Black Rose?Season_03,Part_02,3
The Dark king of my Kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_02
মেঘ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু করছিলো হটাৎ কোথা থেকে আমান উড়ে এসে মেঘকে টান মেরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।
ঘটনা চক্রে মেঘ কিছুই বুঝতে না পেরে বেবদের মতো তাকিয়ে থাকে আমানের দিকে,
–মেঘ মেঘ মেঘ যখন থেকে এ বাড়ি এসেছো মায়ের মুখে শুধু মেঘ। আমি আর টলারেট করতে পারছি না তোমায়৷ কে তুমি।
আমি তার কথায় তার দিকে তাকিয়ে রইলাম৷ এ বাসায় এসেছি আজ ৩ দিন হলো হসপিটাল থেকে রিলিজ দিছে ৭ দিন পর, আগের কিছুই মনে করতে পারছি না আমি৷
ইনি নাকি আমার ফুপাতো ভাই৷ কিন্তু আমাকে সহ্য করতে পারেন না৷
আমি জখন প্রশ্ন করলাম আমার নাম কি তখন ফুপিমনি বললেন,
মেঘ।
ফুপুমনির কথা শুনলে মনে হয় আমি সত্যি এখানে থাকি কিন্তু এনার কথা শুনলে মনে হয় আমি কখনো এখানে ছিলামই না৷
আমাকে অনেক কষ্ট দেওয়া কথা বলে কিন্তু আমাকে সহ্য না করতে পারার কারনটা আমি সত্যি জানি না৷
আমি অবাক পানে তার দিকে তাকিয়ে আছি,
খেয়াল করছি তার চুল গুলো কুচকুচে কালো উপরের দিকে দেওয়া ব্লাক সার্ট হাতা ফোল্ড করা৷
ফর্সা মুখটা তার চোখে কালো মনি। অসাধারণ সে রুপ দেখে আমি হতের ব্যাথা ভুলে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছি৷
আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমান হাতটা আরো শক্ত করে ধরে বললো,
–কি হলো এন্সার মি ডেমেট।
–কি বলবো(কাঁদো শুরে)
–আই হেট উ৷
–আমার লাগছে ছাড়ুন না।
আমান মেঘের কথা শুনে মেঘের মুখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেল।
গোলগাল মুখটা তার ফর্সা আবার কালো হলুদ ফর্সা মেঘ৷
লম্বা সোজা চুল গুলা কোমড়ের নিচ পর্যন্ত পরেছে। হালকা গোলাপি রং এর একটা থ্রিপিচ পরেছে৷
বেশ মানিয়েছে তাকে।
আমান মেঘের হাতটা ছেড়ে দেয়।
মেঘ ছাড়া পেয়ে সরে আসতে চাইলে আমন আটকে দেয়।
–সরি! মা জেন না জানতে পারে।
আমান কথাটা বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
এদিকে মেঘ বসে বসে কাঁদতে শুরু করে।।
।
।
–আজ ১২ দিন ১২ টা দিন মেঘের কোন খোঁজে নাই৷
কোথায় গেছে কই আছে কিছু জানি না৷
কতো খুঁজলাম এ খোঁজার শেষ নাই।।
কথাগুলো বলে আকাশ চোখ বন্ধ করে নেয়।
–ভাইয়া।
–রোজা তুই এখানে। (মেঘের আপন ছোট বোন)
–বাবাই আপনাকে ডেকেছে৷
–কিন্তু কেন।
–জানি না ভাইয়া।
–আচ্ছা চল।
আকাশ আর রোজা মেঘের বাসায় চলে আসে,
–আঙ্কেল ডেকেছেন।
–আমি ডেকেছি বাবা আকশ। (মেঘের চাচু)
–জি চাচু বলুন।
–মেঘ যে দিন গায়েব হয় সে দিন ঢাকায় ফার্মেসীর সামনে বিরাট এক এক্সিডেন্টে হয়৷ সেই এক্সিডেন্ট এ একটি মেয়ে মারা যায়৷ দুঃখের বিষয় মেয়েটির লাস কেউ পায় নি। আমি খোঁজ নিয়েছিলাম তারা আমাকে ওই জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে এমন একটা ঘড়ি দেয়৷
মেয়েটার হাত ঘড়ি৷
এই দেখ এটা মেঘের৷
আকাশ ঘড়িটা হাতে নিয়ে হাঁটু গেঁড়ে বসে পরে।
এই ঘড়িটা শুধু মেঘই পরতো কারন এটা তার জন্য স্পেশাল ডিজাইন করা ছিলো জাস্ট এক পিস।
–এট হতে পারে না রোজা আমার মেঘ মরতে পারে না৷
মেঘঘঘ______.
পরিবারের সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এলো।
তার ধরেই নিয়েছে মেঘ আর নেই।
।
।
–মেঘ মা৷
–জি ফুপি৷
–তোমায় না বলছি ঠিক সময় খাবার খেয়ে ঔষধ খাবা৷
–জি ফুপি৷
–কিন্তু তুমি তো খাবার খাউ নি৷
–ভালো লাগছিলো না তাই ঘুমোই গেছিলম৷
–তা বললে হয় জলদি সুস্থ হতে হবে একটা ভালো ভার্সিটি তে এডমিশন নিতে হবে বুঝলি।
–জি৷
–তোকে আমান যে-ই ভার্সিটির প্রফেসর সেই ভার্সিটি তে দিবো সমস্যা হবে না৷
আমনের নামটা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। এখন কি সত্যি আমানের ভার্সিটি তে দিবে। এক মিনিট আমি আগে কোথায় পড়তাম৷
–আমি আগে কোথায় পড়তাম ফুপি মনি৷
–আগে আগে তো পড়তি আমানের ওখানেই পড়তি আগেট টা বাদ এখন বর্তমান নিয়ে চিন্তা কর৷ চল আয় খাবি৷
আমি ফুপি মনির সাথে খেয়ে নিলাম৷
এ বাড়িতে আমান ভাই আর ফুপি মনি বাদে কেউ নাই৷
ফুপা নাকি নেই এমন টাই বলেন ফুপি মনি৷ আমান ভার্সিটির প্রফেসর সাথে এই বিজনেস সামলায় সাথে ফুপিও।
মা ছেলের অনেক নাম ডাক বুঝলাম এই কয় দিনে।
আমাকে খবার দিয়ে ঔষধ দিয়ে ফুপি কোথায় বেরলেন আমি রুমের দিকে আসছি এমন সময়,
–এই মেয়ে শুনো।
হটাৎ আমনের কন্ঠে ভেতর টা ধক করে উঠে।
আমি ভয়ে ভয়ে পেছনে ফিরি। —
–জ জি।
–এদিকে এসো।
–কোথায়।
–এতো প্রশ্ন পছন্দ করি না (বেশ রেগে)
–আ আসছি৷
আমানের পিছু পিছু হাঁটছি উনি আমাকে ওনার রুমে নিয়ে এসেছেন৷
আমার ভয় করছে এসেছি ধরে উনি আমাকে সহ্য করতে পারে না।
–বসো এখানে।
উনি একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়েছেন৷
আমি চুপচাপ বসে পরি।
মাথা নিচু করে বসে আছি৷
–সুইটহার্ট।
আমানের মুখে সুইটহার্ট শুনে আমি ৭ম আকাশ থেকে এক দম রসি ছাড়া নিচে পড়লাম৷ কি বলেটা কি এই ছেলে।
উনি আমার সামনে অন্য একটা চেয়ারে বসলো।
আমার মাথায় কিছুই ধরছে না৷
কি হচ্ছে টা কি এগুলা।
হটাৎ করেই,
চলব,
Black Rose?
Season_03
The dark king of my Kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla.
Part_03
–আমার মাথাটা টিপে দেও তো (গম্ভীর শুরে)
–ক কেন?(ভয়ে উল্টো পাল্টো প্রশ্ন করছি আমি)
–কেন আবার আমি বলছি তাই (ধমকে)
–ঠিক আছে।
আমান আমাকে খাটে বসিয়ে তার মাথাটা আমার কোলের উপর দিলেন৷
আমার অস্বস্তি ফিল হচ্ছে।
কেন জানি না কিন্তু ওনার এই ব্যাবহার গুলো আমাকে অবাক করছে প্রচুর অবাক। আমি ভয়ে ভয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম।
সে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে।
বেশ অবাক করা কথা এটা৷
লোকটাকে জোমের মতো ভয় পাই৷ কেন জানি না সামনে গেলেই মনে হয় চোখ দিয়ে গিলে খাবে।
তাই যতোটা পারি দুরে থাকার চেষ্টা করি৷
কিন্তু সময় সময় উনি কোথা থেকে উরে এসে জুড়ে বসেন আল্লাহই জানেন৷
অনেক টা সময় পর এবার আঙুল গুলা ব্যাথা করছে কিন্তু এই লোকের কোন হেল দুল নাই৷
আমি মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘুমিয়ে গেছেন৷
আলতো করে মাথাটা বালিশে নামিয়ে দিয়ে চলে এলাম আমি৷
তবে কেন জানি না অদ্ভুত একটা টান অনুভব হচ্ছিল মন চাইছিলো না ওখান থেকে আসতে।
রুমে এসে বসে পরি একটা চেয়ারে,
আমার রুমে একটা লাইব্রেরি আছে।
ওখানে নাকি গল্পের বই শুধু ফুপি মনি বলেছেন৷
আমি একা একা বোর হচ্ছি তাই ওখানে গেলাম৷
ভালো করে ঘাটাঘাটি করে একটা সুন্দর বই পেলাম৷
বই উপরের অংশটা কাঠের আবরন দিয়ে করা৷ তাতে খোদাই করে লিখা,
Black Rose
The Dark Prince of vampire Kingdom♚
বাহ বইটা বেশ সুন্দর লাগলো এইটাই পড়বো আমি৷
–মেঘ৷
বইয়ের পাতা খুলার আগেই পেছন থেকে ফুপি মনির ডাক শুনতে পেলাম৷
–জি।
–কি করছিস মা৷
–বই পড়বো।
–এখন না পরে পড়িস আমি তোর জন্য কিছু সুখবর এনেছি জলদি আয়৷
–আচ্ছা।
আমি বইটা রেখে চলে এলাম ফুপির সাথে।
ফুপি আমাকে নিয়ে আমানের সামনে বসালেন নিজেও বসলেন,
–আমান আমি মেঘকে তোর ভার্সিটি তে ভর্তি করছি জদিও সে আগে থেকেই ছিলো(মিথ্যা কথা মেঘের জন্য) তাও আবার ভর্তি করছি যেহেতু ওর কিছু মনে নেই তাই ওকে তুই সব গুছিয়ে দিবি নিয়ে যাবি নিয়ে আসবি।
–মা তুমি পারোও বটে৷
আমান কথাটা বলেই রুম ত্যাগ করে।
এই কথাটা আমাকে খুব কষ্ট দিছে।
কেন এমন করে উনি৷
–মেঘ৷
–জি৷
–চল আয় খেয়ে নিবি তার পর ঔষধ খেয়ে ঘুম কাল তোর প্রথম দিন হবে না ভার্সিটির।
–হুম চলো।
সব তো ঠিক আছে আমার ভয় হচ্ছে এই ছেলেকে দিয়ে বিশ্বাস নেই জদি কিছু করে৷ না না কিছু করলে এবার ফুপিকে বলে দিবো হুহ৷
কিছু হবে না মেঘ এতো চিন্তা নিস না৷
এসব না চিন্তা করেই ঘুমের দেশে গেল মেঘ।
বইটির কথা সে ভুলেই গেছে।
।
।
এদিকে,
বইটির অন্য একটা কপি নিয়ে আকাশ বসে আছে।
–তবে কি এই #Black_Rose এর গল্পের মতো আমার মেঘ আমার থেকে দুরে চলে গেল৷ আমি কি সত্যি আর ওকে পাবো না৷ আমি পাবো না সত্যি কি আমান নামের কেউ ওর জীবনে এসেছে।
নাকি ও সত্যি তারা হয়ে গেছে।
না না আমার মেঘ তারা হতে পারে না আমার মেঘ বেঁচে আছে আমার জীবনের শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি আমার মেঘকে খুঁজবো। যেদিন খুঁজে পাবো আমি ওকে বলবো ভালোবাসি।
আকাশ মেঘের একটা ছবি বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেল।
মেঘের বাড়িতে,
–আকাশ ভাই এর জন্য চিন্তা হচ্ছে আমি জানি না কেন এতো চিন্তা হয় আমার ওনার জন্য। সত্যি আপুকে উনি অনেক ভালোবাসতেন৷ কিন্তু উনি আপুনিকে ভালোবাসে তা জেনেও কি করে আমার বেহায়া মন ওনার দিকে ছুটে।
হে আল্লাহ আমাকে তুমি ক্ষমা করো।
।
।
সকালে,
ঘুম থেকে উঠেই চললাম ফ্রেস হতে।
ফ্রেস হয়ে একটা নীল রং এর থ্রি পিচ পরে রেডি হয়ে নিচে আসলাম৷
★
নীল গড়ো নীল ফর্সা মানুষ গড়ো রংটা মানিয়েছে ভালো হাতে কালো বেল্ট এর ঘড়ি৷ চুল গুলো সামনে থেকে বাঁধা। হালকা বাতাসে উড়ছে চুল এ যেন কোন পরি৷
আমান মেঘকে দেখে খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে৷
এটা চাঁদনি খানের চোখ এড়ালো না৷
চাঁদনি খান খুদ্র কাশি দিয়ে বলে উঠলেন৷
–কিরে হা করে কি দেখছিস আমার মেয়েটাকে সুন্দর লাগছে তাইনা৷
–শুধু সুন্দর না অসাধারণ যাকে বলে কোন তুলনা নেই৷
–বাবা তুই এতো ভাবা দিলি কবে থেকে।
আমানের যেন হুস এলো,
–ক ই কই ভাবছি মা তুমিও না৷
–গুড মর্নিং ফুপি৷
মেঘ চলে এলো।
–গুত মর্নিং মাই ডেয়ার কি অবস্থা তোর।
–ভালো।
–আচ্ছা বোস খেয়ে নে। তার পর ঔষধ আছে।
–জি।
–আমান আজ ফেরার পথে ডক্টর এর সাথে দেখা করে আসিস। মেঘের বিষয়ে কিছু বলবেন উনি আমাকে একটু বাইরে যেতে হবে ঢাকার তোর ভার্সিটি না থাকলে তোকেই পাঠাতাম৷
–ঠিক আছে (গম্ভীর ভাবে)
খাওয়া শেষে করে সবাই বেরিয়ে পরলাম।
আমি ভাইয়ার পাশে বসে আছি৷ তেমন একটা ভয় লাগছে না কারন এমন কিছুই করেন নি উনি।
মনে হয় ভালো হয়ে গেছে ?
।
চলবে,