অঙ্গারের নেশা,পর্ব-২৬

0
2633

অঙ্গারের নেশা,পর্ব-২৬

রিসোর্টের বিশাল রুমটায় মৃদুমন্দ হওয়ার আনাগোণা।
বাতাসের এলোমেলো ধাক্কা হালকা পাতলা জিনিসগুলোকে দোলাচ্ছে। বিছানায় ছড়ানো ছিটানো কাপড় বিছিয়ে রাখা। কাবার্ড থেকে জামা কাপড় নিয়ে বিছানায় রাখছে প্রানেশা, সব জামা কাপড় রেখে উপর থেকে লাগেজটা নামিয়ে নিলো। তারপর বিছানা থেকে একটা কাপড় উঠিয়ে ভাজ করে রাখতেই হাঁপিয়ে বিছানায় বসে পড়লো। অসহায় মুখ করে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো-
‘হায় আমার পোড়া কপাল! খেটে খেটে মরি অথচ আমার সোয়ামী ফিরে চাহিয়াও দেখেন না। ‘
পরমুহূর্তেই বুক চাপড়ে বললো-
‘তোর বেঁচে কী লাভ, তুই মরে যা প্রানেশা। মরে যা তুই, কেউ তোকে ভালোবাসে না! ‘

সোফায় বসে ল্যাপটপে হাত চালাতে চালাতে প্রানেশার কর্মকাণ্ড দেখছিলো সুফিয়ান৷ প্রানেশার মেজাজ খারাপ বোঝাই যাচ্ছে। হবে নাই বা কেনো?রাতের বেলা সুফিয়ান বলেছিলো কাছেই আজকে তারা আরেকটা বিচে ঘুরবে৷ সকাল বেলা প্রানেশা টিপটাপ হয়ে রেডি হয়ে যেই এক্সাইটেড হয়ে বেরোনোর প্রস্তুতি নিলো সুফিয়ানের সঙ্গে। তখনই সুফিয়ানের কল আসলো, বাংলাদেশে তার একটা সার্জারী পড়েছে। আজকে রাতের মাঝেই সেখানে উপস্থিত হতে হবে। ছুটি নিয়েছে ১০ দিনের, অথচ সাত দিন হওয়ার আগেই চলে যেতে হচ্ছে। খুব বেশি ঘোরাও হয়নি৷ প্রানেশাকে সুফিয়ান যখন কথাটা বললো প্রানেশা চুপচাপ বসেছিলো তারপর উঠে কোমড়ে নিজের ওরনাটা বেঁধে নিয়ে জিনিস পত্র গোছানো শুরু করলো। গোছাচ্ছে কম, মিনমিন করে সুফিয়ানকে গালমন্দ করছে বেশি। সুফিয়ান, একবার উঠে হেল্প করতে যেতেই প্রানেশা কটমট করে তাকালো। তাই ল্যাপটপ নিয়ে সেই প্যাশেন্টের মেডিকেল হিস্ট্রি গুলোতে চোখ বুলাচ্ছে। প্রানেশা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে গাল ফুলিয়ে বিরবির করতে করতে গোসল করে আসলো। গায়ে ম্যাজেন্ডা রংয়ের লং টপস সাথে টাউজার।

সুফিয়ান রেডি হয়ে এসে খাবার অর্ডার করলো৷ প্রানেশা ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সুফিয়ান দুই বার ডাক দেয়ার পরও যখন আসলো না তখন সুফিয়ান দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে গেলো সেখানে। প্রানেশাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে আসলো৷ প্রানেশা হাত পা ছুঁড়ে মুচড়াতে শুরু করলো। সুফিয়ান বিছানায় বসে প্রানেশাকে নিজের সঙ্গে চেপে রেখে বললো-

‘এমন কেনো করছোরে বাবা! আমরা আবার আসবো তো ‘

প্রানেশা শক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে বসে রইলো। সুফিয়ান মৃদু হেসে প্রানেশার ঘাড়ের ওপর চুমু খেয়ে বললো-
‘রাগ করোনা বউ, বাংলাদেশেও অনেক সুন্দর জায়গা আছে আমরা সেখানেও ঘুরবো। আজ না গেলে একজন মানুষের জীবন সংকটে পড়বে। ডক্টরের বউ হয়ে এত অবুঝ হলে চলে?’

প্রানেশা কিছুটা শিথিল হলো। ঠোঁট চেপে কিছু ভেবে সুফিয়ানের দিকে পিটপিট করে চেয়ে বললো-
‘সত্যি, নিয়ে যাবেন ঘুরতে নাকি আবার ডক্টর হওয়ার বাহানা দেবেন? ‘

সুফিয়ান হেসে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে প্রানেশার মুখের সামনে ব্রেডের টুকরোটা ধরলো। প্রানেশা লক্ষ্মী মেয়ের মতো মুখে পুড়ে নিলো। সুফিয়ান নিজেও একসাথে খেয়ে উঠলো৷ প্রানেশা সবকিছু গোছানো শেষ করে ফেলেছে আগেই৷ তাছাড়া জামা কাপড় ছাড়া খুব বেশি জিনিস তারা আনেনি। টুকটাক যা ছিলো গুছিয়ে নিয়েছে৷

এক ঘন্টার মাঝেই গাড়ি সব এসে হাজির। এখানে থেকে এয়ারপোর্টে যেতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে।
বাহিরে বের হতেই আগের চারজন বডিগার্ড এসে হাজির হলো। এবার প্রানেশা সব ব্যাপারে জানে, তাই দ্বিরুক্তি না করে গাড়িতে উঠলো। সুফিয়ান উঠতে নিলে পেছনে একজন ‘স্যার’ বলে চিৎকার করলো।
প্রানেশা আর সুফিয়ান দুজনেই পেছনে তাকালো। প্রানেশা মনে মনে ভাবলো -‘ এই লোকটাকেই তো প্রথমে হোটেলে দেখেছিলাম! ‘

সুফিয়ান গা দুলিয়ে হালকা হেসে সামনে দাঁড়ানো ছেলেটার সঙ্গে কোলাকুলি করলো। প্রানেশা অনেকটাই অবাক হলো কারণ যখন বালিতে আসলো তখনও সুফিয়ান দুরত্বে থেকে কথা বলছিলো। অথচ, আজ কথা বলার ভঙ্গিমা খুবই আত্মিক। যেনো দুজন কত আপন। সুফিয়ান গাড়িতে বসতেই প্রানেশা বললো-
‘কী হলো ব্যাপারটা!’

সুফিয়ান চোখের বাদামী রঙের রোদচশমাটা কোটের পকেটে গুঁজে গাল বাকিয়ে হাসলো। প্রানেশার দিকে তাকিয়ে বললো –
‘ব্যাপারটা স্বাভাবিক ‘

একটু থেমে বললো-
‘ওটা তনিম ছিলো প্রাণ ‘

প্রানেশা স্থির হয়ে বসে রইলো। মনে মনে কিছুটা এরকমই কল্পনা করেছিলো। আচমকা চোখ বড় বড় করে বললো –
‘কিন্তু তনিম ভাইয়া, বালিতে কী করে? ‘

সুফিয়ান প্রানেশার দিকে তাকিয়ে বললো-
‘তনিম যেদিন আমাকে সেসব বললো সেদিনই সকালে ওর মা মারা গেলো। বোনকে ইভানানের যে টাকায় বিয়ে দিয়েছিলো, সেই সুখ শান্তি ওর বোন পায়নি। তালাকও হয়ে গেছিলো। আর যেখানে চাকরি করতো সেখানে থেকেও বের করে দিয়েছিলো। আমি তা পরে জানতে পারি। তনিম লজ্জায় গ্রামের বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি পরের দিনই ওকে খুঁজে বের করে আনি৷ এইখানে আমার এক বন্ধু থাকে, স্মিথ। আমরা যে হোটেলে উঠেছিলাম সেটার মালিকের ছেলে। তাই, ওকে বলে এখানে ওকে শিফট করিয়ে দিয়েছি ম্যানেজার পদে ।’

প্রানেশার প্রথমবার ইচ্ছে করলো এখনই সামনে বসে থাকা মানুষটার বুকে ঝাপিয়ে পড়তে। শান্ত হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললো-
‘তনিম ভাইয়া আমাকে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো তাহলে আপনার তো তার দুর্দশায় খুশি হওয়া উচিত ছিলো, সাহায্যে কেনো করলেন?’

সুফিয়ান প্রানেশার নরম হাতদুটো নিজের মুঠোয় নিয়ে বুকে নিয়ে বললো-
‘প্রাণ, তুমি জীবনে আসার আগ পর্যন্ত আমি ভীষণ পাষাণ ছিলাম। এক ধরনের ঘাড়ত্যাড়াও বলতে পারো৷ যা আমার তা আমি ছিনিয়ে হলেও নিজের কাছে রাখবো কিছুটা এমন। কিন্তু তুমি আমার জীবনে আসার পর এই পাষাণ, শক্ত হৃদয়ের আমিটা কীভাবে যেনো পাল্টে গেলো৷ তুমি আসার পর আমি জানতে পারলাম বিধাতা যদি আমার ভাগ্যে কিছু লিখে রাখেন তাহলে আমি তা অবশ্যই পাবো৷ শত বাঁধা অতিক্রম করে হলেও সেটা আমারই হবে।
মনে আছে?যেদিন তোমাকে বিয়ে করে আমার ঘরে আনলাম সে কয়েক দিনও আমি তোমার সঙ্গে সাইকোর মতো ব্যবহার করেছি! কেনো জানো? ভয় থেকে, আমার মনে ভয় ছিলো যদি সেই কালো অন্ধকার তোমাকে আবারও তোমায় হারিয়ে ফেলি৷ সত্যি সত্যি দম বন্ধ মারা যাবো আমি।
পাঁচটা বছর তোমাকে না দেখে তোমার কন্ঠ না শুনে আমার আত্মা মরুভূমির মতো শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছিলো৷ কয়েক দিন যেতেই আমি বুঝতে পারলাম,আল্লাহ আমার ভাগ্যেই রেখেছিলো তোমাকে।
শুরু থেকে তো তুমি আমারই ছিলে। কিন্তু আমার ভুলেই আমি তোমাকে হারিয়েছিলাম। যদি আমি সরাসরি তোমার সামনে দাঁড়াতাম তাহলে ওসব কিছু হতোই না৷ দোষটা তাহলে একজনকে কীভাবে দেই প্রাণ বলতো! ‘

প্রানেশা এবার সত্যি সত্যি সুফিয়ানকে গাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে নিলো৷ সুফিয়ান চমকে গিয়ে পরমুহূর্তেই নিজের দুই হাতে আকড়ে ধরলো৷ প্রানেশার চোখ বেয়ে গড়াচ্ছে নোনাজল। এতো সুখ অনুভব হচ্ছে, যা আগে কখনো হয়নি তার। একজন পার্ফেক্ট জীবনসঙ্গী পেলে বুঝি এমনই অনুভূত হয়! নিশ্চয়ই সব মেয়েরা এমন একজন মানুষই নিজের জীবনে চায়। যে তাকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে, আবার একই সাথে মনের আঁটকে পড়ে থাকা কথাও জেনে যাবে। আর এমন মানুষটা যদি উপরওয়ালা নিজের হাতে তাকে দান করেন তাহলে খুশিটা কী ভাষায় যায়!

সুফিয়ান প্রানেশার গালে হাত রেখে নরম গলায় বললো -‘আর কাঁদেনা বউ, তারপর মা বলবে তার বউমাকে আমি হানিমুন থেকে মেরে এনেছি ‘

প্রানেশা কান্নামিশ্রিত গলায় ফিক করে হাসলো। সুফিয়ানের প্রশস্ত বুকেই নিজের মাথাটা এলিয়ে বসে রইলো। সুফিয়ান মাথায় বিলি কাটতেই আরামে ঘুমিয়ে পড়লো প্রানেশা। যখন ঘুম ভাঙলো তখন গাড়ি থামানো। প্রানেশা চোখ কচলে হাই তুলে নিয়ে বললো-
‘আমরা কী এয়ারপোর্টে এসে পড়েছি?’

সুফিয়ান স্মিত হেসে বললো –
‘আরও আধা ঘণ্টা আগে’

প্রানেশা চমকে উঠলো। আশপাশের জায়গা দেখে সুফিয়ানের বাম হাতটা উপরে উঠালো। ইয়া আল্লাহ! সত্যিই আরও আধা ঘণ্টা আগেই পৌঁছে যাওয়ার কথা। সুফিয়ান নিজে বের হয়ে প্রানেশার পাশের দরজাটা খুলে দিলো। প্রানেশা ঘুমঘুম দেহে বেরিয়ে এলো। ঘুমের ঘোর এখনও অল্প রয়ে গেছে। সুফিয়ান গার্ডদের হাতে ব্যাগগুলো তুলে দিয়ে প্রানেশাকে নিজের সাথে জড়িয়ে হাঁটা ধরলো। প্রানেশার অর্ধঘুমন্ত অবস্থায় জিজ্ঞেস করলো –
‘আধা ঘন্টা আগেই যখন গাড়ি থেমেছে তাহলে আমাকে ডাকলেন না কেনো?’

সুফিয়ান ব্যস্ত তখন প্রানেশার চুল ঠিকঠাক করে দিতে। মনোযোগ সরিয়ে বললো-
‘কাঁচা ঘুম ভেঙে গেলে মাথা ব্যাথা করতো, আর আধা ঘণ্টা লেট তেমন কোনো ব্যাপার না ‘

প্রানেশা প্রসন্ন হাসলো। সে হাসি সুফিয়ানের প্রেমিক বুকে ঝড় তুললো। প্রানেশাকে আরেকটু কাছে এনে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো সে। প্লেনে উঠে সুফিয়ানের কাঁধে মাথা রেখেই পুরো জার্নি হলো প্রানেশার।
এত ঘন্টার জার্নিতে ক্লান্ত হলো প্রানেশা। সুফিয়ান যত্ন করে বাড়িতে ঢোকালো নিজের সঙ্গে। মিসেস অদিতি আর রাহাত সাহেব এতক্ষণ ওদের অপেক্ষাতেই দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ছিলো। সুফিয়ান আর প্রানেশা ভেতর ঢুকতেই মিসেস অদিতি দুজনকে জড়ানো কুশলাদি বিনিময় করলেন। রাহাত সাহেব আগের জায়গায়ই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রানেশা যেহেতু এবার সবকিছু জানে তাই তার কেমন যেনো সবাইকে খুব আপন মনে হচ্ছে। মিসেস অদিতি আগেও তাকে খুব আদর করতো কিন্তু প্রানেশা সহজ হতে পারেনি, কারণ তখন সকল রহস্য থেকে সে অজ্ঞ ছিলো। এবার সে সবই জানে। রাহাত সাহেবকে দেখে মনে মায়া হলো প্রানেশার। মিসেস অদিতিকে সালাম করে কথাবার্তা বলে রাহাত সাহেবকে সালাম করে কেমন আছে জিজ্ঞেস করতেই রাহাত সাহেবের চোখ ছলছল করে উঠলো। কত বছর পর কেউ জিজ্ঞেস করলো সে কেমন আছে! উজ্জ্বল আভা ফুটে উঠলো চোখ মুখে। যৌবন বয়সের করা ভুলের মাশুল আর কতদিন দিতে হবে সে জানেন না। হাসিমুখে প্রানেশার মাথায় হাত রেখে কিছু বলার আগেই সুফিয়ান শক্ত গলায় বললো

-‘প্রানেশা, চলো হাত মুখ ধোও। দিনকাল ভালো না, হাতে পায়ে জীবাণু থাকতে পারে। ‘

প্রানেশা বুঝতে পারলো সুফিয়ান এখনও অভিমান করে আছে তার বাবার উপর। এত বছরের অভিমত একদিনে তো আর ভাংবেনা। সময় দিতে হবে। প্রানেশা মনে মনে ঠিক করে যে করে এই পরিবারের মানুষগুলোকে এক করবে সে। কতটুকু সম্ভব সে জানেনা। কিন্তু চেষ্টা তো করে দেখা যায়।

রুমে গিয়ে কাপড় পাল্টে বিছানায় শুয়ে পড়লো সে। সুফিয়ান শাওয়ার নিয়েই হসপিটালের কাজের জন্য বেরিয়ে গেছে। রেয়ান নাকি অস্ট্রেলিয়ায় গেছে। শুনে অবাক হয়নি সে। ইভানানের হাতের পুতুল হয়েছে তা জানে প্রানেশা। এভাবেই আরও এক মাস কেটে গেছে। সুফিয়ানের ভালোবাসায় প্রানেশা ধীরে ধীরে সিক্ত হয়ে উঠছে । ভালোবাসার গভীর নেশায় সেও তলিয়েছে স্বামীর সংসারে। সব কিছু কী সুন্দর করে এক হাতে সামলায় ভাবতেই অবাক হয় প্রানেশা। সুফিয়ান মেডিসিন কোর্সের উপর পড়াশোনা করছে, হসপিটালের কাজ তো আছেই সঙ্গে প্রানেশাকে নিজেই গাইড করে পড়াশোনা করায়। প্রানেশার মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে -‘এই, আপনি কী মানুষ নাকি রোবট? ‘

রাত বাজে আটটা পয়ত্রিশ। বাহিরে জমকালো বৃষ্টির আয়োজন। ঝুমঝুম বৃষ্টিতে ঠান্ডা পরিবেশ। সুফিয়ান গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে প্রবেশ করলো। মিসেস অদিতির মুখ হাসিহাসি৷ মনে হচ্ছে কী নিয়ে যেনো ভীষণ আনন্দিত। সুফিয়ান জিজ্ঞেস করলো কিন্তু মিসেস অদিতি মাথা নাড়িয়ে ‘কিছু না ‘ বললেন।
সুফিয়ান সন্দেহ চোখে নিজের রুমে প্রবেশ করলো। রুমের ভিতরে ঢুকতেই আরেক দফা চমকালো। দরজার শুরুতেই ফুলের পাপড়ি বেছানো। দুই কদম দূরে ছোট একটা গিফট বক্স। সুফিয়ান ভ্রু বাকিয়ে বক্সটা হাতে উঠালো৷ আজ তো কোনো স্পেশাল ডে না তাহলে প্রানেশা এসবের আয়োজন কেনো করলো?

বক্স খুলতেই বের হলো ছোট একজোড়া জুতো, আর একটা সোয়েটার। সুফিয়ান চমকে উঠলো। বক্সের ভেতরে থেকে বেরিয়ে এলো ছোট্ট একটা চিরকুট।

‘আপনি কী আমার ছোট্ট অঙ্গারের বাবা হবেন সুফিয়ান? ‘

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here