Black Rose Season_02,part_11,12[Extra]
The Dark Prince of vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
part_11
–আদ্রিজা এখনো সেই আগের মতোই আছে ওরে নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরলাম আমি আর ও ঘুমিয়েই আছ?
।
সকালে,
মিষ্টি রোদ মুখে পরতে ঘুমটা ভেঙে গেল৷
–ধুর রোদ টাও শত্রুতা করে৷
–আমার জানুর সাথে কে শত্রুতা করছে৷
আদ্রিয়ান ভাইয়ার এমন কথা শুনে এক লাফে শোয়া থেকে উঠে বসলাম৷
এক মিনিট আমি তো কোথায় যেন ছিলাম এখানে কি করে৷
এটা কোথায়৷
–এটা কোথায়, কার বাড়ি, কার সংসার?
–এতো প্রশ্ন এক সাথে করলে উত্তর দিবো কি করে৷
যাও ফ্রেস হয়ে এসো খাবার দিচ্ছি আমি রান্না করেছি৷
–মানে
ভাইয়া আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার মুখে হাত দিলেন৷
–সরি জান তোরে অনেক কষ্ট দিছি আমি আমাকে ক্ষমা করে দে৷ ।
কাল সব সত্যি উদঘাটন হইছে।
–(ও এই ব্যাপার এতো সহজে মানতাম? আসল আদ্রিজার রুপ টা দেখবা না)
ছাড়ুন আমাকে।
–কেন৷
–i say leave me.
–cool down.
–cool down এর খাতায় আগুন আমাকে বাসায় নিয়ে চলুন৷
–মানে
–বাসায় যাবো বুঝেন নি কথা এটা কই আমাকে বাসায় নিয়ে চলুন৷
–দেখ আদ্রিজা৷
–এক দম কথা বলবে না আমাকে ছোবার তো চেষ্টা ও করবেন না চুপচাপ বাসায় নিয়ে চলুন আমাকে৷
–ওক চলো৷
–(এই টুকুতে এই অবস্থা কালে কালে দেখ হোতাহে কেয়া)
আদ্রিয়ান ভাইয়া আমাকে নিয়ে গাড়িতে বসলেন৷
আমি পেছনে উনি সামনে৷
–সবাই আমাকে ড্রাইভার ভাব্বে।
–তো আমি কি করবো৷ আপনার সাথে এক জায়গায় বসতে পারবো না৷ even বাসায় যেয়ে আপনার যাতে আমার মুখ না দেখতে হয় সে ব্যাবস্থা করবো আমি৷
–এভাবে বলো না৷.
–আপনার কষ্ট হলে আমাকে বলুন রাস্তা আমি ড্রাইভ করছি৷
আমার কথা শুনে আদ্রিয়ান ভাইয়া ভেজা বিড়ালের মতো গাড়ি চালাতে শুরু করলো৷
কাউকে ক্ষমা করবো না৷
মাম্মাম পাপা কাউকে না৷
অনেক হইছে আমি যা সহ্য করছি৷ একটু বুঝুক ওরাও৷
কতো বলেছি আমি কিছু করি নাই৷
সালা এবার ১০০ টা প্রেম করুম দাঁড়া।
।
প্রায় ২ ঘন্টা গাড়ি চলার পর আমরা পৌছালাম বাসায়৷
বাসায় এসে আমি ভেতরে গিয়ে দেখি মনি, মাম্মাম আর বাবাই বসে আছে৷
মাম্মাম আমাকে দেখে হেসে দিলেন৷
আমি চোখ ঘুরিয়ে মনিকে সালাম দিয়ে রুমে চলে এলাম৷
কারোর সাথে কথা নেই৷
।
বাইরে,
–কিরে আদ্রিয়ান এতো জলদি চলে এলি।
–বড়ো মা তোমার মেয়ে
(পূর্বে হওয়া ঘটনা বললো)
–আপু অনেক অভিমান করেছে এবার কি হবে৷ (মেঘ)
–তোমার জন্য হইছে সব৷ (আমান)
–আমান তুমি আমাকে দোষ দিচ্ছো৷
–তা কি করবো আমার মেয়েকে তুমি অনেক বকছো এখন বুঝ ঠেলা৷
–বাহ কি শান্তি৷
–এই তোমার থাম৷ (তোবা)
–বাট আপু
–চুপ দোষ তোদের সবার এখন তোরা মিটা৷
আর আদ্রিয়ান আমার মেয়ে না চাইলে ওর কাছে তুই ঘেঁষলে খবর আছে৷
তোবা চলে গেল৷
।
–এবার কি হবে (৩ জন এক সাথে বলে উঠলো কথাটা)
।
।
।
রুমে এসে লম্বা সাওয়ার নিয়ে বাইরে বেরোলাম৷
রুহিকে একটা ফোন দি৷
–হ্যালো রুহি৷
–হ্যা আদ্রিজা বল৷
–আজ বাইরে যাবো। লেট নাইট পার্টি৷ এন্ড ফুল ফান৷ +১০০ টা প্রেম।
–কি!
–কি আবার শুনলি না৷
–শুনলাম তো কিন্তু বুঝলাম না রে৷
–আচ্ছা তোর বুঝা লাগবে না বিকাল ৪ টায় বের হোস আমি আসবো ওকে৷
বলেই ফোন কেটে দিলাম৷
খেলা তো এবার শুরু৷
।
।
বিকালে,
–আমান মেয়েটা এতো রেগে আছে দুপুরে নিজের ঘরে খাবার খাইছে৷
–বড়ো মা একটা বার কথা তো দুরে থাক মুখটা তাই দেখতে পারলাম না৷ (আদ্রিয়ান)
–ভালো হইছে আরো কর আমার মেয়েকে সন্দেহ। (তোবা)
সবার কথার মাঝে হটাৎ সিঁড়ি দিয়ে কারোর নামার শব্দ পেয়ে সবাই সিড়ির দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেল৷
আদ্রিজা নামছে ফুল ব্লাক।
ব্লাক গেঞ্জি উপরে কোর্ট।
ব্লাক প্যান্ট। চুল গুলা ছাড়া। হাতে ব্লাক ঘড়ি৷
এ জেন এক ব্লাক Queen.
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে৷
আদ্রিজাকে এভাবে দেখে আদ্রের বুকে ব্যাথা শুরু হইছে।
–মনি বাইরে যাচ্ছি ফিরতে লেট হবে৷
–কিন্তু কই যাচ্ছিস (মেঘ)
–মনি বলে দেও তাদের যারা প্রশ্ন করছে৷
আমি কাউকে উত্তর দিতে বাদ্ধ নই । তোমাকে বলাই যথেষ্ট৷
বলেই বেরিয়ে এলাম৷
আমি জানি বাবাই গার্ড দিবে সাথে এটা আমি না চাইলেও৷
বাইরে এসে দেখি গার্ড রা সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি গাড়িতে উঠে বসলাম।
পেছনে ওরা গাড়ি নিয়ে আসতেছে।
–সত্যি আজ কি এমন হবার কথা ছিলো৷
সব কিছুই বলদে গেছে৷
কেন একটু বিশ্বাস করলে না কেউ৷
আমি কি একটু বিশ্বাসের যোগ্য ছিলাম না।এটাই সময় সবাইকে তার ভুলের মাসুল দিতে হবে। হুহ৷
।
চলবে,
Black Rose
Season_02
The Dark Prince of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_12[Extra]
–ও আল্লাহ এ কে? আমি কই?আমার মাথা ঘুরাচ্ছে!
–এই তোর ড্রামা বন্ধ কর৷
–কেমনে কি আদ্রিজা।
–সব বলবো তোকে তার আগে চল কোন ভালো রেস্টুরেন্টে এ বসি৷
–ওকে বাট দোস্ত সবাই তোর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে৷
তোরে আজ উরায় নিয়ে যাবো৷
–রুহি।
–আচ্ছা চল৷
আমি আর রুহি একটা রেস্টুরেন্টে এ গেলাম৷
–দোস্ত আমি ছেলে হলে আজ তোরে বিয়া করতাম৷
–রুহি?
–সত্যি ভাইয়া তোকে দেখে sharuk স্টাইলে বলে নি,
তুঝে দেখা তো এ জানা সানাম৷ । প্রার হোতা হে দিবানা সানাম ?
–এই টুহির বাচ্চা টুহি৷
–এই আমি রুহি টুহি কেন বলিস৷
–আমার কথা শুন৷
–বল শোনার জন্য তো আর তর সইছে না৷
–আসলে,
(আদ্রিজা সবটা খুলে বললো)
–ঠিক কাজ হইছে ভালো করছিস৷
আমি আছি তোর সাথে।
–হুম৷
–আদ্রিজা৷
–বল৷
–আদ্রিয়ানকে অনেক ভালোবাসিস না৷
–বুঝতে শিখার সময় থেকে
–সত্যি ভাইয়া যেমন ভাগ্যবান তুইও৷
তোদের ভালোবাসা এমনি থাকুক আজীবন৷
–হুম আল্লাহ মালিক।
–আচ্ছা চল আজ শুধু খামু৷
–ওকে৷
আদ্রিজা রুহি খাবার শেষ করে উঠে আসে৷
বেশ রাত করে বাসায় আসে আদ্রিজা৷
।
রাত ৮ টা আমি দরজার সামনে এসে কলিং বেল বাজাতে মনি দরজা খুলে দেয়৷
–এতো রাত করে বাসায় আসলি।
–রুমে চলো মনি৷
–আচ্ছা তুই গিয়ে জামাকাপড় ছেড়ে খেতে আয়৷
–না খেয়ে এসেছি রুহির সাথে ছিলাম৷
–ও আচ্ছা যা আমি আসছি৷
আমি রুমে চলে এলাম কারোর দিকে না তাকিয়ে।
এসে জামা কাপড় পাল্টে ফ্রেস হয়ে বসলাম খাটে৷
–কষ্ট লাগে। অনেক টায়ার্ড আমি৷
–আদ্রিজা৷
–মনি এসেছো৷ ।
–হুম কি হইছে বল৷
–ভাইয়া কেমন আছে৷
–কেমন আর আছে যেমন থাকার কথা৷
–মনি
–থাক বলতে হবে না আমি বুঝেছি।
–তুমি বেস্ট মনি
আমি মনিকে জরিয়ে ধরলাম৷
।
।
।
রাত ২ টা৷
নিচ থেকে কলিং বেল এর আওয়াজ আসছে৷
ঘুমটা ভেঙে গেছে৷ ।
ফোনের লাইট অন করে দেখি ২ঃ০৩ মিনিট৷
–এতো রাতে সবাই ঘুম৷ কে এলো৷
আমি গিয়ে দরজা খুলে দিতে আদ্রিয়ান ভাইয়া আমার উপর পরলো৷
বাজে গন্ধ আসছে ভাইয়া থেকে৷
–আপনি মদ খেয়েছেন৷
–না।
আমি ভালো করে বুঝতে পেরেছি সব তাই ভাইয়া কে উপরে নিয়ে এলাম৷
ওনাকে শুইয়ে দিলাম৷
কি যেন বলছে তাই কানটা ওনার মুখের কাছে নিলাম৷
–সরি আদ্রিজা আমি ভুল করেছি৷ তুই ক্ষমা না করলে আমি মরে জাবো৷
আমি সুইসাইড করবো৷
প্লিজ আমি ভালোবাসি৷
।
আদ্রিয়ান সে অন্য রকম একটা মানুষ। এতো মেয়ে ওর পিছে ঘুরছে জীবনে আমি দেখি নাই একটা প্রেম করতে৷
জখন বুঝতাম ভালোবাসা কাকে বলে তখন থেকে বাবা মা মনি চাচু এর সাথে ভাইয়াকে অন্য রকম ভালোবাসতাম৷
আমার এক মাত্র খেলার সাথী ।
আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷
আমি তার স্ত্রী আজ৷
কিন্তু আমাদের জীবন কখনো কখনো বেশ রঙের খেলা খেলে। ।
।
মাথা উঠিয়ে জুতা খুলে চাদর টেনে চলে এলাম রুমে।
।
।
–সত্যি কি ভাইয়া সেটা করবে যেটা বললো।
কিন্তু না না কি ভাবছি এসব৷
সে রাতে আর ঘুম হলো না৷
ভোর রাতের দিকে একটু ঘুমিয়ে ছিলাম৷
তার পর সকাল ১২ টায় ঘুম ভাঙে৷
এক বারে গোসল করে নিচে আসি৷
নিচে এসে আমি এতো বড়ো অবাক হয়ে গেলাম৷
এগুলা কি হচ্ছে এখানে৷
এভাবে সাজানো হইছে কেন৷
–মনি মনি৷
–হ্যা আরে আমার মামোনি উঠে গেছে৷
–কি হচ্ছে এখানে মনি৷
–সারপ্রাইজ।
পেছন থেকে শব্দ আসছে৷
পেছনে তাকাতে আমি অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম।
চলবে