Black Rose?season_03,Part_06,07( wedding Special) ?
The Dark king of my Kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_06
–মেঘ।
আমানের ডাকে মেঘ ঘুমের ঘোরে উত্তর দিচ্ছে,
–হু
–উঠো সন্ধ্যা নেমেছে।
–কতো মিষ্টি করে কথা বলে রে৷ সত্যি যদি এভাবে একটু বলতো (ঘুমের ঘোরে আহ্লাদি শুরে)
আমানের প্রচুর হাসি পাচ্ছে কারন সে ব্যাপারটা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে।
–চোখ মেলে তাকাও।
মেঘ।
আমানের কিছুটা উঁচু স্বরে বললো মেঘ হালকা চোখ খুললো৷
চোখ খুলেই বিশ্ব জয় করা হাসি দিলো৷
এ হাসির মানে দু’জনের কারোরি জানা নেই।
মেঘ আবার চোখ বন্ধ করে কিছু সময় পর। ধরফরিয়ে উঠে,
–আপনি কিছু লাগবে। (উত্তেজিত হয়ে)
–না কিছু লাগবে না তুমি উতলা হচ্ছো কেন।
–না আসলে আমি বুঝতে পারি নি আপনি এসেছেন।
–সমস্যা নেই।
–হু।
–উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে আসো।
–ফুপি
–আজ আসবে না
–ও আসছি।
আমান চলে গেল। –
–আমি তো আজ গোসলি করি নাই। সমস্যা নাই এখন করে নি কেমন গরম লাগছে।
মেঘ ২০ মিনিটের মতো গোসল করে বেরিয়ে নিচে এলো।
দেখে আমান বসে আছে।
–তুমি এই সময় গোসল করেছো কেন।
–সকালে কলেজ থেকে এসে ঘুমিয়ে গেছিলাম তাই মনে ছিলো না।
–ঠান্ডা লাগতে পারে এখন কাজটা ঠিক করো নি।
–বাবা এতো খেয়াল মনে মনে।
–কি ভাবছো।
–কোন সার্ভেন্ট নেই কেন।
–কাল শুক্রবার তাই একটু ব্রেক টাইম ওদের৷
–রাতে কি খাবেন।
–দেখি বাইরে থেকে কিছু আনা যায় কি না।
আমানের কথার অবশান ঘটতে না ঘটতে ঝুম ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো।
আকাশটা মেঘলা ছিলো অনেকটা সময় ধরে৷ হয়তো বৃষ্টি হবে বলেই।
–এবার।
–এবার কি না খেয়ে থাকো।
–নাহ আমি রান্না করছি।
–তুমি পারো৷
–এটা তো আপনি ভালো জানবেন আমি কি পারি?
আমান প্রশ্নের জন্য অপ্রস্তুত ছিলো।
–আব তুমি হ্যা পারো তো।
–তাইতো পারি মনে হয় ট্রাই করি৷
আমি গিয়ে কিচেনে রান্না করতে বসলাম৷ কিন্তু কি দিয়ে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না৷
হটাৎ আমান এসে আমাকে সরিয়ে দিলেন। –কি করছেন৷
–চুপচাপ দেখো।
আমান চাল ধুয়ে আলু আর ডিম চালের মধ্যে দিয়ে রাইসকুকারে বসিয়ে দিলো।
–আলু ভর্তা ডিম ভর্তা এগুলা খেয়েই কাটাতে হবে আমি এর থেকে বেশি কিছু পারি না৷
আমি অবাক না হয়ে পারছি না মানুষ টা এতে নর্মাল কেমনে হলো৷
রান্না শেষ আমানকে খাবার দিয়ে খাবার খেয়ে নি৷ বেশ ভালোই ছিলো সময় গুলো৷ কিন্তু সব কিছুর মাঝে আমার কেমন দম আঁটকে আঁটকে আসছে শরীর ভালো লাগছে না তাপ অনুভব হচ্ছে। কথা আস্তে আস্তে নাকে চলে যাচ্ছে।
–বলছি ঘরে গিয়ে রেস্ট নিন এখন আমি একটু ঘুমবো।
–তোমার কন্ঠ এমন শুনচ্ছে কেন সমস্যা?
–না বুঝতে পারছি না ঘুমালে ঠিক হবে হয় তো৷
–আচ্ছা চলো।
–যে যার রুমে চলে এলাম।
রুমে এসে শুতেই আমার অবস্থা বেশি খারাপ হতে লাগলো৷ শ্বাস কষ্ট সাথে কাশি আর জ্বর।
মাথা তুলতে পারছি না কষ্ট হচ্ছে এখনো ঠান্ডা পরিবেশ এমন সময় গোসল করা মোটেও উচিৎ হয় নি৷
এবার কি করবো আমি কথাও বলতে পারছি না শুধু চোখের কোন বেয়ে পানি আসছে ফুপিও নেই।
আমার এতো খারাপ লাগছে বলে বোঝানোর ভাষা নেই।
কাশিতে কাশিতে মনে হচ্ছে গলা ছিলে যাবে।
কুব কষ্ট হচ্ছে বাসায় আমান ভাই ছাড়া কেউ নাই উনি কি আসবে এসেইবা কি করবে।
আর ভাবতে পারছি না৷ চোখ বুজে নি।
।
আমানের খুব অস্থির লাগছে কেন জানি না শুধু মেঘকে এক বার দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। এমন কেন হচ্ছে।
আমান আর বসে না থেকে মেঘের রুমের দিকে যায়। গিয়ে দেখে দরজা খুলা।
ভেতরে তাকাতে দেখে গলায় ওরনা পেচিয়ে কম্বল এর তলে শুয়ে আছে।
আমান অবাক হয় এতোটা শীত তো পরে নি।
আমান মেঘের কিছুটা দুরে অবস্থান করার সময় বুঝতে পারে জ্বর আসছে তার কারন জ্বরের তেজ সে সেখান থেকেই উপলব্ধি করতে পারছে৷
দেরি না করে দৌড়ে মেঘের কাছে আসে,
–কি হইছে তোমার৷
মেঘ আমানের কথা শুনে চোখ মেলে তাকায়৷
কিছু বলতে পারছে না। শুধু চেষ্টা করছে বলার৷
আর কাশি দিয়ে উঠছে।
–থাক কিছু বলতে হবে না৷ কেন গোসল করলে ওই সময় এতো রাতে এই বৃষ্টি ডক্টর কই পাবো। কি অবস্থা এবার কি হবে। তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে না আমি জানি তো অনেক কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কি করবো আমি।
আমান প্রচুর উতলা হয়ে গেছে।
আমি কিছুই বলতে পারছি না মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না।
আমার এই অবস্থা দেখে আমান অনেকটা উত্তেজিত হয়ে পরেছে।
আমাকে কিছু ঔষধ খাইয়ে দেয়।
জ্বল পটি দিচ্ছে আস্তে আস্তে কিছু সময় পর আমার ঘুম চলে আসে।
ঘুম ভাঙে এক দম সকালে,
পাশে আমার মাথায় হাত দিয়ে আমানকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখলাম৷
সারা রাত সেবা করেছে আমার৷
জ্বরটা কমেছে কিন্তু কাশি আছে।
আল্লাহ ওনাকে যেমন ভাবতাম উনি তেমন না৷
সারা রাতই কষ্ট করেছে কিন্তু কেন আমাকে তো সহ্য ই করতে পারতেন না।
।
–আমান৷
আমার ঢাকে উনি উঠেন,
–কিছু লাগবে ঠিক আছো।
–আমি ঠিক আছি আমি রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন৷
–কথা শুনে তো মনে হচ্ছে না৷
–সত্যি আমি ঠিক আছি আপনি ঘুমান।
কিন্তু তিনি শুনলেন না খাবার রান্না করে আমাকে খাইয়ে ডক্টর ডাকলেন,
ডক্টর চেকাপ করে ঔষধ দিয়ে গেল।
সকাল গরিয়ে বিকাল হলো।
ফুপিমনি চলে এসেছে,
–কিরে মেঘ তুই অসুস্থ মা৷
–না হালকা
–হালকা কি রে আমান সব বলেছে কিন্তু এমন হলো কেন।
–তোমার আদুরে মেয়ে সন্ধ্যার সময় গোসল করেছিলো।
ওর এজমার সমস্যা আছে।
–আর এমন করবি না পারলে এক দিন গোসল না করবি আর শীত শীত পরেছে এবার থেকে বেশি সেফ থাকতে হবে।
–ঠিক আছে।
আমানের জন্য ভালোলাগা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
লোকটা খারাপ না ?
চলবে,
Black Rose?
Season_03
The Dark king of my kingdom♚
Part_07( wedding Special) ?
Lamiya Rahaman Meghla
–মেঘ I love you. I love you transgresses the limits of everything. I’m willing to die a thousand times for you.
I really can’t live without you
Will you marry me?
আমান মেঘকে propose করেছে আজ পুরো ভার্সিটির সামনে হাটু গেঁড়ে হাতে একটা কালো গোলাপ নিয়ে।
মেঘের সত্যি এতো গুলা খুশিতে চোখে পানি চলে এসেছে।
এর মাঝে কেটে গেছে ২ মাস এই ২ মাসে মেঘ আর আমানের ভালোবাসা টা গভীর থেকে গভীর হতে থেকেছে। আজ মেঘ নিজেকে পৃথিবীর বুকে সব থেকে শুখি মানুষ মনে হচ্ছে৷
–হ্যা আমি বিয়ে করতে চাই আপনাকে আমিও ভালোবাসি আপনাকে সকল কিছুর উর্ধে।
মেঘ কথাগুলো বলেই আমানকে জড়িয়ে ধরে।
আমান আজ সত্যি তার মেঘকে পেয়ে গেছে।
এদিকে ভার্সিটির সবার সামনে তাদের বিয়ের কথা প্রকাশ হলো।
চাঁদনি খান ও মেঘকে নিজের পুত্র বধুর রুপে পেয়ে অনেক খুশি৷
আমান আর মেঘের বিয়ে ঠিক করা হয় ৫ দিন পর।
এই ৫ দিনে নানা অনুষ্ঠান চলবে,
মেহেন্দি, হলুদ,সঙ্গতি ইত্যাদি।
–দোস্ত আমি অনেক খুশি ফাইনালি আমান আর মেঘের বিয়ে উফ ভেবেই ভালো লাগছে।
–ধন্যবাদ দোস্ত। তোকে কিন্তু আজই আসতে হবে মনে আছে তো
–আরে আছে আছে আমি আসছি আজই আমার তো কাপড় গোছানো শেষ রওনা হচ্ছি এখন৷
–ওকে বাই বেব আলাবু।
–আলাবু তু৷
সময়ের সাথে সাথে মেঘ আর কেয়ার বন্ধুত্ব ও অনেক গভীর রুপ ধারন করেছে।
–আসসালামু আলাইকুম ভাবি৷
–ওলাইকুমাসলাম ঠিক,
–ঠিক চিনেন নি তো।
–হুম।
–ভাবি আমি আদহাম আমান ভাই এর এক মাত্র খালাতো ভাই।
–ওহ তোমাকে আগে
–আসলে ভাবি আমি বাইরে ছিলাম লন্ডন এখানে আমান ভাই এর বাবাও এক মাত্র সন্তান আর ছোট মা মানে আপনার শ্বাশুড়ি মা উনারা হলেন ২ বোন আমার মা বড়ো আর ছোট মা ছোট৷ আমি আর আমান ভাই এই পরিবারের ২ টা মাত্র ছেলে আমাদের রাজত্ব চলে আর কি। আমরা সবাই লন্ডন থাকি আমান ভাই এর বিয়ের কথায় এসেছি তাই এর আগে দেখেন নি৷
–ও আচ্ছা খালামনি কই৷
–এইতো আমি মা৷
–আসসালামু আলাইকুম খালামনি।
–ওলাইকুমাসলাম মাসআল্লাহ চাঁদনি হিরের টুকরা আামদের বৌমা৷
–হুম দেখতে হবে না পছন্দ কার(আমান)
–নেও হইছে আমার মেঘ মা এমনি সুন্দর। (চাঁদনি খান)
–?।
–আচ্ছা অনেক জার্নি করে আসছিস রেস্ট নে সকালে আবার সঙ্গিত এর অনুষ্ঠানে আছে।
–হ্যা তা ঠিক৷
সবাই সবার রুমে চলে এলো
★
রুমে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাতের চুড়ি গুলা খুলছি আর গুন গুন গান গাইছি। এমন সময় হটাৎ কেউ এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে৷ তার পার্ফিউমের স্মেল জানান দিচ্ছে সে কে তাই আমি কিছু না বলেই চুপচাপ চুড়ি খুলছি৷
–সুইটহার্ট এতো জলদি আমার স্পর্শ চিনে ফেলেছো।
–হুম৷
আমান এবার মেঘের চুলে নাক ডোবায়৷
–বিয়ের পর কষ্ট হবে না বলো।
–অসভ্য ছেলে এখন জান এখান থেকে কেউ আসলে সমস্যা৷
–উহু তোমার চুলে অসাধারণ একটা ঘ্রাণ আছে মেঘ।
–মেঘ মা
–এই মা আসছে জান আপনি৷
–উহু৷
–আমান মা আসছে
–কি মা আসছে
–জান জলদি
আমান দরজার দিকে যেতে
–আরে মা দরজা দিয়ে আসছে আপনি ওদিক দিয়ে জান৷
–ওকে
আমান যেতে যেতে মেঘকে কিস করে যায়৷
–অসভ্য একটা
–কি বলিস মা৷ । –
–কিছু না মা কিছু লাগবে তোমার।
–না তেমন কিছু না এই দেখ কেয়া এসেছে। –আরে কেয়া।
আমি কেয়ার সাথে হাগ করলাম।
–হুম আমি ভাবছি তোরা আলাদা থাকবি কেন একি রুমে থাক৷
–হ্যা মা তাইলে তো ভালোই হয়৷
–আচ্ছা অনেক রাত হলো কেয়ার খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো৷
–ওকে আন্টি ধন্যবাদ।
চাঁদনি খান চলে গেলেন।
–মেঘ আমি সত্যি অনেক খুশি৷
–আর তোকে এখানে দেখে আমি আরো খুশি??।
।
।
ওদিকে আাকাশের বাড়িতে,
–আকাশ অনেক হইছে তোমার অনেক শুনছি এবার আমি যা বলবো তাই হবে।
–মা রোজ মেঘের ছোট বোন আমি ওকে কি করে বিয়ে করবো৷
–আমি জানি না কি করে কি করবা কিন্তু বিয়ে তুমি করবা ব্যাস৷ আগামি ৫ দিনের মধ্যে তোমার বিয়ে রোজের সাথে মাইন্ড ইট।
কথাটা বলেই অনিলা বেগল ছেলের রুম ত্যাগ করলেন।
–অনিলা তুমি আাকাশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছো। (আকাশের বাবা তুশার খান)
–তুমি লায় দিবা না ছেলেকে ওর সব সত্যি যেনে ওকে বিয়ে করার মতে এক মাত্র রোজই আছে আমি চাই আমার ছেলে শুখি হোক আর সেটা শুধুমাত্র রোজের হাত ধরেই হবে৷
–মেঘের মা বাবার সাথে কথা হইছে।
–হ্যা হইছে ওনারা বিয়ের ব্যাবস্থাতে আছে৷
মেঘের বাবাও চায় না ছেলেটা সারা জীবন একটা স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচুক।
–হুম। তবে ছেলেটাকে ঠিক করতে গিয়ে তুমি রোজ মার জীবনটাকে না নষ্ট করে দেও৷
–বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে তুমি দেখ৷
–তাই যেন হয়।
।
–আআআআআআ মা কেন বুঝতে পারছে না আমি মেঘকে ভালোবাসি রোজকে না৷ রোজকে আমার সাথে বিয়ে দিলে সারা জীবন ওকে কষ্ট ছাড়া আমি কিছুই দিবো না কথা দিলাম।
(রেগে চিল্লিয়ে আাকাশ বললো)
।
।
রোজদের বাসায়,
–আকাশ ভাই অবশেষে আমার ভালোবাসার মানুষ টাকে আমি পাবো কিন্তু উনিকি আমাকে মেনে নিবে?
–না না এক বার বিয়ে হলে আমি ওনাকে ঠিক গুছিয়ে নিবো৷ আই মিস উ আপুনি।
রোজ মেঘের ছবি আঁকড়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায়।
।
।
সকালে,
খান বাড়িতে,
পুরো বাড়ি সজানো হইছে আত্মীয় স্বজনে মো মো করছে বাড়িটা৷
কেয়া মেঘকে তৈরি করাতে ব্যাস্ত একটু পরি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
কেয়া খুবই সুন্দর সাজাতে পারে তাই আলাদা করে কোন লোক ডাকা হয় নি।
হালকা গোলাপি রঙের একটা ফুলা লেহেঙ্গা পরানো হইছে মেঘকে সাথে গয়না৷
আর মেঘ এমনি সুন্দর সাজানোতে তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে পুরোই গোলাপি পরি৷
কেয়া একটা মিষ্টি কালারের হালকা কাজের লেহেঙ্গা পরে সেও সুন্দর করে সেজে নেয়।
–কিরে তোদের হলো৷ (চাঁদনি খান)
–হ্যা আন্টি সব রেডি(কেয়া)
–মাসআল্লাহ তোদের দুজন কে পরির মতো লাগছে।
–ধন্যবাদ আন্টি৷
–চল নিচে আয়৷
–হুম আসছি।
কেয়া মেঘকে নিয়ে নিচে আসছে। আমান আর আদহামন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলো ওদের দুজন কে নামতে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে৷ ওরা৷
আমানের তো মন চাইছে এক্ষুণি ছুটে গিয়ে মেঘের গালে চুমু বসিয়ে দিতে কিন্তু পরিস্থিতি তো আর তা মানবে না৷
আদহাম কেয়াকে দেখে চোখই সরাতে পারছে না৷ ওর কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর এই মুহুর্তে কেয়া৷
–ভাই বিউটিফুল। (আদহাম কেয়ার দিকে তাকিয়ে)
–হু। (মেঘের দিকে তাকিয়ে)
–ভাই মেয়েটা কে?
–আমার বৌ আর কে৷
–আরে ভাই ভাবির পাশের মেয়েটা৷
–ওহ কেয়া মেঘের বেস্টু।
–ওহ (তাইলে তো সব ক্লিয়ার আমার মনে মনে)
চলবে,