??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৭

0
2810

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৭
লেখক: Farvez Hosen Akash

এই দিকে আকাশ পুলিশ স্টেশন থেকে বের হয়ে অবাক কেননা আকাশ তাকিয়ে দেখে ইরা উকিল নিয়ে এসেছে আকাশকে ছাড়ানোর জন্য।ইরা কে দেখে আকাশ দাঁড়িয়ে তখনই তানু জিঙ্গেস করে
তানু —-স্যার,দাঁড়িয়ে গেলে গেলেন যে কোন সমস্যা।
এই কথা বলাতে পাভেল ইশারায় তানুুকে থামতে বলে আর তানু থেকে যায়।

আকাশঃ ইরা তুমি এখানে কেন?

ইরাঃ আমি তো তোমাকে ছাড়ানো জন্য উকিল নিয়ে এসেছি।কিন্তু তুমি তো দেখছি তার আগেই ছাড়া ফেয়ে গিয়েছো।

আকাশঃ হ্যাঁ,আমার বন্ধু পাভেল ওর জন্য আরকি।

ইরাঃ ভাইয়া আপনাকে যে কি করে ধন্যবাদ দিবো। সত্যি আপনি না থাকলে কি যে হতো।

পাভেলঃ ওহ কিছু না ওনাকে রক্ষা করা তো আমার দায়িত্ব।

ইরাঃ ওই মেয়েটি কে।

আকাশঃ পাভেলের Gf.

এ কথা বলাতে পাভেল আর তানু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

আকাশ ব্যপারটা খেয়াল করে, তাই কথা গুরানোর জন্য।

আকাশঃ আচ্ছা আমি তোমাকে পরে সব কথা বলবো এখন তুমি বাড়িতে চলে যাও।

ইরাঃ এখন না, আর আমি তোমার সাথে এখন থাকবো।

আকাশঃ সিকিউরিটি।

সিকিউরিটি ঃ জি,স্যার।

আকাশঃ মেডাম, কে বাড়িতে পৌঁছে দিবে আর কোন সমস্যা যেন না হয়।

সিকিউরিটি ঃ ঠিক আছে।

এরপর আকাশ ইরাকে গাড়িতে উঠিয়ে দেয় আর অন্য গাড়িতে আকাশ,তানু আর পাভেল উঠে পড়ে।তখনই তানু বলে উঠলো।

তানুঃ ওনি, কে স্যার।

পাভেলঃ স্যার, ওই মেয়েটিকে পছন্দ করে আর মেয়েটিও।

তানুঃ স্যার,মেডাম কি আপনার পরিচয় জানে।

আকাশঃ না, এখনো বলে নি,তবে বিয়ের পর বলবো।

তানুঃ এর আগে যদি আপনার পরিচয় জেনে যায়।

আকাশঃ জানবে না।

তানুঃ জানতে পারলে কি সমস্যা হবে।

আকাশঃ হ্যাঁ।

এই দিকে আকাশ অফিসে চলে এসেছে আর নিজের কাজ করতে থাকলো আর সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের আকাশের সাথে দেখা করতে বলে।এই দিকে তানু সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে রাতেই মিটিং হবে। আর আকাশ প্রস্তুতি নিচ্ছে আজকের মিটিং এর জন্য।একে একে সব রাজনৈতিক নেতা এসে হাজির।

লোকগুলোঃ স্যার আমাদের কি জন্য ডেকেছেন।

আকাশঃ আপনাদের নামে অনেক রকমের অভিযোগ আছে সেজন্য আপনাদের এখানে ডেকে আনা।

আকাশ এই কথা বলাতে সবাই একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছে আর অনেকে তো রীতিমতো ঘামতে শুরু করুছে।

লোকগুলো ঃ স্যার,আমরা তো কিছু করি নি।

আকাশঃ আপনাদের অনেক পোশা লোক আছে যারা আপনাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক রকম খারাপ কাজ করে, অনেক মেয়ের সাথে তো, ও কথা তো বাদই দিলাম।আজকাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওরা চাঁদা তুলছে,ট্রাফিক আইন মানছে না,কলেজকে গিয়ে দাদা গিরি দেখাচ্ছে এই সব কিছুর জন্য আপনারাই দায়ি। আপনারা ক্ষমতার জন্য ওদের ব্যবহার করেন আর ওরা পরবর্তিতে তা ওরা ব্যবহার করছে।সেজন্য কাল থেকে যদি এসব দেখি তাহলে আপনাদের জন্য ভালো হবে না।

লোকগুলো ঃ কিন্তু পুলিশ ওদের গ্রেপ্তার করলেই তো পারে।

আকাশঃ ওদের গ্রেপ্তার করলে আপনাদের নেতা ফোন করে যার কারণে ওদের বাদ্য হয়ে চেড়ে দিতে হয়।সেজন্য আপনাদের যত পোষা লোক আছে সবাইকে সাবধান করে দিবেন আমার সামনে পড়লে জান নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না।আর সাথে আপনাদের ও বিপদ মনে রাখবেন।

আকাশের কথা গুলো শুনে অনেক নেতা ভয় ফেয়ে যায় আর অনেকে তো কিছুই বলছে না।মিটিং শেষে সবাই চলে যায়।আকাশ ও আর দেরি না করে বাসায় চলে আসে।আর ইরার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ে।আর সকালে উঠে আবার ও কলেজে যায় আর দেখে ওই দিনের ছেলেগুলো ইরা কে আবার ও ডিস্টার্ব করছে, সেজন্য আকাশ মনে মনে ভাবে এরা কখনো শুধরাবে না।আকাশ ওদের সামনে যায়।

ছেলেগুলো ঃ কিরে, তুই ছাড়া ফেলি কিভাবে।

আকাশঃ তা তোমাদের না জানলেও চলে। এবার বল কার পাওয়ারে চলিস তোরা।

ছেলেগুলো ঃ তা কি তোকে বলতে হবে।

বলেই যেই না আকাশকে মারতে আসবে সাথে সাথে ওদের লাশ পড়ে যায় গুলির আঘাতে এতে ওখানে থাকা সবাই অবাক হয়ে যায় কেননা যারাই আকাশকে মারতে আসে তারাই এভাবে গুলি খেয়ে মারা যায়।আকাশ ইরা ভয় পাওয়াতে আকাশ ইরাকে নিয়ে ওখান থেকে নিয়ে আসে।যদিও ইরা জিজ্ঞেস করে কিন্তু আকাশ কোন কথাই বলে না।ওরা হেঁটে একটা পার্কে আসে।
আর ওদের প্রেম চলতে থাকে। এভাবে ১ মাস পার হয়ে যায় এখন আর কলেজে বা রাস্তাঘাটে আগের মত মারামারি, চিন্তাই, খুন এই গুলো কিছুই হয় না।এই দিক দিয়ে জনগণ অনেক খুশি।

পরের দিন আকাশ কলেজে যায় আর দেখে রোজাও এই কলেজে ভর্তি হয়েছে।আর ইরাকে দেখে রোজার সাথে বসে আছে সেজন্য আকাশ ওখানে যায়।

আকাশঃ ইরা তুমি এখানে, আর এ কে।

ইরাঃ কলেজে ভর্তি হয়েছে।

যদিও আকাশ জানে রোজার পড়া লেখা শেষ আর ও কোন না কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছে আর আমাকে তা জানতেই হবে।

আকাশঃ ইরা চলো।

ইরাঃ আচ্ছা, আজ আসি তাহলে, আপু।

রোজাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

আকাশ ইরাকে নিয়ে ওখান থেকে চলে আসে আর দুজনেই অনেক আনন্দ করে। সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি আর আকাশ ওর কাজ কর্ম সব ফোনের মাধ্যমেই করে নিচ্ছে কেননা রোজা যে কোন মুহূর্তে ইরার ক্ষতি করে দিতে পারবে আর রোজার ব্যপারটা ইরাকে বললে সব সত্যি জেনে যাবে সাথে ভয় ও পাবে,কেননা রোজা এতটাই ভয়ংকর যে ও চাইলেও ইরার ক্ষতি করে নিতে পারবে।সেজন্য আকাশ ইরাকে এখন একটু বেশিই সময় দেয় আর যখন থেকে না তখন ৪ জন সিকিউরিটি ইরাকে দেখে রাখে আর ইরার কোন ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে।
এভাবে আকাশ আর ইরা একে অপরকে অনেক ভালো ভালোবাসে।

কাল ইরার জন্মদিন, সেজন্য আকাশ ইরার জন্মদিন ফালন করার জন্য একটা জায়গা ঠিক করে যেখানে আকাশ ইরাকে নিয়ে জন্মদিন ফালন করতে পারে।কিন্তু এই ব্যাপারে ইরাকে এখনো কিছু বলে নি।কারণ আকাশ চেয়েছিলো ইরাকে সারফ্রাইজ দিতে।সেজন্য আকাশ আজ রাতে ইরাদের বাড়িতে যায় আর ইরাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে যদিও ইরা বার বার জিজ্ঞেস করেছিলো তারপরও আকাশ কোন কথা বলে নি।যার জন্য এক প্রকারে ইরা মুখ গোমরা করে বসে আছে।আকাশ যেখানে জন্মদিনের সব কিছু ঠিক করেছিলো তার একটু আগে নামে আর ইরার চোঁখে পিতা বেঁধে দেয়।

ইরাঃ আরেহ আরেহ কি করছো কি তুমি আর আমাকে কোথায় নিয়ে আর চোঁখ বেঁধে দিলে কেন।

আকাশঃ একসাথে এতগুলো প্রশ্ন করলে কোনটা রেখে কোনটার উওর দিবো বলো।

ইরাঃ ঠিক আছে আমি কোন প্রশ্নই করবো না, কিন্তু এটা বলো আমরা কোথায় যাচ্ছি।

আকাশঃ গেলেই বুঝতে পারবে।
সেজন্য আকাশ ইরাকে কোলে উঠিয়ে নেয় ইরা নামার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো কিন্তু আকাশের সাথে পেরে উঠেনি।

ইরাঃ নামান আমাকে।

আকাশঃ লাফালাফি করে নিজের এনার্জি শেষ করে লাভ নেই সেজন্য চুপচাপ থাকো।

ইরা আর একটা কথাও বললো না লক্ষি মেয়ের মত আকাশের কোলেই রয়ে গেল।কিছু দূর যাওয়ার পর ইরাকে কোল থেকে নামিয়ে দেয়।

ইরাঃ আরেহ, নামালেন কেন।

আকাশঃ ভালো,লাগছে তাহলে আবার নেই।

ইরাঃ এই এই না না আমি তো এমনিতে বলেছি।এভার কি চোঁখের বাঁধন খুলবো।

আকাশঃ একটু পর। এই নাও এভার খুলো।

এই দিকে ইরা চোঁখের বাঁধন খুলে তো অবাক কেননা ওরা একটা সমুদ্র বিচে ছোট্ট একটা কুঁড়ে ঘরের মত জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে চারদিকে রঙ্গিন কাপড় দিয়ে বাঁধানো আর টেবিলের উপর একটা কেক।

আকাশঃ Happy Birthday too you.
Happy Birthday too you. My dear Era. Happy birthday too you.

আকাশের মুখে জন্মদিন শুভেচ্ছা শুনে ইরা অভাক কেননা ইরার নিজেরই মনে ছিলো না আজ ওর জন্মদিন। সেজন্য ইরা খুঁশিতে আকাশকে জোড়ে হাগ করে।

ইরাঃ সত্যি আমার মনে ছিলো না আজকে আমার জন্মদিন। সত্যি তুমি আমাকে আজকে একটা বেস্ট উপহার দিলে আর আমি সত্যি অনেক অনেক খুুশি।

আকাশঃ নাও এভার কেক কাঁটো।

আকাশ ইরার হাত ধরে একসাথে ওরা কেক কাঁটলো,আকাশ প্রথমে ইরাকে কেক খাইয়ে দিলো কিন্তু ইরা খাওযাতে গেলে আকাশ না করে।

ইরাঃ কি হলো নাও।

আকাশঃ আমি এখান থেকে খাবো না।

ইরাঃ তাহলে।

তাহলে বলার সাথে সাথে আকাশ ইরার ঠোঁটে কিস করে আর ইরার ঠোঁটে লেগে থাকা কেক খেয়ে নেয়।এটার জন্য ইরা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না সেজন্য ইরা ১ মিনিটের মত ওই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলো।পরে আকাশের কথায় ইরার ঘোর কাঁটলো।

আকাশঃ কি হলো,ইরা বাহু ডোরে হাত রেখে।

ইরাঃ কিছু না বলে, আকাশের বুকে মুখ লুকালো।আর বললো এটা কি করলেন।

আকাশঃ কোনটা।

ইরাঃ এই যে, আমার লজ্জা করে না বুঝি।

আকাশঃ ওই তাই, তাহলে কি লজ্জা ভাঙ্গিয়ে দিবো।

ইরাঃ এই না একদম নয়।আমার গ্রীপ্ট কোথায়।

আকাশঃ চোঁখ বন্ধ করো।

ইরা চোঁখ বন্ধ করলে আকাশ ইরার হাতের আঙ্গুলে একটা রিং পড়িয়ে দেয়।

ইরাঃ ওয়াও,সত্যি অনেক সুন্দর এটা।

আকাশঃ তোমার পছন্দ হয়েছে।

ইরাঃ হ্যাঁ,অনেক।

আকাশ ইরাকে আবার কোলে করে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসায় আর গাড়ি ড্রাইভ করে ইরাকে ওর বাসায় নামিয়ে দেয়।আর আকাশ ওর বাড়িতে চলে যায়।রাত বেশি হওয়ায় আকাশ আর ইরা একে অপরের সাথে আর ফোনে কথা বলে নি।

পরের দিন সকাল বেলা ইরা আর কোথায় যায় নি কিন্তু বিকেল বেলা ইরা টিভিতে একটা ব্রেকিং নিউজ দেখে অভাক,কেননা নিউজটা হচ্ছে……….

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here