Black Rose?Season_03,Part_12,13
The Dark king of kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_12
–মেঘ চোখ খুলে কাকে দেখতে চেয়েছে?
–স্যার তার বাবাকে।
–(ছোট একটা শ্বাস ফেলে) হুম ও কি বাসায় যেতে চায়?
–হ্যা স্যার বার বার বলছে আমার বাবাই অসুস্থ আমাকে ঔষধ নিয়ে যেতে হবে।
–হুম ওকে নিচে থাকা গাড়িতে উঠিয়ে ওর বাসায় পৌঁছে দেও৷ আর হ্যা ওর গলায় লকেট আর চেইনটা জদি হারায় আপনাদের হারিয়ে দিবো আমি।
–স্যার কখনো না আমরা ওটাকে ওনার সাথে করে ঘাট টাইট করে দিচ্ছি।।
–হুম।
–ওকে স্যার।
–সুইটহার্ট আমার জীবনে আমি তোমাকে গেঁথে দিয়েছি আমার থেকে তুমি আলাদা হতে পারবে না কখনো না।তোমার লকেট এ ট্রাকার আছে পৃথিবীর যে প্রান্তে তুমি থাকো না কেন লোকেশন আমি ঠিকি বের করে নিবো।
আমার খামখেয়ালির জন্য তুমি আমার থেকে এখন দুরে আমি আসছি তোমার জীবনে আবার নতুন রুপে নতুন করে নতুন আমান হয়ে সেই আগের আমান।
কথা গুলো বলেই আমান চাঁদনি খান কে ফোন দিলো,
–বাবা চিন্তা করিস না আমার মনে হয়।
–মা ১ মাস ধৈর্য ধরো ১ মাসের মধ্যে আমি তোমার কাছে নিয়ে আসবো তোমার বৌ কে।
–কি করে।
–আমি ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
–তার পর।
–আজ থেকে ঠিক এক মাস পর ফিরে আসবো মেঘকে নিয়ে কথা দিলাম মা।
–ঠিক আছে।
।
এক মুহূর্তের মধ্যে জীবনের সব তচনচ হয়ে গেল।
কিন্তু মেঘ যে আমানের ওর থেকে দুরে মেঘ কখনো যেতে পারবে না।
আমান বুঝে গেছিলো মেঘের এক্সিডেন্ট হয়েছে মানে হয়তো ডক্টর যা বলেছিলো তাই হবে। হলো তাই আমান মেঘকে ট্রাক করে সেই হসপিটালে ফোন দেয়৷
আমান প্রভাবশালী লোক তাই তার কথা শুনতে তারা বাদ্ধ।
।
।
–ম্যাম নিচের গাড়িতে করে আপনি বাসায় পৌঁছে যেতে পারবেন৷
–কিন্তু।
–ম্যাম চলুন৷
মেঘ চলে আসলো৷
।
মেঘ ময়মনসিংহ পৌঁছে যায়।
বাসায় গিয়ে দৌড়ে ভেতরে যেতে সবাই অবাক।
–বাবা তুমি ঠিক হলে কি করে বাবা। আমি তোমার জন্য ঔষধ আনতে গেছিলাম বাবা।
–মা তুই আমার মেঘ মা৷
–এমন বলছো কেন৷
–তুই ছিলি কই৷
–কই থাকবো আমার মনে হয় এক্সিডেন্ট হইছিলো।
মেঘের আম্মু আব্বু কিছুটা আচ করতে পেরে সাভাবিক হলেন,
–মা তুই ঘরে যা অনেকটা পথ পেরোয়ছিস।
–বাবা কিন্তু।।
–আর কিন্তু না মেঘ আমি খাবার আনছি ঘরে যা (মেঘের আম্মু)
।
মেঘ ঘরে এসে নিজের পরনে শাড়ি আর সাজ দেখে অবাক হচ্ছে।
–আমি কি এসব পরেছিলাম। কই নাতো আমি তো। মনে পরছে না কেন কিছু আমার উফ। মাথায় যন্ত্রণা শুরু হলো।
মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো মেঘ
অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। কিছু না ভাবতে পেরেই সেন্স হারালো
।
।
–মেঘের আব্বু কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
–আমি বুঝিয়ে দেয়৷
হটাৎ মেইন ডোর দিয়ে আমানের আগমন৷
যা দেখে মেঘের আম্মু বললেন,
–কে বাবা তুমি৷
–আমি আপনাদের জামাই।
–মানে।
–আসুন বসুন বুঝিয়ে বলছি৷
আমান সব ঘটনা খুলে বলে মেঘের সাথে কাটানো সব মুহূর্তের ছবি দেখায়।
–আমার মেয়েটা অনেক ভগ্যবান তাই তোমার কাছে পরেছিলো কতো খুঁজেছি ওকে ফলাফল শূন্য ছিলো। (মেঘের আম্মু)
–সারা জীবন কৃতগ্য থাকবো তোমার কাছে বাবা (মেঘের আব্বু)
–এটা বলবেন না আমি এখন আপনাদের ছেলে দয়া করে এগুলা বলে আমাকে ছোট করবেন না৷ আমি কিছু বলতে চাই আমার কথা খেয়াল করুন৷
–বলো বাবা৷
–শনুন তবে,
।
।
।
।
।
–কিন্তু এতে কাজ হবে।
–হতে হবে আন্টি ওকে আমি হারাতে পরবো না জীবন থেকে বেশি ভালোবাসি ওকে।
–আন্টি কি মা বলো।
–জি মা৷
আমি এখন আসি।
–তুমি কই থাকবা৷
–থাকবো একটা হোটেলে।
–কি ভাগ্য দেখ আমার জামাই আমার বাসায় প্রথম এসেছে তাও থাকতে পারবে না।
–মন খারাপ করবেন না অবশ্যই আল্লাহ তৈফেত দান করবে। আসি মা বাবা৷
–এসো৷
।
আমান আসার সময় মেঘের রুম হয়ে আসতে গিয়ে মেঘকে ওভাবে দেখে দৌঁড়ে ভেতরে যায়৷
–জান কি হইছে।
আমান বুঝতে পারে সে সেন্স হারায়ছে।
তাই মেঘকে বিছনায় শুইয়ে একটা ডিপ কিস করে.
–আসবো আবার তোমার কাছে আসবো তোমার কাছে আমার ভুলের জন্য আমি আজ তোমাকে এভাবে পেয়েছি ভুল আমার আমি ঠিক করবো।
কথা গুলো বলে আমান চলে আসে।।
।
এদিকে,
–রোজ মেঘ এসেছে।
–কি বলছো, না আপু
–অনেক কথা বাসায় আয় সব বলবো।।
–কি বলছিলো আন্টি (আকাশ ভ্রু কুঁচকে)
–আপু আসছে নাকি৷
–মানে।
–মেঘ আপু৷
–বাসায় চলো।
–বাসায়
–কথা বাড়িও না এক্ষুনি সব গুছাও।
রোজ উপায় না পেয়ে সব গুছাতে শুরু করে।
চলবে,
Black Rose?
The Dark king of my Kingdom♚
Season_03
Lamiya Rahaman Meghla
Part_13
–মেঘ মা৷
সকাল সকাল আম্মুর মিষ্টি ডাকে ঘুম ভাঙলো।
–জি আম্মু।
–উঠো পাখি এই কফি খেয়ে নেও।
–হু৷
আমি উঠে আম্মুর হাত থেকে কফিটা নিলাম।
–কলেজ যাবি মন ভালো হবে।
–ভালো বলেছো কিন্তু মন খারাপের কি আছে।
প্রশ্ন টার জন্য কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলো মেঘের আম্মু।
–আব এমনি বাবা অসুস্থ ছিলো এখন তো ভালো আছে না৷
–ও আম্মু আকাশ কই জানো আাসার পর থেকে ওকে বাসায় আসতে দেখলাম না এমনি তো মিনিটে মিনিটে আসতো।
–আকাশ তো রজের সাথে গেছে।
–কই৷
–ঘুরতে।
–ঘুরতে!
–(এবার কি বলবো আচ্ছা লুকিয়ে কি লাভ ওকে বলবো বিয়ে দিয়ে দিছি তুই অসুস্থ থাকার মধ্যে কিন্তু এটা কি যুক্তিক। মনে, মনে)
–কি হলো আম্মু৷
–আকাশ আর রোজের বিয়ে দিছি।
–ও মা কবে।
–ওরা নাকি দু’জন দু’জন কে ভালোবাসতো।
–এ্যা আমাকে কেন বললো না৷ আমি নেই তুমি বিয়ে কি করে দিলা৷ কথা হলো এটা৷
আমি তো ভাবছি রোজ হস্টেলে আছে ফোন দিবো এখন৷
— মেঘ কলেজ যা মা যা হবার হইছে৷
–? মা তুমি অদ্ভুত ব্যবহার করছো।
–তুই বেশি করছিস।
–এই এই এবার তুমুল আকারে তুফান হবে তার আগে তোমরা থামো৷ (দরজায় দাঁড়িয়ে মেঘের আব্বু)
আসলে আমি আর আম্মু এমনি দুই মিনিট এক জায়গায় থাকলেই শুরু হয়ে যাবে।
–হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি৷
আমি উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম৷
–তুমি এটা কি করলে আমান কি বলছিলো মনে নাই।
–তা আমি আকাশের কথা কি বলবো।
–যা বলছো ভালো বলছো৷ এখন চলো।
।
রেডি হয়ে নিচে এলাম আমি,
–কিরে মা তোর লকেট কই৷
–এই তো (বার করে)
মা জানো লকেট টা দেখলে কেমন মায়া হচ্ছে মনে হচ্ছে খুব কাছের আমার হৃদয়ের সব থেকে কাছের এই ছোট্ট একটা লকেট।
মেঘের আম্মু একটু হাসলেন।
–আয় খেতে বস।
আমি খেয়ে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
।
কেন জানি না অদ্ভুত লাগছে নিজেকে নিজের কাছে।
কেন এমন হচ্ছে আসে পাশে সবাই এভাবে কথা বলছে যেন কতো দিন আমি এখানে আসি না৷
ধুর তাতে আমার কি৷ হুহ।
কলেজে এসে হাঁটছি ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাবো তাই ঠিক তখনি হটাৎ কেউ আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো৷
–রুথি৷
–দোস্ত আই মিস উ।
রুথি কাঁদছে কিন্তু কেন।
–দোস্ত তুই এভাবে কাঁদছিস কেন৷
–(না ভেঙে পড়লে চলবে না আমান ভাইয়ার কথা গুলো ২ মিনিটের জন্য ভুলেই গেছিলাম মনে মনে)
আরে এই যে এতো টা সময় তোকে ছাড়া থাকলাম না তাই৷
–একটা দিন ই তো মাত্র ?
–এই হলে হলো চল এখন৷
–হু চল।
(আমান নিজের মতো করে মেঘের কলেজের প্রতিটি বেক্তি কেই বুঝিয়ে দিয়েছে সব কিছু
রুথি হলো মেঘের খুব কাছের বন্ধু প্রায় ৫ বছরের বন্ধুত্ব ওদের রুথি মেঘকে প্রচুর ভালোবাসে সাথে মেঘও)
ক্লাসে এসে,
–মেঘ জানিস নতুন স্যার এসেছে কলেজে।
–কবে
–কাল।
–কেমনে কি
–আমিও প্রথম অবাক হলাম কিন্তু জানিস দেখতে কিন্তু মাসআল্লাহ সেই কিউরেটর ডিব্বা৷
–তোর লুচ্চামি সভাব গেলো না।
–ওই ছেড়ি আমার বিএফ এসে হু।
–হ জানি জানি রনিরে রেখেও তুই লুচ্চামি তে সেরা৷
এরি মধ্যে ক্লাসে স্যার চলে এলো।
স্যার কে দেখে সবাই উঠে দাঁড়ালো।
মেঘ আর রুথিও৷
–দেখ মেঘ নতুন স্যার।
মেঘ মাথা তুলে তাকায়।
মেঘ শুধু তাকিয়ে আছে কেন জানি না ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে ওই অচেনা লোকটাকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু এমন কেন হচ্ছে এমন তো হবার কথা ছিলো না৷
খুব মনে হচ্ছে অনেক কাছের এই মানুষ টা।
মেঘ কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রুথি কনুই দিয়ে ধাক্কা মারে,
মেঘ তাকালো
–কি (আস্তে)
–ওভাবে কি দেখছিস তাকিয়ে খেয়ে ফেলবি নাকি (ফিস ফিস করে)
–এই মেয়ে তুমি বসবে না।
হটাৎ মেঘ তার কথা শুনে চমকে উঠে,
খুব চেনা মনে হচ্ছে।
–কলেজে আসো কি পড়া লেখা বাদ দিয়ে গল্প করতে। যেখানে যা করো না কেন আমার ক্লাসে এসব চলবে না৷
এই চেনা কন্ঠ আর এই দৃশ্য মেঘের কাছে বার বার মনে হচ্ছে এমনটা তার সাথে আগেও হইছে।
কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না কখন হইছে।
মাথায় প্রচুর পেইন উঠেছে৷
এক হাতে মাথায় ধরে রেখেছে,
–আমার ক্লাসে এসব চলবে না
কথাটা বার বার বাড়ি খাচ্ছে।
কেমন অস্থির হয়ে পরেছে মেঘ৷
–দোস্ত ঠিক আছিস।
মেঘ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না সেন্স হারিয়ে পরে যাবে তখনি আমান ধরে বসে।
–ভাইয়া বেশি হয়ে গেল না।
–মনে হচ্ছে আমি হসপিটাল যাচ্ছি৷
সরি গাইস ক্লাসটা আমি নিতে পারলাম না৷
–ভাইয়া আমিও আসছি।
–ওকে৷
আমান বেরিয়ে গেল মেঘকে নিয়ে। সাথে রুথিও।
এদিকে সবাই হা করে এগুলা দেখছে কি হচ্ছিল এতো সময় কেউ কিছুই বুঝতে পারছিলো না৷
এমন সময় অন্য এক জন প্রিন্সিপাল এসে ক্লাস টা নিলো।।
।
হসপিটালে,
ডক্টর চেকাপ করে বেরিয়ে এলো।
–মি.আমান সে ঠিক আছে আপনি যেটা করেছেন সেটা ঠিক ছিলো বার বার ওনার সাথে ঘটা দৃশ্য গুলো ওনার সামনে তুলে ধরবেন তাহলে ওনার স্মৃতি ফিরে আাসার সম্ভনা অনেকটা আছে।
–ধন্যবাদ ডক্টর।
–ওনার সেন্স আসতে পারে কিছু সময় পরেই৷
ডক্টর চলে গেল।
আমান ভেতরে গিয়ে মেঘের পাশে বসলো,
কিছু সময় তাকিয়ে থেকে আলতো করে চুমু দিয়ে বেরিয়ে এলো।
–রুথি সেন্স আসলে ওকে বাসায় নিয়ে যাবে৷ আমাকে দেখলে সমস্যা হতে পারে
–জি ভাইয়া।
আমান চলে যায়।
।
।
ওদিকে,
–আন্টি আন্টি আপনি কই।
–কি রে বাবা আকাশ তোরা এখানে।
,–আন্টি মেঘ এসেছে।
–হুম বাবা৷
–কই ও।
–তুই আগে বস তার পর বলছি।
–আগে বলুন না কই সে।
–বাবা আগে বস।
।
চলবে,