সত্যি ভালোবাসো,part_12

0
2493

সত্যি ভালোবাসো,part_12
writer Fatema Khan

নিচে নেমে আমি দেখলাম মা,বাবা,তনিমা আপু,রাসেল ভাইয়া,তূর্য ভাইয়া,তাহসিন ভাইয়া আর তাহসিন ভাইয়ার বাবা আবির আহমেদও ড্রয়িং রুমে বসে। বাবা(রায়হান),মা(নীলিমা)আর আরিশের সাথে কথা বলছে।আমি তো ভাবতেই পারছি না সবাই একসাথে এখানে কিন্তু কেউ আমাকে বললো না কেনো?আমি নিচে নেমে এলাম আর বললাম–

তাহিয়াঃএকি তোমরা সবাই এখানে তাও হঠাৎ,আর কখন এলে আমাকে ডাকো নি কেনো?

আরমানঃএতোগুলো প্রশ্ন একসাথে করলে কোনটার উত্তর দিবো বল,(বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

আরিশঃতোমাকে সবাই দেখতে এসেছে।আর তোমার শরীর ভালো না বলে কেউ তোমাকে ডাকে নি।

তাহিয়াঃআরে আংকেল(আবির) তুমি কেমন আছো?

আবিরঃএইতো ভালো আছি।তুমি এখন কেমন আছো?

তাহিয়াঃসবাইকে দেখে কি আমার আর খারাপ থাকার কথা।তা আংকেল তোমাকে তো দেখাই যায় না,অনেকদিন পরে দেখে খুব ভালো লাগছে।

আবিরঃকি করবো বলো মা তাহসিনের তো এখনো লেখাপড়া কমপ্লিট হয়নি তাই এমনিতেই ওকে ১বছর ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে আমি ভুল করেছি। আমার ছেলের জীবন থেকে তার সবচেয়ে দামি জিনিস সে হারিয়ে ফেলেছে।

তাহিয়াঃমানে কি হারিয়ে ফেলেছে তাহসিন ভাইয়া।(তাহসিন ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)

আবিরঃসেসব কথা ভাদ দেও।এখন এখানে আসো আমার পাশে বস।

(তাহিয়া গিয়ে তাহসিনের বাবার কাছে এসে বসলো।তারপর সবাই অনেক গল্প করছে খাওয়া দাওয়া চলছে)

আরিশঃআমার কিছু বলার ছিলো সবাইকে।

(সবাই আরিশের দিকে তাকিয়ে আছে সে কি বলতে চায় জানার জন্য)

রায়হানঃকি বলতে চাও বলো?

আরিশঃআমি চাই কাল আমরা সবাই মিলে একটা পিকনিকের আয়োজন করি।কেমন হবে?

(সবাই একসাথে বলে উঠলো রাজি)

(তারপর সারাদিন সবাই একসাথে ভালো একটা সময় কাটালাম।রাতের খাবার পর সবাইকে যার যার রুম দেখিয়ে দিলাম।আজ সবাই এখানেই থাকবে।যাবতীয় জিনিস পত্র তূর্য আর তাহসিন ভাইয়া দিয়ে নিয়ে এসেছে)

______________________________

(আমার মাথায় একটা কথাই ঘুরছে তাহসিন ভাইয়া কি এমন হারিয়ে ফেললো এই ১বছরে আমাকে জানতে হবে।আবার ভাইয়া কেমন চেঞ্জ হয়ে গেছে।আগে কত মজা করতো দুষ্টুমি করতো আর এখন কেমন চুপচাপ থাকে।একটু যাব গিয়ে জিজ্ঞেস করলে যদি বলে।যেই ভাবনা সেই কাজ।)

তাহিয়াঃআসবো?(দরজার বাইরে থেকে বললাম)

তূর্যঃআয় ভিতরে আয়।তা এই সময় না ঘুমিয়ে তুই এখানে কি করছিস?

তাহিয়াঃএখন ঘুমিয়ে যাবো ভাইয়া।

তূর্যঃযা ঘুমিয়ে যা এমনিতেই শরীর ভালো না তোর।

তাহিয়াঃভাইয়া তাহসিন ভাইয়া কই?

তূর্যঃও তো একটু ছাদে গেছে কেনো?

তাহিয়াঃআচ্ছা আমি ঘুমাতে যাই ভাইয়া।

______________________________

আমি ছাদে যাই তাহসিন ভাইয়ার কাছে।গিয়ে আমার চোখ কপালে,এ কি দেখছি আমি?।ভাইয়া সিগারেট খাচ্ছে।যে কিনা এগুলো সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে।

তাহিয়াঃতাহসিন ভাইয়া

তাহসিনঃএকি তুই এখানে কেনো?(তারাতাড়ি সিগারেট ফেলে দিয়ে আর কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে)

তাহিয়াঃআসলে ভাইয়া আমার কিছু কথা ছিলো(ভয়ে ভয়ে বললাম,ভাইয়াকে কেমন যেন দেখাচ্ছে চোখ লাল হয়ে আছে)

তাহসিনঃকি বলবি তারাতাড়ি বল

তাহিয়াঃ ভাইয়া তুমি রাগ করো না প্লিজ

তাহসিনঃবল রাগ করব না।

তাহিয়াঃভাইয়া তুমি কি হারিয়ে ফেলেছো

তাহসিনঃকিছুনা যা এবার

তাহিয়াঃবলনা ভাইয়া প্লিজ বলো।তুমি কেমন চেঞ্জ হয়ে গেছো ভাইয়া।আমাকে বলো(আমি ভাইয়ার হাত ধরে)

(ভাইয়া আমার হাতের দিকের তাকিয়ে যেনো আরও রেগে গেলো,ভাইয়া হাত ছাড়িয়ে আমাকে ছাদের দেয়ালে সাথে চেপে ধরে,আমার হাত তার হাতের মুঠোয়।আমি নড়তে পারছে না।ভাইয়ার নিঃশ্বাস আমার মুখে পরছে।কিভাবে যেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।)

তাহসিনঃবলেছি না তোকে আমার কাছে আসবি না।দূরে থাকবি।তাহলে কেনো বারবার আমার কাছে আসিস।(আমার কপালে ভাইয়ার কপাল ঠেকিয়ে)

তাহিয়াঃআমি তো শুধু জানতে এসেছি তোমার কি হয়েছে?

(ভাইয়া যেন কিভাবে তাকিয়ে আছে ভাইয়ার চোখে যেন অন্যরকম অনুভূতি দেখতে পাচ্ছি,এমনটা আগে কখনই দেখি নাই,ভাইয়া আমার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে,সে আমার ঠোঁটের কাছে এগিয়ে আসতে দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই।)

তাহিয়াঃভাইয়া ছাড়ো আমার লাগছে।

(ভাইয়া সাথে সাথে নিজের মধ্যে ফিরে এলো,আর নিচের দিকে তাকালো,তাকিয়ে আরকদফা অবাক হলো।আমার কোমরের কাছের শাড়ি সরে গেছে তাই কোমরটা উন্মুক্ত অবস্থায় ছিলো তা দেখে ভাইয়া আমাকে তারাতাড়ি ছেড়ে পিছন ফিরে যায়।)

তাহসিনঃতাহিয়া এখান থেকে যা।আমাকে একা থাকতে দে।

তাহিয়াঃভাইয়া কিন্তু…..

তাহসিনঃযা এখান থেকে(অনেক জোরে চিল্লিয়ে বললেন)

আমি আর এক মুহূর্তও সেখানে থাকলাম না দৌড়ে নিচে চলে এলাম।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here