ঠোঁট,পাট ৪-৬
Written by- Ibna Imtiaj
চার,
তবুও যেন ভিজে উঠছে তার ঠোঁট আমার ঠোঁটের সাথে। এবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তার ঠোঁট টা টেনে নিজের ভিতর নিলাম। আস্তে আস্তে হাত দিতে থাকলাম তার পিঠ থেকে নিচের দিকে। চরম ভাবে উত্তেজিত হতে হতে নিচের দিকটা কেমন যেন ভুলেই গেছিলাম।
এবার মনে হতে থাকলো নিজের অস্তিত্ব যা আস্তে আস্তে ফিরে পাচ্ছি। নিজেকে তলিয়ে নিয়েছি ঝরনার উষ্ণ ভালোবাসায়।
এবার তাকে নিয়ে নিই আমার ভালবাসার উষ্ণতার আয়ত্তে। আরো গভীরে নিতে চাই। কিন্তু একটা বাধা সামনে এসে যায় আমার। আমি ভাবতে থাকি সকালে আমার সাথে একি হলো।যার কারনে ভিতরটাকে আমি আবার সেই তাপ প্রয়োগ করতে পার। মুহূর্তে যেন বাঁকিয়ে বসে আমার উষ্ণতা।
আমি ঠোঁট ছেড়ে দিয়েছি ঝরনা কে বলি।
সকালে আমার সাথে কি হয়েছে জানেন?
প্রশ্ন করার সাথে সাথে,
ঝরনা আমার দিকে রাগের চোখে তাকায়।
গা ঝাড়া দিয়ে বলে আমি এখন এসব শুনতে চাচ্ছি না। ঠোঁটটা সুন্দর করে ভিজিয়ে দেন তারপর সব শুনবো।
আমি তখন তার নগ্ন পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলি।
ঝরনা আমি ভেতর থেকে কোন অনুভূতি পারছি না।
এ কথা শোনার পর থেকে যেন ঝরনার চোখ গুলো বিশাল বড় বড় হয়ে যায়। ঠিক কতটা বড় তা বোঝানো সম্ভব নয়।
ঝরনা তখন আমার দুই গালে দুই হাত দিয়ে অনেক গভীর ভাবে প্রশ্ন করে। ইমতি, কি হয়েছে আপনার। আমি তখন থেকে খেয়াল করছি আপনার কাছ থেকে আমি কোন উষ্ণতায় ডুবে যেতে পারছিনা।
কথা শোনার পরে ভাবলাম। তাকে কি সকালে ঘটনার খুলে বলবো। না কি বলবো না। যদি বলি তাহলে সে হয়তো অন্য দিকে মন ঘুরিয়ে ফেলবে। যেটা আমি এখন চাইছি না।আমি চাই সে তার গভীর ভালোবাসা ও গভীর চাওয়া নিয়ে আমার কাছে থাকুক।
তবুও মন মানল না। নিজের অজান্তেই বেরিয়ে আসলো সকালে ঘটনাটা।
তবে সকালে ঘটনা শোনার পর। ঝরনা মুখের অবস্থাটা ঠিক কেমন ছিল সেটাও বোঝানো সম্ভব নয়।ও ভাবতে পারেনি আমাকে খুশি করতে গিয়ে সে আমাকে উল্টো বিপদে ফেলে নিজের ভেতরটা ঘাবড়িয়ে তুলবে।
ঝরনা তখন খুব শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাফ চায় আমার কাছে। আমি অবাক হয়ে যাই। আমি মানা করি যে, না আমি আপনাকে কাছে পাওয়ার পরে এখন ঠিক আছি। আমাকে ভয় ধরিয়ে দিয়েন না। আপনি ছাড়া কেউ নেই আমার। আপনি ছাড়া আমি নিঃস্ব। আমাকে ভালবাসার মত দ্বিতীয় আর কোনো মানুষ নেই। আমার যা কিছু এবং সবকিছুই আপনার জন্য। কথাগুলো বলার পরে তার গালে ছোট্ট করে চুমু দিই।
তখন তাকে হাসির ছলে বলি। কি সুন্দর এসে আমার ঠোট টা তো খেয়ে ফেললে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর তোমাকে বুঝাবো ঠেলা।
ঝরনা তখন নাভির নিচে চিমটি কেটে বলে।
এহহ, কি ঠেলা বুঝাবে শুনি?
আমি এবার চোখ টিপে হাসি দিই।
নিতম্বের উপর আস্তে করে চাপ দিয়ে বলি।
সেটা না হয় এসেই দেখাবো। কিন্তু আমাকে ভালোবাসতে গিয়ে এমন কোন কাজ করিয়েন না। যা আমাকে খুব বিভ্রান্তি কর অবস্থায় ফেলে। আমি আপনার হাত ধরেছি সারাজীবন সুখে রাখার জন্য আপনাকে। আর আমার জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এই কথাটা বলার পরে ঝরনা দিকে একবার তাকালাম। তখন খেয়াল করলাম। তার চোখ দুটো চিকচিক করছে। আমি তখন তার ঠোটে চুমু দিয়ে বলি।
ভালোবাসি।
বাথরুমে আসার পর সেই কখন থেকে ব্রাশ খুঁজছি। কিন্তু একটা বেশি দুটো বাঁশ খেয়াল করতে পারছি না। বাথরুম থেকে ঝর্ণাকে বললাম। কালকে ব্রাশ কি দুটো বের করেননি। আরেকটা কোথায়।
ঝরনা কেমন চিল্লিয়ে বলে।
আমাদের না একটা ব্রাশ ব্যবহার করার কথা ছিল। সকালেই সকালে ভুলে গেছেন।
আমি তখন সামনে আয়নার দিকে তাকিয়ে হা করে আছি। গতকাল রাতে না বলল এহ একটা ব্রাশ দুজনে ব্যবহার করে। ভেবেছিলাম ও হয়তো রাজি না বা মানতে পারবে না। কিন্তু এ দেখি আমার চেয়ে উপরে।
তখন ভাবলাম। না এ জীবনে এক অসাধারণ সঙ্গিনী পেয়েছি। যা শুকরিয়া আদায় করে ও ফুরাবে না। বড্ড ভালোবাসার একটি মেয়ে। যার সঙ্গী হিসেবে খোদা আমাকে নির্বাচন করেছে। খুব ভাগ্যবতী আমি। আচ্ছা ভাগ্যবতী মেয়েকে বলে তাহলে আমার ক্ষেত্রে কি ব্যবহার করা হবে। ভাগ্য বতা নিশ্চয়?
বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি। ঝরনা তখনও বউ সেজে আমার জন্য খাটের উপর অপেক্ষা করছিল। আমাকে দেখার পরে দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলে। এবার দেখি আপনার সেই ঠেলাটা।
তার কথা শুনে আমি হাসিতে লুটিয়ে পরি।
তবে এখন মনে হচ্ছে ভেতরটা আস্তে আস্তে উষ্ণতার তাপমাত্রা বাড়ছে।
চলবে
Written by- Ibna Imtiaj (Abdullah bin imtiaj)
ঠোঁট
পাঁচ,
কাছে গিয়ে থাকে খুব শক্ত করে চেপে ধরি। চোখ দুটো রাখি দুজনের চোখের সামনে। নিজেই যেন আবার ডুবে যেতে চায় তার ভিতরে। কিন্ত ঠোঁট যখন কাছে নিয়ে যায় তার। তখন সে ঠোঁটের সামনে বলে বসে।
ইমতি, আমরা ভুল করছি নাতো।
ঠিক এই মুহূর্তে আমার ভিতরে উষ্ণতার উপর থেকে একটা গরম পানি বের হয়ে গেল। তাকে বুকে নিয়ে যেন একটা ধাক্কা খেয়ে বসলাম। ভাবনার গভীরে চলে গেলাম। আসলে কি আমরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। বুঝতে পারছিলাম না তখন। ঝরনা দিকে আমিও প্রশ্ন চক্ষু নিয়ে তাকাই।
আসলে কি আমরা ভুল করে ফেলেছি।
ঝরনার চোখ তখন চিকচিক করে ওঠে। তার মুখখানা লুকিয়ে বসে আমার বুকের ভেতর। হয়তো খুব কাঁদতে চাইছে। কিন্তু এটা আমার সহ্য হওয়ার নয়। আমি তখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলি।
এই ঝরনা। ভয় করছেন কেন, নাকি আমার বুকে থাকার পরও কোনো দুশ্চিন্তা করতেছেন। কেন এমন করছেন কাল থেকে।
ঝরনা তখন আমাকে খুব শক্ত করে চেপে ধরে। বুকের মধ্য থেকে বলে, আমার কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে কোনো এক সময়, আপনি এসব কে ভুল ভেবে আমাকে একা রেখে চলে যাবেন। আমার মনে হচ্ছে আপনি খুব কষ্টে আছেন। যেটা আমাকে শান্তিতে রাখছে না।
ঝর্ণাযর কথা শুনে আমার ভেতর খুব মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এটা ও কি ভাবছে। আমিতো ওকে এসব কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আমার কাছে নিয়ে আসিনি। তাহলে ও এসবের ভিতর চিন্তা করে কেন এখনও কষ্ট পাচ্ছে।
আমি তখন তার গালটা আস্তে করে মুখের ভিতর নিয়ে নি। উষ্ণতার রসে ভিজিয়ে দিতে আর গালটা।
তারপর তাকে বলি।
আমি যদি আপনাকে কখনো এসব দিয়ে কষ্ট দিতে চাইতাম। তাহলে আমার কাছে আপনাকে আমি কখনো আনতে চাইতাম না।আমি আপনাকে বিয়ের আগে একটা ওয়াদা করেছিলাম মনে আছে আপনার।
আপনাকে খুব সুখে ও আদরের মধ্যেই আমি রাখবো সারাটা জীবন।
তবুও আপনি আমাকে এসব ভেবে এত নিচ করছেন কেন ঝরনা। আজ সকালে যখন আমার পাশে আপনাকে শাড়ি ছাড়া আপনাকে আমি দেখিনি। তখন আমার ভেতরটা কেমন হয়েছিল কি জানেন। আমি আর একটু দেরি হলে হয়তো হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারতাম। শুধু আপনাকে পাইনি বলে। যদি আমি চাইতাম আপনি হারিয়ে যান আমার কোন আপত্তি থাকতে তাহলে। আমি কি এভাবে এতটা দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকতাম। তবু কি আপনার সন্দেহ দুশ্চিন্তা কাটবে না। ঝরনা আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আপনি আমার কাছে একটা নেয়ামত। যার শুকরিয়া সিজদা ও নামাজ আদায় করা যাবে না। দুনিয়াতে শুকরিয়া করে তার শুকরিয়া মতোই হবে না।এত বড় পাওয়া জিনিস আমি কি এতটা নিচ করে ব্যবহার করব আমার সামনে। সেটা কখনোই না। আমি আপনাকে আমার সাথে জান্নাতে নিয়ে যেতে চাই।
ঝরনা তখন বুক থেকে মাথা তুলে আমার দিকে তাকায়। তার তীক্ষ্ণ চাহনিটা খুব মারাত্মক গভীর ছিল। যার দিকে তাকিয়ে থাকলে হয়তো নিজেই ডুবে যেতাম অনেক গভীরে। ডুবে যেতাম না, আমি ডুবে গেছি।
ঝরনা তখন আমাকে বলে। আপনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। যার কল্পনা আমি জিবনেও করিনি। সত্যি জীবনে এমন একটা মানুষ পাব বলে।
আমি তখন তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি হাসি।
দুষ্টামির ছলে বলি। আমার খুব গভীর ভালোবাসা দরকার।
ঝরনা তখন মুখটা কেমন যেন করে ফেলে।
চিমটি কেটে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।
তারপর মুখ ফুটে বলে। ধুর ফাজিল ছেলে একটা। কি সুন্দর একটা আবেগ এর মধ্যে ছিলাম। সেটা না । ওর এখন দরকার গভীর ভালোবাসা। যা শয়তান।
আচ্ছা দেন না। খুব আহলাদী সুরে বলি আমি।
ঝরনা মুখ বাকিয়ে বলে। দিব না আমি। পারলে ঠেকান। উহু পারলে নিয়ে দেখান।
আমি তখন তাকে কোলে করে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিই বিছানার উপরে।
কোন কথা বলার সুযোগ দিনা। গভীর ভাবে চেপে ধরে তার ঠোঁট দুটো। আমার উষ্ণ ভেজা ঠোঁট দিয়ে। পিষ্ট করতে থাকি তার নরম বুক। আমার নগ্ন বুকের সাথে। যেন একটা বিরহের পরে ভালোবাসা দুজনের উথলে পড়ছে। দুজনেই নেমে যেতে থাকছি উষ্ণতার সাগরে। ধীরে ধীরে খুলতে থাকি তার নতুন লাল শাড়িটা। যেটা সকালে পড়েছিল আমাকে সাজায় দেখার জন্য। কোন বাধা মানছি না দুজনে। আসলে ও সে চাইছে আমি তাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে নিয়ে যায় অনেক গভীরে। কোন বাধা নেই তার পক্ষ থেকে। তাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে নিই আমার ওপরে। পাগল করে দিতে থাকি তার ঠোঁটের উপরে। যেন দুজনে ছাড়তে চাইছি না দুজনের ঠোঁট। আমি তখন তার নগ্ন পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে থাকি ধীরে ধীরে। সে তখন বলে উঠে। তার এখন অনেক গভীর ভালোবাসা চায়।
আমি তাকে নিয়ে যেতে থাকে অনেক গভীর ভালোবাসার দিকে। যেখানে দুজনের মিলন হয় দুটো নরম অস্তিত্বের। হারিয়ে যাই দুজনে উষ্ণ ভালবাসার গভীর সাগরে। অনেক গভীরে।
দুজনে তখনও নগ্নভাবে লেপ্টে আছি দুজনের সাথে। ও তখন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমার বুকের উপরে।
অনেকক্ষণ পর ঝরনা বলে।
ইমতি, আপনাকে একটা কথা বলবো।
হ্যাঁ বলেন।
কিছু মনে করবেন না তো।
আপনি তো মনে হয় কখনো আমার খারাপ এর জন্য কিছু বলেন না। অথবা আমার মন খারাপ হয় এমনও কিছু না। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।
আপনাকে আমার কেন যেন এখন মনে হচ্ছে না। আপনি আমার ছোট। মনে হচ্ছে আমার অস্তিত্বের একটা টুকরো।
তার মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে। আমার পুরো শরীর যেন থমকে যায়। কথাটা আমি তখনো ঠিক ভালো করে বুঝতে পারিনি।
ঝরনা কি কোন কথা বলল আমার সাথে?
আমি তখন তার দিকে অনেক বড় বড় চোখ করে তাকায়।
আপনার ছোট মানে?
হ্যাঁ আপনি আমার ছোট। আরে ভয় পাওয়ার দরকার নাই। আমি তো এসব নিয়ে কোন কিছু ভাবি না কিছু মনে করি না। এমনি হঠাৎ এখন এই কথাটা মনে পড়ল তাই। এটা নিয়ে এত কিছু ভাবার কোন দরকার নাই। বাদ দেন।
কিন্তু আমি যেনো একটা বিশাল দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেলাম।
আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম। এটা আপনাকে কে বলল। আমি যে আপনার ছোট।
কেউ বলেনি তবে আমি জানি আপনি আমার ছোট। কিন্তু আমি আমার ছোটটাকে চাই। সারাটা জীবন। সারা জীবন এই বুকের সাথে লেগে থাকতে চাই। রাখবেন না আমাকে?
আমি তখন কি বলব ঠিক কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মুখে যে আমার তারা আবার লেগে যাচ্ছে।আজকে কি হচ্ছে আমার সাথে ঠিক কিছু বুঝতে পারছি না। তাকে যে এই ব্যাপারে আবার জিজ্ঞেস করবো। সেটাও করতে পারছি না।তবে আস্তে আস্তে ঝর্ণাকে জড়িয়ে ধরার হাতটা ঢিলে হয়ে আসছে আমার।
চলবে
ঠোঁট
ছয়,
ঝরনা তখন হয়ত বুঝতে পারে। কথা শোনার পরে আমি ঠিক নেই। কিন্তু ঝরনা আমাকে এমন অবস্থায় দেখতে চায়না। ও তখন ঠোঁটের কোণে চুমু খেয়ে বলে। ইমতি, আমি কী এমন দেখার জন্য এই কথাটা বলেছি। আমি তো সব মেনে নিয়েছি। আমার সমস্যা নেইত।
কিন্তু আমি যেনো একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেছি। ঠিক কী করবো। বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
ঝরনার দিকে তাকিয়ে বললাম। কথাটা কী সত্য বলছেন ঝরনা।
উফফ, ইমতি। এসব নিয়ে কেন ঘাটছেন। আমি কথা বলতে গিয়ে বলেছি। আপনার গোমরাহ মুখ দেখার জন্য বলিনি। আমিতো আপনাকে ভালোবাসি তাই না। বয়স কিছুই না।
কিন্তু একটা ভয় আমার জানেন।
কথাটা বলার পরে ঝরনার চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে।
তবে আমি এখন কিছুটা বুঝতে পারছি।এই বয়স নিয়ে কোন একটা সমস্যা আছে।
তখন ঝরনা বলে।
আমার ভয় হয়। আপনার বাবা যদি আপনাকে খুঁজে পায়। তাহলে তো আপনাকে নিয়ে চলে যাবে। আমি তখন আটকে রেখে দিতে পারবোনা। নিঃস্ব হয়ে যাবো। হাজার হলেও আপনি ছোট। কিছু করার থাকবে না আমার।
আমি তখন তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম। তবে প্রশ্ন করলাম না বয়স নিয়ে।
তার নগ্ন বুকের উপর আস্তে করে চাপ দিয়ে বুলিয়ে দিয়ে বললাম।
উহু,কেউ পারবে না নিতে। আপনাকে আমি ভালবাসি। অনেক ভালবাসি। কোনো চিন্তা করতে হবেনা। খুব ভালবাসবেন। তাহলেই হবে।
না, আমি মানতে পারিনা। এত ভয়ে আছি বলে কথাটা বলে দিয়েছি। না হলে বলতাম না।
আমি তখন ঝরনা কে বলি।
ঠিক আছে এখন এসব কথা রাখেন। ঠোঁটটা ভিজিয়ে দেন। খুব করে।
ঝরনা তখন তার নরম ঠোটটা ডুবিয়ে দেয় আমার ঠোঁটের ভেতরে।
সেই উষ্ণতার রসে ভিজিয়ে দিতে থাকে আমার ঠোঁট।
অনেকক্ষণ ভালোবাসা দেওয়ার পর। ঝরনা আমাকে বলে। আজকে দুজনে একসাথে গোসল করব। করবেন আমার সাথে?
আমি তখন মনের ভিতর লুকিয়ে লুকিয়ে হাসি। একটা কথা মনে পড়ে যায়। ঝরনা আমাকে একদিন বলেছিল। বিয়ের পরে আমাদের দুজনের একসাথে হতে অনেক সময় লাগতে পারে। কিন্তু এখন যা দেখছি। ঝরনা আমার চেয়ে বেশি এগিয়ে। আমাকে নিজ থেকে কিছু একটা করতে হচ্ছে বলে মনে হয় না। আমি ভেবেছিলাম বলব হয়তো। একসাথে গোসল করার কথা। কিন্তু এই যে দেখছি, না বলার আগে সব পেয়ে গেলাম।
আমি তখন তার নরম গালে চুমু খেয়ে বলি। হ্যাঁ করব। কিন্তু কি করে করব না করব সেটা বলবো না বলতে পারছি না।
ঝরনা তখন আমাকে চিমটি কাটে।
বলতে হবে না বদমাশ। আমার সাথে গোসল করতে ঢুকিস। তারপর দেখা যাবে।
আমিতো হাঁসি। এটা তৃপ্তির হাসি আমার।
ঝরনা আমার কাছ থেকে চলে যায় রান্না করার জন্য। গায়ে জড়িয়ে নেয় সেই লাল শাড়িটা অর্ধনগ্নভাবে। আহ, কি দারুন দেখতে ছিল সে দৃশ্যটা। খোলামেলা চুল। নগ্ন পিঠ। ভাজ ছাড়া শাড়ি। কিছু সঙ্গে জন্য তুলনা করতে পারছিলাম না। এক অদ্ভুত টান কাজ করছিল তাকে দেখে এভাবে।
আমিও পেছন পেছন গেলাম তার সাথে রান্নাঘরে। এক জায়গায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। চোখ যেন মোর পলক পরছে না। তার দিকে তাকিয়ে পরোক্ষ করছি এক একটা অস্তিত্ব। কাজল মাখা টানা চোখ। মায়াবী একখানা মুখ। যার প্রতিটা স্পর্শে লুকিয়ে আছে অজানা কিছু ভালোবাসা।
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঝর্না বলে।
এভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন আমাকে।
আপনাকে দেখছি।
কাল সারারাত দেখলেন। একটু আগেও দেখলেন আমাকে সবকিছু। তারপরও মন ভরেনি। আরো দেখতে হচ্ছে।
আপনাকে ভালোবেসে মন কবে ভরেছে শুনি একটু। যা কোনদিন ভরেনি। কোন দিন ভরবেওনা।
আপনাকেও ভালবেসে আমার মন ভরে না। প্রতিটা মুহূর্তে মুহূর্তে ভালোবেসে লেপ্টে থাকে ইচ্ছা করে।
আপনাকে ব্লাউজ ছাড়া কি যে সুন্দর লাগছে জানেন। তার উপরে সাদা একটা মানুষের উপর লাল শাড়ি। অর্ধনগ্নভাবে। অসাধারণ।
এই, সব সময় কি উষ্ণ ভালোবাসা নিয়ে থাকবেন। মানে শুধু ফাঁক পেলেই হয়। তাই না।
ইস, নিজে মনে হচ্ছে ভালোবাসা চায় না আমার কাছে?
আপনি তো আমাকে জানেন। আমার না বলার ভাষা টাই। হ্যাঁ শব্দে পরিনত হয়।
সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি।
আমাকে এত করে বোঝেন বলেই তো খুব গভীরে ভালোবাসি আপনাকে।
আচ্ছা ঝরনা। একটু জড়িয়ে ধরি আপনাকে।
ধরেন। আমি মানা করেছি নাকি। কিন্তু হ্যাঁ। এখন যেন অতটা গভীর না হয়। তা না হলে দুপুরে না খেয়ে থাকতে হবে।
আচ্ছা আচ্ছা তাই করবো। শুধু জড়িয়ে ধরে থাকবো।
তাকে পেছন থেকে খুব শক্ত করে চেপে ধরি। কাধের চুল সরিয়ে মুখটা নিয়ে যায় তার গালের কাছে।
তাকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারি। নিঃশ্বাস যেন তার ঘন হয়ে আসছে। হতে পারে সেও চাই। কিন্তু এখন আমি দিব না তাকে উষ্ণ ভালোবাসা।
ঝরনা তখন একটা কথা বলে।
আচ্ছা ইমতি। একটা কথা বলবো।
হ্যাঁ বলেন।
আমি যদি কোনদিন মা না হয়। তখন কি হবে?
কথাটা শোনার পর আমি থমকে উঠলাম। এ কথাটা যেন আমি আগে কখনও ভাবিনি’।কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে এই কথাটা শোনার পর আমার চোখের সামনে কয়েকটা ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভেসে উঠে।
চলবে