??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,Part:01

0
5939

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,Part:01
লেখকঃFarvez Hosen Akash

কখনো ভাবিনি এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমেরিকা নাম করা কলেজে থেকে অনেক বড় ডিগ্রি নিয়েছি।আর বাড়ি থেকে ফোন আসায় তাড়াতাড়ি প্লেনে করে নিজের দেশে ফিরে আসতে হলো ।ভেবেছিলো দেশে এসে সবাইকে সারফ্রাইজ দিবো কিন্তু দেশে এসেই শুনি আব্বু অসুস্থ ওনার পক্ষে আর রাজকার্য পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।এই কথা গুলো আমার আব্বুর সাথে রাজনৈতিক লোকেরা বলছে ঠিক সেই সময়ে, আব্বুর সাথে কাজ করা লোকেরা এসে বললো এখন থেকে আমাকেই এই সবের দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও আমি এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না ভেবেছি নিজের দেশে এসে কয়েকদিন ঘুরবো মজা করবো তারপর নিজে কিছু করার চেষ্টা করবো কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে কিছুই আর হলো না।ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে কিন্তু সব চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে আব্বু অসুস্থ হওয়া কারণ সেজন্য নিজের রুমে ব্যগ রেখে হসপিটালের ঠিকানা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।কিন্তু হসপিটালের এসে দেখি অনেক এপ.পি, মন্ত্রী, মিনিষ্টার, রাজনৈতিক অনেক লোকই বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে আর পুরো হসপিটাল ওখানকার কমান্ডো আওতায় রয়েছে।আর সব চেয়ে মজার ঘঠনা হলো আমাকে এখানে কেউ Chene না।সেজন্য হসপিটালের ভিতরে ডুকতে পাচ্ছি না কেননা কমান্ডো লোক কাউকে ভিতরে ডুকতে দিচ্ছে না,তখন আম্মুকে ফোন দিলাম সব কথা বললাম আর মা কাকে যেন ফোন করে আর ভিতর থেকে একটা লোক এসে আমাকে ভিতরে নিয়ে যায়।আমি ওখানে ভিতরে ডুকতে গেলে গার্ডরা ডক্টর আর নার্স ছাড়া কাউকে যেতে দিবে না সেজন্য আমি আমার পরিচয় দেওয়াতে ওরা ভিতরে যেতে দিলো আমি ভিতরে গিয়ে দেখলাম আব্বু শুয়ে আছে আর সাথে আম্মু বসে আছে। আমাকে দেখে আম্মু জড়িয়ে দরে কান্না করতে লাগলো আমি আম্মুকে শান্তনা দিয়ে আব্বুর সাথে কিছু কথা বলে ওখান থেকে বের হওয়ার সময় চোঁখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি পড়ে গেলো।আমি ওখান থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে আসলাম তখনই দেখলাম একটা মেয়ে কারো সাথে জগড়া করছে যদিও মেয়েটার চেহারা আমি পুরোপুরি দেখতে পাই নি।কেননা ওখানে অনেক মানুষ থাকায় চেহারা দেখতে পারিনি তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম, মেয়েটা হাতে একটা লাভ ট্রেটু আছে আর আমি ওখানে যাওয়ার আগেই মেয়েটা চলে যায়।
দেখলেন তো আপনাদের জন্য ঠিক মত চেহারাটাও দেখতে পারলাম না।যাই হোক আপনাদের তো আমার পরিচয় দিতেই ভুলে গেছি আমি আকাশ। বর্তমানে পড়াশোনা কমপ্লিট। আমার আব্বু (শাহাজাহান চৌধুরি)বর্তমানে লন্ডনের CM.আব্বু হঠাৎ অনেক মানসিক চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে যায়।আর আমার মা একজন গৃহিণী। এখন এতটুকুই জানালাম তবে গল্পের মাঝে আস্তে আস্তে সব কিছু জানতে পারবেন।
গাড়ি নিয়ে আকাশ বাসায় চলে আসে আর ভাবতে থাকে ওর আব্বুর দেওয়া কথা আকাশকে যে করে হোক ফালন করতেই হবে।

(এখন তো বলবেন আকাশকে কি কথা বলেছিলো ওর আব্বু তাহলে আপনাদের বলছি কিন্তু আপনারা এগুলো বাহিরের কাউকে বলবেন না, তাহলে চলুন হসপিটালের আকাশ আর শাহাজাহান চৌধুরী মাঝে কি কথা হয়েছিলো)

একটু ফ্লেশব্রেকে যাই।
।।
।।।
।।।।
আকাশ যখন ICU রুমে ডুকে তখন ওর আব্বুর সাথে কিছু কথা হয় আর সে কথা গুলো হচ্ছে।

আব্বু ঃ আকাশ আমার অনেক বয়স হয়েছে আর আমার পর তোকেই এই রাজ্য পরিচালনা করতে হবে সেজন্য আমি চাই তোকে CM চেয়ারে বসানে।

আকাশঃ কিন্তু আব্বু আমি কি পারবো।

আব্বু ঃ তুই চিন্তা করিছ না আমি তোকে সব কিছু শিখিয়ে দিবো।

আকাশঃ ঠিক আছে তুমি যা মনে করো।কিন্তু অন্যরা কি আমায় মেনে নিবে

আব্বুঃ তা নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না।

আকাশঃ ঠিক আছে।
।।।
।।।।
।।।।।
রাতটা পার হয়ে আকাশ হসপিটালের দিকে যায় কেননা আজকে আকাশের আব্বুকে বাড়িতে নিয়ে আসবে।হসপিটালের গিয়ে এখানকার সকল কাজ শেষ করে আকাশ ওর আব্বুকে নিয়ে রওনা দিলো আকাশ গাড়ি ড্রাইভ করছে আর গাড়ির পিঁছনের সিটে আকাশের আব্বু আর আম্মু। আর আকাশদের গাড়ির আশেপাশে প্রায় ১০-১৫ গাড়ি হবে তার মধ্যে কমান্ডো,পলিশ তো আছেই।অনেক সিকিউরিটি দিয়ে আকাশ ওর আব্বুকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে আর ওনাকে রুমে নিয়ে যায় আর বিছানায় শুইয়ে দেয়।আকাশ ওর আব্বুর পাশে বসে আছে আর আকাশের আব্বুকে দেখতে অনেক লোক এসেছে আর ওনারা শাহাজাহান চৌধুরী সাথে দেখা করে আর আকাশের সাথে ওনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়।এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আকাশের আব্বু সুস্থ হয়ে যায় আর ওনি আজকে অফিসে যাবে কেননা আজকে অফিসে ওনার অনেক কাজ পড়ে আছে সেজন্য ওনাকে আজ অফিসে যেতে হবে আর সেই সাথে আকাশ ও আজকে যাবে কেননা ওনার দায়িত্ব ওনি আকাশকে বুঝিয়ে দিবে।সেজন্য আকাশ ও আজকে যাবে।ওনারা বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে আর ওনাদের গাড়ির চারপাশে অনেক সিকিউরিটি আছে।আকাশ আর আব্বু গাড়িতে বসার পর গাড়ি চলে ওনাদের অফিসে চলে আসে।আর শাহাজাহান চৌধুরী আকাশকে নিয়ে বোর্ড রুমে যায় কেননা এখানে আজকে আকাশকে নতুন CM করা হবে সেজন্য অনেক ফলিটিশিয়ান,সরকারি লোক,বেসরকারি, আরো পার্টির অনেক লোক আছে আর মিডিয়া তো থাকবেই।আকাশ ওখানে গিয়ে একটা চেয়ারে বসে বসে আর আকাশের আব্বু ওনার বক্তব্য দেওয়ার জন্য স্ট্রেজের সামনে আসে আর ওনার বক্তব্য দেয়।আর ওনার বক্তব্য ওনেকে ভালো লেগেছে আবার অনেকের খারাপ লেগেছে যাদের খারাপ লেগেছে তাদের মধ্যে অনেকেই চেয়েছিল CM চেয়ারে তারা বসতে চেয়েছিলো কিন্তু তাতেও ওনারা কিছু করতে পারবো না আর আকাশ সাইন করে নতুন CM করা হলো আর আকাশ ওখানে শপথ বাক্য পাঠ করে।এতে অনেকের আর কিছু করার ছিলো না কেননা সাইন করার মাধ্যেমে আকাশ CM হয়ে গেল।আর ওখানে বোর্ড মিটিং শেষ হওয়ার পর সবাই আকাশকে অভিনন্দন জানালো।আর আকাশকে নিয়ে শাহাজাহান চৌধুরী বাসায় চলে আসলো কেননা ৩ দিন পর আকাশ অফিসে জয়েন্ট করবে সেজন্য আকাশের নামে সব কাগজ পএ ঠিক করতে হবে।

আর হ্যাঁ বোর্ড মিটিং এর কথা তো আপনাদের বলাই হয়নি।তাহলে চলুন শুরু করা যাক বোর্ড মিটিং এ কি কথা হয়েছিলো।
।।।
।।।।
।।।।।
শাহাজাহান চৌধুরী ঃ আমি আপনাদের সবাইকে আজকে এই কারণে ডেকেছি কারণ আমার অনেক বয়স হয়েছে আর সব চেয়ে বড় কথা হলো আমি এই রাজ্য চিন্তা করতে করতে মানসিক দিক দিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি তাই আমি CM পদটা ছেড়ে দিবো আর আমার একমাত্র ছেলে আকাশ চৌধুরীকে নতুন CM দায়িত্ব দিবো।এতে আপনাদের কোন আপত্তি নেই তো।

যদিও এখনে অনেক সরকারি লোক আছে ওনারা জানে শাহাজাহান চৌধুরী যখন এই ডিসিশন নিয়েছে তাহলে কোন সমস্যা হবে না কিন্তু বিরোধী দল ওনারা এটা মানতে চায় না কারণ একজন CM সে ইচ্ছে করলেই নতুন করে কাউকে এই দায়িত্ব দিতে পারে না আর সবচেয়ে বড় কথা হলো CM দায়িত্ব নিতে হলে পড়াশোনা শেষ করতে হয়।আর আকাশ কতটুকু পড়ালেখা করছে তা কেউই জানে না এই নিয়ে অনেক কথা উঠে ওখানে।তখন শাহাজাহান চৌধুরী বলে উঠলো।

শাহাজাহান চৌধুরী ঃ আপনাদের কথাই মেনে নিচ্ছি সেজন্য আমার ছেলে কতটুকু পড়ালেখা করছে আর কোথায় থেকে করছে এই সব কিছু আমার ছেলেই আপনাদের বলবে আর প্রমাণ দিবে।

বিরোধী পক্ষ ঃ ঠিক আছে,প্রমাণ দিক তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

তখনই আকাশ চেয়ার চেড়ে উঠে সামনে আসে আর ওখানে থাকা ল্যাপটপ দিয়ে আকাশের ইউনিভার্সিটি কলেজ ওয়েব সাইটে ডুকে আর আকাশের সাটিফিকেট দেখানোর জন্য আকাশের ID আর Password দিয়ে লগিন করে ওখানে থাকা সবাইকে আকাশের পড়াশোনা কতদূর করেছে তা সবাই দেখায়।আর এখানে আকাশের সাটিফিকেট দেখে কেউ আর কোন কথা বললো না আর তখনই মিটিং শেষ হয়েগেল।
।।।
।।।।
।।।।।
আকাশ যেহেতু অফিসে যেতে হবে সেজন্য আকাশের কিছু শপিং করতে হবে, সেজন্য আকাশ ছদ্মবেশ ধরে কোন সিকিউরিটি ছাড়াই শপিংমল চলে যায় আর নিজের পছন্দ মত অনেক শার্ট,প্যান্ট আর কোর্ট কিনে নেয় আর প্রয়োজনিও আরো কিছু জিনিস কিনে নেয়।আর GPS সেট করা একটা ঘড়ি কিনে নেয় যেটা আকাশের আব্বু আকাশের জন্য ওডার করেছিলো। কেননা এই ঘড়ির মাধ্যে আকাশ কখন কোথায় যায় তা সরকারি লোক মনিটর করতে পারবে। আর কোন সমস্যা হলে আকাশকে প্রোটেক্ট করতে পারবে, যদিও আকাশের সাথে ২৪ ঘন্টা সিকিউরিটি থাকবে তবুও এটা এক্টা সিকিউরিটি।এসব কিছু কেনাকাটা করতে করতে দুপুর হয়ে যাওয়াতে আকাশ ওখানকার শপিংমল থাকা ক্যান্টিনে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে ঠিক তখনই আকাশ সামনে দেখতে পায়……

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here