??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,Part:02

0
4610

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,Part:02
লেখকঃ Farvez Hosen Akash

এসব কিছু কেনাকাটা করতে করতে দুপুর হয়ে যাওয়াতে আকাশ ওখানকার শপিংমল থাকা ক্যান্টিনে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে ঠিক তখনই আকাশ সামনে দেখতে পায়……


আকাশ সামনে দেখতে পাও ওই দিনের সেই মেয়েটার হাতটা কিন্তু আকাশ উঠার আগেই মেয়েটা কোথায় যেন হারিয়ে গেল।আকাশ এটাই ভাবে আজকেও মেয়েটার চেহারা দেখতে পেলাম না।কি আর করবে আকাশ বিল দিয়ে আকাশ গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসে আর ফ্রেশ হয়ে ঘুম যায় কেননা কাল থেকে আকাশের এক নতুন জীবন শুরু করতে যাবে।

পরের দিন আকাশ রেডি হয়ে নেয় আর নিচে নামে তখনই দেখা হলো আকাশের আম্মুর সাথে আকাশ ওর মা-বাবার পায়ে সালাম করে কেননা কোন শুভ কাজ করতে গেলে বড়দের দোয়া নিতে হয়। আকাশ সকালে নাস্তা করে নেয় আর বেরিয়ে পড়ে অফিসে যাওয়ার জন্য আর আকাশের সাথে শাহাজাহান চৌধুরী আছে কেননা ওনি আজকে আকাশকে সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দিবেন।সেজন্য দুজনে একসাথে বের হয় আর আকাশের সিকিউরিটি ইনচার্জ পাভেল। আর পাভেলের দায়িত্ব হলো আকাশকে সম্পর্ণ সিকিউরিটি দেওয়া দেওয়া,কেননা আকাশের উপর কেউ হামলা করলে পাভেল ওর কমান্ডোদের নিয়ে সাথে সাথে ফায়ার শুরু করবে। আর এতে করে আকাশ ছাড়া আর কারো কাছে পাভেল কৌইপিওত দিতে বাধ্য নয়।আকাশ গাড়ির কাছে এসে পাভেলের সাথে পরিচয় হয়।
পাভেল গাড়ির দরজা খুলে দিলে আকাশ ও শাহাজাহান চৌধুরী গাড়িতে উঠে আর পুলিশ সিকিউরিটি আর কমান্ডোর গাড়ি বেরিয়ে পড়ে সাথে আকাশের গাড়িও।গাড়ি চলতে থাকে আকাশ বাহিরের শহর দেখতে ব্যস্ত কেননা শহরটা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।এভাবে কোন জামেলা ছাড়াই আকাশ অফিসে চলে আসে। আর শাহাজাহান চৌধুরী সাথে আকাশ ওর কেবিনে যায় আর নিজের কেবিনে গিয়ে চেয়ারে বসে।আর আকাশকে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়।

শাহাজাহান চৌধুরী ঃ কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে।

আকাশঃ ঠিক আছে, আব্বু।

শাহাজাহান চৌধুরী ঃ আর হ্যাঁ,তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেচ্ছি একজনের সাথে।

আকাশঃ কে আব্বু।

আব্বু তখন কাকে যেন ডেকে পাঠালো আর একটি মেয়ে এসে আকাশের সামনে এসে দাঁড়ালো।

শাহাজাহান চৌধুরী ঃ পরিচয় করিয়ে দেই এই হচ্ছে তানু তোমার (পিএ) আর ও তোমাকে কাজে সাহায্য করবে।

আকাশঃ ঠিক আছে, আব্বু।

শাহাজাহান চৌধুরী ঃ তাহলে আমি আসি, তোমরা কথা বলো।

আব্বু চলে গেলো আমি আর তানু একে অপরের সাথে পরিচয় হয়ে নিলাম।যদিও তানু মেয়েটা অনেক ভালো, কথা বলেই বুঝা যায়। তানুকে ওর কেবিনে পাঠিয়ে দিলাম।
নিজে দেশের আয়-ব্যয়, দেশ সম্পর্কে জানতে আকাশ ডেক্সের কাছের কম্পিউটার দেখতে থাকে।তখনই আকাশ খেয়াল করে এই কয়েক দিনে অনেক কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।যা আকাশ ওর সামনে থাকা কম্পিউটারে দেখতে পাচ্ছে। তখনই আকাশ তানুকে ফোন করে আর আকাশের কেবিনে আসতে বলে।তানু আসলে আকাশ ওর কেবিন থেকে বেরিয়ে পড়ে। তানু অনেক বার জিজ্ঞেস করছে কিন্তু আকাশ কিছু বলেনি শুধু এতটুকুই বলছে যেখানে যাচ্ছি কথা না বলে সাথে সাথে আসতে। তানুও তাই করলো।আকাশ বের হবার সাথে সাথে আকাশের পিঁছনে তানুও আসলো আর আকাশের সামনে ৬জন কমান্ডো আর পিঁছনে ৬ জন আর তার সাথে পুলিশ তো আছেই।আকাশ গাড়িতে উঠে আর সাথে তানুও, ওরা উঠে গেলে গাড়ি চেড়ে দেয় আর কিছুক্ষণ পরেই আকাশ পুলিশ স্ট্রেশনে যেতে বলে এতে আকাশের ছ্রিপ সিকিউরিটি অনেক অবাক কেননা একজন CM কেন যাবে পুলিশ স্ট্রেশনে কেননা ওনি চাইলেই তো পুরো রাজ্যের পুলিশ ওনার সাথে দেখা করার জন্য চলে আসবে।কিন্তু পাভেল কিছু বললো না এভাবে ১৫ মিনিট যাওয়ার পর আকাশ পুলিশ স্ট্রেশনে এসে পৌঁছায়।আর আকাশ গাড়ি থেকে নেমে সাথে তানুও।আকাশ সোজা ACP কাছে যায়।ACP আকাশকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।

ACP: স্যার,আপনি এখানে আমাকে ফোন করলেই তো আমি চলে আসতাম।

আকাশঃ প্রয়োজন টা বেশিই জরুরি।

ACP: বলুন, স্যার আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

আকাশঃ তার আগে আপনার নামটা জেনে নেই।

ACP: জি,স্যার আমার নাম রাসেদ।

আকাশঃ তাহলে বলুন,মিস্টার রাসেদ গত দুই দিন আগে একটা মাডার হয়েছিলো একটা মেয়ের আমি ওই কেসের ব্যপারে কথা বলতে এসেছি।

রাসেদঃ কিন্তু, স্যার আমাদের কাছে তো কোন কেস আসে নি।

আকাশঃ What,তা কি করে হয়, আপনি ভালো করে দেখে বলুন।

রাসেদঃ সত্যি বলছি স্যার এরকম কোন কেস আমাদের কাছে আসে নি।

এই কথা শুনার পর আকাশ ওখান থেকে বেরিয়ে পড়ে আর ওই দিনের শপিংমলে যায়।আর ওখানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে সার্ভার রুমে যায় আর ওই মেয়েটির ছবি সংগ্রহ করে। আর পাভেলকে বলে আজকের দিনের মধ্যে এই মেয়েটির ঠিকানা বের করতে,পাভেল ওখানে থাকা পুলিশকে ছবি দিয়ে দেয় আর বলে যত তাড়াতাড়ি এই মেয়েটির পরিচয় বের করতে CM স্যার বলেছে।

পুলিশ অফিসার ঃ ঠিক আছে, স্যার আমি সমস্ত পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়ে দিচ্ছি খুব শিগ্রই আমরা ওর পরিচয় বের করবো।

আকাশ আর কিছু না বলে গাড়ি উঠে।আর গাড়ি চলতে থাকে তখনই তানু বলে উঠলো।

তানুঃ স্যার, একটা কথা জিঙ্গেস করবো।

আকাশঃ হ্যাঁ,বলো।

তানুঃ স্যার,ওই মেয়েটি কে, আর আপনি ওই মেয়েটির পরিচয় দিয়ে কি করবেন।

আকাশঃ তাহলে, শুনো।
।।।
।।।।
।।।।।
আমি অফিসে জয়েন্ট করার আগে শপিংমলে গিয়েছি তখন একটা মেয়ের সাথে আমার দেখা হয়।আর তখন মেয়েটাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক ভয় পেয়ে আছে আমি মেয়েটাকে অনেকটা শান্ত করাই।কিছু কিছুক্ষণ মেয়েটা আমার সাথেই ছিলো কিন্তু আমি বিল মিটাতে গেলে ফিরে এসে মেয়েটাকে আর খুঁজে ফেলাম না, আমি ভেবেছি হয়তো মেয়েটা চলে গেছে কিন্তু আজকে জানতে পারি মেয়েটা মরে গেছে।
।।।
।।।।
।।।।।
তানুঃ স্যার আপনি কিভাবে জানলেন।

আকাশঃ মেয়েটা আমাকে ফোন করেছিলো, আর বলেছিলো কারা নাকি ওকে মারতে চায় এই কথা বলেই মেয়েটা চিৎকার দেয় এরপর থেকেই মেয়েটা মোবাইল বন্ধ সেজন্য আমার মনে হচ্ছে মেয়েটাকে কেউ মেরে ফেলছে।

তানুঃ স্বরি, স্যার আমি জানতাম না এতকিছু হয়েছে।

ওরা কথা বলতে বলতে অফিসে চলে আসে।আর দুপুরের খাবার খেয়ে নেয়।আর খাওয়া শেষ করে আকাশ কাজ করতে থাকে তখনই পুলিশ স্টেশন থেকে ফোন আসে আর বলে মেয়েটার পরিচয় জানতে ফেরেছে সাথে মেয়েটাকেও কিন্তু মেয়েটাকে মৃত।

আকাশঃ তাহলে মেয়েটার বাড়িতে যাও আর পরিবারে কে কে আছে ওদের নিয়ে আর মেয়েটা পোস্ট মট্রেম রিপোর্ট টাও নিয়ে আসবে।

রাসেদঃ ঠিক আছে, স্যার কিন্তু রিপোর্ট আসতে দেরি হবে।

আকাশঃ তাহলে ওনাদের পুলিশ স্টেশনে আনো আর জিঙ্গেস করো,আর পোস্ট মট্রেম রিপোর্ট আর বয়ান সব কিছু আমাকে এনে দিবেন।

রাসেদঃ ঠিক আছে,স্যার।

এই দিকে আকাশ এসব ভাবতে ভাবতে অফিস সময় শেষ হয়ে যায়।সেজন্য আকাশ অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসে।আর আকাশ ওর আব্বুর সাথে কথা বলে আর ডিনার করে আকাশ ওর রুমে চলে যায়।
আর পরের দিন আবার অফিসে চলে যায়।এভাবে তিন দিন পর রাসেদ মেয়েটি মা-বাবাকে নিয়ে আসলো, তখন আকাশ মেয়েটির পোস্ট মটেম আর ওর মা-বাবার কথা শুনে আকাশ অনেকটা রেগে গেল আর ওদের চলে যেতে বললেন,ওরা চলে গেল আকাশ তখন রাসেদ কে বললো ওই ছেলে গুলোকে ধরে আনতে, রাসেদ পুলিশ পাঠিয়ে ঠিকই ওদের এরেস্ট করলো কিন্তু রাজনৈতিক পাওয়ারের কারণে ওরা চাড়া পেয়ে গেল।তখন আকাশ ভেবে নিয়ে যা করার আকাশকেই করতে হবে আর এজন্য আকাশকে ওই কলেজে যেতে হবে কেননা ওই কলেজে জড়িয়ে আছে সব রহস্য। আকাশ ওই কলেজে প্রিন্সিফাল স্যারের সাথে কথা বলে আর ওই কলেজে ছাএ হিসাবে জয়েন্ট করবে। আকাশ যে ওই কলেজে জয়েন্ট করবে তা যেন কেউ না জানে সেজন্য আকাশ ভেবে রেখেছে ছদ্দবেশ দারণ করে যাবে যেন কেউ আকাশকে না চিনতে পারে।কেননা এরা খারাপ কাজ করবে আর রাজনৈতিক পাওয়ারের কারণে ছাড় পেয়ে যাবে তা আকাশ কোন মতেই হতে দিবে না।সেজন্য আকাশ কাল থেকে এক নতুন কাজে জয়েন্ট হবে সেজন্য আজকে আকাশ আর অফিস না করে সিকিউরিটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।আর বাড়িতে চলে আসে আর আজকের ঘঠনা ওর আব্বুর সাথে শেয়ার করে আকাশের আব্বু এতে মত দেওয়াতে আকাশ পরের দিন অফিসে যায়,ওখানে কাজ করে ১১ টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে পড়ে কেননা আকাশের ক্লাস ১১ঃ৩০ মিনিটে।কেননা কলেজ যেতে কিছু তো সময় লাগবেই, যদি আকাশ CM হয়ে যেত তাহলে রাস্তা গাড়ি আটকে রাখতো কিন্তু আকাশ এখন ছদ্মবেশ দারণ করে। যার কারণে ওকে সাধারণ মানুষের মত যেতে হবে সেজন্য পাভেল কে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আর পথেই…….

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here