রক্ত,পর্ব_২
লেখক-সোলাইমান রানা
রক্ত মাখা ভয়ংকর মুখ নিয়ে দাড়িয়ে আছে রিয়া। রানা নিজের চোখে কি দেখছে সে নিজেও বিশ্বাস করতে পারতেছে না। রানা ভয়ে ভয়ে বলে,, কি রিয়া এত রাত এখানে ঘুমাও না।
রিয়া বলে,,তুমি কেন এত রাত ঘর থেকে বের হলে ভয় করে না কিছুর। রানার গলা প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছে। আর কিছু বলতে পারছে না। রিয়া বলে তুমি ঘরে যাও।
রানার পুরো শরীরের শক্তি দিয়ে ও হাটতে কষ্ট হচ্ছে। রানা আর পিছনে ফিরেও তাকায় নি ভয় হচ্ছে তার খুব। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে এলো সে। ঘরের দরজা বন্ধ করলো না সে। কারন রিয়া ঘরে আসবে তাই।
রিয়াকে আজকের মত রক্ত মাখা মুখ আর ভয়ংকর কখনো দেখেনি। আর রাতে কি হয় দিনে জানতে চাইলেও কিছু বলতে পারে না। রানা ফ্রেশ হয়ে শোয়ার ঘরে ঢোকে দেখে রিয়া ঘুমাচ্ছে। কিন্তু তাকে তো কিছুক্ষণ আগেও বাড়ির পিছনে দেখলো।
রানা কিছু আর না ভেবে শুয়ে পরলো। সকালে রানার ঘুম ভাঙে কে যেনো দরজায় নক করছে। রিয়া এখনোও ঘুমাচ্ছে।
রানা দরজা খুলে দেখে এক মহিলা। মহিলা বলে,,আমার একটা ছেলে গত রাত থেকে পাচ্ছি না। আমাদের বাসা ওদিকে সামনেই তাই ভাবলাম আসলো নাকি। রানা, বলে,,,,, না। আর রাতে কেনো বের হলে ঘর থেকে।
মহিলা ,,,,,, একটু বকা দিছিলাম কখন বের হয়ে গেলো জানি না। রানা বলে,, যদি দেখি তাহলে বাড়িতে দিয়ে আসবো। মহিলা চলে গেলো।
রানা দরজা বন্ধ করে রাতের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করতেছে। হয়তো বাচ্চাটা রাগ করে এই ঘরে এসেছিলো আর রিয়াও সুযোগ বুঝে রক্ত খেয়ে নিলো।
রানা সকালের নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো। আজ তার আর অফিসে মন বসছে না। গত রাত রিয়ার এত ভয়ংকর চেহারা কেনো দেখলো। রিয়াও কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে আগে কোন ছোট প্রাণীর রক্ত খেতো এখন মানুষের।
সারাদিন নয় ছয় ভেবে কেটে গেলো রানার। বিকালে অফিসে বসে আছে তখনই রিয়ার কল। রিয়া বলে আজকে তার শরীর ভাল লাগছে না তাই যেনো রানা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে।
রানাও বেশি দেরি না করে বাড়ি চলে আসে। আর আসার সময় রিয়ার জন্য মার্কেট থেকে একটা খরগোশ আনছে। বাড়ি ফিরে দেখে রিয়া তার পথ চেয়ে বসে আছে। খরগোশ রেখে রানা ফ্রেশ হয়ে রিয়ার পাশে বসলো।
রাতের খাবার খেয়ে রানা ও রিয়া শুয়ে পরলো। আজ আর রক্ত খাওয়ার নেশা হলো না রিয়ার। রানা খুব ক্লান্ত বলে ঘুমিয়ে গেলো। মাঝ রাতে কিসের শব্দ শুনে তারর ঘুম ভেঙে গেলো। রানা উঠে দেখে রিয়া ঘুমাচ্ছে আর খরগোশটা মাটিতে পরে আছে। তার মানে রক্ত খেয়ে ঘুমিয়ে আছে রিয়া।
শব্দ আসতেছে উপর তলা থেকে। বাড়িটা ২তলা। দুজন মানুষ তাই তারা নিচেই থাকে উপরের ঘর গুলো সবসময় বন্ধই থাকে। রানা আস্তে আস্তে উপরের তলায় গেলো গিয়ে দেখে একটা বন্ধ ঘরে কি যেনো শব্দ করতেছে।
রানা এই বাড়িতে নতুন আর অফিসের কাজ থাকায় ভাল করে বাড়িটাও দেখা হয়নি একবারও। দরজা খুলে রানা ভিতরে গেলো। পুরো ঘর ধুলাবালি ভরে আছে। আর ঘরের কোণে একটা কফিন পরে আছে আর ওটা থেকেই শব্দ আসছে। রানা কফিনটা খুলে অনেক কষ্ট করে আর দেখে তা দেখার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না। কফিনে রিয়ার লাশ পরে আছে।
রানা কিছু ভাবার আগেই ঘুরে মাটিতে পরে গেলো।।
চলবে,,,,,,,