Black Rose?Season_04,Part_02,3
The Dark king of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_02
সবাই মিলে খাবার শেষ করে রুমে এলাম৷
রুমে এসে দেখি আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে৷
কিছু একটা ভাবছে৷
ওনাকে সে ভাবে কখনো দেখি আজ দেখছি,
লম্বা, মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা নয় কিন্তু স্যামলা বলা যায় না৷
চোখ দুটো ব্রাউন।
বাকা হাসলে ওনার প্রেমে পরে যেতে হয়৷
লোকটা কালো সার্ট হাতা ফোল্ড করে পরেছে।
কেন জানি না অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে৷
–এভাবে হা করে কি দেখছো ।
ওনার কথায় ধ্যান আসলো,
–কি দেখবো।
–কিছু তো দেখছো (এগোতে এগোতে)
–না কিছুই দেখছি না।(পেছতে পেছতে)
–কিছুতো দেখলে না৷
উনি এগোতে এগোতে এক দম কাছে চলে আসে৷ আমি দেয়ালে ঠেকে গেছি।
–তোমার বর তুমি না দেখলে দেখবে কে বলো তো৷
এক দম কাছে এসে।
–ইয়ে মানে৷
আমার মানে বলা শেষ হতেই হটাৎ আদ্রিয়ান আমার ঠোঁট দুটো দখল করে নিলো৷
হটাৎ এমন কাজ হওয়ায় আমি হতভাগ হয়ে গেলাম৷
কি হচ্ছে টা কি কিছুই বুঝতে পারছি না।
কিছু সময় পর,
–বৌ কি মিষ্টি গো তুমি এখন থেকে তো মিষ্টি খাওয়া লাগবে না৷ (চোখ মেরে)
এবার কিছুটা রাগ নিয়েই ধাক্কা দিলাম ওনাকে।
ও মা একটুও নড়লো না৷
উল্টে হাসতে হাসতে বললো,
–এই পিচ্চি হাত দুটো দিয়ে আমাকে সরাতে চাইছো। ।
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম ।
আমি আদ্রিয়ানকে কি করে বলবো আমি আদ্রকে ভালোবাসি আমি সত্যি জানি না আমি ওকে কি বলতে পারবো আমি আদ্রকে ভালোবাসি৷
–ম্যাম আসবো।
হটাৎ কারোর উপস্থিতে আদ্রিয়ান সরে দাঁড়ালো।
–হুম এসো।
–ম্যাম আপনাকে রেস্ট নিতে বলেছে মামনি (আমার শ্বাশুড়ি মা) আর এই গয়না আর গাউন টা আলমারি তে রাখতে বলেছে। সন্ধ্যার আগে সাজিয়ে দিবে।
–আচ্ছা।
–আদ্রিজা৷
–জি (নিচু স্বরে)
–এদিকে এসো।
–জি বলুন৷
–আদ্রকে ভুলে যাও।
আমি চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে রইলাম৷
–এভাবে তাকানোর কি আছে আদ্রিজা তোমার সম্পর্কে সব আমি জানি।
–আপনি জানেন আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি তার পরও আমাকে এভাবে বিয়ে করলেন।
–কি ভাবে বলো তো।
–আমার বিয়ে হয়ে গেল। কখন হলো? কি ভাবে হলো?
আমি নিজেই কিছু জানি না৷
–এতো যেনে কি করবে।
–আদ্রিয়ান প্লিজ।
–আদ্রিজা তুমি আমার স্ত্রী এটা ভুলে গেলে তুমিও ভুল করবে আর আমি যা করবো তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না৷
–আপনি শুধু আমাকে ধমকাতে পারেন আর কিছু না৷
আমি মানি না এই বিয়ে। (চিল্লিয়ে)
–চিল্লাবে না সকালে একটা সিনক্রিয়েট করেছো আমি কিছুই বলি নি কিন্তু আর এই ভুল করলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিবো না।
–কি করবেন আপনি কি করার আছে আর।
–আমি যা বললাম শুধু মাথায় রেখো৷
বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেল৷
–আমার সাথেই এমন হয়৷
এমন তো শুধু আমার সাথেই হবে না।
অনেক স্বপ্ন দেখছিলাম যে তাই জন্য তো।
কি করবো আমি আদ্র তুমি কই৷
।
কেঁদে কেঁদে দুপুর পার করেছি।
বিকালে কিছু মেয়ে এসে সাজিয়ে দিলো।
আপু আসলো রুমে।
–মিষ্টি তোকে কুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
আপু আমাকে আদর করে মিষ্টি বলেই ডাকে।
–হুম আর কোন উপায় ছিলো নাকি।
–এভাবে বলছিস কেন৷
–তোকে সুন্দর লাগছে আপু।
–আমার মিষ্টির থেকে না।
–হয় তো।
–তোমাদের কথা হলে নিচে এসো৷
দরজায় আদ্রিয়ান আর আবির ভাইয়া দাঁড়িয়ে।
আমি পড়েছি কালো গাউন৷
কারন সে কালো সুট পরেছে।
আপু বাসন্তী রঙের শাড়ি আর ভাইয়া ব্রাউন শুট।
চার জন নিচে আসলাম।
আদ্রিয়ান সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
এমন সময় হটাৎ,
চলেব,
Black Rose?
Season_04
The Dark king of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_03
সবার সাথে পরিচয় করতে করতে হটাৎ আদ্র এসে সামনে দাঁড়ালো।
ওকে দেখে আমি থ মেরে দাঁড়িয়ে পরলাম।
কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ও বলে উঠলো,
–এভাবে বৌ সাজে তুমি এখানে।
–আমার স্ত্রী মিসেস.আদ্রিয়ান আবরার খান ইনি।
আদ্রিয়ান আমার কাঁধে হাত দিয়ে বললো।
–মানে আদ্রিজা কি বলছেন উনি মজা করছেন তাই না।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি চোখের কোনে পানি এদিকে সব মেহমান তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।
–আদ্রিজা কিছু বলো।
–ও কি বলবে আপনি শুনছেন না আমি কি বললাম।
–আদ্রিজা তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছি।।
–আপনাকে আমার স্ত্রী এর সাথে উঁচু গলায় কথা বলার সাহস দেয় নি।
–আদ্রিজা।
–হ্যাঁ আদ্র উনি ঠিক বলছে আমি ওনার স্ত্রী।
–আদ্রিজা তুমি মিথ্যা বলছো এটা হতে পারে না আমি জানি মজা করছো না তুমি মজা করছো।
–না মজা না সত্যি।
–আদ্রিজা (হতভাগ হয়ে)
–ক্ষমা করে দেও।
–ক্ষমা ক্ষমা
বলতে বলতে আদ্র গেটের দিকে হাঁটছে।
আমি যেতে নিলে আদ্রিয়ান থামিয়ে দেন।
আমার চোখ ভরে পানি টুপ টুপ করে পরছে।
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
হটাৎ আবির ভাইয়া সবাইকে খেতে পাঠিয়ে দিলো আদ্রিয়ান আমাকে টানতে টানতে রুমে নিয়ে এলো।
–কি হচ্ছে এগুলা।।
–কি হবে
–তোমায় আমি বলেছি আদ্রিজা।
–কি বলেছেন বলুন কি বলেছেন আমার জীবন টা পুরো শেষ করে দিয়ে কি বলেছেন টা কি আপনি।
–তোমার জীবন আমি শেষ করি নি৷
–করেছেন আপনি আমার ভালোবাসাকে আমার থেকে আলাদা করেছেন এর জন্য না আল্লাহ তায়লা না আমি কেউ আপনাকে ক্ষমা করবে না এটা বলে দিলাম আমি।
–তুমি অবুঝ আদ্রিজা।
–অবুঝ না আমি আমি যা বলছি তাই আপনি দেখে নিবেন মি.আদ্রিয়ান।
–কেঁদো না
কথাটা বলেই আদ্রিয়ান চলে গেল।।
–আল্লাহ সত্যি আমাকে আর কতো কষ্ট দিবা বলো না৷
আদ্রিজা কাঁদছে।
।
।
–আবির কি হলো বুঝলাম না কিছু৷
–আমিও না৷
–আদ্রিজা না ভাইয়া কে ভালোবাসে তাইলে এটা কে৷
–তুমি ওর বড়ো আপু এটা তেমার বেশি জানার কথা৷
–ধুর আমাকে কখনো কিছু বলে নি।
–ও বার বার বলছে বিয়েটা কি করে হলো ওর ইচ্ছে তেই তো বিয়েটা হলো।
–আমার মথায় আসছে না।
–আমার মনে হয় আদ্রিয়ান সব দেখে নিবে চিন্তা করো না৷
–হুম ভাইয়ার প্রতি বিশ্বাস আছে।
।
।
রাত ২ টা,
আদ্রিজা জানালার উপর বসে আছে।
চাঁদ টা অর্ধেক আজ।
কিন্তু ভালো আলো দিচ্ছে।
ঘুম নেই চোখে।
জীবন টা কেমন হয়ে গেল তাই না৷
–কি করছো তুমি৷
–……..(নিশ্চুপ)
–আদ্রিজা আমি কিছু প্রশ্ন করেছি।
–এবার ও নিশ্চুপ।
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে হাত ধরে আনে।।
–কি হইছে টা কি।
–কি হবে।
–তুমি আমার কথা শুনতেছো না কেন৷
–ইচ্ছে নাই কিছু শুনবার।
–ইচ্ছে না হলেও শুনতে হবে।।
কাল সিলেট যাচ্ছি ওখান থেকে কক্সবাজার।
–আমি কোথাও যাবো না।
হটাৎ আদ্রিয়ান আমার দু বাহু ধরে দেয়ালে চেপে ধরে,
–মতামত জানতে চাই নি (দাঁতে দাঁত চেপে)
–ব্যাথা লাগছে৷
–লাগুক আমাকে যে ব্যাথা দিছো তার কি।
–আর আপনি যে আমাকে ভেঙে দিছেন তার কি।
আদ্রিয়ান কিছু সময় তাকিয়ে থেকে।
হটাৎ করেই আদ্রিজার ঠোঁটে হামলা দেয়।
এমন একটা পরিস্থিতি তে এই লোক এই কাজ করবে তা যানা ছিলো না আদ্রিজার৷
বেশ কিছু সময় পর,
–মানো আর না মানো আদ্র তোমার অতিত ছিলো বর্তমান এবং ভবিষ্যত আমি। তোমার উপর অধিকার শুধু আমার এই দেখো তা সকাল থেকেই বুঝিয়ে আসতেছি।
চলো এখন ঘুমোবে।
বলেই আমাকে ধরে বিছনায় শুইয়ে আমার কোমড় চেপে শুয়ে পরলো।
উঠায় ও শক্তি নাই৷
তাই চুপচাপ শুয়ে থাকলাম।
উফ আল্লাহ আমি কি করবো।।
।
।
–আআআআআআ সব শেষ সব৷ আদ্রিয়ান সব শেষ করে দিলো।
–স্যার শান্ত হোন৷
–শান্ত আমি শান্ত হবো। (ধমক দিয়ে)
–স্যার আমরা কিছু একটা করবো।
–কি করবে।
–দেখা যাক৷
–এই কি চলছে তোমার মাথায়৷
–শুনবেন।
–বলো,
–আসলে,
…………
…………
…………
চলবে,
(বানা ভুল হতে পারে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী)