Black Rose Season_02,Part_09,10

0
3266

Black Rose Season_02,Part_09,10
The Dark Prince of vampire kingdom♚
MeghLa
Part_09
অনেক সময় পানিতে থাকার পর আদ্রিজা এক সময় হাত পা ছুটাছুটি বন্ধ করে দেয়৷
তলিয়ে যেতে থাকে।
তখন আদ্রিয়ানের হুস ফিরে পানিতে ঝাপ দিয়ে আদ্রিজার হাত ধরে উপরে তোলে৷
আদ্রিজা আবার সেন্স হারিয়েছে।
আদ্রিজাকে রুমে নিয়ে গিয়ে কাপড় পাল্টে দেয়৷
আদ্রিয়ানের অধিকার যেটা সে ফলাতে চায় নি আদ্রিজার অনুমতি ছাড়া কিন্তু আদ্রিজা তার কাজে আজ আদ্রিয়ানকে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত করে তুলেছে৷
কাপড় পাল্টে বিছনায় শুইয়ে দেয় আদ্রিজাকে৷
মলিন হয়ে আছে মুখটা ময়াবতি আজ খুব ক্লান্ত। মুখের অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে৷
হয়তো কিছু খায় নি দিন ভর৷
–কেন এমন করলি বলনা কষ্ট হয় তো আমার সত্যি তুই আমাকে রেখে যেতে পারলি৷
আমি যে এতো ভালোবাসি এই ভালোবাসার দাম দিলি না আদ্রিজা৷
সত্যি আমি পারি নি তোকে ভালোবাসতে৷
আদ্রিয়ান আদ্রিজার হাত ধরে ওর পাশেই ঘুমিয়ে পরে৷


প্লান A ধরা খেয়েছে৷ কিন্তু B না৷
king এখনো এটা বিশ্বাস করেছে আদ্রিজার সাথে আমার রিলেশন ছিলো।
বদলা আমি নিয়ে ছাড়বো।
বাবাকে দেওয়া প্রতিটা কষ্টের মূল্য চোকাতে হবে।


সকালে,
প্রথম রোদ জানালার কাচ ভেদ করে চোখে পরতে আমার ঘুম ভেঙে যায়৷
ঘুম ভাঙতে নিজের উপর কিছু একটার ভর অনুভব করছি৷
চোখ মেলার শক্তি টা পাচ্ছি না শরীরে অসম্ভব ক্লান্তি ভর করেছে৷ ।
এক রক্তি নরার অবস্থা নাই আমার৷
তাও একটু চেষ্টা করলাম৷
চোখ খুলে দেখি আদ্রিয়ান ভাইয়া আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছে যেন ছেড়ে দিলে আমি চলে যাবো৷
হালকা নড়ে উঠলাম আমি৷
আমাকে নড়তে দেখে ভাইয়া উঠে গেল।
–কি হইছে।
–কিছু না (অনেক আস্তে)
–হু কি বা হবে কাল তোরা বিয়ে করতি আমি সেটা হতে দেয় নি অনেক রেগে আছিস তাই তো৷
–কি বলছেন এগুলা উনি আমাকে,
–চুপ কর আর কিছু বলিস না জাস্ট কিছু না৷
বলেই উঠে বাথরুম চলে গেল৷
নিজেকে সামলে উঠে পরি আধ শোয়া হয়ে বিছনায় শুয়ে পরি।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি আমার রুম নয় আদ্রিয়ান ভাইয়ার রুম৷
কল কি হইছিলো আমার সাথে সেন্স হারাবার পর কিছুই মনে নাই।
আমি তো বেনারসি পরা ছিলাম এগুলা কে পরালো৷
ভাইয়া আমাকে ভুল বুঝতেছে৷ আমি কি করবো এখন৷
আমরা যেহেতু এক রুমে সেহেতু বিয়েটা হয়ে গেছেন আচ্ছা বাবাই আর মাম্মাম ও কি আমাকে বিশ্বাস করবে না৷
হে আল্লাহ আমার কোন পরিক্ষা নিচ্ছো।

কিছু সময় পর নিজে উঠার চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না৷
কোন ভাবেই হচ্ছে না৷
উফ অনেক দূর্বল আমি৷
ক্লান্ত হয়ে পেছনে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলাম৷
এমন সময় বাইরে এলো আদ্রিয়ান ভাইয়া৷
গোসল করে এসেছে৷
ট্রাউজার পরা ঘাড়ে টাওয়াল মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছে৷
কাউকে গোসল করে বার হলে এতো সুন্দর দেখায় জানতাম না এনাকে না দেখলে।
–হা করে তাকিয়ে আছিস কেন৷
ভাইয়ার কথা শুনে চোখ নামিয়ে নিলাম৷
–আদ্রিয়ান৷ (তোবা)
–মাম্মাম আসছি।
আদ্রিয়ান ভাইয়া গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
–আদ্রিজা কাল সারা দিন তুই খাস নি কিছু তোর মনি এক দম ভুলে গেছে সরি মা আমি সত্যি রাতে এক দম ভুলে গেছিলাম।
খাবার নিয়ে এসেছে মনি
— আর খুদা পেটে থাকতে হবে না।
মনি নিজেই কথা গুলো বলে আমার পাশে বসে আমার মুখে খাবার তুলে দিলো৷
আমি খেয়ে নিচ্ছি৷
–বলি হয় তোকে আদ্রিয়ান তুই তো একটু মনে করবি৷
–মাম্মাম যে আমাকে রেখে চলে যেতে পারে অন্য কারোর হাত ধরে তার জন্য আমার মন আসে না৷
ভাইয়ার কথা শুনে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল৷
–আদ্রিয়ান তুমি বেশি বলছো৷
–ভালো তো মেয়েকে খাওয়াও আরো বড়ো করো দেখ এবার নিউজ হয় নাকি৷
আদ্রিয়ান খানের স্ত্রী পালিয়েছে অন্য এক ছেলের সাথে।
বলেই তাচ্ছিল্য হসি দিলো।
–আদ্রিয়ান অনেক শুনছি এখন এখান থেকে যাও৷
আমার চোখ দিয়ে অনাবরত পানি পরছে।
ওনার কথা শুনে৷
মনির বকা শুনে উনি বার হয়ে গেল ঘর থেকে।
–মনি তুমিও কি মানো আমি
–আদ্রিজা খেয়ে নে মা এসব নিয়ে ভাবিস না৷
–মাম্মাম কই৷
–সবাই আছে তুই খেয়ে নে৷ একটু রেগে আছে রাগ পরলে সবার সাথে দেখা করিস মা এখন রুমে থাক৷ নাইলে সবার কটু কথা শুনতে হবে৷
মনির কথা শুনে মনিকে জরিয়ে ধরলাম আমি
আার কাঁদতে থাকি।
যে দোষ আমি করি নাই তারি শাস্তি ভোগ করছি।ভাগ্য কতো নিষ্ঠুর হবে আমার সাথে৷
আমার দম আটকে আসছে এবার আর পারছি না৷

চলবে,

Black Rose
Season_02
The Dark Prince of vampire kingdom♚
Lamiya Rahama Meghla
Part_10

জানালার দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছি আমি৷
মাত্র কিছু দিনের ব্যাবধানে কেমন সব পাল্টে গেছে৷
মাম্মাম কথা বলে না বাবাই ও রাগ৷
আদ্রিয়ান খনে খনে কথা শুনায়৷
চাচু সে মাঝে মাঝে আমাকে বুঝায়৷
মনি খেয়াল রাখে কিন্তু যার ভেতরে অশান্তি তার বাইরে কি ভালো হয়৷
–সত্যি আমি অপারক আর কিছু বলার নাই৷ আমার কষ্ট হয়ে গেছে আমাকে মুক্তি দেও৷
আমি মুক্তি চাই৷
সত্যি যেদিন সবাই জানবে সেদিন আমিও কাউকে ক্ষমা করবো না৷
বলে দিলাম।
কথা গুলো বলে কাঁদতে থাকে আদ্রিজা৷


কলেজে,
আদ্রিয়ান ক্লাস নিচ্ছে। আদ্রিজা কলেজে আসে নি আজ ৩ দিন৷
আজ ৩ দিন তাদের মধ্যে সব কিছুই এলোমেলো হয়ে চলেছে।
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে আদ্রিজাকে বিশ্বাস করতে কিন্তু করতে পারে না৷
আদ্রিয়ান ক্লাস শেষ করে বাইরে বের হয়ে নিচের উদ্দেশ্যে আসছিলো এমন সময়,
–আরে আদ্রিয়ান ভাইয়া আপনি৷
কেমন আছেন?
–জুছি রাইট৷
–জি ভাইয়া৷
–আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?
–জি সৃষ্টিকর্তা রাখছে ভালো৷
–এতো দিন পর এখানে৷
–কি আর বলবো আদ্রিজার এক্সিডেন্ট এর পর আমি বাইরে চলে যাই৷
এই কাল আসলাম আবার চলে যাবো৷
এ কলেজে একটু কাজ ছিলো তাই এলাম৷
আদ্রিজা এখন কেমন আছে৷
বাইরে যাবার পর শুনেছিলাম কোমায় চলে গেছে৷
তার পর আর কথা হয় নি৷
দেখি সময় করে ওকে দেখতে যাবো৷
–আদ্রিজার এক্সিডেন্ট মানে৷
–সেকি আপনি জানেন না৷
–না আমাকে বলো৷
–এক্সিডেন্ট করলো না।
৩ বছর তো মেবি হতে গেল৷
–জুছি আমার কাজ আছে আমি আসছি৷
(জুছি হলো আদ্রিজার পুরোন ক্লাসমেট৷ ওদের সম্পর্ক টা ভালো ছিলো.। আদ্রিয়ান বাইরে যাবার আগ পর্যন্ত জুছিকে চিনতো৷ কথা হতো৷ )
আদ্রিয়ান এক প্রকার দৌড়ে গাড়িতে উঠে বাসায় চলে আসে।
এসেই প্রথম মেঘের কাছে যায়৷
–বড়ো মা৷
–কিরে বাবা কি হইছে৷
–বড়ো মা ৩ বছর আগে কি হইছিলো আদ্রিজার সাথে৷
–হটাৎ।
–বড়ো ম প্লিজ তোমার বলেছো ও কথা বলবে না আমিও অনেক ট্রায় করে ছেড়ে দি৷ ভেবেছিলাম ও ভালো থাকবে তাহলে কোন কথা বলবো না৷
কিন্তু সত্যি বলো কি হইছিলো৷
–আদ্রিজা এক্সিতেন্ট করে আর পুরো ২ বছর কোমায় থাকে৷
তুমি একা ছিলে আর ওর প্রতি দূর্বলতা আমরা জানতাম৷ তাই কিছু বলি নি৷
–ও কোমায় ছিলো বড়ো মা৷
–হুম৷
–আর আমি
–কি বাবা
–কিছু না আমি আসি৷
আদ্রিয়ান বেরিয়ে এলো৷
–সব সত্যি বার করবো আমি আজই৷ (আদ্রিয়ান)



রাতে,
আমার ঘুম ঘুম চোখ দুটো বুঁজে নিলাম৷
আর বন্দি জীবনে ঘুমি আমার সাথী।
চোখ বন্ধ করার ৫ মিনিট পর মুখের উপর পানি অনুভব করছি৷
সাথে সাথে চোখ খুলে ফেলি৷
হটাৎ কেউ আমার মুখে রোমাল
ঠেসে ধরে।
ঘটনা চক্রে আমি এতোটা ঘাবড়ে যাই যে হাত পা ছোটাছুটি করতে ভুলে যায়।
হটাৎ ই চোখ বুজে এলো আর কিছুই সরন নাই৷


আদ্রিয়ান পাগলের মতো আদ্রিজাকে খুঁজে চলেছে।
আদ্রিজা নেই৷
–আদ্রিয়ান বাবা থামো৷
–কিন্তু চাচু৷
–আমি আমার মেয়েকে ভুল বুঝেছি আজ ৩ দিন কথা বলি না৷
কতোটা কষ্টে ছিলো মেয়েটা আমার তা আমি বুঝিনি। ।
মেঘকে কিছু বলো না তোবা ওর সমস্যা হবে৷
–জি ভাইয়া। কিন্তু এখন কি হবে৷ ।
–আমার জন্য সব হইছে৷
আমি ভুল বুঝেছি আমার জন্য এতো কিছু৷
কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি। আদ্রকে আমি ছাড়বো না।
চাচু চলো আমার সাথে।
–হুম অনেক হইছে আজ সব কিছুর মূল্য চোকাতে হবে৷
The king of vampire kingdom
তার আসল পাওয়ার দেখাবে আজ৷


আমান আদ্রিয়ান রওনা হলো।

ওদিকে,
আদ্রিজাকে একটা চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে রেখেছে আদ্র৷
কড়া পাহারা৷
বাইরে ভেতরে।
আদ্র আদ্রিজার দিকে তাকিয়ে আছে৷
ব্লাক কালারের একটা লং সার্ট আর প্যান্ট পরা তার৷
চুল গুলো ছাড়া৷
মুখের উপর পরেছে।
ফর্সা মুখটা চুলের পাশ দিয়ে দৃশ্যমান৷
কি মায়াবি সে মুখ যা দেখে পাগল হাজার জন।
আদ্র তার হাতটা আদ্রিজার ওরনার দিকে এগোতে কেউ তাঁকে এমন জোরে আঘাত করে মুখে যে আঘাত সে সহ্য করতে না পেরে উল্টো দিকে পরে যায়।
–আদ্রিয়ান তুই৷
–শুধু আদ্রিয়ান না এখানে আমি আছি৷
–king আপনি৷
–ওকে সেখানে নিয়ে যাও যেখানে আমি বললাম।
আমার মেয়ে যেন না উঠে কোন শব্দ হবে না৷
আমানের কথা শুনে সবাই মিলে আদ্র আর আদ্রের সহচারী দের নিয়ে যায় অচেন কোন পথে৷
–চাচু আমি একটা পারমিশন চাই৷
–কিসের৷
–আমি ওকে নিয়ে বাইরে কোথাও দুরে যেতে চাই৷
–কোথায়৷।
— খান বাড়ির সেই বাংলো তে৷
–আচ্ছা বাট জলদি এসো আমার অনেক কাজ আছে৷
তোমাদের অনেক কিছু বলার আছে৷
–জি চাচু৷ ।
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে নিয়ে রওনা দিলো৷

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here