুর ঠোঁট কাটল কি করে? ঠোঁট কেমন ফুলে লাল হয়ে আছে। এমন সময় আদ্র অনুর রুমে আসলে আমেনা বেগম আদ্রকে জিজ্ঞেস করে,

–আদ্র বাবা অনুর ঠোঁট এভাবে কাটলো কি করে?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here