অঙ্গারের নেশা,পর্ব-২,৩

0
3070

অঙ্গারের নেশা,পর্ব-২,৩
নাঈমা হোসেন রোদসী
পর্ব-২

প্রানেশা ধপ করে নিচে বসে পড়লো৷ কী করে সম্ভব এটা? যদি রেয়ান সিঙ্গাপুরেই থাকে তাহলে দুইদিন আগেও এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো সে কে? প্রশ্নে মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। নাহ,আর চুপ করে থাকা যাবে না। নাহলে ভালোবাসা চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলবে প্রানেশা। দ্রুত উঠে দাড়িয়ে কপালের উপর জমা ঘাম মুছলো সে৷ দরজা খুলতে হাত বাড়াতেই, কেউ একজন দরজা টান দিয়ে খুলে ফেললো৷ হকচকিয়ে সামনে তাকালো প্রানেশা, রেয়ান দাঁড়িয়ে আছে। প্রানেশা মনে মনে ভাবলো ‘নাহ, এ রেয়ান হতে পারে না। ‘ রেয়ান অদ্ভুত ভঙ্গিতে মুচকি হেসে দাঁড়িয়ে আছে। প্রানেশা ভেতরে ভেতরে ভয়ে কাঁপছে। সাহস করে চিৎকার করে বললো-
‘কে আপনি? আপনি আমার রেয়ান হতে পারেন না ‘

রেয়ানের মাঝে কোনো আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না। সে যেনো আগে থেকেই এই ব্যাপারে অবগত। চুপ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে প্রানেশার কোমর ধরে টেনে নিলো৷ প্রানেশা এত শক্তির সাথে না পেরে হাঁপিয়ে উঠলো৷ ব্যাক্তিটি প্রানেশার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো –
‘বলেছিনা প্রাণ? এত রাগ দেখাবে না। আর আমার সাথে তো নয়ই। এখনো চেনোনি আমায়। ‘

কিছুটা থেমে অস্বাভাবিক ভাবে ঘাড় বাকিয়ে বললো-
‘শোনো প্রাণ, আমাকে রাগিও না। এর ফল ভালো হবে না। শুনেছিলাম তোমার বাবার হার্টের অসুখ আছে। এর আগেও দুইবার এট্যাক হয়েছে। একমাত্র মেয়ের বিয়ের আসরে বিয়ে ভাঙলে নিশ্চয়ই সহ্য করতে পারবে না? এবার কিন্তু এট্যাক হলে মারা যাওয়ার সম্ভবনা ১০০ পার্সেন্ট’

প্রানেশা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। এ কেমন পরীক্ষায় পরলো সে? ঠিকই, এবার যদি বিয়ের আসরে বিয়ে ভাঙে তাহলে আর সে সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু বিয়ে করলে, রেয়ান কী করে সহ্য করবে! তার প্রথম ভালোবাসা রেয়ান। তাকে ভূলে এই বহুরূপীর সঙ্গে কী করে সংসার করবে ভেবে পাগল লাগছে নিজেকে প্রানেশার। জোর করে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে জোরে বলে উঠলো –
‘কখনোই না। আপনাকে বিয়ে করবো না আমি। আমার ভালোবাসা রেয়ান। ‘

ব্যাক্তিটি ভীষণ রেগে গেলো। নিজের গায়ের সব শক্তি লাগিয়ে প্রানেশার গলা চেপে ধরলো । ফুঁসতে ফুঁসতে বললো-
‘খবরদার, তোমার মুখে অন্য কারো নাম আমি সহ্য করবো না প্রাণ। তোমার চোখে মুখে, অন্তরে, তোমার দেহের সর্বাঙ্গে শুধু এই আমার বিচরণ চলবে। তুমি আমার প্রাণ, যে আমার প্রাণকে আমার কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইবে তাকে কেটে টুকরো করতে আমি দুবার ভাববো না।’

প্রানেশা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে । কেমন হিংস্র পশুর মতোন ব্যবহার। এই মানুষটাকে বিয়ে করলে বাঁচার সম্ভবনা আছে কী? মনে সংশয় জাগে প্রানেশার। চোখের পানি পড়তে পড়তে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে৷ ব্যাক্তিটি লম্বা শ্বাস ফেলে প্রানেশাকে ছেড়ে দিলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো-
‘বিয়ে ভাঙার কোনো চেষ্টা করবে না প্রাণ। চুপচাপ নিজে যাবে কবুল বলবে। যদি কোনো গন্ডগোল করার চেষ্টা করো তো তোমার রেয়ানকে সিঙ্গাপুরের মাটিতেই পুতেঁ রাখবো’
প্রানেশা শব্দ করা ভুলে গেছে। সে বুঝে গেছে সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি সামান্য কেউ নয়। কতটা শক্তিশালী হলে, ফোনে রেয়ানের সাথে কথা বলে যে সত্যিটা প্রানেশা জেনে গেছে তা নিমিষেই ধরে ফেললো। অর্থ ও শক্তি দুটোই প্রচুর পরিমাণে আছে এর। কোনোভাবেই এখন পালানো সম্ভব না। প্রানেশাকে চুপ থাকতে দেখে লোকটি ঠোঁট এলিয়ে হাসলো । সে বুঝে গেছে প্রানেশা আর পালানোর চেষ্টা করবেনা। প্রানেশার কাছে দুই পা এগিয়ে গেলো সে। হাত দিয়ে গাল মুছে দিয়ে মাথার ঘোমটা টেনে আরেকটু বাড়িয়ে দিলো। মুখ বাড়িয়ে প্রানেশার চোখের পাতায় চুমু খেয়ে সরে গেলো। ধীর পায়ে গম্ভীর ভঙ্গিতে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো। প্রানেশা চুপ করে চেয়ারে পুতুলের ন্যয় শক্ত হয়ে বসে থাকলো৷ ব্যাক্তিটির সত্যিটা জানতে হলেও বিয়ে করতে হবে। মনে মনে স্থির করে এখন পালানোর পথ না পেলেও বিয়ের পর তো পাবে। এক না একদিন তো রহস্য বের করবেই সেদিনই এই হিংস্র বহুরূপীকে ডিভোর্স দেবে। এতে যা হওয়ার হোক৷ কিছুক্ষণ পরই কাজিনরা এসে তাকে নিচে নিয়ে গেলো৷ পুতুলের মতোই কবুল বলে বিয়ে সম্পন্ন করলো৷
বিদায়ের সময়ও প্রানেশা কাঁদলো না। অনুভূতিহীন ভাবে বসে থাকলো৷ গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা এলিয়ে বসে নিজের ভাগ্যের উপর তাচ্ছিল্য হাসলো।
মনের তীব্র হাহাকার যেনো বেড়েই যাচ্ছে। কী হবে আগামীর ভবিষ্যৎ! রেয়ানকে সে কী জবাব দেবে? আর এই বহুরূপীকেই বা কী করে স্বামীর স্হান দেবে সে!
শ্বশুর বাড়ির সামনে গেট খুলতেই প্রানেশা বাহিরে বের হলো৷ বাড়ি দেখে অবাক না হয়ে পারলো না। কালো রঙের এমন বিশাল বাড়ি প্রথম বার দেখলো সে৷ প্রানেশার বাবারও যথেষ্ট টাকা পয়সা আছে৷ বাড়িও যথেষ্ট সুন্দর। কিন্তু এতবড় নয়, কালো রঙ দিয়ে এমন কেন করলে বাড়িটাকে প্রানেশা বুঝে উঠতে পারলো না। লম্বা শ্বাস ছেড়ে সবার সাথে ভেতরে প্রবেশ করলো।

রাহাত তেহজিব নিজের রুমে বসে চিন্তায় পায়চারি করছেন৷ মিসেস অদিতি তেহজিব ভেতরে প্রবেশ করে বললেন-‘কী হয়েছে?আপনি এভাবে পায়চারি করছেন কেনো?’

তিনি চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন-
‘তুমি বুঝতে পারছো না? কেনো আমি এত চিন্তা করছি! এমন করে মেয়েটাকে ধোঁয়াশায় রাখা উচিত হচ্ছে? ‘

মিসেস অদিতি ভাবলেশহীন ভাবে ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়ালেন৷ তিনি ভীষণ ক্লান্ত। ছেলের বিয়েতে খাটুনি কম হয়নি৷ এখন লম্বা একটা ঘুমের প্রয়োজন তার। হাতের চুড়ি গুলো খুলতে খুলতে হাই তুলে বললেন-
‘এত চিন্তা করো না। যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। মেয়েটার জীবন নষ্ট হয়ে যেতো’

মিস্টার রাহাত অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন –
‘আর এখন? মেয়েটার জীবন এখন নষ্ট হয়নি? তোমার বড় ছেলে কেমন মানুষ তুমি জানো না! মেয়েটাকে বাঁচতে দেবে! ‘

চলবে…

অঙ্গারের নেশা
নাঈমা হোসেন রোদসী
পর্ব~৩

হালকা হালকা আলোর মাঝে চুপ হয়ে বসে আছে প্রানেশা। মনের অসংখ্য প্রশ্নগুলোকে দমিয়ে অপেক্ষা করছে রেয়ানের মতো দেখতে বহুরূপীর। এক ঘন্টা হলো প্রানেশাকে রুমে এনে বসানো হয়েছে। পরিবেশ ঠান্ডা হলেও ভারি শাড়ি পড়ে শ্বাস ছাড়তেও নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রানেশার। খট করে আওয়াজ হতেই প্রানেশা দরজার দিকে তাকালো। হ্যা, বহুরূপী লোকটি এসেছে। এবার প্রানেশা কোমর বেঁধে নেমেছে, কিছুতেই সত্য না জেনে থাকবেনা।
সামনে তাকিয়ে দেখলো খাটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাক্তিটি। হালকা আলোয় কেমন যেন অপার্থিব দৃশ্য মনে হচ্ছে লোকটিকে দেখে৷ এই জায়গায় রেয়ান থাকলে আজ প্রানেশা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো৷ একই চেহারা হলেও তা হতে পারছেনা সে৷ উঠে দাড়িয়ে লোকটির সামনে দাঁড়াতে নিয়েও পারলোনা প্রানেশা। তার আগেই লোকটা প্রানেশার বাহু চেপে বসিয়ে পাশে বসে পড়লো। প্রানেশা রেগে বললো –
‘সমস্যা কী আপনার? বারবার কেনো এমন করছেন? ‘

ব্যাক্তিটি অধর কোণে বাকা হাসি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বললো-‘কোনো সমস্যা নেই প্রাণ। সব সমস্যার সমাধান হয়েছে আজ। সব হিসেব পূর্ণ হলো ‘

প্রানেশা বাকা উত্তরের তেমন কোনো অর্থ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হলো৷ হাত ছাড়াতে ধস্তাধস্তি শুরু করলো। ব্যাক্তিটি একসময় জোরে ধমক দিলো।
‘হয়েছে কী!এমন করছো কেনো? আর একবার ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পরিণতি কিন্তু ভাবতেও পারবেনা ‘

প্রানেশা কড়া ধমকে চুপ হলেও চোখে পানি এসে পড়লো৷ ছোট বেলা থেকেই ভীষণ আদরের সে। বাবা মা এমনকি পুরো নানা দাদার পরিবারে সকলের চোখের মণি। একবেলা তাকে খাওয়ানোর জন্য তিন জন মানুষ লেগে থাকে। এত জোরে তাকে কখনোই কেউ বকেনি। তাই খুব অভিমান হলো প্রানেশার। তার কথা হলো এভাবে কেনো বকবে! হাত ছাড়াতে এবার আরও জোর দিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু হলো প্রানেশা। ব্যাক্তিটি ভরকালো না। বুঝতে পারলো তার প্রাণের অভিমান হলো। জোর করে টেনে কোলে বসিয়ে চোখ মুখ মুছে দিলো। সারাদিনের দুশ্চিন্তা আর ধকলে মুখটা ভীষণ শুকনো লাগছে। ব্যাক্তিটি উঠে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো । প্রানেশা হা করে তাকিয়ে আবার মুখ ফুলিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলো। ব্যাক্তিটি ঘরে আসতেই প্রানেশা দেখলো হাতে একটা প্লেট, তারমধ্যে ভাত আর মুরগীর ভাজা মাংস সাথে ডাল ৷ প্রানেশা মনে মনে ভাবলো ‘এই লোক কীভাবে জানলো আমার ভাতের সঙ্গে ডাল আর মুরগীর মাংস দিয়ে খেতে ভালোবাসি! ‘
লোকটা হাত ধুয়ে এসে প্লেট থেকে এক লোকমা ভাত মাখিয়ে প্রানেশার মুখের সামনে ধরলো। প্রানেশার ক্ষুধা লাগলেও অভিমানী স্বরে বললো –
‘আমি খাবো না, আগে বলুন কে আপনি?’
ব্যক্তিটি শক্ত গলায় বললো –
‘আগে চুপচাপ খাও তারপর বলবো’

প্রানেশা সত্যি জানার জন্য ব্যকুল হয়ে দ্রুত ভাতের লোকমাটা মুখে নিলো৷ অর্ধেক খাওয়ার পর প্রানেশা বাচ্চাদের মতোন দুইহাত দিয়ে না দেখালো, বোঝানোর চেষ্টা করলো-‘আমার পেট ভরে গেছে’
ব্যক্তিটি বুঝতে পেরে প্লেট সহ উঠে দাড়িয়ে যেতে যেতে আদেশের সুরে বললো -‘বেড বক্স থেকে পানিটা খাও ‘
প্রানেশার কেনো জানি মনে হলো লোকটা ভীষণ কেয়ারিং। যেমনটা সে রেয়ান আর তার প্রেমের প্রথম দিকে চাইতো ঠিক তেমন। রেয়ান খেয়াল তার খেয়াল রাখলেও মাঝে মাঝে কেমন একটা উদাসীন ভাব অথচ সম্পর্কের শুরুর দিকটা ছিলো স্বপ্নের মতোন। ভাবতে ভাবতে পানিটা খেয়ে চুপ করে বসলো। আবার ভাবলো লোকটা আসতে আসতে কাপড়টা চেঞ্জ করে ফেলি। ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে বদলিয়ে ওয়াশরুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে এলো৷ টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতেই ব্যাক্তিটি ভেতরে ঢুকলো৷ প্রানেশা টাওয়াল রেখে এগিয়ে গেলো লোকটির সামনে দাঁড়িয়ে হাত ভাজ করে বললো -‘ এবার বলুন ‘
লোকটি ড্রেসিং টেবিলের দিকে ফিরে পাঞ্জাবির বোতাম খুলতে খুলতে বললো-‘কী বলবো? ‘

প্রানেশার এমন ইয়ার্কি পছন্দ হলো না। পাঞ্জাবি খুলে ফেলতে দেখে চোখ মুখ ঢেকে চিৎকার করে বললো-
‘লজ্জা শরম নেই! অপরিচিত মানুষের সামনে জামা কাপড় খুলে ফেলেন ‘

ব্যাক্তির এমন অযাচিত কথা অপছন্দ হলো৷ উদাম গায়ে এগিয়ে এসে প্রানেশার পিঠে একহাত রেখে গালে চুমু খেয়ে বললো-
‘ প্রথম কথা আমি জামা কাপড় খুলে উলঙ্গ হয়ে যায়নি টাউজার আছে। দ্বিতীয়ত, তোমার স্বামী অপরিচিত কারো সামনে জামা খোলে না মিসেস সুফিয়ান তেহজিব ‘

প্রানেশার চোখ সুফিয়ানের উদাম গা দেখে পুড়ে যেতে চাইলো৷ এত ফর্সা ত্বকের সাথে ব্যায়াম পুষ্ট দেহ চোখে লাগছে। প্রানেশার চোখ মুখ খিচে বললো –
‘দূরে যান বলছি । আপনি দেখছি উচ্চ লেভেলের বেহায়া! ‘
সুফিয়ান হেসে সরে গেলো৷ গায়ে কফি কালারের শার্ট চাপিয়ে গম্ভির গলায় বললো-
‘শোনো প্রাণ, আজ থেকে তোমার একটাই পরিচয়। তুমি সুফিয়ান তেহজিবের স্ত্রী। তোমার অতীতে কে ছিলো কে ছিলো না আমি এতকিছুর ধার ধারি না। আর হ্যা, তোমার রেয়ান সম্পর্কে আমার ছোট ভাই। দুই বছরের বড় আমি তার। তাই এখন থেকে তাকে শুধু একটা নজরেই দেখতে পারো, দেবর ‘

প্রানেশা খাটের উপর ধপ করে বসলো৷ চোখ লাল হয়ে আসছে, কী অসহ্য যন্ত্রণা! যে মানুষটা জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে এলো তাকে কী করে প্রানেশা স্বামীর ছোট ভাই মানবে? চিৎকার করে বললো-
‘আপনার লজ্জা করলো না ছোট ভাইয়ের ভালোবাসায় কুনজর দিতে? ‘

সুফিয়ান প্রানেশার গাল চেপে ধরলো । রাগে কাঁপতে
কাঁপতে অদ্ভুত ভাবে সাইকোর মতো হেসে বললো –

‘নাহ, করলো না। ভালোবাসা তুই আমার, বলেছি না? প্রাণ শুধু আমার! তোর নেশায় পুরে অঙ্গার হয়েছি আমি, তোকেও হতে হবে এই অঙ্গারের নেশা ‘

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here