Black Rose Season_02,Part_05,6
The Dark Prince of vampire kingdom♚
MeghLa
Part_05
(গল্পে প্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠছে এমন মনে হচ্ছে।
তাহলে ছোট করে গল্পটা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ)
ভাইয়া আমাকে ৪ তালার একটা পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে এলেন৷
ভায়ে হাত পা আমার ঠান্ডা হয়ে গেছে৷
গলা দিয়ে কথা বার হচ্ছে না৷
–ভা.ভাইয়া এখানে
আমার কথা বলা শেষ হতে না হতে উনি আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেন৷
–ওর সাথে তোর কি?
–আমার কি হবে কিছু না আমি তো চিনিও না৷
–তাহলে ওভাবে ছিলি কেন বল। ছিলি কেন (চিৎকার দিয়ে)
–ভাইয়া আমি জানি না সত্যি আমি পরে যেতে গেছিলাম।
–তো পরে যেতি হাত ভাঙতো নয় পা তাহলে ওর কোলে কেন পরলি৷
–হাত পা ভাঙলে খুশি হতেন
–হ্যা হতাম অন্তত ওই ছেলের বুকে দেখতাম না৷
–এমন ভাবে বলছেন জেন ইচ্ছে করে পরেছি৷
–তোকে আমি ভালো করে চিনি তুই ইচ্ছে করেই করেছিস৷
–এনাফ ইজ এনাফ ভাইয়া অনেক শুনেছি আর না৷
আপনি আমার হাত ছাড়ুন৷
–ছাড়বো না৷
–ছাড়ুন নাহলে আমি কি করবো তা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না৷
–অনেক বড়ো পাখা গজিয়েছে না।
–হ্যা যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছেন কিছু বলছি না।
–সত্যি করে বল আদ্রিজা ওকে তুই চিনিস না
— চিনি হ্যা চিনি প্রেম করি কি করবেন বলেন।
আমার কথা বলা শেষ হতে না হতে একটা ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলো ভাইয়া চড় খেয়ে আমি উল্টে ঘুরে পরি৷
চড়ের তিব্রতা এতোটাই বেশি ছিলো যে আমি কিছু বুঝতেই পারলাম না কিছু সময়ের জন্য।
–অনেক বেড়েছিস তোর পাখনা আমি কাটার ব্যাবস্থা করছি।
একটু অপেক্ষা কর৷
বলেই উনি বেরিয়ে গেলেন৷
আমি ওখানে বসে কাঁদতে থাকি৷
এমন সময় মনে হচ্ছে সেই শীতল হাওয়া আর মিষ্টি ঘ্রান৷
আমি ফিল করতে পারছি৷
কেউ আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে না কিন্তু আমার কান্নার জোর কমে এলো৷
গালের ব্যাথাটা কমতে থাকে৷
এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব হচ্ছে৷
এমনি এমনি আমার কান্না বন্ধ হয়ে গেল৷
কিন্তু এমন কেন হলো৷
আমি উঠে দাড়িয়ে পড়লাম৷
কি হচ্ছে আমার সাথে সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে।
।
–আদ্রিজা৷ (রুহি)
–হ্যা।
–কিরে সব ক্লাসে খুঁজছি তোকে তুই এখানে কেন৷
–জানি না৷
–মানে।
–দোস্ত আজ ক্লাস করবো না।
–কেন?
–চল একটা জায়গায়৷
–কই৷
–চল তো৷
আমি আর রুহি বাইরে এসে ড্রাইভারকে ফোন দি৷
রুহিকে নিয়ে রওনা দেয় আমার চেনা একটা জায়গার উদ্দেশ্যে,
গাড়িতে,
–কিরে আদ্রিজা কোন সমস্যা।
–হুম।
–কি হইছে।
–তোকে সব বলবো চল।
–ওকে।
কিছু সময় পর আমার পৌঁছে গেলাম সেই জায়গায় এটা আসলে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ এ গাছটা ১০০ বছর পুরোনো৷
এই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়৷
।
–wow আদ্রিজা এই প্লেসটা অসাধারণ।
–হুম৷
–আচ্ছা কি বলবি বল৷
–গত কিছু দিন ধরে,
(আদ্রিজা তার জীবনের পুরোটদ গল্পই খুলে বলে)
–কেমন একটা হয়ে গেল না এটা৷
–কেমন যে হলো সেটা আমি বুঝতে পারছি না তাইতো তােকে বললাম৷
–বুঝতে পারছি না ভাইয়া জদি তোকে ভালোবাসবে তদহলে এগুলা কেন করছে আর ওই ছেলেটাই বা কে৷
আমার মনে হচ্ছে ছেলেটার সাথে শীতল বাতাস আর মিষ্টি ঘ্রানের কোন কানেকশন আছে৷
–কি করে।
–vampire বলে কিছু আছে সেটা মানিস।
–আরে ওগুলা নাই৷
–আছে আছে আমি জানি তুই বিশ্বাস করবি না তাই কখনো বলি নাই
আমি এই বিষয়ে একটু একটিভ তুই তো জানিস৷
–হুম বলেছিলি৷
–হ্যা আমার গবেষণা বলে তোর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে #vampire_kingdom এর সম্পর্ক আছে৷ ।
–কি বলছিস৷ ।
–সত্যি বলছি । আচ্ছা কিছু দিন দেখ কি হয়৷
–কি আর দেখবো৷ আমার সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে৷
–তুই এতো চিন্তা করিস কেন জাস্ট চিল চল ফুচকা খাই৷
–হুম ওই ফুচকা দারুণ হয়৷
আমি আর রুহি মিলে এখানে থাকা একটা দোকান থেকে ফুচকা খেলাম৷
বেশ মজা ছিলো৷
তার পর বাসায় চলে এলাম৷
বাসায় এসে সবাই কেমন গোমড়া হয়ে আছে৷
কি ব্যাপার এতো সাইলেন্ট কেন সব৷
বাবা হটাৎ আমাকে ডাক দিলেন৷
চলবে,
(গল্পটা কেমন হচ্ছে? সবার মতামত এর আসা করছি)
Black Rose
Season_02
The Dark Prince of vampire kingdom♚
MeghLa
Part_06
(গল্পে প্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠছে এমন মনে হচ্ছে। গল্পটা ইগনোর করবেন।
ধন্যবাদ)
–জি বাবাই বলো৷
–তুমি আমাকে বাবাই বলে মানো সোনা মা।
–এমন কেন বলছো বাবাই৷
–এমন বলার কারন আছে৷
–কি কারন?
–জানো তোমার মাকে আমার জখন পছন্দ হয়েছিলো আমি এসে তোমার দাদু কে আগে বলেছিলাম৷
দেখ তোমার মা কিন্তু সম্পর্কে আমার ছোট ভাই এর ছোট সালি তাও কিন্তু আমাকে তোমার দাদু বারন দেয় নি৷
তুমি আমার মেয়ে হয়ে এমন একটা ভুল ছেলের কাছে কি করে ধরা দিলে৷
–বাবাই কি বলছো কি কে ভুল ছেলে কার কাছে ধরা দিছি আমি৷
–মিথ্যা কেন বলছো আদ্রিজা আদ্রিয়ান সবটা বলেছে তোমার বাবাইকে৷ আমি সব শুনে একটা ডিসিশন নিছি যা তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি ইচ্ছে সত্যে আমি জানি না তবে এটাই হবে। (মেঘ)
–কি বলছো মাম্মাম আমার মাথায় আসছে না৷ কি ঠিক করছো
–২ দিন পর তোমার আর আদ্রিয়ানের বিয়ে।
মায়ের মুখে এ কথাটা শুনে আমার পায়ের তলার মাটি কেমন ফাক হয়ে গেল৷
কি বলছে এগুলা৷
আমার কষ্ট অনুভব হচ্ছে প্রচুর৷
কিন্তু আমার তো খুশি হবার কথা৷
এতো বছরের চাওয়া পুরোন হচ্ছে কিন্তু আমি বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট অনুভব করছি৷
আর বার বার সেই শীতল হাওয়া আর মিষ্টি ঘ্রানের কথা মনে পড়ছে কিন্তু কেন৷
–মাম্মাম কি করে এটা এমন একটা ডিসিশন নিচ্ছ।
–আদ্রিজা ভেতরে যা-ও।
–বাট মাম্মা
–ভেতরে যা-ও (ধমক দিয়ে)
মাম্মামের ধমক শুনে আমি কেঁপে উঠলাম৷
ছোট থেকেই বকা কাকে বলে তা জানতাম না আমি৷ কারন বাবাই মাম্মাম আমাকে কখনো বকেই নি৷
আজ মনিও চুপ ছিলো তাহলে আমি নিশ্চিত এমন কোন অন্যায় করেছি যার জন্য আজ বকা শুনতে হলো।
আর এতো বড়ো শাস্তি পেতে হলো কিন্তু আমি করেছিটা কি।
আল্লাহ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
।
।
রুমের দরজা লাগিয়ে এক নাগার কাঁদতে আছি আমার চোখের পানি আজ বাধ মেনেছে। ।
কিছুতে কমছে না৷ খুব কষ্ট হচ্ছে আজ৷
আমার এতো কষ্ট কেন হচ্ছে।
আমি বুঝতে পারছি না৷
আমার দোষ টা কি৷
একটা বার কেউ বললো না আমার দোষটা কি৷
আমাকে আমার দোষ না বলেই শাস্তি দিয়ে দিলো৷
–আদ্রিজা৷
হটাৎ কারোর অচেনা কন্ঠ শুনে মাথা তুললাম৷
একটি ছেলে আমার সামনে৷ একটি বললে ভুল এটা সেই ছেলেটা । কিন্তু আমার রুমে দরজা জানলা অফ ও কি করে আসলো।
–তুমি ভাবছো কি করে আসলাম আমি৷
–কে আপনি৷
–তোমার খুব কাছের কেউ৷
–মানে।
–একটু সময় দিতে পারবে আমাকে আমি সব বলবো তোমাকে। ।
–মানে৷
–কাল সকাল ৬ টা সেই পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় অপেক্ষা করবো আমি আমাকে শুধু ১০ মিনিট দিও৷
আমি জানি তুমি আসবে।
–কিন্তু
–আদ্রিজা৷
হটাৎ আদ্রিয়ান ভাইয়ার কথা শুনে আমি ভয়ে জমে ফ্রিজ হয়ে গেছি৷
গাড় আমার নিচের দিকে৷
আদ্র কে দেখে ফেলেছে ভাইয়া এবার আমার রক্ষা নাই৷
মাথা তুলতে পারছি না আমি।সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
–কিরে এমন করে আছিস কেন?
–আসলে
এবার মাথা তুকে তাকায় দেখি আদ্র নাই৷
কিন্তু গেল কই তার মানে ভাইয়া আদ্রকে দেখি নি৷
–আদ্রিজা৷ । –
–হ্যা৷
–কি ভাবিছিস।
–কি।কিছু না।
ভাইয়া হটাৎ আমার কাছে চলে এলেন।
আমি পেছন দিকে সরতে গেলে হাত ধরে বসে।
–এতো ভয় পাচ্ছিস কেন
–আম
–দুদিন পর আমাদের বিয়ে তুই আমার বৌ হতে চলেছিস তাও এতো লজ্জা কেন৷
আমি মাথা নিচু করে ফেলি কেন জানি না ভাইয়ার কথা গুলো শুনে আমার বুকের মধ্যে কষ্ট অনুভব হচ্ছে।
–কি হলো কিছু বল৷
আমি চুপ আছি৷ ।
–আচ্ছা বুঝতে পারছি তুই আমার সাথে ফ্রি না।
চল কাল সকাল ৭ টার দিকে তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো৷
–না (একটু জোরে)
হটাৎ এতো জোরে না বলাতে আমি নিজেই থতমত খেয়ে গেলাম৷
–মানে এতো সকালে বিকালে যা-ই ।
–না কোন বিকাল নয় কাল সকাল ৭ টায় রেডি থাকিস৷
বলেই আমার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে চলে গেল৷
আমি এখনো ওভাবে বসে আছি।
মনটা বার বার আদ্রর কাছে যেতে চাইছে।
কিন্তু কাল সকালে।
আল্লাহ আমি এ কোন দিধায় পড়লাম৷
আমাকে দয়া করো৷
মাথা ধরেছে এমন সময় জানালা দিয়ে একটা শীতল হাওয়া আসছে।
মনটাকে শান্ত করে দিলো৷
বালিসে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লাম৷
আর ঘুম চলে এলো৷
কখনো তোমায় অন্য কারোর হতে দিবো না।
কথা দিলাম৷
চলবে