Black Rose,Part_03
the dark prince of vampire kingdom♚
MeghLa
(একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পের মধ্যে নিজের মনের মতো ভাষার ব্যাবহার না পেলে ঘনিষ্ঠ চিত্র ফুটে উঠছে এমন মনে হলে গল্প টা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ )
–বৌমা।
–জী আন্টি।
–আন্টি কিরে মা বল৷ এখন আর পর নাই আমি কিন্তু।
— জী মা৷
–এই দেখ কতো সুন্দর শুনালো। এর পর থেকে মা বলবি।
আচ্ছা শোন যার জন্য এসেছি,
এই যে কিছু গয়না আমার শাশুড়ী মা আমাকে দিয়েছিলেন। অর্ধেক তোবার আর অর্ধেক তোর। এগুলা পরে নিচে আসিস।
–জী মা ঠিক আছে।
–আমি যাই তাহলে।আর হ্যা এখন ৭ টা বাজে আমানকে নিয়ে ৮ টার সময় নিচে আসিস। আজ কিছু নিয়ম আছে বুঝলি।
–আচ্ছা।
–আমান আর তুই এক সাথে আসবি এটা যেন না ভুলিস।
–হুম।
–হুম গেলাম আমি।
মা চলে গেলেন। আমি মায়ের কথা মতো গয়না গুলো পরে হালকা সেজে নি।
নিচে গিয়ে কিচেনে কফি বানাতে শুরু করি৷
কিচেনটা খাবার টেবিলের কাছাকাছি অবস্থান করে।
কফি বানিয়ে উপরে এসে দেখি আমান আয়না সামনে দাঁড়িয়ে চুল আচরাচ্ছে।
কফিটা নিয়ে টেবিলে রেখে দি।
–হাতে দেও ওখানে না রেখে।
ওনার কথায় বেশ রাগ হচ্ছে তাও কিছু না বলে ওনার হাতে তুলে দিলাম মগ টা।
উনি কফিটা নিতে চলে আসতে গেলাম।
তখনি হাতটা টেনে ওনার সামনে নিয়ে দাঁড় করায়। আর এক দম কাছে চলে আসে।
–ক কি৷
–চুপ আমার কফি শেষ না হবা পর্যন্ত এখানে থাকবা৷
বাম হাত আমার পাশে দিয়ে ডান হাতে কফি টা নিয়ে বললেন।
কি আজিব রে বাব এগুলা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমন করে৷
খেয়াল করলাম ওনার এতো কাছে তাই আমার কেমন শীত করতে লাগলো।
লজ্জায় কিছু বলতে পারছি না। প্রেম করতাম ঠিকি কিন্তু কখনো আদহামকে কাছে আসতে দেয় নি। এই প্রথম কোন ছেলে আমার এতো কাছে।
আমার মধ্যে ভয় রাগ জাগিয়ে নিজে শান্তিতে কফি খাচ্ছে যেন কিছু হয় নি। এতেটা ইজি বিহেব করছে।
মনটা চাচ্ছে টাকটা ফাটিয়ে দি।
–আমার টাক নাই।
–এ্যা৷
–বলছি তুমি মনে মনে আমার টাক ফাটাচ্ছো তো কিন্তু আমার তো টাক নাই।
–এই মটেও আমি ওটা বলি নাই৷
–তুমি বল নাই তো কি আমি বলেছি।
আরো কাছে এসে,
এবার ঠান্ডার মাত্র আরো বেড়ে গেছে।
–না মানে,
আমান নিজেই সরে গেলেন৷ আমিও ছাড়া পেয়ে সরে আসলাম।
এই লোকের মতি গতি সব বুঝার বাইরে। কিন্তু এই ব্যাপারটা আজব৷ শীত,
–মেঘ ৮ টা বাজে।
–হ্যা ৮ টা। মা বলেছিলো।
–নিচে যেতে।।
–হুম।
–চলো।
আমরা বেরিয়ে এলাম মায়ের কথা মতো আমানের সাথেই এলাম।
নিচে এসে দেখি ভাইয়া আপু ও চলে আসছে।
আজ তোবা আপুকে অনেক কিউট দেখাচ্ছে।
কিন্তু আমি কিছু বলবো না রাগ করে আছি ওর উপর।
–আচ্ছা এখন আমি যা বলি খেয়াল করো।
–জী মা বলুন। (তোবা)
–তোবা, মেঘকে নিয়ে একটা কিছু রান্না করো। আমি সব নাস্তা বানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এ বাড়ির একটা রিতি আছে। নতুন বৌ প্রথম দিন এসে হালকা কিছু হলেও রান্না করে। সবার জন্য।
–জী মা ঠিক আছে।
মেঘ চল।
আমি আপুর সাথে রান্না ঘরে গিয়ে রান্না শুরু করলাম।
দু’জনে মিলে একটু মিস্টি বানিয়ে নিলাম৷
–মেঘ।
–হু।
–আমার কিছু কথা আছে।
–বল।
আমাকে আপুর দিকে মুখ করালো আপু,
–মেঘ আদহামের কথা ভুলে যা। আমান ভাইয়া কে ভালোবাসতে শেখ।
আমান ভাইয়া তের ভবিষ্যৎ।
–তোকে যদি আহম্মেদ ভাইকে বাদ দিয়ে অন্য কারোর সাথে বিয়ে দিয়ে এ কথা বলা হতো তুই কি বলতি আপু।
–দেখ মেঘ৷
–আগে উত্তর দে আপু।
–এর উত্তর জানা নেই কিন্তু ভাইয়া,
–আপু চল আর কিছু বলিস না তুই জানিস দায়িত্ব ব্যাপার টা আমার মাঝে বেশি কাজ করে৷ নিজের সব দায়িত্ব পালন করবো৷ চিন্তা করিস না আমার জন্য তোকে কিছু কথা শুনতে হবে না।
বড়ো অভিমান নিয়ে কথা গুলো বলে চলে এলাম ওখান থেকে।
এসে টেবিলে খাবার রেখলাম আমি আর আপু৷
–আচ্ছা তেমারও বসো সার্ভেন্ট রা খাবার দিবে। (মা)
–আচ্ছা মা এতে গুলো সার্ভেন্ট থাকতে আপনি কেন রান্না করেন (তোবা)
–কারন আমার দুই ছেলের কেউ আমার রান্না ছাড়া খায় না। এখন অবশ্য আমি অবসর নিবো তোমাদের এ দায়িত্ব দিয়ে।
এভাবে নানা কথায় খাবার পর্ব শেষ হলো।
–আচ্ছা আমান; আহম্মেদ বৌ দের নিয়ে ও বাসা থেকে ঘুরে আয়।
–মা আজ হবে না। (আমান)
–কেন?
–একটা ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং আছে। তার পর রাতে একটা পার্টি বাসায় হবে। রিসিপশনের মতো। আসলে অফিসের কাউকে বলা হয় নি বিয়ে তে। সো এ কাজ গুলো শেষ করে কালকে যাবো। (আমান)
–হ্যা মা আসলে মিটিং টা অনেক জরুরি।
(আহম্মেদ ভাইয়া)
আপুর মুখটা গোমড়া হয়ে গেল। আমার আর কি আমাকে তো যে যেমন চলতে বলছে তেমন চলছি।
–তোরা রাগ করিস না মা। কি বলবো বল।
বিয়ে টা তো আসলে হুট করে।
–না না মা ঠিক আছে। কিন্তু কাল কোন অজুহাত শুনবো না (তোবা)
–দিবো ও না (ভাইয়া)
তার পর ভাইয়া আর আমান চলে গেল অফিসে।
আমি রুমে চলে এলাম৷ বিছনায় বসে ভাবছি জীবনটা হটাৎ কেমন বদলে গেল না৷
–মেঘ।
দরোজায় তাকাতে দেখি আপু৷
–ভেতরে আয়।
আপু আমার কাছে এসে বসলেন।
–তুই রাগ
–নারে আপু আমি রাগ করে নাই সবি কপাল।
–আদহাম এর থেকে ভালো রাখবে ভাইয়া তোকে ।
–বাদ দে এসব পিচ্চি কেমন আছে বল।
–আর পিচ্চি। আমি নিজে এতে বড়ো একটা অন্যায় করে তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোকে বিয়েটা দিলাম। কষ্ট হচ্ছে রে।
আপুর কথা শুনে অনেক কষ্ট হলো কারন ও কান্না করে দিছে। এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে
সবটা ভুলে যেতে নিজেকে গুছিয়ে নিতে যদিও সেটা সহজ নয়৷। কিন্তু আপুর সামনে সাভাবিক থাকতে হবে। নাহলে ওর জন্য এতো কিছু করেও লাভ হবে না।
–নারে আপু আমান অনেক ভালো। আমার খুব খেয়াল রাখবে এতে চিন্তা করিস না৷ আমি ভালো থাকবো। আর যেখানে তুই আছিস সেখানে তো।
–তাই বুঝি৷
–হুম।
দুই বনে মিলে অনেক মজা করলাম।
ঠিক বাসায় যেমন করতাম তেমন।
চলবে,