Black Rose?season_04,part_08,09 (রহস্য_সমাধান)
The dark king of vampire kingdom♚
Lamiya Rahaman Meghla
part_08
–আই লাইক your স্মেইল আদ্রিজা।
আদ্র তার আসল রুপে এসে আদ্রিজাকে ধরে কথাটা বললো।
–তুমি কি ভেবেছিলা ওটা তোমার হাসবেন্ড। ও baby Girl তুমি অনেক সোজা মনের মানুষ।
কতো ভালোবাসি জানো তোমার এই মানুষ রুপি রক্ত কে ইচ্ছে হয় এক চুমুকে সব টা খেয়ে নি।
আ নো নেভার আমি সেটা করতে পারবো না এখন। কারন আমার তো রাজ্য লাগবে।
vampire kingdom.
আমি এক মাত্র রাজা হবো।
তুমি থাকবে না। আগে রাজ্য পাই তার পর তোমার এই মিষ্টি রক্ত গুলো আমি এক বারে খেয়ে নিবো।
আদ্র কথা গুলো বলেই আদ্রিজাকে নিয়ে জানালা দিয়ে লাফ দেয়।
(আদ্রিয়ান আবরার খান the king of vampire kingdom. আদ্রিজার একটা পরিচয় আছে যা সময় হলে জানা যাবে৷
আদ্র হলো সে, যে এতো দিন আদ্রিজাকে ভয় দিয়ে এসেছে।
আদ্রিজার ভালোবাসাই আদ্রিজার সব থেকে বড়ো শত্রু।
আদ্রের এক টাই লক্ষ vampire kingdom এর রাজা হওয়া। )
।
।
টিপ টিপ করে চোখ মেলে আদ্রিজা নিজেকে একটা বন্ধ ঘরে আবিষ্কার করে।
হাত দুটো কেমন ভার লাগছে।
ভালো করে চোখ মেলে দেখতো পায় হাতে সেকল বাঁধা।
–আহ মাথা।
এখানে কি করে এলাম কিছুই মনে পরছে না।
খুব কষ্টে মনে করবার চেষ্টা করলাম। মনে পরে গেল আদ্রিয়ানের কথা।
–আদ্রিয়ান
বলেই লাফ দিয়ে উঠলাম।
হাত বাঁধা অবস্থায় দৌড়ে দিলাম। কেমন একটা মরিচিকার মতো জায়গা কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছি না৷
মনে হচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমি তাও দৌড়াচ্ছি।
একটা পর্যায়ে থেমে গেলাম মনে হয় সত্যি হারিয়ে গেছি।
–are you lost baby girl.
হটাৎ কারোর কন্ঠ পেয়ে পেছনে তাকাতে দেখি মুখে smile মুখোশ পরা একটা লোক দাড়িয়ে।
তার প্যান্ট এর এক পায়ে হাটু পর্যন্ত উঠানো অন্য পা ছাড়া৷
কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে।
লোকটা আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
ভয়ে আমি পেছতে থাকি৷
হটাৎ দেয়ালে ঠেকে গেলাম।
–i love your স্মেল। (আদ্রিজার ঘরের কাছে গিয়ে)
–প্লিজ লেট মি গো।
–তুমি পালাতে চাও। যাও বাঁধা দিবো না কিন্তু প্রতি বার পালানোর সময় তোমাকে শাস্তি পেতে হবে তার জন্য প্রস্তুত তো।
–কে আপনি।
–গুড question.
–i say, who are you?
–i am vampire.
–what?
–yeah i am a vampire and this is my Kingdom.
–are you mad.
Vampires are just a fictional character.
–o baby girl তুমি হাসিয়ে মারবে।
–আমাকে ছেড়ে দিন।
–হু দিবো তার আগে 1 bite please.
ছদ্মবেশী আদ্র আদ্রিজার দিকে এগোতে থাকে। যখন সে আদ্রিজাকে কামড় বসাবে তখন হটাৎ,
কেউ পেছন থেকে তাকে টেনে ঘুশি মারে।
মারের টোল সামলাতে না পেরে আদ্র ছিটকে পরে।
–আদ্রিয়ান৷
আদ্রিজা দৌড়ে আদ্রিয়ান কে জড়িয়ে ধরে।
–কিছু হবে না আমি চলে এসেছি।
গার্ড।
আদ্রকে কিছু লোক ধরে নিয়ে যায়।
–আদ্রিয়ান এগুলা কি হচ্ছে আমার সাথে আমাকে বোঝাও আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
–এসো আমার সাথে।
আদ্রিয়ান আমাকে নিয়ে হাঁটছে হটাৎ একটা শুকনো পাতা ঝাড়া গাছের দিকে তাকাতে থমকে গেলাম।
–দাঁড়াও।
–কি?
–এটা এমন কেন।
–এই গাছ টা।
–হুম।
–গাছ টা তার আসল মালিের খোঁজে আছে।
–তুমি কি করে জানলে,
–হয়তো।
–হুম। খুব চেনা মনে হচ্ছে গাছ টাকে।
–পাগল তুমি কি করে চিনবে চলো তো
(তোমার ই তো গাছ আদ্রিজা তুমি চিনবে না তো কে চিনবে মনে মনে)
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে নিয়ে বেরিয়ে আসে।
চলবে,
Black Rose?
Season_04
The Dark king of vampire Kingdom
Lamiya Rahaman Meghla
Part 09 (রহস্য_সমাধান)
।
আদ্রিজা বসে আছে বার বার সেই পাতা ঝাড়া গাছটার কথা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
–কি ভাবছো বৌ।
হটাৎ আদ্রিয়ানে কথায় পেছনে ফিরে তাকায়।
–কিছু না৷
–নেউ কফি।
আদ্রিজা কফিটা নেয়।
–আচ্ছা আদ্রিয়ান আমার কেন ওই গাছটার কথা বার বার মনে হচ্ছে।
–হয় তো তোমার অস্তিত্বের সাথে কোন সম্পর্ক আছে।
–আমার অস্তিত্ব
–হুম।
–কি করে,
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে টেনে কাছে নেয়।
–জান আমি যখন কাছে আসি তখন কি কোন কথা মনে পরে না৷
–কি কথা মনে পরবে।
আদ্রিয়ান আদ্রিজার কানটা তার বুকের বা পাশে চেপে ধরে,
–আমার হার্টবিট শুনতে পাও।
–না।
–জানো মানুষ কখনো হার্টবিট ছাড়া বাঁচে।
–যখন মানুষ ভ্যাম্পায়ার হয়।
–হুম৷ তোমারও সেম।
চোখ বন্ধ করো মনে কারার চেষ্টা করো আমার সাথে কাটানো কোন মুহূর্ত কি মনে পরে না আদ্রিজা৷
আদ্রিজা চোখ বন্ধ করে নেয়,
আদ্রিয়ান যা বলছে তাই মনে করার চেষ্টা করছে।
,
আদ্রিজা দেখতে পাচ্ছে,
সেই পাতা ঝড়া গাছটা পরিপূর্ণ ফুলে পাতয়
চারিদিকে অসম্ভব সুন্দর
।
গাছের তলায় বসে আছে আদ্রিয়ান যার বুকের উপর মাথা দিয়ে আদ্রিজা৷
আদ্রিয়ান আদ্রিজার চুলে ফুল গুঁজে দিচ্ছে।
তারা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে।
এতো মধুর সম্পর্ক হয়তো কোথাও নেই।
ভালোবাসা কানায় কানায় ভরপুর।
।
আদ্রিজার পরনে লাল শাড়ি
–আজ বিয়ে করি চলো (আদ্রিয়ান)
–রাজ্যের রাজার বিয়ে এভাবে হবে। (আদ্রিজা)
–কি ভাবে.
–সাধারণ ভাবে।
–না ধুমধাম করেই হবে। তোমায় কতো ভালোবাসি জানো না।
–আমিও তো বাসি কিন্তু আমার না কেমন ভয় হয় জানো।
–কিসের ভয়?
–তোমায় হারাবার ভয়।
–ধুর পাগলি এই তো আমি।
আজ ঘোষণা দিবো আমাদের বিয়ের।
–আচ্ছা ।
–হুম।
আদ্রিয়ান তার কথা মতো ঘোষণা দিয়ে দেয় তারা বিয়ে করবে।
এ কথায় রাজ্যের সব মানুষ খুশি হলেও আদ্র খুশি ছিলো না কারন আদ্রের প্রয়োজন ছিলো আদ্রিজা৷
সে আদ্রিজাকে পছন্দ করতো আদ্রিয়ানের জন্য কখনো তার কাছে যেতে পারে নি।
–এই বিয়ে হবে না লিখে নিও (বাকা হেঁসে আদ্র)
।
এদিকে,
বিয়ের তোড়জোড় চলছে।
রাজার বিয়ে বলে কথা।
–আদ্রিজা৷
–হুম।
–কাল আমাদের বিয়ে আমি চাই তুমি আজ সবার মধ্যে কিছু মূল্য বান কথা বলো।
–হুম বলবো কিন্তু তার আগে আমার রাজা মসাই এটা বলুন তো আপনি এতো চিন্তিত কেন।
–কিছু না ভালোবাসি৷
বলে আদ্রিজাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
–আমিও৷
।
।
পরের দিন,
বিয়ের সময়,
কাজি বিয়ে পড়ানো শেষ করেন।
আদ্রিয়ানের কবুল বলা শেষ হলে যখন আদ্রিজা কবুল বলবে তখনি হটাৎ।
–থামো এই বিয়ে হবে না।
সবাই অবাক হয়ে লোকটির দিকে তাকিয়ে আছে।
লোকটি ছিলো আদ্রের বাবা৷
–আপনার সমস্যা। (কাজি)
–আমি আদ্রিজাকে অভিশাপ দিচ্ছি,
আদ্রিজা ১০৫ বছরের জন্য নিজের পরিচয় ভুলে যাবে ১০০ বছর সে সেন্স হারা অবস্থায় থাকবে ১০০ বছর পর ওর সেন্স আসলে ও নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে ও মানুষে পরিনত হবে ১০৫ বছর পর আদ্রিয়দন জদি কখনো আদ্রিজাকে খুঁজে পাই তাহলে ওর সব মনে করাতে পারলে ওদের ভালোবাসা পূর্ণ পাবে নয় হলে নয়।
আদ্রের বাবা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ভ্যাম্পায়ার ছিলেন যার কারন ওনার মুখের কথা শেষ হতে না হতে আদ্রিজা ১০০ বছরের জন্য সেন্স হারায়।
–আদ্রিজা………..
চলবে,