Black Rose?Season_04,part_06,07
The Dark king of Vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
part_06
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে শুইয়ে দিয়ে ওয়াসরুমে গেল।
এমন সময় রুমটা নিস্তব্ধ কেউই নেই।
বিছনার মাঝামাঝি শুয়ে আছে আদ্রিজা৷
জ্বরের কারনে মুখটা লাল হয়ে আছে।
হটাৎ আদ্রিজা লাফ দিয়ে উঠলো।
খুব খারাপ লাগছে মাথা ভার।
নিজের চারপাশে তাকিয়ে দেখতো পাচ্ছে সব কেমন কালো হয়ে আসছে।
বিছনার চাদরটা কেমন কালো কাপড়ে পরিনত হচ্ছে।
আস্তে আস্তে আদ্রিজা অবশ হয়ে আসছে।
ধীরে ধীরে সব কিছু অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আদ্রিজা মুখ ফুটে আদ্রিয়ান বলে শব্দ ও করতে পারছে না।
কন্ঠের শব্দ হারিয়ে যাচ্ছে।।
অন্ধকারে টিপ টিপ আলোতে আদ্রিজার মনে হচ্ছে দুইটা মনুষ এগিয়ে আসছে।
তারা আদ্রিজার কাছে আসতে আদ্রিজা দেখতে পায় এরা সেই দুটো প্রানি।।
সরু দাঁত বেরিয়ে আসতেছে।
ওরা ক্রমশ আদ্রিজার দিকে এগিয়ে আসছে।
আস্তে আস্তে আদ্রিজার এক দম কাছে চলে আসে।
তখনি আদ্রিজা তার গলার লকেট এ হাত দেয়।
–আদ্রিজা কি হইছে আদ্রিজা।
আদ্রিজা চোখ খুলে আদ্রিয়ানকে দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
–কাঁদছো কেন(উত্তেজিত হয়ে)
–আমাকে একা রেখে কই গেছিলা (হেঁচকি তুলে)
–কোথাও না তোমার পাশেই বসে ছিলাম৷
–না তুমি ওয়াসরুমে গেছিলা তখন ওই ছেলে দুটো এসেছিলো।
–কোন ছেকে দুটো কি বলছো আদ্রিজা৷ এখানে তুমি আমি ছাড়া কেউ নেই।
–ওই সেই আগের।
এটুকু বলেই আদ্রিজা সেন্স হারায়।
।
।
চলবে,
Black Rose?
Season_04
The Dark king of Vampire kingdom♚
Part_07
Lamiya Rahaman Meghla
–আদ্রিজা এই
আদ্রিয়ান বুঝতে পারে আদ্রিজা সেন্স হারিয়েছে।।
আদ্রিজাকে দেখে আদ্রিয়ানের ভয় দিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ক্রমশ আদ্রিজার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে আসছে।
–কিছু হবে না তোমার। আমার থেকে তোমায় কেউ নিতে পারবে না।
আদ্রিজাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আদ্রিয়ান৷
–তোমার এই অবস্থায় তোমায় একা রেখে ১ সেকেন্ড ও সরতে পারছি না বলে ও যা ইচ্ছে তাই করবে সেটা আমি মেনে নিবো না।।
তুমি জলদি সুস্থ হবে জান চিন্তা করো না সব কষ্ট আমি কেঁড়ে নেবো তোমার থেকে। আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে শুইয়ে দেয়।।
জ্বরের বেগ কমছে না।।
আদ্রিয়ান অনেকটা চিন্তায় পরে গেল।।
কিছু সময় পর
আদ্রিয়ান তার পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেন কল করে,
–ওদের আমার চাই।
–………
–এতো আমি জানি না আমি রাজ্যের রাজা হয়ে আদেশ দিচ্ছি তোমাদের। যেখান থেকে পারো ওদের আমার সামনে হাজির করো।
–…….
–আমার মুকুট নিয়ে টানাটানি হবে না তুমি চিন্তা করো না যা বলছি তাই করো।। আর বুঝেছো তো কি ভাবে।।
–……..
–ওকে বাই।
অনেক টা গেম খেলে ফেলেছো এবার কিং কেও একটু খেলতে দেও।
আমার আদ্রিজার এই অবস্থার ১০× বেশি খারাপ অবস্থা করবো তোর।
–আদ্রিয়ান৷
–মা
–ওর কি অবস্থা।
–ভালো না মা৷
–দেখি৷
ইয়াসমিন বেগম আদ্রিজার কাছে গিয়ে ওর মুখটা দেখে আদ্রিয়ানের দিকে তাকায়।
–কি করবো মা।
–জাদু প্রয়োগ করবি।।
–কিন্তু ওর উপর হবে না।
–হবে এখন ও ওর মানুষ রুপে আছে ও নিজের আসল পরিচয় টা জানে না তাই এখন ও সাধারণ মানুষের মতোই ব্যবহার করবে আর ওর উপর সব কিছুই ভালো করে প্রয়োগ হবে।
–বলছো।
–হুম।
আদ্রিয়ান আদ্রিজার কপালে হাত দিয়ে কিছু সময় বসে থাকে।
আস্তে আস্তে আদ্রিয়ার মুখের আসল বর্ণ ফিরে আসে৷
ধিরে ধিরে আদ্রিজার জ্বর পরতে থাকে।
একটা সময় আদ্রিজা সাভাবিক হয়ে যায়।
–আদ্রিয়ান বাবা আমার ভয় হচ্ছে তুই আদ্রিজার পাশে থাকিস৷
–হ্যাঁ মা সব সময় আছি কিন্তু,
–কিন্তু নেই বিপদ যখন আছে সমাধান ও আছে তুই চিন্তা করিস না।
–জী মা।
।
।
২ দিন পর,
আদ্রিজা এখন পুরোটাই সুস্থ।
কিন্তু স্বপ্নের সেই ভয় আদ্রিজাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।
আদ্রিজা সব সময় আদ্রিয়ানে কাছে থাকে কিন্তু দিনের একটা সময় আদ্রিয়ানের কাজের সময় মেয়েটাকে একা থাকতে হয়।
আদ্রিজা চোখ বন্ধ করলে সেই লোক দুটোকে দেখতো পায়।
এক কথায় আদ্রিজার দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে এই লোক দুটো।
আদ্রিয়ান জানে এই স্বপ্ন এই সব কিছু এক মাত্র আদ্রিজা নিজের আসল পরিচয় জানতে পারলেই থামবে। তার আগে নয়।
ততদিন আদ্রিজাকে এই ভয়ের সাথেই বাঁচতে হবে।
।
।
–আদ্রিজা।
–হুম।
–কি করছো বৌ।
–কিছু না নখ কাটছিলাম।
–আচ্ছা দেখো তো আয়নায় এটা কে৷
–কই কে।
–উঠো।।
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে দাঁড় করায় আদ্রিজা দেখতে পায় আয়নায় আদ্রিজা আর আদ্রিয়ান দুই জন একি পজিশন এ দাঁড়িয়ে কিন্তু আয়নার ওপাশে আদ্রিজা একটা কালো গাউন পরে আছে।
অসম্ভব সুন্দর সেই গাউন কালো পাথরের কাজ।
আদ্র পরে আছে কালো সুট৷
দুজনের ঠোঁট ভেদ করে বেরিয়ে এসেছো সরু দাঁত ঠিক যেমন টা ওই অদ্ভুত প্রনী দুটোর ছিলো।
–আদ্রিয়ান ওরা কারা৷
–কেন তুমি আর আমি।।
–আমি আমি,
আদ্রিজা সেন্স হারিয়ে আদ্রিয়ানের বুকে ঢলে পড়ে।
চলবে,