Black Rose?Season_03,16 Last Part

0
3718

Black Rose?Season_03,16 Last Part
The Dark king of my kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla.

অনেকটা সময় কেটে গেল সবাই দু’হাত তুলে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে প্রর্থনা করছে মেঘের জন্য।

আমান বসতে পারছে না কিছু তেই৷
হটাৎ নার্স এসে উত্তেজিত হয়ে বললো,
–পেসেন্ট এর সেন্স আসছে ডক্টর।
ততক্ষনাথ ডক্টর ভেতরে গিয়ে মেঘের আবার চেকাপ করে বেরিয়ে এলো,
–আলহামদুলিল্লাহ মি.আমান আপনার স্ত্রী সুস্থ আছেন এবং আমাদের অনুমান মতে ওনার সবটা মনেও পরেছে৷
–অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ডক্টর এমন কথা শুনাবার জন্য।
দেখা করতে পারি৷
–হ্যা বাট এক জন।
–মা
–যা-ও বাবা।
আমান ভেতরে যায়।
মেঘ চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে আমান মেঘের কাছে গিয়ে কপালে হাত দিলো।
মেঘ ধিরে চোখ মেলে আমানকে দেখতে পেল৷
–আমান ?
–সুইটহার্ট সত্যি আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আমানের চোখের কোনের পানি মেঘের চোখ এড়ালো না।
–খুব বেশি ভালোবাসো তাই না৷
–বলে বুঝাতে পারবো না৷
মেঘ হাত বাড়াতে
আমান মেঘকে জড়িয়ে নেয়।
সত্যি হয়তো পৃথিবীর সব থেকে বড়ো শুখ এটা হাজার ঝড় পেরিয়ে আপন মানুষ কে কাছে পাওয়া।
ভালোবাসলে এভাবে বাসো যেন পৃথিবীর সব থেকে বড়ো গর্তের গভীরতা কেও হার মানায় সেই ভালোবাসার গভীরতা।


২ দিন পর,
আজ মেঘকে বাসায় নিয়ে আসা হলো।
আমান ঠিক করেছে কাল ওরা ঢাকা ফিরবে।
মেঘ খেয়াল করছে রোজের দিকে ওর মন ভালো নেই সত্যি কি করে ভালো থাকবে।
–রোজ এদিকে আয়।
–হুম আপুনি বলো।
–কি হইছে তোর
–কি হবে আপু বল
–সব ঠিক করে দিবো আমি চিন্তা করবি না৷
–না ঠিক হলেবা কি বলো?
মেঘ জড়িয়ে ধরে রোজকে৷
সত্যি বোনটা অনেক কষ্ট পাচ্ছে৷
রাতে,
–আমান৷
–বলো৷
–আকাশকে ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করো৷
–মানে
–তুমিকি দেখেছো আমার বোনটা মন মর হয়ে থাকছে৷
–আমি ওকে ভালো কারোর সাথে বিয়ে দিবো।
–না রোজ তাকে না আগের মতো ভালোবাসতে পারবে না ভালো থাকতে পারবে । প্লিজ রিকোয়েস্ট আমার৷
–আচ্ছা ঠিক আছে
মেঘের কপালে চুমু দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলে আমান৷

সকালে,
–মেঘ মা৷
–জি মা৷ । –
–আমান কই সকাল থেকে থেকে দেখছি না৷
–জানি না তো বলে নি আমায়।
–কি বলিস৷
–রোজ৷
–হ্যা আপু।
–কি করিস৷
–খাবার বানায়।
–আমার সুন্দরী কে দিয়ে তুমি রান্না করাচ্ছো আম্মু৷
–আরে তা না আপু আমার আর কি করার বল সারা জীবন তো এগুলা করেই কাটাতে হবে না।
আম্মু কাল হস্টেল যাবো। পড়াশোনা শুরু করতে হবে আর আজ আপু চলে গেলে আমার ভালো লাগবে না৷
–রোজ
মেঘ রোজকে জড়িয়ে ধরে৷
তখন
–সরি রোজ৷
হটাৎ আকশের কন্ঠ পেয়ে পেছনে তাকাতে দেখে আকাশ অপরাধী চোখে তাকিয়ে আছে৷
–কি হচ্ছে এখানে (মেঘের আব্বু)
–আব্বু আমার কথা ঠান্ডা মাথায় শুনবেন প্লিজ (আমান)
–কি শোনাতে চাও তুমি আমান।
–আব্বু এদিকে আসুন
আমান শ্বশুর বাবাকে বুঝায়৷
এদিকে
–ভাইয়া তুমি ওনাকে চলে যেতে বলো আমি কিছু করবো না কারোর সাথে যাবো ছাড়িয়ে আনছো ভালো কিন্তু আমি ওনার সাথে যাবো না৷
–রোজ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে৷
–আপনি কি কোন দোষ করেছেন আকাশ।
–রোজ প্লিজ বাসায় চল আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি৷
–আপুনি এমন একটা লোকের সাথে আমাকে যেতে বলবি।
–হুম বলবো আমি কথা দিচ্ছি কিছু হবে না যা এর পর কিছু হলে আমি দেখে নিবো।
–হ্যা রোজ তোমার ভাইয়াও তোমায় কথা দিলো ?
আকাশ অনেক খুশি সে ক্ষমা পেয়েছে।


এর পর সবাই চলে আসে। আমান মেঘ ঢাকা আর রোজ আকাশ তাদের বাসায়।
রোজ গেছে ঠিক কিন্তু এখনো রোজ আকাশের সাথে একটা কথা বলে নি৷

বাসায় এসে চাঁদনি খান মেঘকে ধরে কেঁদে দেয়৷
খুব কষ্ট হইছে তার এভবে থাকতে।

বিকাল গড়িয়ে রাত হলো,
আকাশ রুমটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে বিছানার মাঝে হার্ট সেপ এর মাঝে রোজ আকাশ লিখেছে।
সে সত্যি অনুতপ্ত আজ সে রোজের থেকে ক্ষমা পেয়ে ছাড়বে৷
রোজ নিচে থেকে উপরে এসে,
রুমে চলে আসে সত হোক আকাশের মা বাবার জন্য তাকে আকাশের সাথে এক রুমে থাকতে হবে।
রুমের দরজা খুলে অবাক।
মাথার উপর বেলুন ফুটলো আর পুরো রুমটা অসাধারণ সুন্দর করে সাজানো হইছে।
রোজ পুরোই অবাক।
আকাশ হটাৎ করে পেছন থেকে দরজা বন্ধ করে রোজের সামনে এসে দাঁড়ায়৷
হাঁটু গেঁড়ে বসে
–আমাকে ক্ষমা করে দে i love u রোজ৷
আকাশের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে রোজ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এতো গুলো বছরের তার চাওয়া আজ পুরোন হলো৷ সত্যি অসাধারণ ব্যাপার।
হটাৎ আকাশ রোজকে জড়িয়ে নিলো।
রোজ আরো অবাক হার্ট বিট বেড়ে গেছে।
–ভালোবাসি এক বার ক্ষমা কর আর ক্খনো ভুল হবে না৷
–সত্যি ভালোবাসো৷
–অনেক বেশি৷
–আর এমন করবে না৷
–না করবো না৷
–i love u too.
–তবে চল না একটা বাবু আসার কাজ করি৷
–মানে
–মানে তুই ওতো বুঝবি না আমার কাজ করতে দে
–এই আকাশ
(আর শুনতে হবে না)

মেঘ চুল আঁচড়াচ্ছে বেঁধে ফেলছে।
–সুইটহার্ট তোমায় ছেড়ে এতো দিন আমি মরেই গেছিলাম
আমান হটাৎ এসে কথাটা বলে মেঘকে কোলে তুলে নেয়৷
— ও মা ভয় পাইছি তুমি কখন এলে।
–এইতো এই-যে আসছি৷
–কি করছো ছাড়ো৷
–ছাড়বার জন্য ধরি নি৷
–তুমিও না৷
–আমিও কি
–অসভ্য।
–ও আমি অসভ্য ওকে দেখ অসভ্য কি করে।
চাঁদের আলোতে গা ভিজিয়ে আবারো মিল হলো দুইটি ভালোবাসার পাখির৷


পরিশেষে একটাই কথা,
ভালোবাসলে এভাবে বাসো যেন পৃথিবীর বুকে থাকা সব থেকে বড়ো গর্তের গভীরতা কেও হার মানায়৷
_____________সমাপ্তি _____________
(ধৈর্য ধরে ৩ টা সিজন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমাকে ভালোবাসা দেবার জন্য আরো অনেক ধন্যবাদ।
আবার সিজন 4 আসবে অপেক্ষায় থাকুন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here