The unlimited love?Season_2,Part_2,3
Writer Nusrat
Part_2
“হেই সামু তোকে এই লুকে খুব হট লাগছে”
ক্লাসে ঢুকতে যাবো ওমনি নিলয়ের এই কথা শুনে থমকে গেলাম আমি ৷নিলয় এসে আমার সামনে দাড়াঁলো৷ এই ছেলেটার জন্য একদিনও ভার্সিটিতে এসে শান্তি পাইনা৷ তার আমাকে ডিস্টার্ব করতে হবেই হবে৷
“আমাকেই কী তোর চোখে পরে আর কাউকে কী চোখে পরেনা৷ আমাকেই কেনো তোর ডিস্টার্ব করতে হয়৷”
“না বেব তোকে ছাড়া আমার চোখে সব ধোঁয়াশা লাগে তাই তাদের দেখতে পাইনা৷ আর তোকে ডিস্টার্ব করি”
“দেখ নিলয় আমার সামন থেকে সর আমার মেজাজ ভালো নয় তাই আজ তোর সাথে ঝগরা করতে পারবোনা”
কথাটা বলে নিলয়কে পাশ কাটিয়ে চলে এলাম আমি৷
♣️♣️♣️♣️♣️
আরুহি আদনানের রুমে ঢুকতেই দেখলো আদনান কার সাথে যেনো হেসে হেসে কথা বলছে৷ আরুহি রেগে আাদনানের দিকে এগিয়ে গেলো৷ তারপর তার কান থেকে ছো মেরে ফোনটা নিয়ে নিলো৷
“আদনান কী হচ্ছে এসব??? কেনো তুমি সামান্তার সাথে কাল এমন করেছো?? তোমার জন্য মেয়েটা কতো কষ্ট পাচ্ছে ইউ হেভ এনি আইডিয়া??
“দেখো মা,আমার লাইফ আমার ডিসিশন৷ আমার মনে হয়েছে তাই আমি এমন করেছি তাতে তোমার কী৷আর অন্যের ম্যাটার নিয়ে ইন্টারফেয়ার করা আমার একদম পছন্দ নয় তাই আমি এই মুহুর্তে এসব নিয়ে তোমার সাথে ডিসকাস করতে চাইছিনা সো এক্সকিউজ মি৷”
আদনানের এমন লাগামহীন কথা বার্তা শুনে আরুহির চোখে পানি চলে এসেছে সে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলোনা কষিয়ে চড় মেরে দিলো৷ তারপর চেচিয়ে বললো,,,
“তোমাকে নিজের ছেলে ভাবতেই লজ্জা লাগছে আমার৷ আমি মানছি তুমি তোমার বাবার মতো হয়েছো৷ কিন্তু তোমার বাবা তার মা বাবার সাথে এরকম গলা উঁচিয়ে কখনো কথা বলেনি৷ কিন্তু তুমি তার ছেলে হয়েই এমন ভাবে কথা বলছো৷ তুমি জানো তোমার এই কথাগুলো শুনে কতটা কষ্ট পেয়েছি৷ তুমিতো এমন ছিলেনা তাহলে হঠাৎ এমন পাল্টে গেলে কেনো?তোমার লাইফ তোমার ডিসিশন তাহলে ঠিকাছে আমার কাছে আর আসবেনা আর আমায় মা বলে ডাকবেনা৷আরেকটা কথা সামান্তা তোমার নিজের চাচাতো বোন তাই ওর সাথে এমন না করলেও পারতে৷ কথাটা বলে চোখ মুছে চলে গেলো আরুহি৷ আদনান এখনো গালে হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে৷
“আদনান তোমার মা কেদে এখান থেকে চলে গেলো কেনো??কী বলেছো তুমি তাকে??(শক্ত কন্ঠে)
আদিলের কথা শুনে মাথা তুলে তাকালো আদনান৷ তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে নিলো৷
আদিল আবারো এগিয়ে এসে সেইম প্রশ্নই করলো৷
“বাবা আমি মার সাথে খুব বড় অন্যায় করেছি৷ আমি মাকে অনেক হার্ট করেছি৷ আমার মাথা ঠিক ছিলোনা তখন৷”
“একটা কথা কী জানো তুমি আদনান এক সময় তোমার মাকে আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম৷ তারপর অনেক খুজাঁখুজিঁর পর প্রায় ২ বছর পর তোমার মাকে পাই৷ সেদিন তোমার মাকে হারাতে হয়েছিলো শুধু মাত্র নিজের রাগকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম বলে৷ তোমার মাকে খুঁজে পাওয়ার পর থেকে কোনোদিন গলা উঁচিয়ে কথা বলিনি ওর সাথে৷ আরুহি আামার জন্য কতটা ইম্পর্ট্যান্ট সেটা শুধু মাত্র আমি জানি৷ তোমার মাকে সব সময় নিজের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছি আমি৷ আর তুমি তোমার মাকে হার্ট না করলেও পারতে৷”
আদনানের চোখ থেকে অটোমেটিক পানি ঝরছে৷ সে আদিলকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো৷
“বাবা মা কী আমায় ক্ষমা করবে৷ আমি আসলেই আমার বিহেভিয়ারের জন্য অনুতপ্ত৷”
“আদনান তুমি এখন আমাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরলে ঠিক সেই ভাবেই তোমার মাকে জড়িয়ে ধরে সরি বলে দিবে দেখবে তোমার মা তোমায় ক্ষমা করে দিবে৷ তোমার মায়ের মন অনেক বড়৷ আমি তাকে অবিশ্বাস করে বাড়ি থেকে বেড় করে দিয়েছিলাম৷ তারপরও সে আমায় ক্ষমা করে দিয়েছিলো৷”
♣️♣️♣️♣️
মাঠে দিয়ে হেটেঁ যাচ্ছি আশ্চর্য সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ আর তাকিয়ে তাকারই কথা এতোদিন আমি লং ড্রেসের সাথে হিজাব পরে আসতাম আর আজ টপস্,স্কার্ট আর সাথে চুলও ছেড়ে দিয়েছি৷
বাড়িতে এসে শাওয়ার শেষ করে ছাঁদে গেলাম চুল শুকানোর জন্য৷ছাদেঁ পা রাখতেই আদনান ভাইয়ার কন্ঠ আসলো আমার কানে৷ তাকিয়ে দেখলাম ভাইয়া গিটার হাতে নিয়ে “হামনাভা মেরে” গান গাইছে৷
এই গানটাতো আমার গাওয়ার কথা৷ গানের প্রতিটা লিরিক্স আমার জীবনের সাথে যায়৷ আমি ছাদেঁর রেলিং ধরে মনোযোগ দিয়ে গান শুনতে লাগলাম৷ হঠাৎ হাসির আওয়াজ এলো আমার কানে৷ আমি তারাতাড়ি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম আদনান ভাইয়া ফোনে কার সাথে হেসে হেসে বলছে আর জানু বেবি ডাকছে৷ আমি আর ছাঁদে দাঁড়াতে পারলাম না দৌড়েঁ নিচে চলে আসলাম চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরার আগেই পানিটা মুছে নিলাম৷ চোখের পানির অনেক দাম৷ আমি কেনো চোখের পানি ফেলছি৷
♣️
রাতে বিছানায় শুয়ে আছি আমি৷ কিছুতেই ঘুম আসছেনা৷ দিনে যতই নিজেকে স্ট্রং রাখি না কেনো রাত হলেই শুধু আদনান ভাইয়ার কথা স্মরন হয় উনার সাথে কাঠানো মুহুর্তের কথ স্মরন হয়৷ আর চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে৷ উঠে বসলাম আমি মাথাটা খুব ব্যাথা করছে এই মুহুর্তে কফি হলে খুব ভালো হতো৷
আমি উঠে কিচেনের উদ্দেশ্য চলে গেলাম৷ হঠাৎ চোখ পরলো আদনান ভাইয়ার রুমের দিকে পা টিপে টিপে রুমের সামনে যেতেই দেখলাম দরজা খুলা৷আদনান ভাইয়া কোথায়৷
পরক্ষণেই মনে হলো,আরে আমি কেনো এসব ভাবছি৷ তাই আর দেড়ি না করে কিচেনে চলে এলাম৷ কিচেনে ঢুকতেই বড়সরো ধাক্কা খেলাম৷ আদনান ভাইয়া কফি বানাচ্ছে৷ আমিও আর না দাঁড়িয়ে আরেক চুলায় কফির পানি বসিয়ে দিলাম৷ তারপর ভাইয়াকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলাম,,,
“হায় আমার পুরা কপাল,,রাতে সবাই গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলে কাটায় আর আমি পড়ার সাথে কথা বলে কাটাই৷ ইশ আমারো যদি এমন একটা বয়ফ্রেন্ড থাকতো৷ নেই তো কী হয়েছে হয়ে যাবে৷ নিলয়তো আমায় প্রপোজ করেছিলো আমিও ওর প্রপোজ একসেপ্ট করে নিবো৷ তারপর ওর সাথে চুটিয়ে প্রেম করবো(ডাহা মিছা)
কথাটা বলার সাথে সাথেই আদনান ভাইয়া আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলেন৷
“খুব শখ না তোর চুটিয়ে প্রেম করা দাঁড়া করাচ্ছি কথাটা বলেই আদনান ভাইয়া আমার ঠোঁট চেপে ধরলেন৷ আমি উনাকে সরানোর চেষ্টা করছি বাট উনি এক পা ও নড়ছেননা৷উনার স্পর্শ এই মুহুর্তে আমার কাছে বিষের মতো মনে হচ্ছে৷ প্রায় ৫মিনিট পর ভাইয়া আমায় ছেড়ে দিয়ে বললেন,,,
“এটাইতো চেয়েছিলিস তুই৷ যা তোর ইচ্ছেটা পুরন করে দিলাম৷”
ভাইয়ার এমন কথা শুনে কেদে দিলাম আমি৷
“ভাইয়া এসব কী বলছো তুমি?? তোমার সাথে যখন রিলেশনে ছিলাম তখন ওতো আমি এসব করিনি৷ তাহলে আজ যখন আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই তাহলে এখন কেনো আমি এসব করতে চাইবো৷”
“বুঝি সব বুঝি আমি তাইতো আমার এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য এরকম ড্রেস পরে এসেছিস৷ তোর মতো মেয়েদের কাছ থেকে এসবই আাশা করা যায়৷”কথাটা বলে ভাইয়া কফি নিয়ে চলে গেলেন৷
আমি আমার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম একটা টি-শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার জিন্স পরে আছি৷ আজবতো এটা পরেছিতো কী এমন হয়ে গেছে৷কফি না বানিয়েই চলে গেলাম রুমে৷ যে কথাগুলো শুনেছি এসব শুনেই পেট বড়ে গেছে আমার৷
♣️♣️♣️
আদনান নিজের রুমে এসে জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে৷
তুই কেনো বুঝিসনা সামু তোকে এমন লুকে দেখলে যে আমার নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে অনেক কষ্ট হয়৷ তাই ওতো তোর সাথে তখন এমন করলাম নিজেকে যে আর কন্ট্রোল করে রাখতে পারছিলাম না৷ আর এই তোর ভালোবাসার নমুনা৷ আমি কেনো তোর সাথে এমন করছি ভেবে দেখেছিস তুই?ভাববি কী করে এখনতো তোর মনে আরেকজনের বসবাস৷ তোকে কোনো সময় আমি একা রাখিনি সব সময় ছায়ার মতো পাশে থেকেছি তুই আজও ভার্সিটিতে যাওয়ার পর লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়াল রেখেছি৷আমি যে তোকে অনেক ভালোবাসিরে সামু অনেক৷আমি তোর সাথে বিয়ে এমনি এমনি ভাঙতে চাইনি৷ কিন্তু এছাড়াও আমি আর কীই বা করতাম আমি যে নিরুপায়৷
চলবে,,,,,,,,
#The_unlimited_love?
#Season_2
#Part_3
#Writer_Nusrat
ডাইনিংয়ে বসে সবার জন্য ওয়াইট করছি৷ সবাই এলে তবেই ব্রেকফাস্ট শুরু করবো৷ আদনান ভাইয়ার দিকে চোখ পরতেই অবাক হয়ে গেলাম আমি৷ তার চোখ মুখ অসম্ভব ফুলে আছে সাথে লাল ও হয়ে আছে৷
“আশ্চর্য কী হলো ভাইয়ার আগে তো এমন হতে কোনোদিন দেখিনি৷ ভাইয়াকে কী জিজ্ঞাসা করবো৷ পরক্ষণেই মনে হলো কাল রাতের কথা ভাইয়া আমায় যা নয় তাই বলেছিলো এসব মনে হতেই আমার অভিমান+রাগ দুটোই বেড়ে গেলো৷ আমি ভাইয়ার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম৷ ”
আজ আমাদের ভার্সিটিতে নবীন বরন৷ তাই ব্রেকফাস্ট শেষ করে মামনী আর আম্মুর সাথে বসে আলোচনা করছি কী পরে যাবো৷ মামনী আমায় একটা নীল শাড়ি বের করে দিলেন৷ এই শাড়িতে নাকি আমায় খুব সুন্দর দেখাবে৷ আমিও খুশি মনে শাড়িটা নিয়ে নিজের রুমে গিয়ে পরতে লাগলাম৷ শাড়িটা পরে মেচিং করে চুরি আর অর্নামেন্টস পরে নিলাম৷ চুলটাও ছেড়ে দিয়েছি৷
লিভিং রুমে যেতেই আব্বু এসে আমায় জড়িয়ে ধরলেন৷
“মাশাল্লাহ আমার মেয়েটাকে তো খুব সুন্দর লাগছে৷ look like a Princess ”
“থ্যাংক ইউ আব্বু৷ আচ্ছা আমি বরং যাই”৷ কথাটা বলে আমি ভার্সিটির উদ্দেশ্য চলে গেলাম৷
আদনান ওর রুমের ব্যালকনি থেকে সামান্তার চলে যাওয়া দেখছে৷ সামান্তা চলে যেতেই সে এক ফোটা চোখের জল ছেড়ে দিলো৷
“সামু আজ তুই আমার কল্পনার সাজ সেজেছিস৷ মন চাইছিলো তেকে একটু ছুয়ে দেখি৷ কিন্তু না আমি তোকে ছোতে পারবো না নাহলে তোর অনেক বড় বিপদ হয়ে যাবে৷”
আদনানের এসব ভাবনার মধ্যেই ওর মুঠো ফোন বেজে ওটলো৷ আদনান ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই ওর হাত পা রীতিমতো কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে গেছে৷ আদনান অনেক ভয়ে ফোনটা রিসিভ করলো৷
“হ..হ্যালো”
“কী মিস্টার আদনান ভয় পেয়ে গেলে নাকি??
“ভ…ভয় কেনো পাবো আজব৷”
“তাহলে তোতলাচ্ছো কেনো৷ যাইহোক যে কথাটা বলার জন্য ফোন করেছি সেটা মনোযোগ সহকারে শুনো৷ সামান্তার থেকে তোমাকে আরও দূরে দূরে থাকতে হবে৷ নাহলে তুমি যে কোন মুহুর্তে আমার সামান্তার উপরে উইক হয়ে পরবে৷ আর আমি চাইনা তুমি এমন কিছু কর যাতে তোমার ফ্যামিলি আবার তোমাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হয়৷ আর যদি এমন হয় তাহলে বুঝতেই পারছো কী অনর্থক হবে৷ ”
“না আপনি এসব কিচ্ছু করবেননা৷ আমি সামান্তার থেকে দূরে দূরে থাকবো৷ ওর দিকে তাকাবো পর্যন্ত না৷ তারপরও আপনি এমন কিছুই করবেননা৷ আমি আপনার কাছে হাত জোর করছি৷ ”
“হাহাহা তাহলে আদনান খান আমার কাছে মাথা নত করছে৷ শুনো আমি তোমাকে এখন যাই বলবো তোমাকে ঠিক তাই করতে হবে৷”
“বলুন কী করতে হবে৷”
“তোমাকে বাংলাদেশ ছেড়ে দিতে হবে৷”
“না!!!!!প্লিজ এমন করবেননা আমি আমার মা বাবাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না৷ ”
“মা বাবাকে ছেড়ে নাকি সামান্তাকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা৷ শুনো এমন কিছু যদি হয় তাহলে বুঝতেই পারছো আমি কি করবো৷ আর বিয়ের অভিনয় কিন্তু তুমি খুব ভালো করেছিলে৷ আর এবার আশা করি এটাও ভালো ভাবে করতে পারবে৷” কথাটা বলে ফোনের ওপারের ব্যাক্তি খট করে ফোনটা কেটে দিলো৷
আদনান ফ্লোরে বসে ফুপিঁয়ে ফুপিঁয়ে কাদঁছে৷
“আমার সামান্তাকে ছেড়ে থাকতে হবে৷ কী করে থাকবো আমি ওকে ছেড়ে৷ ওকে একদিন না দেখলেই আমার ঘুম আসেনা৷ আর এখন নাকি বিদেশে গিয়ে থাকতে হবে৷”
♣️♣️♣️♣️
ভার্সিটি খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে আমি আমার বেস্টি রুমিকে নিয়ে চারিপাশে হেঁটে হেঁটে দেখছি৷
অনেক্ষন যাবত খেয়াল করছি কে যেন আমাকে গভীরভাবে ফলো করছে৷ কিন্তু না কেউ তো নেই তাহলে৷ হয়তো আমার মনের ভুল৷
“আমার সব ফ্রেন্ডরা আমার খুব প্রশংসা করছে৷ কোথ থেকে নিলয় দৌড়েঁ এসেই বললো,,,
“হেই ইয়ার তোকে যে কি সুন্দর লাগছে বলে বুঝাতে পারবোনা৷”
“আর আমাকে কি সুন্দর লাগছেনা৷” মুখ ফুলিয়ে কথাটা বললো রুমি৷
“আরে পাগলী তোকে তো সব সময়ই সুন্দর লাগে”৷
আমার শাড়ির কুচি খুলে যাওয়াতে আমি একটা খালি রুমে চলে এলাম৷ ওয়াশ রুমে অনেক মানুষ সেখানে ঠিক করা যাবেনা৷ রুমে ঢুকতেই কে যেনো দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিলো৷ আমি পিছন ফিরতেই যাকে দেখলাম তাকে দেখে আমার আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে৷ ঠিক মতো দাড়াঁতেও পারছিনা৷ এই ছেলেটা এখানে তারমানে কোনো অঘটন ঘটিয়ে তবেই যাবে৷
ছেলেটা আমার দিকে এক পা একা পা করে এগিয়ে আসছে৷ ও যতই আমার দিকে এগিয়ে আসছে ততই আমার ভয় বেড়ে চলছে৷ ও আমার সাথে খারাপ কিচ্ছু করবেনা তো৷
চলবে,,,,,,,,,,