Black Rose,Part_04

0
4498

Black Rose,Part_04
the dark prince of vampire kingdom ♚
MeghLa

সন্ধ্যায় রুমে বসে ভাবছি কি জামা পরবো৷
ঠিক এমন সময় আমান এসে বললেন,
–এই সারিটা পরে রেডি হয়ে নেও।
ওনার দিকে দেখি হাতে ওনার একটা কালো সারি।
–আজ কি শোক দিবস?
–কেন
–না মানে কালো পরছি তো তাই।
–আমান খানের স্ত্রী তুমি আমান খানের মতো চলতে শিখে নেও।
বলেই আমার হাতে সারিটা ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল৷
আমি সারিটা পরে সাজুগুজু করে নি৷
বাইরে যাবো ঠিক এমন সময়৷
আমান এসে পেছনে দাড়ান।
–আমার বৌ যে এতো সুন্দর জানা ছিলো না।
আমানের মুখে এ কথা শুনবো তা আমি জীবনে কল্পনা করি নাই।
কি বলছে এগুলা৷
–কি ভাবেন মিয়া বিবি৷
–মিয়া বিবি (ভ্রু কুঁচকে)
–তুমি আমাকে মিয়া বলছো। মিয়ার স্ত্রী মিয়া বিবি হয়।
–কি সব বলছেন৷
(এই প্রথম ওনার কাছে আসায় মনের মাঝে ভালো লাগা কাজ করতেছে)
–চলো।
বলেই আমার হাতটা ধরে নিচে নিয়ে আসলেন।
নিচে এসে দেখি পুরো বাড়ি সুন্দর করে সাজানো হইছে।
তোবাকে আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
ও সাদা পরেছে ভাইয়াও।
আমান সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয় পর্ব শেষ হওয়ার পর বেশ ভালো ভাবেই সন্ধ্যা টা কেটে গেল।
আমানকে আজ খুব চেনা চেন মনে হচ্ছিল। আজ প্রথম মনে হলো ওনার সাথে সারা জীবন কাটানো যাবে৷
তোবা ঠিক বলেছে, আমানি আমার ভবিষ্যৎ।
খাবার শেষ করে সবার থেকে বিদায় নিয়ে রুমে এলাম।
আমি সারি পাল্টে মেকাপ তুলে হালকা সারি পরে বসলাম৷
আমানের কথা ভাবছি।
ওনার কথা ভেবে হটাৎ কেমন হাসি পেল৷
–আমি হাসছি কেন৷
নাহ হাসবো না অ-কারনে হাসলে মানুষ পাগল বলবে৷
এরি মধ্যে ফোনটা বেজে উঠে,
ফোনটা তুলে দেখি unknown নাম্বার।
–হ্যালো।
–মেঘ ওহ মেঘ মাই গড আজ ৩ দিন তোমাকে আমি খুঁজছি আজ তিন দিন৷ তুমি কই। এতো চেষ্টা করি বাট ফোনে পাই না।
আদহামের কথা শুনে চোখে পানি চলে এলো মূহুর্তের মধ্যে পৃথিবী পাল্টে গেল৷
কি হচ্ছে এগুলা৷ কেমন অসস্তি লাগছে আমার।
–আচ্ছা ওসব বাদ দেও। মেঘ আমি চাকরি পেয়েছি। কালকেই তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিবো আমি৷
–আদহাম আসলে আমার,
এই টুকু বলতে কেউ আমার হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নেয়৷ পেছনে ফিরে দেখি আমান৷ ওনার চোখ মুখে রাগ স্পষ্ট। আমি ভয় পেয়ে যায়।
–হ্যালো
–জী আপনি কে৷
–আমান খান মেঘের স্বামী৷
–কিহ
–জী হ্যা আমি আাসা করবো আপনি আমার স্ত্রী কে আর ফোন করবেন না মেঘের ফোনে আর আপনার ফোন যেন না পাই৷
বলেই ফোনটা সজোরে ছুঁড়ে মারলো মাটিতে।
ফোনটা টুকরো টুকরো হয়ে গেল মূহুর্তে।
তার পর আমার হাত ধরে উঁচু করে তোলে,
এতে জোরে চেপে ধরেছে আমার হাত ভেঙে যাচ্ছে।
–বলেছিলাম আদহামকে ভুলে যেতে। তোমাকে তোমার মতো সময়ও দিয়েছিলাম৷ সব স্বাধীনতা দিয়েছি৷ তাহলে ও কেন ফোন দিলো৷
–আ।ম আমি জানি না (ভয়ে ভয়ে বললাম)
— তুমি জনো না তো কি আমি জানি ফোনটা কি আমার ফোনে এসেছে৷ (চিৎকার দিয়ে বললেন)
–সত্যি বলছি (কেঁদে দিয়ে)
আমাকে কাঁদতে দেখে আমাকে ঝাড়ি মেরে বিছানায় ফেলে দিয়ে চলে গেলেন৷
রুম থেকে৷
–আমি কি এমন করেছি যে এই ব্যাবহার করলো। আমি কি জানতাম আদহাম ফোন দিবে৷ আমি কি ওর সাথে কোখনো কথা বলেছি৷ যেভাবে বলছে সেভাবে চলছি তাও এমন করলো।
এসব বলতে বলতে কাঁদছি।
হাত দুটো অসম্ভব ব্যাথা করছে৷ অনেক জোরে ধরেছিলো৷
কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম খেয়াল নাই৷
.
রাত ১ টা,
হুডি পরিধন কৃত এক লোক বিদ্যুৎ গতিতে ছুটছে।
ছুটতে ছুটতে একটা পাহাড়ের চুড়ায় এসে দাঁড়ায়। মাথা থেকে টুপিটা সরায়।
চাঁদের আলোতে তার মুখ আলোকিত৷ এ আার কেউ নয়। আমান।
–কেন মেঘ কেন এমন করলি তুই৷ ঠিক কতোটা ভালোবাসি তোকে তুই নিজেও বুঝিস না৷ শুধু মাত্র তোর জন্য আমি মানুষের মতো চলি। তোর কাছে থাকার জন্য। কেন বুঝতে পারিস না আমাকে।
কেন,
আমানের চিৎকারে থমকা পরিবেশটাও কেমন কেঁপে ওঠে।
আজ অনেক রেগে আছে সে।
এভাবে রাতটা কেটে যায়৷

ভোরে সূর্যের মুখ দেখার সাথে সাথে আমান বাসায় ফিরে আসে।
এসেই দেখতে পায় ঘুমন্ত মেঘকে।
কালকে রাতের ঘটনা মেলাতে থাকে৷
ওর রুমের সিসিটিভি চেক করে আসলে কি কাল মেঘের দোষ ছিলো নাকি ও এমনি তে মেয়েটার উপর চিল্লায়ছে।
লেপটপ হাতে নিয়ে সোফায় বসে।
চেক করতে লাগে
মেঘ আাসার আগের দিন ই এই ক্যামেরা টা লাগানো।
এখানে সে কালকের ঘটনা টা দেখে।
–নাহ ওর তো দোষ নাই আমি শুধু শুধুই ওকে বকেছি৷
মনে মনে
আমান মেঘের কাছে গিয়ে ওর কপালে হাতের স্পর্শ দেয়।
–মেঘ৷
কপালে কারোর শীতল স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলি।
হটাৎ আমাকে এতো কাছে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যাই।
–সরি৷
–(ভ্রু কুচকে তাকালাম)
–কাল রাতে ওই ব্যাবহার করা উচিৎ হয় নি।
সরি আসলে রাগ হয়ে গেছিলো।
–রাগ হয়ে গেছিলো তাই বিচার না করে নির দোষি কে শাস্তি দিয়ে দিলাম। তাই তো।
–মেঘ৷
–সরুন৷
–বাট৷
–প্লিজ লিভ মি৷
বলেই উঠে আসলাম। একটা সারি নিয়ে গোসল করে বেরোলাম৷ ।
দায়িত্ব ব্যাপার টা আমার মাঝে একটু বেশি কাজ করে৷ কালকের কথাটা আমি ভুলি নাই৷
তাই গিয়ে কফি বানিয়ে আমাকে দিলাম৷ কিন্তু কোন কথা বলি নাই৷ উনি বলতে চেয়েছিলো আমি ইগনোর করেছি৷

নিচে সবার খাবার শেষে মা বললেন,
–বৌ মা দের নিয়ে কখন যাচ্ছিস ও বাসায়৷
–ভাবছি এখন রওনা দিবো ভাইয়ার কাজ না থাকলে (আহম্মেদ)
–ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই চল। (আমান)
কিছু সময় পর রেডি হয়ে আমরা রওনা দিলাম ও বাসার উদ্দেশ্যে,।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here