Black Rose?season_03,Part_10,11
The Dark king of my kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_10
সকালের সূর্য উদয় হতে একটা নতুন দিনের শুরু।
মেঘ গোসল করে ফ্রেস হয়ে রুমে এসে আমানকে ডোকে,
–ঘুম ভালো ছিলো৷
–সকালও ভালো ভাবেই হলো।
–আমি না তোমার বর।
–হুম।
–তো তুমি এনে আমাকে মধুর শুরে ডাকবা ওগো শুনছো উঠো না।
–বয়েই গেল আপনাকে ওগো শুনছো উঠোনা বলতে।
–আপনা আপনি বাদ দেও না তুমি করে বলবা ওকে।
–আচ্ছা বলবোনে এখন উঠুন৷
–হুম ওকে।
আমান ফ্রেস হতে যায় আর মেঘ নিচে আসে,
–গুড মর্নিং মা।
–গু মর্নিং মেঘ৷ কিরে আমার ছেলেটা কই৷
–ফ্রেস হচ্ছে৷
–ও৷
–আন্টি,
–কিরে কেয়া সকাল সকাল।
–আন্টি বিয়ে তো শেষ এবার বাসায় যেতে হবে। অনেক দিন তো হলো।
–আর কিছু দিন থেকে যা (মোঘ)
–হ্যা কেয়া আর কিছু দিন
–না আন্টি বাবা মা আমাকে রেখে এই এতো দিন ছিলো সত্যি ওনারা আর থাকতে পারছে না।
–আহা রে তা খেয়ে যা৷
–আন্টি একটা কাজ আছে এখন না পরে।
–আচ্ছা সাবধানে যাস।
–হুম মেঘ আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ৷
কেয়া চলো গেল।
এদিকে আদহাম দেরও বাইরে যাবার দিন আজ। বেক টিকিট কেটে এসেছিলো আর থাকতে পারবে না।
–আমার বাড়িটা ফাকা হয়ে যাচ্ছে রে।
–কেন কি হলো (আমান নিচে আসতে আসতে)
–দেখ না সবাই চলে যাচ্ছে।
–আরে ছোট মা তুমি এমন বাংলার পাঁচের মতো মুখ করো না এর পরের বার আমি এক বারে বাংলাদেশে চলে আসবো।
–তাই নাকি৷
–হ্যা রে চাঁদনি আমি আর উনি থাকবো আর আদহাম চলে আসবে। (আদহামের আম্মু)
–বাহ তাহলে তো ভালোই হবে (মেঘ)
–হ্যা ভাবি তবে আজ এখন আসি আল্লাহ হাফেজ।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেল।
মেঘ আমান আর চাঁদনি খান খেতে বসলেন,
–বুঝলি আমান তোর কলেজ তো ছুটি তাই এই সুজকে যা গিয়ে সিলেট ঘুরে আয়৷ (চাঁদনি খান)
–মা তোমাকে একা রেখে (মেঘ)
–আরে পাগল একা কই বাসায় সব সার্ভেন্ট রা আছে তো তোরা যা আমান আমি সব রেডি করে রাখছি৷
–আম্মু আপনি তো অনেক দ্রুত। (আমান)
–হুম তোদের মা না তাই।
–আচ্ছা তো কি আজ বিকালে রউনা হই।
–হুম।
সবাই খাবার শেষ করতে লাগলো।
।
।
ওদিকল,
–সিলেট যাবি তুই আর রোজ হানিমুনে।
–ইম্পসিবল মা আমি রোজের সাথে তাও হানিমুনে কখনো না।
–তুই না গেলে আমার মরা মুখ দেখবি।
আকাশের মা রেগে কথা গুলো বলেই বেরিয়ে যায়।
–উফ আমার জীবনটায় কি সত্যি শান্তি নেই।
এর মধ্যে হটাৎ রোজ কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।
–আপনার কফি।
রোজের কন্ঠ শুনে ওর দিকে তাকিয়ে আকাশের রাগ চরম উঁচুতে পৌঁছে যায়।
কাফির মগটা রোজের উপর ছুঁড়ে মারে গরম কমে যাওয়ার কারনে পুরে যায় না৷
–এসব অাদিক্ষেতা দেখাতে আসবি না এক দম।
আকাশ কথা গুলো বলেই রুম ছড়ে বেরিয়ে যায়।
–আদিক্ষেতা নয় ভালোবাসা জানি না কবে বুঝবে?।
রোজ সব কিছু পরিষ্কার করে নেয়।
–রোজ মা।
–জি মা।
–আজ বিকালে সিলেট যাবি তুই আর আকাশ সব কিছু গুছিয়ে নে।
–কিন্তু মা উনি কি।
–এতো ভাবিস না মা যাবে তাই যাবে তুই গুছিয়ে রাখিস৷
–ঠিক আছে।
আকাশের মা রোজের কপালো চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেল।
।
।
সকাল গড়িয়ে বিকাল হলো,
মেঘ গোল্ডেন কালারের একটা শাড়ি পরে রেডি হয়ে নেয়।
আমান মেঘকে পেছন থেকে জরিয়ে নেয়।
–কি মিষ্টি আমার বৌটা।
–আমার বর টাও কিন্তু কম মিষ্টি নয়৷
–মেঘ (বাইরে থেকে চাঁদনি খান)
–এই মা ছাড়ো।
আমান ছেড়ে দেয়৷
এরি মধ্যে চাঁদনি খান ভেতরে চলে আসে।
–কি রে তোরা রেডি৷
–হুম মা৷
–আচ্ছা আমান রউনা দে তাহলে৷
–আচ্ছা মা দোয়া করো।
আমান আর মেঘ রউনা হলো।
আমান গাড়ি চালাতে শুরু করে।
মেঘ বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে৷ সত্যি ভালোবাসার মানুষটার সাথে যাত্রা টা অন্য রকম ফিলিংস।
।
।
ওদিকে,
আকাশ না চাইতেও রোজকে নিয়ে সিকেট এর উদ্দেশ্য রউনা হলো।
।
এখন দেখতে হবে এর পরে কি হয়। ?
চলবে,
Black Rose?
Season_03
The Dark king of my Kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_11
গাড়ি চলছে আপন গতিতে, আমার অবাদ্ধ চুল গুলো বার বার উড়ে আমানের মুখের উপর পড়ছে। বেশ বুঝলাম তার সমস্যা হচ্ছে।
তাই চুল গুলো নিয়ে খোঁপা করবো এমন সময় হটাৎ গাড়ি থামিয়ে দিলেন আমান৷
–কি হলো।
–কি করছো তুমি৷
–কি করবো বলো।
–চুল বাঁধছো কেন?
–তোমার মুখোর উপর যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছে না তোমার৷
–আমি কি বলছি আমার সমস্যা হচ্ছে।
–না কিন্তু আমিতো বুঝতে পারছি তাই না৷
আমান এবার ছিট বেল্ট খুলে কিছুটা কাছে এসে চুল গুলো ছেড়ে দিলো,
–এই চুল গুলো ছাড়াই সুন্দর আমার মুখের উপর আমার যখন পড়ছে তখন মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছি
–এতো ভালোবাসো।
–নিজের থেকেও বেশি৷
আমান মেঘের কপালো চুমু দিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করলো মেঘ পুরো রাস্তা আমানকে দেখেই কাটিয়ে দিলো।
গন্তব্য পৌঁছে,
–মোঘ এটা হচ্ছে আমাদের সিলেটের বাংলো বাড়ি আগামী ৫ দিন আমরা এখানেই থাকবো৷
বাড়িটা অনোক সুন্দর প্রকৃতির সাথে মিশে গেছে
আমর খুব ভালো লাগছে। এক জন বৃদ্ধা আমাদের দেখে এগিয়ে এলেন,
–কেমন আছো আমান বাবা৷
–ভালো চাচা তুমি কেমন আছো।
–এই আছি আল্লাহর রহমাতে।
চাচা এই যে আমার বৌ।
–বাহ মাসআল্লাহ তোমার নাম কি মা)?
–জান্নাতুল মেঘ
চাচা হেসে আমাদের ব্যাগ গুলো ঘরে নিলেন আমরাও ঘরে চলে এলাম।
বাড়িটার বাইরে যতোটা সুন্দর ভেতরটা তার থেকে বেশি সুন্দর।
আমান আমাকে নিয়ে রুমে এলো।
–ফ্রেস হয়ে এসো।
–আচ্ছা।
আমি শাড়ি পাল্টে ফ্রেস হয়ে আসলাম৷
আমান ও গেল।
তার পর চাচা খাবার নিয়ে এলো আমরা খেয়ে নিলাম।
–অনেক টায়ার্ড সুইটহার্ট ঘুমাবো।
–হ্যা আমিও চুল গুলা বেঁধে আসি। মাকে ফোন দিছো।
–হুম কথা হইছে।
আমি চুল গুলো বেঁধে নিলাম৷
আমানের বুকের উপর ঘুমিয়ে গেলাম।
?।
।
আকাশ আর রোজ একটা হটেলে উঠলো।
রোজ ফ্রেস হয়ে আসলে আকাশ তাকে খাবার দেয়,
–এগুলা খেয়ে ঘুমিয়ে পরো।
এই প্রথম আকাশ নরম শুরে রোজের সাথে কথা বললো।
রোজ মুচকি হেসে খাবার গুলো নিয়ে খেয়ে নিলো৷
–তোকে অনেক কষ্ট দেয় তাই না রোজ।
খাবার শেষ করে হাত ধুয়ে সোফায় বসতে আকাশ কথাটা বললো,
রোজ তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে,
–বিছনায় ঘুমো মাঝে বালিস থাকবে।।
বলেই অন্য পাশে মুখ করে ঘুমিয়ে পরে আকাশ।
রোজ অনেক খুশি একটু হলো পাশে সোবার অনুমতি পেয়েছে সে।
রোজ শুয়ে পড়ে।
।
।
সকালে,
সিলেটের সকাল টা অনেক সুন্দর পাহাড়ি এলাকা হালকা শীত পরেছে। সাথে হালকা কুয়াশা।
অসম্ভব সুন্দর একটা দিনের সূচনা।
মেঘ নামাজ পরে আমানকে ডাকে,
–উঠো না চলো ঘুয়ে আসি অনেক সুন্দর পরিবেশ।
–হুম চলো।
আমান উঠে নামাজ আদায় করে মেঘকে নিয়ে বেরিয়ে পরে,
হাঁটছে দুজন মেঘ আমানের হাত ধরে।
প্রকৃতি অসম্ভব সুন্দর।
ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে চলি।
–আমান চলো একটা গেম খেলি।।
–কি গেম।
মেঘ আমানকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
–চলো আমাকে ধরো।
বলেই দৌঁড়।।
–তবেরে দাঁড়াও।
আমানও পিছু পিছু দৌঁড়াচ্ছে।।
ঘন কুয়াশা হচ্ছে যতো উপরে যাচ্ছে।
মেঘ কেমন হারিয়ে যাচ্ছে আমান তাকে দেখতে পাচ্ছে না৷
কিছু দুর যাবার পর মেঘ এক দম হারিয়ে গেল।
–মেঘ মেঘ তুমি কই।
আমান ভয় পেয়ে যাচ্ছে। হটাৎ গেল কই।
আমান জোরে জোরে ডাক দিচ্ছে।
কিন্তু মেঘের কোন সাড়া শব্দ নাই।
এবার আমানের চোখে পানি চলে এলো,
–মেঘ (চিৎকার দিয়ে)
হটাৎ গাছের পেছন থেকে আমনের এমন ডাক শুনে মেঘ ভয় পেয়ে যায়৷
মেঘ দৌঁড়ে আমানের কাছে যায়৷
–আমান৷
পেছনে ফিরে মেঘকে দেখে আমান শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
বুকের সাথে চেপে ধরে।
মেঘ আমানের হার্ট বিট শুনতে পাচ্ছে প্রচুর বেগে ছুটছে।
–আমান এই তো আমি কি হইছে তোমার এতো ভয় পাচ্ছো কেন।
–জানি না তোমায় হারাবার ভয় আমাকে সব সময় তাড়া করে বেড়ায়।
–আমান আমি যাবো না কোথায়ও তোমারি তো আমি।
আমান মেঘকে ছেড়ে দেয়।
মেঘ দেখে আমানের চোখে পানি জমেছে।।
হাত দিয়ে মুছে দেয়।
–এই তো আমি এতো ভয় পাচ্ছো কেন দেখ আমি মেঘ তোমার সামনে কোথাও যাবো না।
আমান মেঘর কপালে চুমু দেয়।
–চলো যাই ওই খানে।
–আচ্ছা।
আমান কে নিয়ে আমি পা ঝুলিতে বসলাম পাহাড়ের উপরে।
অপরুপ দৃশ্য সত্যি অসাধারণ।
কিছু সময় ওখানে থেকে বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা চলে আসলাম বাসায়।
।
–চাচা তুমি চা রাখো নি৷
–বাবা ভুলে গেছি সামনেই দোকান হাতের কাজ শেষ করে যাচ্ছি।
–আরে চাচা আমাও তো এখানে কাজ পরলো৷
(আমান লাইট ঠিক করছে হটাৎ নষ্ট হয়ে গেছে রহমান চাচা খাবার রান্না করছে বাসায় আর কেউ নেই মেঘ ছাড়া)
–আমি যাই (মেঘ)
–তুমি চিনবা না৷
–আহা চাচা দোকানটা কই৷
–এই যে আসার সময় দেখো নি।।
–ওহ আচ্ছা এই রাস্তা ক্রস করা ওই দোকান৷
–হ্যা৷
–আমান আমি নিয়ে আসি।।
–নাহ দরকার নেই।।
–উহু আমান আমি নিয়ে আসছি তুমি থাকো।
–আচ্ছা বাট রোড ক্রস সাবধানে।
–আচ্ছা
মেঘ বেরিয়ে পরে।
রাস্তায় এসে হটাৎ চাঁদনি খান ফোন করে।
মেঘ ফোনের দিকে তাকিয়ে রাস্তার দুপাশ দেখে হাঁটতে গেলে হটাৎ,
একটা গাড়ি পেছন থেকে তাকে আঘাত করে।।
–আম
বাকি টুকু বলার মতো অবস্থা থাকো না৷
তার আহেই গাড়ির বেক্তি টি দেখে মেয়েটির অবস্থা খারাপ৷ তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।
হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
।
–চাচা অনেক সময় হলো মেঘ কই।
–আমি দেখি।
–না তুমি থাকো আমি দেখছি৷
আমান বেরিয়ে এসে যা শুনতে পায় তাতে তার পৃথিবী মূহুর্তে অন্ধকার হয়ে যায়।
।
(সত্যি কি মেঘ মরিচিকার মতো এক সুন্দর স্বপ্ন হয়ে গেল আমানের)
চলবে,