রক্ত,পর্ব_১
লেখক-সোলাইমান রানা
কি আমার রক্ত কই। আমার অনেক পিপাসা লাগছে। রক্ত দাও কথা গুলো শুনে রানার মাথা একদম গরম হয়ে গেছে। সবে মাত্র অফিস থেকে এসে রুমে ঢোকলো। রিয়া আবার বলে রাত অনেক হলো আমার রক্ত চাই এখনই।
রানা বলে তুমি অন্য কিছু খাও আমি এনে দেই। রিয়া বলে আমার এখনই রক্ত চাই। তাড়াতাড়ি এনে দাও আমায় রক্ত। তা না হলেলে তোমার রক্ত দাও খাই।ভয়নক একটা হাসি দিয়ে বললো রিয়া।
রানা বলে দেখো কোন চিৎকার না করে বসো রক্তে ব্যবস্থা করছি আমি আর তুমি ঘর থেকে কোথাও যাবে না।রিয়া চুপ করে বসে রইলো। রানা ঘর থেকে বের হলো কোন প্রানীর খুজে। রাতের বেলায় কত কি পাওয়া যায়।
খুব ক্লান্ত শরীর নিয়ে এগিয়ে চলছে রানা। মনে মনে বলছে কোন পাপের জন্য এমন স্ত্রী পেলো। রানা রিয়াকে বিয়ে করার আগের কথা ভাবছে। রানা শহরে আসছে চাকুরীর কারনে। চাকুরী পেয়ে একটা ম্যাচে থাকতো। অনেক কষ্টও হতো। তাই সেও চাইলো আলাদা বাসা নিতে।পাচ্ছে না।
একদিন রাতে অফিস থেকে হেটে ফিরার পথে রিয়াকে দেখে। রিয়া রানার পিছনে হাটছে তাড়াতাড়ি করে রানার সাথে হলো। রানার সাথে অল্প অল্প কথা বলতেছে। পরে রানা তার পথে বাসায় চলে গেলো।
রিয়া হারিয়ে গেলো রাতের অন্ধকারে। কিছুদিন পরও রাতে রিয়ার সাথে দেখা তার। রিয়াকে রানার প্রথম দেখায়ই ভাল লাগে। রিয়া রানাকে সোজা বলে বিয়ে করবে।
রানাও রাজি হয়ে যায়। রিয়া রানাকে বলে বিয়ের পর যেনো রিয়ার বাড়িতে থাকে। রিয়ার কেউ নাই আর। রানাও কেয়াকে বিয়ে রিয়ার বাড়িতে থাকে। বাড়িটা শহরের একপ্রান্তে। বলা যায় নিরব শোনশান।
দুদিন পর রানা রিয়াকে বিয়ে করে রিয়ার বাড়ি চলে আসে। এখানে আসার পর রানা বুঝতে পারে রানা ঘুমালে কোথাও যেনো যায়।
একদিন রানা দেখে রিয়া ঘুম থেকে উঠে পোষা খরগোশটার রক্ত খাচ্ছে। পরে রানা আস্তে আস্তে জানতে পারে। রিয়া রাত হলেই কোন কিছুর রক্ত খেতেই হয়।
এটা রানা বুঝে গেলে রিয়া রানাকে দিয়ে প্রতিরাতে রক্ত জোগাড় করে। তা না হলে বলে রানার রক্ত দিতে। রানাও রিয়াকে অনেক ভালবেসে ফেলে তাই ছেড়ে যেতেও পারে না। কষ্ট হলেও রক্ত জোগাড় করে দেয় প্রতিদিন।
এই সব কিছু ভেবে হাটছে রানা। বিয়ে হলো একমাস মাত্র। অনেক খুঁজাখুঁজি করতাছে রানা কিছু পাচ্ছে না। রানা অনেক খুজেও যখন কিছু পেলো না তখন বাসার দিকে রওয়ানা দিলো।
কিছুক্ষণ পর রানা বাসায় ফিরে আসলো। বাসায় ফিরেই দেখে দরজা খোলা অথচ সে দরজা লাগিয়ে গেছে। রানা ভাবছে রিয়া মনে হয় কোথাও চলে গেছে। রানা আস্তে আস্তে ভিতরে এসে দেখে রিয়া শুয়ে আছে।
রানা দরজা বন্ধ করে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসলো। খাবার খেয়ে বসে দেখছে ঘুমন্ত রিয়ার চেহারা। রানা মনে মনে বলছে এত সুন্দর মেয়ে রাত হলেই রক্ত খায় কেনো।
বসে থেকেই রানা মোবাইলটা হাতে নিয়ে টিপতেছে। কিছুক্ষণ পর ঘুম চলে আসে তার। যখই উঠতে যাবে তার চোখ পরে পাশের রুমের দিকে কি যেনো একটা পরে আছে
রানা উঠে ওদিকে গেলো। গিয়ে দেখে একা শিশুর লাশ বয়স৫-৬হবে। রানা ভাল করে লাশটা দেখে বুঝে লাশের কিছু হয় নি শুধু ঘাড়ের দিকে কামড় দিয়ে রক্ত খেয়ে নিয়েছে।
রানা তাড়াতাড়ি লাশটা নিয়ে বাড়ির পিছনের জঙ্গলের দিকে চলে গেলো। আর লাশটা মাটিতে পুতে দিলো যাতে কেউ না বুঝে। রানা যখন বাসায় ফিরবে তখন,,,,,
চলবে,,,,,,,