তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি?,পর্ব_১৯

0
2093

তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি?,পর্ব_১৯
Anika Fahmida

অনু মাটিতে বসা থেকে উঠে গিয়ে দৌড়ে চলে গেল নিজের রুমে। দরজাটা লাগিয়ে দিয়েই সোফায় বসে পড়ল অনু। ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে অনু। শ্বাস নিতেও ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। অনুর বিয়ে হবে তাও অন্য কারও সাথে? এটা অনু কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না। তাই অনু তাড়াতাড়ি আদ্রকে ফোন করল। আদ্রকে সবটা জানাতে হবে। আদ্র এখনও দরজায় হেলান দিয়ে ফ্লোরে বসে ছিল। ফোন বাজতেই আদ্র ফোন হাতে নিয়ে দেখল অনু ফোন করেছে। আদ্র ফোন রিসিভ করে কানে দিতেই অনু কাঁদতে কাঁদতে বলল,

–হ্যালো আদ্র!

আদ্র বিচলিত স্বরে বলল,

–কি হয়েছে অনু? কাঁদছিস কেন?

অনু চোখের পানি মুছতে মুছতে আদ্রকে বলল,

–আদ্র আব্বু আমাকে আগামী শুক্রবার কোন ছেলের সাথে নাকি বিয়ে দিয়ে দিবে। আদ্র আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে পারব না। তুমি প্লিজ কিছু একটা করে বিয়েটা আটকাও।

আদ্র অনুর কথা শুনে থমকে গেল। আদ্রের মাথা কাজ করছে না। অনুর অন্য কারও সাথে বিয়ে হলে গেলে আদ্র কি করে বাঁচবে? কি করে বাঁচবে অনুকে ছাড়া? সবকিছু এতোটা জটিল কেন মনে হচ্ছে? এদিকে আদ্রের নিজের বাবা বিয়েটা ভেঙে দিল। অনুকে কি করে আদ্র বিয়ে করবে?আদ্রের বাবা যে অনুকে মেনেও নিবে না। উল্টো অনুকে মেরে ফেলতে চাইবে। এখন আবার অনুর বাবা অনুকে অন্য কারও সাথে বিয়ে দিতে চাইছে? সবাই কেন একটা পবিত্র ভালোবাসাকে শেষ করতে চাইছে? আদ্র কোনো কথা বলছে না দেখে অনু আবার আদ্রকে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

–আদ্র তুমি কথা বলছো না কেন? এই আদ্র?

আদ্র গম্ভীর গলায় অনুকে বলল,

–আমি কি করব অনু? আমার কি কিছু করার আছে?

অনু অবাক হয়ে আদ্রকে বলল,

–মানে? আমার অন্য কারও সাথে বিয়ে হয়ে যাবে আদ্র! তুমি বিয়ে আটকাবে না? তুমি কিছু তো একটা করো?

–অনু আমি ফোন রাখছি। তোর সাথে পড়ে কথা বলবো।

আদ্র অনুর ফোন কেটে দিয়ে মাথায় দুই হাত চেপে রেখে বসে রইল। তারপর রেগে বসা থেকে উঠে গিয়ে জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। অনুর অন্য কারও সাথে বিয়ে হবে? এটা আদ্র কিছুতেই মানতে পারবে না। নিজের ভালোবাসাকে অন্য কারও কিছুতেই হতে দিবে না আদ্র। কিছুতেই না। আদ্র রেগে গিয়ে জানালার কাঁচে ঘুষি দিল। জানালার ভাঙা কাচের টুকরোতে আদ্রের হাত কেটে রক্তাক্ত হয়ে গেল। কিন্তু হাতের ব্যথার থেকেও যে মনে বেশি ব্যথা হচ্ছে। সেই ব্যথা কমানোর কি কোনো উপায় নেই?

আদ্র ফোন কেটে দেওয়ার পর অনু অবাক হয়ে ফোনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর একসময় ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। রাতে অনুর মা অনুকে খেতে বলল কিন্তু অনু কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আদ্রও কিছু খেল না রাতে। মাকে বলে দিয়েছিল খিদে নেই। আদ্র এবং অনু দুজনেই দুই রুমের মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিল। ঘুম চোখে যেন কিছুতেই ধরা দিল না। পরেরদিন সকালে অনুর মা আমেনা বেগম অনুর রুমে এসে দেখল অনু ফ্লোরে বসে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে অনুর মায়ের বুকটা হুহু করে কেঁদে উঠল। কিন্তু আমেনা বেগমই বা কি করবেন? অনুর বাবার মুখের উপর কিছু বলেও যে লাভ নেই। কারণ আরমান হোসেন তার স্ত্রীর কোনো কথাই শুনবেন না। আমেনা বেগম অনুর কাছে গিয়ে অনুর কাঁধে হাত রেখে অনুকে নরম স্বরে ডাকতে লাগলেন,

–অনু? মা আমার উঠ। সকাল হয়ে গেছে।

অনু চোখ খুলে মাকে দেখে চুপ করে তাকিয়ে রইল। তারপর আমেনা বেগমকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।
অনু কাঁদতে কাঁদতে বলল,

–আম্মু আমি কাউকে বিয়ে করব না। বাবাকে একটু বলো না যাতে কারও সাথে বিয়ে ঠিক না করে?

আমেনা বেগম অনুর চোখের জল মুছে দিয়ে হতাশ কন্ঠে বলল,

–আমার কথা কি তোর বাবা শুনে অনু? অনেক বলেছি কিন্তু তোর বাবা বলে দিয়েছে তার পছন্দের ছেলের সাথেই তোকে বিয়ে দিবে। আর আজ তোকে সেই ছেলে ও তার পরিবার দেখতে আসবে। ছেলের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন বাবার বিজনেস সামলাচ্ছে। ছেলেটার নাম রায়হান আহমেদ। তোর বাবা বলেছে ছেলে যদি তোকে পছন্দ করে তাহলে আজ সেই ছেলের সাথে এনগেজমেন্টও হবে।

অনু আমেনা বেগমের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকাল। চোখ মুছে অনু শক্ত গলায় বলল,

–কিসের এনগেজমেন্ট? আমি বিয়েই করবো না। কোনো এনগেজমেন্টও হবো না।

আরমান রহমান অনুর রুমে প্রবেশ করে কঠোর স্বরে অনুকে বললেন,

–ভুলেও এমন কথা মাথায় আনবি না। একটু পর পাত্রপক্ষরা আসলে চুপচাপ রেডি হয়ে পাত্রপক্ষের সামনে যাবি। নাহলে…

আরমান রহমানকে বলতে না দিয়ে অনু রেগে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আরমান রহমানকে চিৎকার করে বলল,

–নাহলে কি করবে আব্বু? আমাকে মারবে? মারো? আমি আদ্রকে ছাড়া কাউকেই বিয়ে করবো না।

আরমান রহমান রেগে এগিয়ে গিয়ে অনুর গালে আবারও থাপ্পড় মারলেন। এতো জোরে থাপ্পড় মারল যে অনু দেয়ালের উপর গিয়ে পড়ল। আরমান রহমান হুংকার দিয়ে বলল,

–চুপ কর বেয়াদব মেয়ে। বাবার মুখে মুখে তর্ক করছিস লজ্জা করে না? এতোটা নির্লজ্জ মেয়ের বাবা আমি ভাবতেই আমার চরম ঘৃণা লাগছে। আদ্রের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটু পর তৈরি হয়ে পাত্রপক্ষের সামনে বসবি। নাহলে তোকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিব। যে মেয়ে বাবার সম্মান ডুবাবে সেই মেয়েকে আমি বাসায় জায়গা দিব না।

অনু কাঁদতে লাগল। আরমান রহমান রুম থেকে চলে গেল। আমেনা বেগম অনুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

–আর জেদ করিস না অনু। একটু পর রেডি হয়ে নিস।

অনু কান্নাজড়িত কন্ঠে আমেনা বেগমকে বলল,

–কিন্তু আম্মু আমি তো আদ্রকে ছাড়া বাঁচব না।

–অনু এমন কথা বলে না। আর সংসারে অশান্তি বাড়াস না। কপালে যা লেখা আছে তা হতে দে।

অনু কাঁদতে কাঁদতে বলল,

–আম্মু তুমিও আব্বুর মতো কথা বলছো?

–আমার কিছু করার নেই মা। তোর ভাগ্যে যদি আদ্র লেখা থাকে তাহলে আদ্রের সাথেই তোর বিয়ে হবে। আর যদি ভাগ্যে আদ্র লেখা না থাকে তাহলে অন্য কারও সাথে তোর বিয়ে হবে।

–আমার ভাগ্যে যদি আদ্র লেখা না থাকে তাহলে আমি যে শেষ হয়ে যাবো আম্মু।

–এমন কথা বলে না অনু। তোর বাবা তো আর তোর খারাপ চাইবে না। আর তোর বাবাকে রাগাস না। তোর বাবার কথা আপাতত মেনে নে।

আমেনা বেগম রুম থেকে চলে গেল। অনু অনেক্ষণ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল। চোখ দিয়ে পানিও পড়ছে না। তারপর বিছানায় বসে রইল। আদ্রকে কি একটা ফোন দিবে? অনু ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল ফোনে চার্জ নেই। তাই অনু ফোনটা চার্জে লাগালো। এরই মাঝে অনুর মা এসে বলল,

–অনু পাত্রপক্ষরা তোকে দেখতে চলে এসেছে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।

অনু রেগে আমেনা বেগমকে বলল,

–আম্মু আমি কোনো রেডি হতে পারব না। আমার কিছু ভালো লাগছে। আমাকে বিরক্ত করো না।

–তা বললে তো হয় না। আয় আমি তোকে রেডি করিয়ে দেই। ওরা যে অপেক্ষা করে বসে আছে।

–আম্মু আমাকে বিরক্ত করো না বললাম তো।

আমেনা বেগম এবার কঠোর গলায় অনুকে বলল,

–অনু তুই কি আমাদের সম্মান নষ্ট করতে চাস? তুই যদি এখন পাত্রপক্ষের সামনে না যাস তাহলে তোর বাবা ওদের কাছে অনেক অপমানিত হবে। তখন তোর বাবা কত কষ্ট পাবে ভাবতে পারছিস?

অনু চুপ করে রইল। আর কোনো কথা বলল না। শুধু নীরবে চোখের জল ফেলতে লাগল। আমেনা বেগম সামনে থাকায় অনু আদ্রকে একটা ফোনও করতে পারল না। অনু একটু পর মনে মনে ভেবে নিল যেই ছেলে দেখতে আসবে সেই ছেলের সাথে আলাদা কথা বলে বিয়েটা ভেঙে দিবে। আমেনা বেগম অনুকে একটা নীল রঙের শাড়ি পড়িয়ে দিল। তারপর অনুকে অল্প সাজিয়ে দিয়ে ড্রইংরুমে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসাল। অনু চুপচাপ মাথা নিচু করে গম্ভীর হয়ে বসে আছে। কোনো কথা বলছে না। ড্রইংরুমে অনুর বাবা আরমান রহমান পাত্রপক্ষের বাবা ও মায়ের সাথে হেসে কথা বলছিল। পাত্রপক্ষের মা ও বাবা অনুকে দেখে পছন্দ করল। অনুর বাবা আরমান রহমান পাত্র মানে ছেলেকে জিজ্ঞেস করল,

–বাবা আমার মেয়েকে তোমার পছন্দ হয়েছে?

ছেলেটি মুচকি হেসে আরমান রহমানকে বলল,

–হ্যা আঙ্কেল আমার অনুকে খুব পছন্দ হয়েছে। আর আঙ্কেল আমি তো এর আগেও আপনাকে বলেছিলাম আমি অনুকে পছন্দ করি। তাও আবার আজকে জিজ্ঞেস করলেন?

আরমান রহমান হেসে বললেন,

–তাও আজকেও একটু জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম।

ছেলের কন্ঠ শুনে অনুর বুকের ভিতর কেঁপে উঠল। কারণ ছেলেটির কন্ঠ স্বর অনুর কাছে খুব পরিচিত বলে মনে হলো। অনু চোখ বড়বড় করে অবাক হয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল। অনু বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

–পল্লব তুমি এখানে?

–হ্যা অনু আমি।

–এটা কি করে সম্ভব? আমি যে আম্মুর কাছে শুনেছিলাম পাত্রের নাম রায়হান আহমেদ?

পল্লব হেসে বলল,

–আমার নাম রায়হান আহমেদ পল্লব। আন্টি হয়তো পল্লব নামটা তোমাকে বলে নি।

পল্লবের বাবা আরমান রহমানকে বললেন,

–জানেন আরমান সাহেব পল্লব তো আমাকে ও তার মাকে বারবার বলছিল আপনার মেয়ে অনুকে খুব পছন্দ করে। অনুকে বিয়ে করতে চায়। আমরা কি আমাদের ছেলের আবদার না রেখে পারি? যতই হোক একটা মাত্র ছেলে আমার। আমাদেরও অনুকে শেষমেশ ভীষণ পছন্দ হয়েছে।

অনু চুপ করে অবাক হয়ে তাকিয়ে সব শুনতে লাগল। আরমান রহমান তখন পল্লবের বাবাকে বললেন,

–রেদোয়ান সাহেব আপনার ছেলে সেদিন আমার বাসায় এসে আমাকেও বলেছিল আমার মেয়েকে খুব ভালোবাসে। পল্লব নাকি অনুর খুব ভালো বন্ধু। অনুকে বিয়ে করতে চায়। আমি তো শুনে অবাক হয়ে আপনার ছেলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।কিন্তু সেদিন আমি কিছু বলি নি। পড়ে বুঝতে পারলাম এমন ভালো ছেলেকে আমি কিছুতেই ফিরিয়ে দিতে পারবো না। আপনাদের ছেলে পল্লবকেও আমাদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে।

এরই মাঝে অনুর বাবা ও পল্লবের বাবার ভীষণ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। কত হেসে কত বলছে উনারা। অনুর চোখে জল চলে এসেছে। অনু মনে মনে বলতে লাগল,

–পল্লব কেন তুমি এমন করলে? তুমি তো জানো আমি আদ্রকে কত ভালোবাসি তাহলে এমন কেন করলে? কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইছো? আমাকে কেন আদ্রের কাছ থেকে আলাদা করতে চাইছো? তুমি কি বুঝতে পারছো না আমি তোমাকে কোনোদিনও ভালোবাসতে পারবো না?

পল্লবের মা পল্লবের হাতে এনগেজমেন্ট রিং দিয়ে বলল,

–পল্লব বাবা এটা অনুকে পড়িয়ে দে।

পল্লব উঠে দাঁড়িয়ে অনুর হাত ধরে এনগেজমেন্ট রিং পড়াতে নিলে অনু নিজের হাত তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিল। অনু তার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখল আরমান রহমান রাগী দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে। অনুর এখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। অনু মনে মনে বলল,

–আদ্র কোথায় তুমি? তুমি এসে আমাকে বাঁচাও!

পল্লব অনুকে জিজ্ঞেস করল,

–কি হলো অনু হাত সরালে কেন?

অনু শান্ত স্বরে পল্লবকে বলল,

–পল্লব তুমি এমন কেন করছো?

–কেন আমি আবার কি করলাম?

–পল্লব তুমি সবটা জেনেও না জানার ভান করো না।

–অনু আমি সবটা জেনেও তোমাকেই ভালোবাসি। এবং তোমাকেই বিয়ে করতে চাই।

এদিকে পল্লবের বাবা পল্লবকে জিজ্ঞেস করলেন,

–কি হলো তোরা কি নিয়ে কথা বলছিস? পল্লব অনুকে আংটিটা পড়া?

পল্লব আবারও অনুর হাত ধরে আংটিটা অনুর আঙুলে পড়িয়ে দিল। অনু চোখের জল ফেলে পল্লবের দিকে তাকাল। অনুকেও একটা আংটি দেওয়া হলো পল্লবকে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য। অনু না চাইতেও কাঁদতে কাঁদতে পল্লবের হাতে আংটিটা পড়িয়ে দিল। পল্লব দেখছে অনু কাঁদছে। পল্লবের মন খারাপ হলেও তবুও পল্লবের কিছু করার নেই। পল্লব যে অনুকে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছে। আর ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া পল্লবের জীবন যে অন্ধকার। পল্লব নিরুপায় ছিল। অনু কাঁদতে কাঁদতে মনে মনে বলল,

–তুমি আসলে না আদ্র! কি করেও বা আসবে? তুমি যে জানোও না তোমার অনুর আজ এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে! আচ্ছা আজকের এনগেজমেন্টের মতো কি বিয়েটাও একসময় পল্লবের সাথে আমার হয়ে যাবে? না আমি কিছুতেই পল্লবকে বিয়ে করতে পারব না। আদ্রকে ছাড়া আমি কাউকে বিয়ে করতে পারব না।

অনু দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল। আমেনা বেগম হাসার চেষ্টা করে সবাইকে বলল,

–অনু হয়তো লজ্জা পেয়েছে।

সবাই আমেনা বেগমের কথা মেনেও নিল। এদিকে অনু রুমের দরজা বন্ধ করে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল। অনুর বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ অনুর কষ্ট বুঝতে চাইছে না। কেউ না।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here