Black Rose?Season_03,Part_14,15

0
2668

Black Rose?Season_03,Part_14,15
The Dark king of my Kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_14

–বাবা আকাশ মেঘকে নিয়ে ঘটনা বড়ো।
–বলেন আন্টি,
–তবে শোন,
গোড়া থেকে সব খুলে বললো আকাশ কে
আকাশের মাথায় বিয়ের কথা শুনে বাজ পড়লো।
মেঘের বিয়ে হলো সত্যি সেই
Black Rose
বইটার মতো কোন আমান খানের সাথে কিন্তু কেন এমন হলো।
আকাশের ইচ্ছে হচ্ছে বই তে লিখা প্রতিটি অক্ষর মুছে দিতে৷
সত্যি সে মেঘকে হারিয়ে ফেললো।
রোজের মনে মেঘের বিয়ে কথাটা শুনে ভালো লাগলো৷
সবি ঠিক হবে হয় তো৷
রোজ তো জানতো আকাশ মেঘকে ভালোবাসে,

হসপিটালে,
–মেঘ তুই ঠিক আছিস।
–হুম দোস্ত আমার না কিছু হচ্ছে।
–দোস্ত এতো চিন্তা নিস না চল বাসায় চল।
–চল।
রুথি মেঘকে নিয়ে বাসায় চলে আসে,
–কিরে রুথি কি হইছে ওর (মেঘের আম্মু)
–উফ আম্মু এতো চিন্তা করো কেন কিছু হয় নি৷ (মেঘ)
মেঘের কন্ঠ শুনতে পেয়ে আকাশ ছুটে এলো,
–মেঘ
–আকাশ ছিলি কই তুই৷
–দোস্ত আমি
আকাশের চোখের কোনে চিক চিক করছে পানি।
কিছুই বলতে পারছে না৷ সত্যি হয়তো বড্ড বেশি ভালোবেসেছিলো মেঘকে৷
–কিরে কি হইাছে তোর৷
আকাশ কোন কথা বলেই মেঘকে হটাৎ জড়িয়ে ধরে৷
মেঘের অনেকটা অসস্তি ফিল হয় উপস্থিত সবাই অবাক৷
–আকাশ কি করছিস ছাড়।
আকাশ বুঝতে পারে সে কি করছে মোহ মায়ার কারনে ধরেছিলো৷
–সরি৷
–এমন করে দেখছিস যেন জনম জনম পর দেখছিস।
–মেঘ ভেতরে আয় খাবার খাবি৷
–আমার সুন্দরী কই৷
–আপুনি৷
রোজ দৌড়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–আপুনি
–সোনা এভাবে কাঁদছিস কেন৷
–হোস্টেল থেকে তোকে মিস করছিলাম।
–তুই না হানিমুনে ছিলি আকাশের সাথে৷
–(আকাশ আর আমার সম্পর্কে মেঘ আপু জানে। জানলে ভালো রাস্তায় আকাশ আমাকে কড়া নির্দেশ দিছে আপুনি যাতে কিছু না জানতে পারে)
তার আগে হস্টেল ছিলাম না৷
–ওহ
–বিয়ে করলি আর আমি নেই কি করে হলো।
–তুই কি পাগল মেঘ কি সন বলছিস আমি বিয়ে করি নি৷
আকাশের কথায় সবাই অবাক৷
–মানে কি আম্মু
–বাবা আকাশ তুমি কি বলছো এগুলা৷
–যা সত্যি তাই বলছি আন্টি রোজকে চাপিয়ে দেওয়া হইছে আমার উপর এটাকে বিয়ে বলে না।
–আকাশ মুখ সামলে কথা বল রোজ আমার বোন।
–তো কি করবো বল এখানে সবার কথা শুনে আমার এটা মনে হচ্ছে যেন তুই ৬ মাস বাসায় ছিলি না এটা কেউ তোকে বলেই নি৷
–মানে কি আম্মু৷
–আকাশ বাবা তুই বেশি করছিস তোকে আমি সব বলেছি৷
(মেঘকে এভাবে সবটা বললে ওর ব্রেনে অনেকটা চাপ পড়তে পারে যার জন্য হয়তো সে আর কেন দিন কিছু মনে করতে পারবে না।
আর নয়তো রক্ত খরন হবে ব্রেনে যার ফলে সে কোমায় যেতে পারে
আর নয়তো এসব বলার কারনে তার স্মৃতি ফিরে আসতে পারে৷
আমান এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাই নি কারন ডক্টর বলেছে কোমায় চলে গেলে ফেরার কোন চান্স নেই
আকাশ সবটা যেনে এটা করছে যাতে মেঘের আর কিছুই কখনো মনে না আসে কিন্তু এতে বিপরীতে মেঘের জীবন মরন আছে সেটা সে বুঝতে চাইছে না)
–এই মেঘ তুই জানিস তোর এক্সিডেন্ট হয় ৬ মাস আগে আমান খান নামে কেউ পায় তোকে তোর কিছু মনে না থাকার সুজগ নিয়ে তোকে বিয়ে করে আর আবার তোর এক্সিডেন্টে সব ভুলে গেলে তোকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে।
আমান খান নামে কারোর সাথে বিয়ে হয় কথাটা কেমন মাথায় আঘাত করছে বার বার মেঘের।
কিছু বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে।
মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।
–তোর জাবার সুজগে রোজকে আমার ঘাড়ে তুলে দেয়৷
–মা আমার মাথায় প্রচুর পেইন হচ্ছে।
মেঘের আম্মু মেঘকে ধরে বসে৷
আকাশ শয়তানি হাসি দেয়৷
কাজ হচ্ছে৷
আকাশ আবার বলতে শুরু করে,
— হ্যাঁ আমান খান মনে কর তোর বর তো মনে আসছে না তোকে ছুঁড়ে ফেলেছে না রাস্তায় মনে থাকবে কি করে।
–মা চুপ করতে বলো আমার আর সইছে না৷
–হা হা সইবে কেন এখন সইবে না।
তো
–আকাশ আপনি চুপ করুন আপুনি ঠিক নেই দোহাই লাগি চুপ করুন৷
এদিকে আকাশ বলতে আছে
মেঘের মা রোজ রুথি কেউ থামাতে পারছে না মেঘের বাবা বাসায় নেই।
মেঘের অবস্থা খারাপ হতে হতে একটা সময় সেন্স হারায় মেঘ।
রুথি দ্রুত আমানকে ফোন করে সবার আড়ালে।
–ভাইয়া বাসায় আসুন জলদি৷
মেঘের অবস্থা ভালো নয়৷
এদিকে,
–আকাশ তুই চুপ কর আমার মেয়েটা রুথি আমানকে ফেন দে।
–কাউকে ফোন দিতে হবে না।
আমি সব ঠিক করছি মেঘকে নিয়ে চলে যাচ্ছি থাকুন৷
আকাশের কথায় মেঘের আম্মু সহ উপস্থিত সবাই অবাক।
তখনি কিছু ছেলে এসে মেঘের আম্মু রোজ আর রুথিকে ধরে উঠায়।
–আকাশ বাবা তুই কি করছিস আমার মেয়েকে নিয়ে কই যাচ্ছিস৷
–দুরে আন্টি অনেক দুরে যেখানে কোন আমান নেই৷
বলেই মেঘকে কোলে তুলে বাইরে এনে গাড়ি স্টার্ট করে।
এদিকে ভেতরে সবাই কে ছেলে গুলো অনেক টা সময় পরে ছেড়ে দেয়।

চলবে,

Black Rose?
season_03
The Dark king of my kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
Part_15

আকাশ মেঘকে নিয়ে একটা বন্ধ ঘরে আটকে দেয়৷
বাইরে পাহারা বসিয়ে দেয়।
কিন্তু এখন মেঘের দরকার ডক্টর ট্রিটমেন্ট।
,
এদিকে,
আমান মেঘের বাসায় এসে সবটা শুনে প্রচুর রেগে গেছে।
–আন্টি চিন্তা করবেন না আমি মেঘকে নিয়ে আসবো।
–বাবা
–কাঁদবেন না এক দম না।
রোজ খেয়াল রাখো সবার।
আমান বেরোবে এমন সময় তার ফোনে ফোন এলো,
–হ্যালো।
–মি.আমান চাঁদনি খান হসপিটালে মাইনাল স্টোক করছে জলদি আসুন আপনি৷
এটা শোনার পর আমানের হাত থেকে ফোনটা পরে গেল৷
এখন সে কোথায় যাবে।
–বাবা কি হইছে।
–মা স্টোক করছে।
–কি বলো।
–আমি কোথায় যাবো এখন।
–বাবা মাথা ঠান্ডা করো আমি যাবো তোমার মায়ের কাছে তুমি যা-ও মেঘের কাছে৷ (মেঘের বাবা)
–হ্যা তাই ভালো হবে আমিও আজ বাসায় যাবো না (রুথি)
–বাবা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
–বাবা ধন্যবাদ দেবার কিছুই হয় নি।

তার পর যে যার গন্তব্য রওনা দেয়।
কিন্তু আমন মেঘকে খুঁজবে কই কোথায় গেছে কি কিছুই মাথায় আসছে না৷
মেঘের লেকট এর কথা মনেই ছিলো না আমানের তখন মনে পড়তে সোজা
পুলিশ ইনফর্ম করে।


–মেঘ আজ তুই আমার হবি দেখ আমি সব নিয়ে এসেছি সব তুই বৌ সাজবি আমাদের বিয়ে হবে।
মেঘের এখনো সেন্স আসে নি।
–তুই চিন্তা করিস না তোকে কোন কষ্ট পেতে দিবো না।
লাল একটা ওড়না জড়িয়ে দেয় মেঘকে আর কিছু গয়না৷
তাকে উঠিয়ে এনে বসায়।
–কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করুন৷
–কিন্তু এভাবে কনে সেন্স না থাকলে কি ভাবে বিয়ে হবে।
–তোকে যা বলছি তুই তাই কর কোন প্রশ্ন না৷
–জি৷
কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে।
সাইন করার সময়
–সমস্যা নেই আমি হাত ধরে করিয়ে দিচ্ছি৷
সাইন করতে কলম ধরতেই
হটাৎ পেছন থেকে গুলির শব্দ।
আকাশ পেছনে ফিরে দেখতে পায়
ফুল ব্লাক সুট পরে একটা ছেলে হাতে রিভলবার দাঁড়িয়ে পেছনে অনেক গুলো ছেলে।
–মি.আকাশ আমাদের দেখা হয়ে গেল তবে৷
–কে তুই।
–আপনি যার স্ত্রী কে তুলে নিয়ে এসেছেন৷
–আমান খান
–বুদ্ধি আছে আপনার কিন্তু আফসোস এগুলা খাটানোর মতো আর কোন সুযোগ পবেন না আপনি।
আকাশের পাল্টা উত্তর দেবার আগে পেছন থেকে পুলিশ এসে তাকে আটক করলো৷
আমান মেঘের কাছে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷
–কিছু সময়ের জন্য ভেবেছিলাম তোমায় হারিয়ে ফেলবো৷
কিছু সময় পর মেঘকে নিয়ে বেরিয়ে পরে হসপিটালের উদ্দেশ্যে,
মেঘকে চেকাপ করতে পাঠানো হয়৷
তখনি মেঘের বাবা ফোন আসে,
–হ্যালো বাবা মা,
–আল্লাহর রহামতে তোমার মা সুস্থ আছেন কালকে বাসায় যেতে পারবেন৷ মেঘ মা
–নিয়ে এসেছি হসপিটালে সবাইকে বলে দিছি।
–চিন্তা করো না আমার মেয়েটা ঠিক হয়ে যাবে৷
–জি আল্লাহ হাফেজ।
এদিকে,
ডক্টর বেরিয়ে এলো,
–মি.আমান ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেন্স না আসলে আমরা কিছু বলতে পারছি না আপনার স্ত্রী কোমায় যেতে পারে৷
–ডক্টর আমার স্ত্রী কে আমার যে কোন মূল্যে চাই৷
–দেখুন আমরা বুঝতে পারছি নিজেদের সমস্ত চেষ্টা করছি কিন্তু উনার ব্রেইন প্রচুর চাপ পড়েছে। আল্লাহ ছাড়া উপায় নেই ওনাকে ডাকুন৷
এরি মধ্যে মেঘের আম্মু রোজ আর রুথি চলে আসে,
–আমার মেয়ে কই৷
–ভেতরে৷
–ডক্টর কি বলছে
–বললেন,
২৪ ঘন্টার মধ্যে সেন্স না আসলে কোমায় চলে যেতে পারে৷
–কি বলছো বাবা৷ আমার আল্লাহ আমার সাথে এমন করতে পারে না৷
–মা আপুনি ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করো না মা প্লিজ কেঁদো না৷


সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেল।
রোজের জীবনে তার বিয়েটা অভিশাপ হয়ে গেল৷
মেঘের অবস্থা সিরিয়াস হয়ে গেল।
আমান এলোমেলো হয়ে থাকলো।
আকাশ জেলে থাকলো৷
কোন কিছুই সঠিক হলো না৷
সব গুলো জীবন এলোমেলো পথে হাঁটছে।
অপেক্ষা শুধু একটা সুন্দর দিনের৷
কিন্তু আদোও কি সেই দিন আসবে।
সেই উত্তর কারোর যানা নেই।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here