Black Rose,Part:02
The Dark Prince of vampire Kingdom♚
MeghLa
আমি ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে সামনে তাকাতে চোখ দুটো থমকে গেল।
জানলার কাঁচে এক হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আমান। (সবাই বলেছে এদের নাম মোটেও ভালো হয় নি তাই মেহমেত এর নাম আমান আর কেয়ার নাম মেঘ রাখা হলো)
লোকটা সব সময় ব্লাক কালারের কাপড় পরে৷ আমি অন্য রং এ ওনাকে কখনো দেখি নাই৷ ব্লাক সার্টের হাতা ফোল্ড করা৷ বাহিরের দিকে মুখ করা। ঘাড়ের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে লোকটা মাত্রতিক ফর্সা।
ব্লাক কালারে তাকে অনেক মানায়।
এক কথায় যাকে বলে Dark Prince. অদ্ভুত শিহরণ দিয়ে উঠলো আমার গায়ে।
কি ভাবছি আমি না এসব ভাবছি কেন আমি শুধু আদহামকে ভালোবাসি৷ আমান নামেই আমার স্বামী মনে সব সময় আদহামি থাকবে।
–শুয়ে পড়ো রাত হইছে।
ওনার কথায় ধ্যান কাটে।
আমার দিকে ফিরে তাকিয়েছেন উনি৷ ওনাকে দেখে মনের মাঝে কেমন একটা শীতল হাওয়া বইতে লাগলো। অনুভুতি গুলো বোঝাবার ভাষা নেই।
–কি হলো এমন হা করে তাকিয়ে আছো কেন৷
–ক.কই। না ঘুম পাচ্ছে।
বলেই বিছনার এক কোনে গুটি মেরে শুয়ে পড়লাম।
উনিও পাশে শুয়ে পড়লেন।
ওনার পাশে শুয়াতে আমার কেমন শীত বাড়তে লাগলো। পায়ের কছে থাকা কম্বল টা জড়িয়ে নিলাম৷ কিন্তু এটা কেমন অদ্ভুত ব্যাপার হয়ে গেল না৷
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
.
রাত ২ টা,
কালো হুডি জ্যাকেট পড়া কোন একটা লেক তার ঠোঁট ভেদ করে বার করে দিলো দাঁত।
–মারবেন না আমাকে আমি।
বলতে বলতে পেছতে লাগলো মেয়েটা৷
লোকটা মেয়েটার কাছে গিয়ে যেই না দাঁত বসাবে তখনি কেউ এসে বিদ্যুৎ গতিতে মেয়েটাকে সরিয়ে নিলো।
–আমার শিকার (রক্ত চক্ষু নিয়ে)
–নিরিহ মানুষেকে তুই শিকার বানাতে পারিস না৷ বনে অনেক পশুপাখি আছে ওদের রক্ত খা৷ আমি জদি আর দেখেছি তোকে এই বনেই পুঁতে দিবো।
–কাজটা ঠিক করলেন না। #vampire_Kingdom♚ আপনার তাই চলে যাচ্ছি কিন্তু মনে রাখবেন শোধ আমি নিবোই।
লোকটি চলে গেল।
–তুমি ঠিক আছো৷
–হ্যা(ভয়ে ভয়ে)
–ভয় পাবেন না। আপনাকে আপনার বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি আসুন। (মেয়েটাকে ইজি ফিল করাতে আপনি বললো ছেলেটা)
–ধন্যবাদ আমার জীবন বাঁচানোর জন্য।
–না এতে ধন্যবাদের কিছু নাই চলুন।
ছেলেটা মেয়েটাকে তার বাসায় পৌঁছে দিলো।
.
সকালে মিস্টি আলোতে ঘুম ভাঙলো৷ পাশে ফিরতে আমানকে দেখতে পেলাম৷
কি মায়াবি ওনাকে দেখলে মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়৷
কিছু সময় ওনাকে দেখে উঠি ফ্রেস হয়ে নামাজ পরে নিলাম৷
আয়নার সামনে এসে চুল ঠিক করছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।
তখনি মনে হলো পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরেছে।
আমি আয়নার দিকে তাকাতে দেখি আমান আমাকে ধরেছে।
আমি কিছু বলতে যাবো এমন সময় আমান ঘাড় থেকে চুল সরিয়ে দিলো। আর তার ঠোঁট ভেদ করে দুটো দাঁত বের করে দিলো৷
ওনাকে দেখে এক চিৎকার দিলাম৷
–আমাাাাাাাাাান………..
ঘুম থেকে এক লাফে উঠে পড়লাম। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি।
কিছু সময় পর বুঝতে পারলাম স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু এমন স্বপ্ন কেন? আমি তো জীবনে এমন কিছু কল্পনা করি নাই।
এটা কি ছিলো। বাইরের দিকে তাকাতে দেখি ভোরের আলো ফুটে গেছে।
মা বলে ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়।
উফ আর ভাবতে পারছি না। এবার আমার মনে ওনার জন্য আরো ভয় এর জন্ম নিলো।
এই এসির মধ্যে আমি ঘেমে গোসল হয়ে গেছি। কম্বল টা সরিয়ে বিছনা ছাড়ি।
আমি কাবার্ড টা খুলি দেখতে পায় অনেক সারি৷ ওখান থেকে একটা নিয়ে গোসল করে নি।
ঘেমে আমার অবস্থা খারাপ।
তার পর এক গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ পরে নি।
নামাজ শেষে খেয়াল করি আমান নাই৷ গেল কই৷ এতো ভোরে!
আমি তো খেয়ালি করি নাই এতো সময়।
উফ আর ভাবতে পারছি না৷
দরজা খোয়ার শব্দে পেছনে তাকায়৷
আমান এসেছে ওহ morning Walk এ গেছিলো।
ওনাকে দেখে কেন জানি না ভয়টা একটু কমলো।
–আমার কফি নিয়ে এসো৷
–হ্যা৷
–বলছি কফি নিয়ে এসো।
–আমি৷
–এখানে আমার ২ নাম্বার বৌ নাই।
–কেন ২ নাম্বার বৌ এর অনেক সক নাকি৷
–ঝগড়া কেন করো এতো।
–আপনি কি বলতে চাইছেন আমি ঝগড়াটে।
–দেখ মেঘ কি ভাবে বিয়েটা হইছে সেটা ভুলে যাও। তুমি আমার স্ত্রী সো আমার সব কাজ তুমি করবা। আমি কোন না শুনতে চাই না। তোমাকে আমি কথা দিচ্ছি তুমি না চাইলে আমি কখনো তোমার কাছে স্বমীর অধিকার চাইবো না। কিন্তু তোমাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ at any cost otherwise আমি কি করতে পারি তোমার ধারনা নাই।
আমি ওনার কথা শুনেই চলেছি৷ একটা মানুষ এতো নিচে কেমনে নামে। রাগে শরীর রি রি করছে।
–রাগলে বকলে কিছু হবে না তোমাকে আমার কথা শুনতে হবে। আর হ্যা আদহামকে ভুলে যাও৷
ওনার কথা শুনে আমি আর এক দফা অবাক। আদহামের কথা উনি কি করে জানলো।
–ভাবছো আমি কি করে জেনেছি আমি সব জানি। কারন তুমি আমার স্ত্রী অন্য কারোর কথা ভুলে মনে আনবে না৷
আমি গোসলে যাচ্ছি এসে যেন কফি পাই তোমার হাতে বানানো হবে মাইন্ড ইট৷
বলেই টাওয়াল নিয়ে বাথরুমে চলে গেল।
আমি এখনো থ মেরে দাড়িয়ে আছি।
কি বলবো কি করবো আমার মুখ সেলাই করে দিয়ে গেল এক দম৷
এমন সময় একটা কন্ঠ শুনতে পেলাম
–বৌমা।
আমি দরজার দিকে তাকাতে,
চলবে,