তোমার_প্রেমে_মাতাল,পর্ব_২৯
লেখিকা_মায়াবিনী (ছদ্মনাম)
-নীরব তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো? বলো তুমি আমায় বিশ্বাস করো।
-তুমি যা বলো আমি বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করার যোগ্য না হলেও তোমায় আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করার মতো কেউ না থাকলেও আমি বিশ্বাস করি তোমায়।
-কি হেয়ালি বলছো নীরব? আমি সিরিয়াস।
-আমিও সিরিয়াস মায়া!
-তুমি একমাত্র আমার পাশে থাকার মতো। আর কাউকে এখন আমি বলতে পারছি না। আমি এখন যা বলবো তুমি শুনবে?
-এমন অস্থির অস্থির করছো কেন মায়া? বলো কি নিয়ে কি হয়েছে?
-নিবিড়কে নিয়ে।
-ভাইয়াকে নিয়ে মানে?
-আর রুশমি..
-কিহ? ভাইয়া রুশমি নিয়ে কি? ভাইয়া আর রুশমিকে নিয়ে কি মায়া? বলো? ওদের মাঝে কিছু চলছে? কি জানো তুমি?
-নীরব স্টপ দিস। তুমি তো আমার চেয়েও বেশি এক্সাইটেড হয়ে যাও। কিন্তু এখানে এক্সাইটেড হওয়ার মত কিছু হয়নি।
-Okay okay I am sorry! কি হয়েছে খুলে বলো।
-রুশমি মেয়েটা সুবিধার নয়। কি সমস্যা ওর এটা এক্সাক্টলি বুঝতে পারছি না।
-ক্লিয়ার করে বলো।
নীরব আমার দিকে তাকালাে। অসহায়ত্ব যেন আমার মুখে ফুটে উঠেছে। নীরব তাই তাকিয়ে দেখছে।
———
হসপিটালে রুশমির ফোনে চেক করে দেখি অল ডাটা ক্লিয়ার। নিবিড়ের মুখের দিকে তাকালাম। দেখি আবার ওই রকমই উদাস। হটাৎ নার্স এসে জানালো রুশমির জ্ঞান ফিরেছে। নিবিড় আমার দিকে তাকালো। আমি ইশারায় বললাম ওকে যেতে। কিন্তু নিবিড় আমার ডান হাতে ওর বাহাত গুজে দিল। টেনে ধরে কেবিনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানে আমি কেন? এখন হয়তোবা আমার আর নিবিড় এর মাঝে নিবিড় কোনো মিসআন্ডারস্ট্যান্ড হোক চায় না। মনের মাঝে শান্তির আলগোছা ছায়া নেমে এসেছে।
কেবিনে যেয়ে দেখি রুশমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে।
-রুশমি!
জ্বল জ্বল চোখে রুশমি চোখ খুলে তাকিয়েছে। কিন্তু এইটা সাথে সাথে দুঃখ ভারাক্রান্তে ভরে গেল। পেছনে বুঝি আমাকেও দেখেছে। আমি নিবিড়কে বেডের পাশের চেয়ারটায় বসতে ইশারা করলাম। বসলো। আমি একটু পিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
-এখন কেমন ফিল করছো?
-তুমি আমার জন্য এত দূর থেকে এসেছো?
-আমি আসছি বলেছিলাম না? তবে কেন এ কাজ করেছো?
-আমি ভয়……
-সাটাপ রুশমি। সেকেন্ড টাইম তুমি এমন কাজ করেছো। এসব কি?
-আমায় ক্ষমা করে দাও। (বলে বসতে চাইলো)
-বারবার ক্ষমার চাইবে আবার একই কাজ করবে? আর উঠতে চাচ্ছো কেন? তোমার বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
-একটু উঠবো। সাহায্য করো।
নিবিড় আমার দিকে তাকালো পেছনে ফিরে। আমি বুঝে গেলাম কি হয়েছে। এগিয়ে রুশমির বেডের কাছে গেলাম। নিবিড় চেয়ারটায় বসেই একটু সরে আমাকে রুশমির কাছে যাওয়ার জায়গা করে দিলো। আমি রুশমিকে বসতে সাহায্য করলাম। রুশমি কেমন করে যেন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।যেন আমার এই উপস্থিতি ওর পছন্দ নয়। তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি আপাতত অনুশোচনায় আছি। মেয়েটার সাথে আমি কখনোই খারাপ ব্যবহার করিনি। আবার অসহায় মেয়েটার সাথে ভদ্রতার খাতিরেও কথা বলিনি। এখন যতখানি আমার দ্বারা সম্ভব আমি সাহায্য করবো। বসিয়ে দিয়ে সরে আবার নিবিড় আর রুশমির কথা বলার জায়গা তৈরি করে দিলাম।
-রুশমি আগে বলো তুমি এমন কেন করেছো? একটু অপেক্ষা করলে তোমার কি সমস্যা হতো? আর তোমার হাসবেন্ড নাম্বার জেনেছে তোমার ঠিকানা না। এত রিয়েক্ট করার কি আছে?
আমি নিবিড় এর কাঁধে হাত রেখে চাপ দিয়ে থামালাম। নিবিড় প্রচন্ড রেগে আছে। ডক্টর বলে গেছেন মেয়েটা মেন্টালি ট্রমায় আছে। এখন তাড়াহুড়োতে নয়। ধীরে ধীরে ঠিক করতে হবে সব টা। বিষয় টা সেনসিটিভ অনেক।
-তুমি আমায় বকছো নিবিড়? তুমি তো এমন না। তোমার কাছে আছি বলে এমন ব্যবহার করছো? (বলেই কান্না শুরু করে দিলো)
এই মহিলার বয়স কম? এমন রিয়েক্ট করলো যেন স্কুলে পড়ে। যদি আমি না জানতাম এর অতীত আমি সিউর জোরে হেসে দিতাম। এখন হাসছি না তা ঠিক নয়। মনে মনে হাসছি। বারবার শ্বাস টেনে ছাড়ছি। হাসি আটকানো আর কি। নিবিড় অনেক বিরক্ত। মনে হয় ও বেশ কিছুদিন যাবৎ এসব দেখছে। এখন আর নিতে পারছে না। রুশমি ননস্টপ কাঁদছে। আজকে থামবে কিনা কে জানে। নিবিড় অনেক জোরে নিশ্বাস ছাড়লো। তারপর বলল,
-Do you need a hug?
-(রুশমি কাদা অবস্থায় নিবিড় এর তাকিয়ে থেকে মাথা উপর নীচে করে হ্যা বোঝালো।)
-তখন তুমি আর কাঁদবে না? থেমে হাসি দিবে? প্রমিজ?
-(কাঁদা অবস্থায় বলল) প্রমিজ।
নিবিড় আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-মায়াবিনী!
আমি এখনো বুঝে গেলাম। ঢোক গিলে দাঁড়িয়ে আছি। নিবিড় আমার হাত ধরে টেনে রুশমির দিকে এনে দাঁড়া করালো। আমি নিবিড়কে পেছন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
-রুশমিকে জড়িয়ে ধরো মায়াবিনী।
—–
নীরবকে সব রুশমির ব্যাপারে যা জানি খুলে বললাম। ফোনের সব ডাটা ডিলেট করায় ওর হাসবেন্ডের নাম্বার এভাবে পাবো না। কিন্তু ওর ফোনটা নিয়ে আসছি। ফোন যেহেতু এখন অন। রুশমির হাসবেন্ড অবশ্যই ফোন দিবে।
নীরব এতক্ষণ চুপ করে আমাকে শুনছিল। খুব গম্ভীর হয়ে বসে আছে। হসপিটালের ৭ তালার ক্যান্টিনে আমি আর নীরব বসে আছি।
রুশমিকে জরিয়ে ধরেছিলাম ঠিকই। রুশমি গা ছাড়া একটা ভাব দেখাচ্ছিল। আমার ব্যাপারটা খারাপ লাগছিল। কিন্তু নিবিড় তো রুশমিকে ধরেনি তাতেই আমি খুশি। কোন মেয়ে নিজের স্বামীকে অন্য নারী সাথে সহ্য করবে!! অবশ্য রুশমি কান্না থামিয়ে দিয়েছিল। নিবিড় নিজে থেকেই বলল আমার শ্বশুর বাড়িতে রুশমিকে নিয়ে যাবে। শশী আপু আর আমার বাসার কাউকে আর এই পেরেশানি দিতে চায় না আর। আমি জানি এমন হবেই। কারন কেবিনে ঢোকার আগেই আমি নিবিড়কে বলেছিলাম রুশমিকে বাসায় নিয়ে চলো। আমি সবসময় ওর খেয়াল রাখবো। নিবিড় আরস্থ হয়ে আমার উপর বিশ্বাস করলো। জানে এখন থেকে রুশমির কেয়ারের আর কোনো সমস্যা হবে না। নিবিড় আমাদের বাসায় নিবে রুশমিকে এই কথা বলা মাত্র রুশমি এমন ভাবে আমার দিকে তাকালো যেন আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে। হ্যা আমার মনে পড়ে গেল শশী আপুর সাথে যাওয়ার পূর্বে রুশমি আমায় কি বলেছিল। এতক্ষণ আমার রুশমির জন্য করুণা হচ্ছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি রুশমি স্বাভাবিক নয়। ও অন্যকিছু চায়। কি চায় সেটা জানতে ওর হাসবেন্ডের সাথে দেখা করা দরকার। নিবিড় এমনি দুশ্চিন্তায় আছে। আবার ওর যে রাগ রুশমি আমাকে কি বলছে তা বললে ও বুঝে যাবে রুশমি পয়জন ও খেয়েছে শুধু নিবিড়ের বাসায় যাওয়ার জন্য। এসব জানলে নিবিড় এখনই রুশমির কি হাল করবে কে জানে। আমি কেবিন থেকে বের হয়ে এলাম। ভাবছি কে এমন আছে যাকে আমি এই মুহূর্তে বিশ্বাস করতে পারবো। অমনি নীরব এসে জিজ্ঞেস করলো হসপিটালের করিডরে, রুশমির কি অবস্থা। বুঝলাম নীরবই এখন আমাকে একমাত্র সাহায্য করতে পারে। আমি নীরবকে বললাম ক্যান্টিনে যেতে।
-নীরব তুমি কি বুঝেছো আমি তোমাকে কেন বললাম?
-হু। ওর হাসবেন্ডের সাথে দেখা করার সময় একজন পুরুষ মানুষ যাতে তোমার সাথে থাকে। (বলেই একটা ভাব নিলো)
-তোমার মাথা। নিবিড়কে বলতে চাইনা। একজন বন্ধু দরকার ছিল। আর তুমি আমার বন্ধু। তুমি ছাড়া আর কাকে বলবো?
নীরবের হটাৎ চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। যেন আমার কাছে এমন কিছু ও শুনতে চেয়েছিল।
-মায়া আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি। রুশমি নামক ঝামেলা আমি তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দিব। এর জন্য আমায় যা যা করতে হবে করব। তোমার শান্তির জন্য আমি সবই করব। আমি তোমার একমাত্র বন্ধু। আমি করব না তো আর কে করবে তোমায় সাহায্য। রুশমি কেন এসেছে তোমার আর ভাইয়ার জীবনে, কি চায় সে। সব বের করব।
একরাশ ভালোলাগা আমার মন ছুয়ে গেছে। দূরসময়ের বন্ধুকে পাশে পাওয়া মানে ভাগ্যবানেরাই কেবল পায়। সেখানে আমি সত্যি ভাগ্যবতী। খানিকটা হাসি লেগে গেল আমার মুখে।
একটা কফি খেয়ে নিয়ে আমি আর নীরব সবার কাছে গেলাম। নিবিড়ের জন্য একটা কফি আর চিকেন স্যান্ডউইচ নিয়ে এলাম। ছেলেটা সারাদিন কিছু খায়নি। যেয়ে দেখি আমার বাসার সবাইকে আর বাবা মাকে নিবিড় পাঠিয়ে দিয়েছে। শশী আপু আর ভাাইয়া বেরিয়ে গেল। নীরব ও বিদায় দিয়ে চলে গেল। নিবিড় এর কাছে গিয়ে স্যান্ডউইচ টা বাড়িয়ে দিলাম।
-খেয়ে নাও।
-তুমি কোথায় ছিলে?(বলেই আমার হাত থেকে নিয়ে খেতে লাগলো স্যান্ডউইচ)
-ক্যান্টিনে গিয়েছিলাম। এইটুকু খেয়ে কফি নাও। তারপর বাসায় চলো। তোমার রেস্টের দরকার। আজকে কি রুশমিকে রিলিজ দিয়ে দেবে?
-ডক্টর কালকে বলছিল। কিন্তু রুশমি ভয় পাচ্ছে। ওর হাসবেন্ড নাকি এখানে চলে আসবে। একা হসপিটালে কোনোভাবেই থাকবে না।
-আচ্ছা সমস্যা নেই। নিয়ে যাই।
-রুশমির ফোন?
-আমার কাছে আছে। ফর্মালিটিগুলো কমপ্লিট করে চলো বাসায়।
-হ্যা!
রাত সাড়ে সাত বাজে। রুশমির ফোনে কল এসেছে। রুশমির হাসবেন্ডের সাথে আমি নিজে কথা বলেছি। আমার পরিচয় জানার পরেই লোকটা কোনো বাজে আচরণ করলেন না। বরং নিজেই আমার সাথে দেখা করতে চাইলেন।
-আপনির নিবিড় আহমেদের ওয়াইফই বলছেন তো?
-জ্বি!
-ম্যাম তবে আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই। কিছু জরুরি কথা বলার আছে আমার আপনাকে।
-আমাকে আপনার কি বলার আছে?
-ম্যাম আপনি দেখা করুন তখনই জানতে পারবেন। আমার সাথে আপনি দেখা করলে আমার লাভ হবে কিনা জানি না তবে আপনার সংসারটা হয়তোবা বেঁচে যাবে। আমার মত আপনারটা নষ্ট হবে না।
বলে ফোন রেখে দিল। কাল সকাল ১০.৩০টায় আমি নীরবকে নিয়ে যাব রুশমির হাসবেন্ডের সাথে দেখা করতে। রুশমি বা নিবিড় কাউকে এখনই কিছু জানালাম না। রুশমিকে মেডিসিন দিতে ঘরে গেলাম।
-আপু এখন আপনি কেমন বোধ করছেন?
-(উনি ওঠার চেষ্টা করলেন) এই তো ভালো।
আমি রুশমিকে বসিয়ে দিয়ে মুখে তুলে খাইয়ে দিলাম স্যুপ। তারপর মেডিসিন ও।
-তুমি আমার জন্য অনেক করছো এজন্য আমি অনেক আনন্দিত।
-না না আপু। আমি নিজে আপনার জন্য কিছু করতে পারছি বলে আনন্দিত। আসলে নিবিড়ের জন্য কিছু করতে পারলে আমার জীবন সার্থক। ও সবসময় আমার জন্য সবকিছু করে। তার বদলে আমি সত্যি কিছু করতে পারিনা। ওর বন্ধুর জন্য আমি কিছু করতে পারব এইটাই আমার কাছে অনেক কিছু। এখনো কিছুই করিনি আমি। তবে সত্যি আপনার জন্য আমি কিছু করতে চাই। আমি নিশ্চয়ই করতে পারবো।
-হ্যা তুমি ঠিক বলছো। তুমি আমার জন্য সত্যি কিছু করতে পারো মায়াবী।
এতক্ষণ আমি রুশমিকে খাইয়ে ওর রুমটা ভালো মত গুছিয়ে দিচ্ছিলাম। আর এসব বলছিলাম। রুশমির কথা শুনে মুখ তুলে তাকালাম। ওর মুখে কেমন যেন এক হাসি। যেন আমায় খোঁচা দিল। রহস্যময়। আমি ঢোক গিলে একটা হালকা হাসি নিয়ে বললাম,
-কি করতে হবে বলুন। আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই করব।
-অবশ্যই সাধ্যের মধ্যে। তোমার এক ধিলে দুই কাজ হয়ে যাবে মায়াবী। আমার জন্য কিছু করা। আবার একই সাথে নিবিড় এর জন্য ও।
-মানে বুঝতে পারলাম না।(আমার মুখচোখ কুঁচকে এসেছে)
-(খানিকটা হাসি টেনে) মায়াবী তুমি চিন্তিত হচ্ছো কেন? যখন চাইবো তখন দিলেই হবে?
-কি চান আপু?
-তখন না হয় জেনো।
রুশমির কাছে থেকে চলে আসলাম নিজের রুমে। আকাশ পাতাল ভাবছি আমি। রুশমি আমার কাছে কি চাইছে। কি বুঝাচ্ছে? ওর হাসবেন্ড ও বা কি উপকার করতে চায় আমার? মাথা ধরে এসেছে আমার। রুমে যেয়ে দেখি নিবিড় শুয়ে পড়েছে। আমি লাইট অফ করে নিবিড়ের পাশে শুয়ে পরলাম।
নিবিড় আমার দিকে ঘুরে শুলো। দুইজন মুখোমুখি।
-তুমি ঘুমাওনি? সেই কখন শুয়েছো?
-তুমি ছাড়া আসে নাতো।
একটা তৃপ্তির হাসি আমার মুখে ফুটে উঠলো। সবকিছু ভুলে গেলাম। হাজারো চিন্তা আমার, জানালা দিয়ে পালালো। নিবিড় এর দিকে তাকিয়ে বললাম,
-আমি এসে তোমার কাছেই শুয়ে যেতাম। আর রুশমিকে খাওয়াতে গেছিলাম।
নিবিড় আমায় কাছে টেনে নিলো এক ঝটকায়।
-আমি অনেক ভাগ্য গুনে তোমায় পেয়েছি মায়াবিনী। আমার জীবনে তোমায় পাওয়া মানে আমি সবচেয়ে লাকি পারসন। তুমি আমার জন্য হাসি মুখে রুশমির সেবা করছো। কি করে পারছো মায়াবিনী?
নিবিড়ের হাতের উপর শুয়ে আছি। জড়িয়ে ধরেছে আমায় দুই হাত দিয়ে। ওর বুকের কাছে আমার মাথা। আমি মুখ উঁচু করে নিবিড় এর দিকে তাকিয়ে আছি। নিবিড় ও আমার দিকে তাকিয়ে। চোখে চোখে আমরা কথা বলছি। যেন বহুবছরের জমানো কথা….
চলবে……