Black Rose?Season_03,Part_08( wedding special ?),09( wedding special ?)
The Dark king of my kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_08( wedding special ?)
♪♪ Dil ibaadat kar raha hai, dhadakane meri sun
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun
Jindagi ki shaak se loon kuchh haseen pal main chun
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun
Jo bhi jitane pal jiu, unhe tere sang jiu
Jo bhi kal ho abb mera use tere sang jiu
Jo bhi saansein main bharu unhe tere sang bharu
Chaahe jo ho raasta use tere sang chalu
Dil ibaadat kar raha hai, dhadakane meri sun
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun
(Mujhako de tu mit jaane abb khud se dil mil jaane
Kyun hai itana faasala
Lamahe yeh phir na aane inako tu na de jaane
Tu mujhape khud ko de luta
Tujhe tujhase tod loon kahin khud se jod loon
Meri jismo jaan pe aa teri khushbu odh loon
Jo bhi saansein main bharu unhe tere sang bharu
Chaahe jo ho raasta use tere sang chalu
Dil ibaadat kar raha hai dhadakane meri sun
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun
Baahon mein de bas jaane sine mein de chhup jaane
Tujh bin main jaau toh kahaan
Tujhase hai mujhako paane yaadon ke woh najraane
Ik jinape hak ho bas mera
Teri yaadon mein rahu tere khaabon mein jagu
Mujhe dhundhein jab koyi teri aankhon mein milu
Jo bhi saansein main bharu unhe tere sang bharu
Chaahe jo ho raasta use tere sang chalu
Dil ibaadat kar raha hai, dhadakane meri sun
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun♪♪
(পুরা গান লিখে দিছি? আমি কতো ভালো সবাই একটু ভালো বলে যাইও?)
আমান গানটা গাইছিলো আর মেঘের চারি পাশে রাউন্ড করছিলো।
সবাই তাদের ভালোবাসা আর অন্তরের টান দেখে সত্যি অবাক।
মেঘের মুখের হাসিটা আমানকে যেন অনেক শুখ খুঁজে এনে দেয়।
ভালোবাসা বুঝি এমনি হয়।
গানটা শেষ করে আমান আর মেঘ দুজন বসে। পাশাপাশি ওদের কিছু কাপাল ফটো নেওয়া হয়।
সবাই কাজে ব্যাস্ত গান চলছে সাথে সবাই নাচ করতেছে৷
এমন সময় আমান মেঘের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
–সুইটহার্ট আমার তো হার্ট এটাক করে দিচ্ছো তুমি আমার তো মন চাইছে আমি তোমায় চকলেট এর মতো খেয়ে ফেলি৷
আমানের কথায় মেঘ লজ্জায় মুখ নামিয়ে নেয়,
–উফ এই লজ্জা আমি তো মরেই যাবো।
মেঘ চুপ করে আছে।
–মেঘ।
–কেয়া বল।
–আমার না চিপটিপিন খুলে গেছে আমি আসছি হ্যা ২ মিনিট৷
–আচ্ছা।
কেয়া উপরে আসতে থাকে। রুমে গিয়ে ওরনা ঠিক করতে থাকে।
হটাৎ কেউ তাকে এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে৷
ঘটনা চক্রে কেয়া কিছুই বুঝতে না পেরে আয়নার দিকে তাকাতে পুরাই সক্ট।
–আদহাম তুমি।
–হুম আমি।
–কেমনে কি তুমি না লন্ডন
–উহু জানু আমান আমার আপন খালাতো ভাই। বিয়েতে এসেছি এখানে এসে যে তোমায় পেয়ে যাবো ভাবি নি৷
–সত্যি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না৷
–৩ সত্যি জান৷
(কেয়া আর আদহামের রিলেশন ফেসবুকে এই ৫ মাস হলো। কেয়া এই কথা কখনো কাউকে বলে নি ইভেন মেঘ কেও না৷ আদহাম ও কাউকে বলে নি)
হাসি ঠাট্টা মজা রোমান্স এর মধ্যে দিয়ে কেটে গেল অনুষ্ঠান।
মেঘ লম্বা সাওয়ার নিয়ে এসে বসে মাথা মুছতেছে।
এমন সময় হটাৎ আমান এসে দরজা বন্ধ করে দেয়।
–কি ব্যাপার এই সময় আপনি এখানে৷
–বৌ রে তোকে ছাড়া থাকতে ইচ্ছে হয় না তো (মেঘের দিকে এগোতে এগোতে)
–আর তো কয় দিন তার পর তো আপনার সাথেই থাকবো তর সইছে না।
–না এক দম না৷
আমান মেঘকে কিস করতে যাবে ঠিক তখনি কেয়া নক করে।
–কেয়া আসছে আপনি বেরোন৷
–উহু সালিকা আমার রোমান্স ও করতে দেয় না৷ তবে সব তোলা আছে সুদেআসলে ফেরত নিবো হুম
আমান বেলকনি দিয়ে চলে যায়।
–পাগল জামাই আমার।
মেঘ গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
–কি রে কই ছিলি।
–কোথাও না এই একটু বাইরে।
–ও ঘুমোবো আমি৷
–হুম আমিও টায়ার্ড।
দু জন ঘুমিয়ে পরে৷
।
।
–রোজ৷
–হু(ঘুমের ঘোরে)
–রোজ আমি আকাশ উঠ।
–আকাশ ভাই আপনি৷
(চোখ খুলে)
–হুম একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে ওঠ।
–বলো।
–তুই মাকে বলবি তুই বিয়েটা করবি না।
–কিন্তু কেন?
–দেখ রোজ এতে তোর আমার দু’জনের ই মঙ্গল। তোকে আমি শুধু কষ্ট ছাড়া কিছুই দিতে পারবো না।
–তাহলে সেই কষ্ট ই আমি মাথা পেতে নিবো।
–রোজ তুই৷
–তুমি চলে যাও আকাশ ভাই আমি কখনো এই বিয়ের জন্য মানা করবো না৷
–এটা ঠিক হচ্ছে না রোজ বিয়ের পর সত্যি তোকে তিলে তিলে শেষ হতে হবে।
আকাশ তার আসার পথ দিয়ে চলে যায়।
–ভালোবাসি আকাশ ভাই না হয় কষ্ট সহ্য করলাম সমস্যা নাই।
রোজ ঘুমিয়ে পরে।
।
।
এভাবে কাটে দু’দিন।
আজ ওদের গায়ে হলুদ।
কাল বিয়ে এর মধ্যে মেহেন্দি পড়ানোর অনুষ্ঠান টা করা হয় নি কারন কিছু ব্যাবসার সমস্যা থাকায় চাঁদনি খান ব্যাস্ত ছিলেন।
আজ গায়ে হলুদ কাল বিয়ে।
এদিকে,
রোজ আর আকাশেরও গায়ে হলুদ আজ কাল বিয়ে৷
আকাশ অনেক চেষ্টা করেও বিয়েটা ঠেকাতে পারছে না।
।
মেঘকে হলুদ রঙের লেহেঙ্গা আর ফুলের গয়না পরিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হইছে।
মেঘ আমানকে এক সাথে হলুদ দেওয়া হবে।
সবাই সুন্দর করে সাজুগুজু করেছে কেয়াও।
মেঘ আর আমানকে পাশাপাশি বসিয়ে কিছু ছবি নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়৷
সবাই ওদের হলুদ দিচ্ছে।
কেয়ার দেওয়া হলে সে একটু সাইডে দাঁড়ায়৷
তখনি হটাৎ আদহাম তাকে টান দিয়ে সাইডে নিয়ে যায়।
–আরে কি করছো কি।
–উহু হলুদ দিচ্ছি।
বলেই কেয়াকে হলুদ দিয়ে দেয়।
–তুমি না পাগল।
–তোমারই তো।
সবার দেওয়া শেষ হলো।
মেঘকে আর আমানকে গোসল করিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়৷
মেঘকে একটা শাড়ি পরতে বলা হয়।
মেঘ শাড়ি পরে সেই দিন এবং রাতটা কাটিয়ে দেয়।
।
সূর্য উদয় হলো একটা নতুন দিনের শুরু সাথে আমান আর মেঘের জীবনের সব থেকে স্বরণীয় দিনের শুরুটা আজ হতে চলেছে।
সকাল থেকে সব তোড়জোড় চলছে,
আমান আজ সত্যি অনেক খুশি অবশেষে মেঘকে সে আপন করে পাবে।
ওদিকে,
আকাশকে বিয়েটা করতেই হচ্ছে তার জন্য সে রোজের উপর প্রচুর রেগে আছে শুধু বিয়েটা হবার পর রোজকে সে শিক্ষা
দিবে।
চলবে,
Back Rose?
The Dark king of my kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Season_03
Part_09( wedding special ?)
লাল টুকটুকে বৌ সেজেছে আজ মেঘ। অপরুপ সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে।
মেয়েদের বিয়ের সময় হয়তো ঠিক এতোটাই সুন্দর দেখায়৷
আজ বাসার সবাই সেজেছে। আজ যে খুশির দিন।
বাড়িটা মো মো করছে ফুলের গন্ধে সব কিছু যেন জানান দিচ্ছে আজ মেঘ আমানের বিয়ে।
।
ওদিকে,
–কিছুতেই কিছু হলো না৷ সত্যি রোজ তুই বড্ড ভুল করছিস। এর শাস্তি আমি তোকো একটু একটু করে দিবো।
তোর জন্য এমন কিছু অপেক্ষা করছে যা তুই স্বপ্নে কল্পনা করতে পারবি না৷
আকাশ প্রচুর রাগ নিয়ে শেরওয়ানি পরে নিলো।
এর মধ্যে আকাশের মা আসে,
–আরে আমার ছেলেকে তো আজ রাজপুত্র লাগছে কারোর নজর না লাগুক। মাস আল্লাহ ।
আকাশ কিছু বলে না শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকে।
–চল ও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে।
আকাশ রা বেরিয়ে পরে।
কাজি সাহেব
মেঘকে নিচে আনতে বলে।
মেঘকে দেখে আমান এর হার্ট বিট আটকে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় আমান সত্যি আজ মেঘকে অসাধারণ সুন্দর দেখাচ্ছে।
চোখ ফিরাতে পারছে না বৌ টার থেকে।
সম্পূর্ণ নিয়ম বিধি মেনে আমান আর মেঘের বিয়েটা সম্পন্ন হয়।
সবাই অনেক আনন্দ মজা করে।
।
আকাশ রোজের বিয়েতে রোজ খুশি হলেও প্রকাশ করে নি।
আর আকাশ সে তো বিয়ে করতে রাজি ই নয়।
তাও ভালো ভাবে বিয়েটা মিটে যায়।
মেঘের বাবা মা মেয়েকে বিদায় দেয়।
বুক টা তাদের সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে গেল।
এক মেয়ে তো কোথায় জানা নেই আর অন্য জনের বিয়েটা হয়ে গেল।
বাড়িতে শোকের ছায়া পড়েছে।
।
★
বাসর ঘরে মাথায় ইয়া লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছি আমি।
আমানের তো আসার নাম নেই৷
ধুর ভালো লাগে না।
হটাৎ বাইরে থেকে কেয়া, আদহাম আমানের কন্ঠ শুনতে পেলাম,
বাইরে,
–না না ভাইয়া বৌ তো সহজেই পেয়ে গেলেন কিন্তু রুমে তো সহজে ঢোকা যাবে না তার জন্য টাকা লাগবে টাকা।
–আচ্ছা বলো তোমাদের কতো টাকা লাগবে।
–বেশি না ৩০ হাজার।
–৩০ হাজার বেশি না। ?
–আরে আরো একটা কথা নো চেক শুধু ক্যাস হবে
আমান কিছু একটা চিন্তা করে মানি ব্যাগটা কেয়াকে ধরে দিলো।
–এখানে ২০ হাজার আছে বাকিটা তোলা থাকলো পরো দিবো৷ এবার তো চাবি দেও।
–আচ্ছা কেয়া দিয়ে দেও(আদহাম)
–আচ্ছা ঠিক আছে।
কেয়া চাবিটা দিয়ে আদহামকে নিয়ে চলে গেল।
আমান ভেতরে এসে দরজা টা লাগিয়ে দিলো।
★
বুকের ভেতর ধক ধক শব্দ বাড়তে লাগলো।
এমন হয় বুঝি৷
প্রেম করছি তো ২ মাস তাও কেমন নতুন নতুন লাগছে৷
আমান মেঘের কাছে গিয়ে একটা বাসন্তি শাড়ি ধরিয়ে দেয়,
–যাও ফ্রেস হয়ে এই ময়দা গুলো উঠিয়ে আনো।।
আমি ঘোমটা তুলো বললাম,
–কই একটু তারিফ করবেন তা না ময়দা বলছেন।
–দেখ মেঘ আমার বৌ না এমনি সুন্দর সুতরাং এসবের দরকার নাই যাও।
–হু যাচ্ছি।
মেঘ চলে যায় আমান হাসতে থাকে।
কিছু সময় পর মেঘ এক দম ক্লিন হয়ে বের হয়।
আমান এবার মেঘকে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড় করায়।
–দেখতো এখন কতো সুন্দর দেখাচ্ছে।
–তাই নাকি।
–হু।
কিছু দেবার আছে।
–কি৷
আমান মেঘকে একটা লকেট শুদ্দ চেইন পরিয়ে দেয়।
–মেঘ এটা সোনার চেইন মাঝে এই বড়ো পাথর টা তুমি কখনো হারাতে পারবা না নিজের থেকে।
জদি কখনো হারায় তাহলে বুঝবা আমি হারিয়ে গেছি।
আমানের হারাবার কথা শুনে মেঘ আমানের মুখটা ধরে বসে।
–এমন বলবেন না।
–এটা তুমি সব সময় কাছে রাখবে কথা দেও৷
–কথা দিলাম।
আমান মেঘকে জড়িয়ে নেয়।
–তোমার ঔষধ বন্ধ করে দিছি জান তোমাকে আমার হয়েই থাকতে হবে। সারা জীবন আমার কাছেই থাকবা তুমি তার জন্য তোমার অতীত এর সাথে আমার যুদ্ধ করতে হয় আমি করবো মনে,মনে।
–আমান।
–হু৷
–ছাড়ুন।
–ছাড়বার জন্য তো ধরি নি সুইটহার্ট।
–মানে৷
–মানে হলো।
(আপনাদের যেনে লাভ নাই বাকি টা ইতিহাস)
।
বধু বেশে বসে আছে রোজ রাত বাজে ২ টা আকাশ এখনো ঘরে আসে নি।
প্রচুর ক্লান্ত মেয়েটা তারপরও আকাশের জন্য অপেক্ষা করছে সে।
আর আকাশ ছাঁদে দাঁড়িয়ে একের পর এক স্মোক করছে।
মেঘের কষ্ট টা আজ ভুলতে পারছে না রোজকে তার মেরে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
সব ভেবে হাতের সিগারেট টা ফেলে রুমে আসে।
রুমে এসে রোজকে বৌ সেজে বসে থাকতে দেখে প্রচুর রাগ হয় তার।
এক টানে রোজকে ফেলে দেয় বিছনা থেকে।
ঘটনা চক্রে রোজ কিছুই বুঝে উঠার আগে আকাশ বলে,
–তুই আমার স্ত্রী এর অধিকার পাবি না রোজ চুপচাপ তুই আমার থেকে দুরে থাকবি জাস্ট দুরে।
একি বিছনায় কখনো না।
রোজ কিছু বলে না ফ্রেস হয়ে একটা নরম কাপড় পরে সোফায় শুয়ে পরে।
মেয়েটার চুপচাপ সব কিছু মাথা পেতে নেওয়া দেখে আকাশের কিছুটা মায়া হয়৷
।
চলবে,