ভালোবাসি,পর্বঃ১০,১১
Tanisha Sultana (Writer)
পর্বঃ১০
অফিসে বসে আছে সায়ান। কোনোকিছুই ভালো লাগছে না। সকাল থেকে কিছু খাইও নি। তখন মায়া আসে
“সায়ান আই এম সো হ্যাপি
মায়া সায়ানকে জড়িয়ে ধরে
” মায়া এটা অফিস। আর কথায় কথায় এতো ঢলাঢলি করার কি আছে। দুর থেকে কথা বলতে পারো না
মায়া সরে গিয়ে বলে
“সরি খুশিতে ধরে ফেলছি
” খুশির কারণ
“তুলি চলে গেছে। আর আমার বাবাও রাজি হয়ে গেছে। এবার একটা ভালো দিন দেখে আমরা বিয়ে করে নেবো
” আমি তো কখনো তোমাকে বলি নি আমি তোমাকে বিয়ে করবো
“কিহহ। তুমি না বললে তুলির সাথে তোমার ঠিক যায় না। তুলি বাচ্চা মেয়ে। ওকে ওর মতো কারো সাথে বিয়ে দেবে
” আমি এসব ভেবেছিলাম কিন্তু এখন বুঝতে পারছি আমি ভুল করেছি
“মানে
” তুমি বুঝবে না
“বুঝিয়ে বললেই বুঝবো
” আমি বিবাহিত। একটা মেয়ের স্বামী। তো আমার মনে হয় তুমি অন্য কাউকে খুঁজে নাও
“তোমার বউ তো পিচ্চি। ওর সাথে তোমার মেচিং হয় না। তাছাড়া তুলিও তোমাকে পছন্দ করে না
” ও আমাকে পছন্দ করলো কি করলো না এতে আমার একদমই মাথা ব্যাথা নেই
“সায়ান তুমি আমাকে কি করে রিজেক্ট করতে পারো
” তুমি আমায় রিজেক্ট করছে আমি না।
“আমি তো সরি বলছি
” সরি দিয়ে তো সব ঠিক হবে না
“কি করবো আমি
” আমার থেকে দুরে থাকো। আসছি আমি
সায়ান অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।
বাসায় এসে নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছু গুছিয়ে বেরিয়ে পরে।
তুলি ওর মায়ের সাথে মামা বাড়ি যাচ্ছে। কয়েকদিন থাকবে সেখানে। সায়ানের বাবা ওদের নিয়ে যাচ্ছে।
সায়ান বাড়ি এসে কলিং বেল বাজায়। কিছুখন পরে দাদু এসে দরজা খুলে দেয়
“তুমি এখন এখানে?
” কেনো আমি কি আসতে পারি না
“কেনো পারবে না। এটা তোমার বাড়ি তুমি যখন খুশি তখন আসতে পারো৷ আমাদেরই তোমার পারমিশন নেওয়া উচিৎ
” দাদু এভাবে বলছো কেনো
“তো কিভাবে বলবো?
” তুলি
“একদম তুলির নামটা মুখে আনবে না। যাও তোমার প্রেমিকার কাছে
” দাদু ভুল বুঝবো
“কোনটা ভুল কোনটা ঠিক তুমি আমাকে শেখাতে এসো না।
দাদু চলে যায়। সায়ান তুলির রুমে যায় তুলি নেই। পুরো বাড়ি খোঁজে কোথাও তুলিকে না পেয়ে মায়ের রুমে যায়
“মা
সায়ানের মা ঘর গোছাচ্ছে
” বল
“তুলি কোথায়?
” কেনো?
“না মানে তুলিকে দেখছি না
“তুলিকে না দেখলেও হবে।
” মা এভাবে বলছো কেনো?
“আমি কাজ করছি
সায়ান জানে মাকে জোর করে লাভ হবে না। মা বলবে না। তাই রুহির রুমে চলে
“রুহি
” বল
“তুলি কোথায়?
” রিকের সাথে চলে গেছে
“মজা করিস না বল প্লিজ
” তুলিকে মিছ করছিস
“বলবি কি না
” মামা বাড়ি গেছে।
সায়ান নিজের রুমে চলে আসে। খুব রাগ হচ্ছে সায়ানের। কার ওপর রাগ হচ্ছে সায়ান বুঝতে পারছে না তুলির ওপর না কি নিজের ওপর।
তুলির ফোনে ফোন দেয় সায়ান। ফোন বন্ধ
“এই মেয়েটা এতো স্টুপিট কেনো? মন হচ্ছে চাপকে গাল লাল করে দেই
তুলির নানুবাড়িতে নানা নানু মামা মামি আর মামাতো একটা ভাই এই কয়জন।
তুলি ওর মামির কাছ থেকে পিঠা নানানো শিখছে। তেলে ভাজা পিঠা। পিঠা তেলের মধ্যে দিতেই অনেক টা তেল তুলির হাতে ওপর পরে। তুলি তো চিৎকার করে কান্না করছে। সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে তুলিকে নিয়ে। তুলি মামা আর নানার সাথে ডাক্তারের কাছে যায়। তুলি যাওয়ার পরেই সায়ান আসে।
তুলির মা মামি আর নানু বসে ছিলে তখন সায়ান ঢোকে
” কাকিমা তুলি কই
সবাই সায়ানকে দেখে অবাক
“সায়ান তুই?
সায়ান মাাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তুলির নানু সায়ানের কাছে এসে বসতে বলে। সায়ান নানুর পাশে বসে
” তুলি ডাক্তারের কাছে গেছে
“কেনো? কি হয়েছে ওর
” হাত পুরে গেছে
“কিহহ কতোটা পুরেছে? কিভাবে পুরলো? কখন আসবে
সায়ানের এসব পাগলামি দেখে সবাই মিটিমিটি হাসছে।
” কি হলো বলো
“তুই রুমে গিয়ে রেস্ট নে। তুলি আসলে জেনে নিস (তুলির মা)
সায়ান রুমে চলে যায়
ডাক্তার তুলির হাত ব্যান্ডেস করে দেয়। তুলি হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তুলির নানা গেছে ঔষুধ কিনতে আর মামা একজন পরিচিত মানুষের সাথে কথা বলছে। তুলি একা দাঁড়িয়ে আছে
” তুলি
তুলি পেছন ঘুরে দেখে মায়া
“আপু তুমি এখানে
” এসেছিলাম দরকারে। তোমার সাথে দেখা হয়ে ভালোই হলো। কিছু কথা বলতে চায়
“বলো
” তুলি তুমি অনেক ছোট। দেখতে খুব মিষ্টি। তোমার লাইফে অনেক ভালো কেউ আসবে। তুমি প্লিজ সায়ানকে ছেড়ে দাও
“আপু তুমি হয়ত জানো না আমি অলরেডি চলে এসেছি। এবার তোমার সায়ানকো বইলো ডিভোর্স পেপারটা পাঠিয়ে দিতে আমি সাইন করে দেবো। আসি
মায়া কিছু বলতে চায় তুলি না শুনেই চলে আসে।
বাড়ি ফিরে তুলি কারো সাথে কথা না বলে রুমে চলে আসে। দরজা বন্ধ করে কেঁদে ফেলে
” তুই কাঁদছিস কেনো?
হঠাৎ সায়ানের গলা শুনে তুলি চারপাশে তাকায়। সায়ান খাটে শুয়ে ছিলো
“আপনি
” তো কি রিক ভেবেছিলি না কি
“কেনো এসেছেন এখানে। এখুনি বেরিয়ে যান
সায়ান তুলিকে ভালো করে দেখে বলে
” তুই আবার ওড়না ছাড়া ড্রেস পরেছিস
“তো। তো আপনার কি? একদম অধিকার দেখাতে আসবেন না। ভাই ভাইয়ের মতো থাকবেন। তাছাড়া আপনার মায়া তো হাটু পর্যন্ত ড্রেস পরে তাকে তো কখনো বলেন না। আমার বেলায় সব কিছু
” মায়াকে তো ওই রকম ড্রেসে দেখতে খুব ভালো লাগে
“তো দেখুন না না করছে কে
” কোথাও পোরা পোরা গন্ধ পাচ্ছি
“আপনার মাথা পুরছে তার গন্ধ পাচ্ছেন
“তুলি রাগলে তো তোকে পুরাই টমেটো টমেটো লাগে। ইচ্ছে করি খেয়ে ফেলি
” ধুর। বের হন আমার রুম থেকে
তুলি সায়ানের হাত ধরে টান দেয়। সায়ানকে এক চুলও নরাতে পারে না উল্টে সায়ানের ওপর তুলি পরে। সায়ান দু’হাতে তুলিকে জড়িয়ে নেয়
“আমাকে না বলে কেনো চলে এলি
” বেশ করেছি। আপনাকে বলবো কেন? কে আপনি
“আমি কে বোঝাবো
” ছাড়ুর আমাকে
“ছাড়বো না
” হাতে ব্যাথা পাচ্ছি
সায়ান ছেড়ে দেয়। তুলি উঠে দাঁড়ায়।
“আমি ছোট কিছু বুঝি না তাই বড়দের মধ্যে থেকে চলে এসেছি।
” এতো পাকনামি কেনো করিস তুই
“আসছেন কেনো? দেখুন আমি রিককে বিয়ে করবো না।
” কেনো করবি না
“সেটা আপনাকে বলবো না
” তুলি সায়ানকে নিয়ে খেতে আয়
তুলির মামি ডাক দেয়।
তুলি যেতে নেয়
“ভালো করে শুনিস নি কি বললো। বলেছে আমাকে নিয়ে যেতে
” আমি কি আপনাকে কোলে করে নিয়ে যাবো না কি
“চাইলে নিতে পারিস
” হাতির মতো শরীর দেখছেন আপনার
“আমাকে হাতি বললি
” শুধু হাতি না গোমরা মুখো হাতি
সায়ানকে ভেংচি কেটে চলে যায় তুলি। তুলিকে তুলির মা খাইয়ে দিচ্ছে। সায়ান তুলির পাশে বসে খাচ্ছে।
চলবে
ভালোবাসি
পর্বঃ১১
Tanisha Sultana (Writer)
রাতে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে তুলি। রুমের ভেতরে ঢুকতে ইচ্ছে হচ্ছে না। একটু দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের রুমে চলে যায় তুলি। তুলির মা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
“মা
” কি রে তুই এখানে ঘুমাতে যাস নি
তুলি বিছানায় শুয়ে বলে
“আমি তোমার কাছে ঘুমাবো
” কি বলছিস তুই
“তুই এখানে ঘুমাবি আর সায়ান ওখানে ঘুমাবে
তুলির নানু বলে
” হুম
“একদম না। তুই এখুনি যাবি ওই রুমে
” আমি যাবো না।
তুলির মা আর নানু তুলিকে ঠেলেঠুলে সায়ানের রুমে পাঠায়। তুলি আবার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে
“দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
পেছন থেকে সায়ান কথাটা বলে। তুলি চমকে পেছনে তাকায়
” আপনি এখানে
“তোকে খুঁজতে গেছিলাম
” কেনো?
“খালি কেনো কেনো করিস কেন? রুমে চল
সায়ান রুমে চলে যায়। তুলিও পেছন পেছন যায়। সায়ান খাটে বসে পারে। তুলি দাঁড়িয়ে আছে।
” দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?
“না মানে আমি ঘুৃমাবো কোথায়?
” এতো বড় খাট আর তুই ঘুমানো জায়গা পাচ্ছিস না
“খাটে তো আপনি ঘুমাবেন
” তো
“আমি আপনার সাথে এক বেডে
” কেনো আমি তোর ভাই হই। তো আমার সাথে ঘুমালে কি হবে? রুহিও তো মাঝে মাঝে আমার কাছে ঘুমায়
“রুহি আর আমি এক হলাম?
” তুই ই তো বলতি তুই আর রুহি এক। তাহলে এখন কথা পাল্টাছিস
“আপনার সাথে কথা বলার মুডটাই নষ্ট হয়ে গেছে
” তুই কি আমার সাথে কথা বলার জন্য মুড নিয়ে এসেছিলি
“আপনি অসয্যকর। আপনাকে আমার সয্য হয় না
” কিচ্ছু করার নেই আমাকেই তোর সয্য করতে হবে।
তুলি সোফায় শুয়ে পরে।
“তুই বেডে আয়
” লাগবে না
“কোলে করে আনতে পারবো না। তুই অনেক ভারি
তুলি সোফার কুশন ছুড়ে মারে সায়ানকে। সায়ান ধরে ফেলে। তুলি রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে খাটে শুয়ে পরে সায়ানকে পেছন ফিরে। সায়ান তুলির পাশে শুয়ে পরে।
” তুলি
তুলি কোনো কথা বলে না
“আই এম সরি
” কিসের জন্য
“তোর সাথে অনেক বাজে বিহেব করেছি। কিন্তু কি করবো বল আমি তো মায়াকে সত্যি খুব ভালোবাসতাম। মায়ার জায়গায় তোকে মানতে পারি নি
তুলি সায়ানের দিকে ঘুরে বলে
” এখন মানতে পেরেছেন
“তুই খুব ছোট। আমার সাথে তোকে কোনোভাবেই মানায় না। তোর এখন লেখাপড়া করার বয়স। এই বয়সে তোকে সংসার করতে হচ্ছে।
” এতো ঘুরিয়ে পেছিয়ে বলার কি আছে সোজাসুজি তো বলতে পারেন আপনি আমাকে মানতে পারবেন না। আমিও আপনাকে মানতে পারবো না বা কখনো মানবোও না।
“রিক কে মানলেই হবে
” রিক কে মানলে আপনি খুশি তো
সায়ান চুপ হয়ে যায়।
তুলি একটু হেসে বলে
“আপনি চিন্তা করবেন না আমি দাদু বড়বাবা সবাইকে মেনেজ করে দেবো। আপনি ভাবছেন আমি থাকলে আপনার বিয়ে করতে পবলেম হবে তাই আমাকে রিকের গলায় ঝুলাতে চাইছেন। আমাকে নিয়ে আপনার কোনো পবলেম হবে না প্রমিজ
” এতো কথা কেনো বলিস তুই? তুই ই তো রিকের সাথে ঢলাঢলি করতি তাই তো
“মানে কি? ঢলাঢলি করার স্বভাবটা আপনার আমার না
” তাই তো দেখতাম
“কথায় বলবো না আপনার সাথে
তুলি পেছন ফিরে শুয়ে পড়ে। সায়ানও আর কিছু বলে না।
সকাল বেলা কারো ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙে সায়ানের। অননং নাম্বার। সায়ান ফোন রিসিভ করে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে
” হেলো
ওপাশ থেকে শুভ বলে
“মায়া সুইসাইড করতে গেছিলো আমরা ওকে হসপিটালের নিয়ে এসেছি
” কি বলছিস তুই
“তুই তারাতাড়ি চলে আয়।
” মায়ার বাবা মাকে জানিয়েছিস
“ওনাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
” আমি আসছি
সায়ান ফোন রেখে পাশে তাকিয়ে দেখে তুলি সায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে
“তুলি আমি এখন ঢাকা যাবো
” মানা করছে কে
সায়ান তুলির মাথাটা সায়ানের বুকের ওপর নিয়ে একহাত দিয়ে তুলিকপ জড়িয়ে ধরে
“তুই এভাবে কেনো কথা বলিস আমার সাথে। আমি তোর বর রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলবি
” বররা বুঝি এমন হয় সব সময় বউদের কষ্ট দেয়
“আমি তোকে কষ্ট দিয়েছি
” নাহহহ। আপনি কষ্ট দিলেই আমি কষ্ট পাবো না কি?
“মায়া সুইসাইড করতে গেছিলো
” করে তো আর নাই
“এটা কেমন কথা তুলি। যদি কিছু হয়ে যেতো
” কষ্ট হচ্ছে
“আমি যাবো
তুলি সরে যায়। সায়ান উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নেয়। কিন্তু তুলি ওঠার নামই নেই।
” তুলি আমি যাচ্ছি
তুলি একবার সায়ানের দিকে তাকায়। সায়ান তুলিকে বায় বলে চলে যায়।
তুলি ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে যায়। ওখানে মামা নানা মা নানু মামি সবাই আছে
“কি রে সায়ান কোথায়? (নানু)
তুলি খাবার মুখে দিতে দিতে বলে
” চলে গেছে
“চলে গেছে মানে কি (মা)
” চলে গেছে মানে চলে গেছে। বাংলা বুঝো না তোমরা।
চিৎকার করে বলে তুলি
“এমন করে বলছিস কেনো? কি হয়েছে?(মামি)
” কিচ্ছু হয় নি।
তুলি শান্ত হয়ে খেতে থাকে
“তুলি
তুলির নানু কিছু বলতে যায়। তুলির নানা থামিয়ে বলে
” আহহ চুপ করো। আমার বুনুকে খেতে দাও
কেউ আর কিছু বলে না। তুলি খাওয়া শেষ করে রুমে চলে যায়। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে সায়ান ফোন করেছে। তুলি সিমটা বন্ধ করে দেয়। নতুন সিম চালু করে। এই সিমটা রিক কিনে দিছিলো।
সিমটা চালু হতেই অনেক মেসেজ আসে। যা রিক দিয়েছে। ফোনটা বেজে ওঠে। ফোনের স্কিনে রিকের নাম্বার। তুলি ধরবে কি ধরবে না এসব ভাবতেই ফোনটা কেটে যায়। আবার বেজে ওঠে। ফোনটা রিসিভ করতেই রিক উত্তেজিত কন্ঠে বলে
“তুলি কোথায় তুমি? তোমার ফোন বন্ধ কেনো? তোমার বাড়িতেও গিয়েছিলাম বাড়িতে তালা ঝুলছে। সায়ান ভাইয়ার অফিসেও গিয়েছিলাম কিন্তু ওনাকে পায় নি
” স্যার আমি দেশের বাড়ি চলে এসেছি
“কিন্তু কেনো?
” এমনিতেই
“তোমার বাড়ি কোথায় এড্রেস দাও আমি এখুনি যাবো
” আমার কথা শুনুন
“তুমি জানো কতো মিছ করেছি তোমাকে। কেনো চলে গেছো
” আমি বিবাহিত স্যার। আমার স্বামী আছে। আর আমি আমার এই লাইফ টা নিয়ে অনেক হ্যাপি। আপনি আমাকে ভুলে যান।
তুলি ফোনটা কেটে দেয়।
চলবে