Black Rose?Season_04,Part_04,05(Extra)

0
3123

Black Rose?Season_04,Part_04,05(Extra)
The Dark king of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_04,05(Extra)

সকালে,
ঘুম ভাঙতে নিজেকে আদ্রিয়ানের বুকে আবিষ্কার করলাম।
আমি বুঝতে পারতেছি আমার আর এদিক ওদিক তাকানো হবে।
আদ্র আমার অতিত ই থেকে যাবে আর কখনো নিজেকে আদ্রিয়দনের কাছ থেকে ছাড়াতে পারবো না।
আমি এখানে বন্দি।
আমার জীবনের সব থেকে বড়ো রহস্য হলো এই বিয়েটা কি করে হলো আমার মথায় আজো আসছে না।
এতো না ভেবে উঠে বাথরুমে চলে গেলাম।
গোসল করে বেরিয়ে আসলাম।
এসে চুল ঠিক করছি এমন সময় দেখি,
আদ্রিয়ান উঠে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি তোয়াক্কা না করে চুল ঠিক করে বাইরের দিকে পা বাড়াতে আমাকে টান দিলো,
–কি হচ্ছে।
–দাঁড়াও সামথিং ওয়াজ মিসিং।
–মানে।
–মানে এতো সুন্দর বৌ কিছু একটু মিসিং আছে।
–হুহ।
আদ্রিয়ান আমাকে একটা লকেট আর চেইন পরিয়ে দিলো।
–এবার যাও নিচে।
–যাচ্ছি।
–না দাঁড়াও।
–কি।
আমার কপালে চুমু দিলো। কি লুচ্চা রে।
–এবার যা-ও।
বলেই চলে এলাম।
লুচ্চা লোক।
তবে লকেট টা বেশ সুন্দর।
আমি নিচে আসতে দেখি আপু শ্বাশুড়ি মায়ের সাথে রান্না ঘরে রান্না করছে।।
–গুড মর্নিং আদ্রিজা।
–গুড মর্নিং আপু।।
–এদিকে আয়।।
আমি রান্না ঘরে যেতে দেখি অনেক কিছুই রান্না হইছে।
–কি ব্যাপার কি হচ্ছে এতো রান্না কে আসবে৷
–কে আসবে আমরা খাবো।
–এতো আল্লাহ৷
–হ্যাঁ এতো।
–মা এতো আমরা খাবো।।
–হা হা হুম আমার পিচ্চি বৌ রে।
–কি বলে এরা (অবাক হয়ে)
–প্রিয় ভাই বৌ না শালিকা কি বলবো বলো তো (আবির ভাইয়া)
–শালি বলবা শালি আমি কোন বৌ ডাক শুনবো না।
–বাবা কি হইছে রে ঝগড়া।
–না এমনি বলছি তুমি তো আমার দুলাভাই আগে।
–বাবা এতো প্রেম।
–হ্যাঁ অনেক প্রেম।
রান্না ঘরে কিছু হল্প করে দিয়ে আসলাম টেবিলে।
সব সাজিয়ে উপরে তাকাতে দেখি আদ্রিশান নামছে,
ব্লাক সুট চুল গুলো উপরের দিকে হাতে ঘড়ি।
মানুষ টাকে এতো সুন্দর দেখাচ্ছে তা বলার বাইরে।
আমি ক্রাস খাচ্ছি।।
–কি রে রাতে দেখিস নি যে এখন চোখ ই সরছে না (শুকনো কাশি দিয়ে অনিশা)
–কি দেখবো (থতমত খেয়ে)
–বাবা লজ্জা দেখি।
–ধুর তুই ও না আপু।
–গুড মর্নিং সবাই।
–গুড মর্নিং ভাইয়া।
–ভাবি মা কে বলো না আমার অনেক জরুরি কাজ আছে আমাকে না খেয়েই বেরিয়ে যেতো হবে।
–ভাইয়া কিছু খেয়ে যা-ও।
–না ভাবি ভাইয়া চলো।
–হ্যাঁ চল। আসি।
ওনারা চলে গেল।
–কি হলো ভাবি
–কি আমি
–সরি আপু আমিও গুলিয়ে গেছি।
–হাহা তুই বাচ্চা রে আদ্রিজা।
–হ।
–হ কি কিছু দিন পর যার নিজের একটা বাবু হবে সে কিনা বাচ্চা।
–তুই আগে।
–হ দাঁড়া দেখছি।
–কি নিয়ে কথা হচ্ছে (শ্বাশুড়ি মা)
–কিছু না মা৷
–ওরা কই।
–মা বেরিয়ে গেছে।
–সে কি না খেয়ে।
–হুম।
–আচ্ছা।
মা আমাদের নিয়ে খেতো বসলো।
খাবার শেষ করে রুমে আসলাম।
আপু আসলো কিছু সময় পর।
আপুর সাথে গল্প করতে করতে দিন শেষ।

সন্ধ্যার দিকে,
আজ বাসায় আসলো না ওরা।
কি ব্যাপার সারা দিন আসলো না।
যাক এটা বাদ দিয়ে।
নিচে এসে টিভি দেখছিলাম।
হটাৎ কলিং বেল বাজলো
আমি দরোজায় খুলতে দেখি তারা দুই ভাই দাঁড়িয়ে।
কিন্তু কেমন অদ্ভুত লাগছে তাদের।
আমি ওতো কিছু না ভেবে ভেতরে আসতে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
দরজা লাগিয়ে পেছনে ফিরতে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসলো।

চলবে,

Black Rose?
Season_04
The Dark king of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_05(Extra)

আমি পেছনে ফিরে দেখি,
দু’টো লোক তাদের বড়ো বড়ো দাঁত বের করে দাঁড়িয়ে আছে।
ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমার৷
তাঁদের শরু দাঁত গুলো মুখ ভেত করে বেরিয়ে আছে।
আর তারা দাঁড়িয়ে আছে।
ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে৷
আমার জবান আটকে গেছে আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না৷
আমি দেখলাম আদ্রিয়ান আর আবির ভাই কিন্তু এরা কারা।
কি প্রাণি এরা।
আমি কি বলবো ওরা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আমি পেছনে যেতেও ভুলে যাচ্ছি।
–আদ্রিয়ান………….. (চিৎকার করে)
আর কিছুই মনে নেই।
–আদ্রিয়ান। (ধড়ফড়িয়ে উঠে)
ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম আমি।
চারিদিকে অন্ধকার।
ভয়ে আমি পুরা ঘেমে গেছি।
আদ্রিয়ান লাইট অন করে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
ভয়ে আমি তখনো কাঁপছি।
–কি হইছে আদ্রিজা বাজে স্বপ্ন আসছে বলো।
–আদ্রিয়ান আমাকে রেখে যাবে না বলো।
–না যাবো না কি হইছে বলো
–কিছু না (দম নিয়ে নিয়ে)
–আদ্রিজা বলো।
আমি শান্ত হয়ে সবটা খুলে বলি আদ্রিয়ানকে।।
–কিছু হবে না ওসব তোমার মনের ভুল এই দেখ আমি এই তো।
–আমার আমার,
–থাক আর কিছু বলতে হবে না।
আদ্রিয়ান কে আমি তখনো ছাড়ি নি।
ও আমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছে।
আস্তে আস্তে আমার চোখ বুজে আসে।
আদ্রিয়ান আমাকে নিয়ে শুয়ে পরে।
–কাজটা ঠিক করলে না তুমি আমার আদ্রিজার উপর ফেলা প্রভাবের কারনে তোমার ১০× মাসুল দিতে হবে।
আদ্রিয়ান কথাটা বলে আদ্রিজাকে আরো শক্ত ভাবে জড়িয়ে নেয়।

সকালে,
আদ্রিয়ানের মনে হচ্ছে বুকের মধ্যে কেউ আগুন জ্বালিয়ে দিছে এতো গরম অনুভব হচ্ছে তার।
চোখ মেলে দেখে আদ্রিজা কাঁপছে কম্বলের তলে থেকেও।
দ্রুত পায়ে উঠে আদ্রিজার জ্বর মেপে আদ্রিয়ানের চোখ কপালে পুরো ১০৫°।
আদ্রিজাকে আরো একটা কম্বলে মুড়ে।
জলদি ডক্টর কে কল করে।।
ডক্টর আসছে তত সময় আদ্রিজাকে লবন পটি দিতে বলে।।
আদ্রিয়ান সবাইকে বলে দেয়।
–আদ্রিয়ান কি অবস্থা কি হইছে ওর।
–বুঝতে পারছি না ভাবি।
–হটাৎ এতো জ্বর আসার কারন৷।
–কাল রাতে ভয় পেয়েছিলো৷
–কি নিয়ে,
আদ্রিয়ান সব খুলে বলে।
–আল্লাহ কি বলো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ।
ডক্টর চলে এলো এর মধ্যে।
–মি.আদ্রিয়ান আমাকে দেখতে দিন।
আদ্রিয়ান সরে আসে।
ডক্টর চেকাপ করে ঔষধ দিয়ে যায়।
–লবন পটি দিন ২ দিনের মধ্যে না কমলে হসপিটালে এডমিট করা লাগবে।
–ওকে ডক্টর।
আদ্রিয়ানের চিন্তায় মাথাই কাজ করছে না আদ্রিজাকে এভাবে দেখতে পারছে না।
সমালে লবন পটি দিতে আছে।
–ভাইয়া তুমি এভাবে উত্তেজিত হইও না।
–ভাবি কি করে বলছো এই কথা।
–আমি বুঝতেছি কিন্তু।
–কিন্তু নেই ভাবি তুমি রান্না করে সবাইকে খেতে দেও।
–হুম দরকার হলে ডেকো।।
–আচ্ছা।

সবাই চলে গেল।
আদ্রিয়ান আদ্রিজার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
–আমি বুঝতে পারতেছি সব কিন্তু কিছুই করতে পারছি না এখন। কথা দিচ্ছি সব ঠিক হবে।
আদ্রিজার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে আছে।
জ্বরে পুরে যাচ্ছে আদ্রিজা।
মুখ ক্রমশ লাল বর্ণ ধারণ করতেছে।।
আদ্রিয়ানের ভয়ে কলিজা শুকিয়ে আসছে।

কিছু সময় পর,
–আদ্রিয়ান বাবা বৌ মা কে এগুলা খাইয়ে দে।
–কি মা৷
–এই যে সুপ আনছি তোর জন্য নাস্তা করে নে উঠা ওকে।
–হ্যাঁ মা।
আদ্রিয়দন আদ্রিজাকে উঠিয়ে বসায় আদ্রিজার চোখ বন্ধ এখনো।
–আদ্রিজা উঠো খেতে হবে।
–না (জ্বরের ঘোরে)
–আদ্রিজা মা খেয়ে নে।
আদ্রিয়ান ও ওর মধ্যে নেই তুই খাইয়ে দে। (ইয়াসমিন বেগম আদ্রিয়ানের মা )
আদ্রিয়ান খুব কষ্টে একটু খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয়।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here