Black Rose,Part_06,07
The Dark Prince of vampire Kingdom♚
MeghLa
Part_06
দক্ষিণ দিক থেকে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। ছাঁদে সেদিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি আমি৷ আমার বাসায় এই দক্ষিণ হাওয়া আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় এই বিকাল টাইমে ছাঁদে এসে হওয়াটাকে ফিল করি।
জীবনটা এক দুই দিনে পুরোটা বদলে গেছে। কিছুই সাভাবিক নাই৷
সবই আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
এসব ভেবছি চোখ বুজে হাওয়া নিচ্ছি৷
হটাৎ মনে হলো কেন শীতল স্পর্শ আমার কাঁধে পড়েছে৷ আমি জানি লোকটা কে৷ এই ২ দিনে তার প্রতিটা স্পর্শ কেমন চেনা চেনা লাগে। ওনার জন্য আমি যেটা ফিল করি সেটা আদহামের জন্য করতাম না৷
আমি ভেবেছিলাম নতুন জীবন শুরু করবো। কিন্তু উনি ।
–মেঘ কিছু বলতে চাই।
–বলুন।
–আমার জীবনের কঠিন সত্যি টা আজ তোমাকে বলতে চাই।
–মানে (ওানর দিকে ফিরে)
–আমি আহম্মেদ এর আপন ভাই না।
–কি
–হুম না আমি আম্মুর আপন ছেলে না আর না আমি মানুষ।
–বুঝিয়ে বলুন,
–তবে শোন
আমি মানুষ নই আমি vampire. আমার নিজের একটা রাজ্য আছে৷ বাবা আমাকে শেষ বার সবটার দায়িত্ব দিয়ে মারা গেছিলেন৷
আমি #The_dark_Prince থেকে
#King_of_vampires হয়ে গেলাম৷
দায়িত্ব অনেক।
আমাদের ভেতরে রুলস ছিলো আমরা কোন মানুষের রক্ত পান করতে পারবো না৷ আমাদের পশুপাখির রক্ত পান করতে হবে।
কিন্তু বাবা মারা জাবার পর সেটা কেউ মানে না৷ এদিকে আমি কিছু করতে পারি না৷
ঠিক এমনি এক দিন৷ আমার চোখের সামনে আহম্মেদ আর আমানকে তুলে এনে দুটো vampire রা। ওরা আমানকে মেরে ফেলে।
জখন আহম্মেদ কে মারতে যাবে তখন আমি গর্জে উঠি।
সেদিন আহম্মেদকে বাঁচিয়ে আমি আমানের জায়গা নি৷
অদ্ভুত ভাবে আমার নামও আমান খান।
তখন থেকে ওদের পাশে ছায়ার মতো আছি আমি৷
কারন বাবা হারা সন্তান আহম্মেদ বড়ো ভাইটাও মারা গেছে৷ ওরা ভেষে যাচ্ছিলো তাই আমি নিজের সব ছেড়ে এখানে আসি মানুষের মাঝে। গড়তে থাকি নিজের পরিচয়।
কিছু দিন পর আমার মনে হলো এখানে আমি কম্ফোর্ট না৷ নিজেকে কেমন একটা লাগতো৷
মনে হতো আমার কাউকে লাগবে৷ মা ভাই আমাকে কম ভালোবাসতো না নয়৷ আমি কখনো বুঝতে পারি নাই আমি ওনার ছেলে না বা আহম্মেদ এর ভাই না৷
ঠিক এমন এক দিন আমি তোমার দেখা পাই৷
একটা পিকনিক স্পটে মনে আছে তোমাকে তোমার সঠিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিছিলাম।
–ওটা আপনি ছিলেন৷
–হ্যা আমি ছিলাম।
–তাহলে আদহাম কে৷
–মানে,
–মানে সেদিন বাসায় এসে আমার ফোনে একটা ফোন আসে৷ আমি কল ধরতে আমাকে বলা হয় আমাকে নাকি উনি সাহায্য করেছে। আমি হারিয়ে গেলে৷ তখন আপনার মুখে মাক্স ছিলো তাই বুকি নাই৷
তার পর আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়৷ কিন্তু সম্পর্কের মুল ভিত্তি ছিলেন আপনি৷
–মেঘ আমি মানুষ নই। মানুষের মতো ভালোবাসা আছে৷ আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি৷
আজ তুমি সিদ্ধান্ত নেও তুমি কি করবে। আজ তুমি মুক্ত। তুমি যেটা বলবে আমি সেটা মেনে নিবো।
ওনার কথা শুনে ওনার চোখের দিকে তাকালাম৷
–আমি এই মূহুর্তে একটা vampire এর সাথে দাঁড়িয়ে আছি৷
কেমনে পসিবল।
–? আমি serious
–আমাকে আপনার রাজ্যে নিয়ে যাবেন?
–পাগল৷ ওরা তোমাকে দেখলে ছিঁড়ে খাবে৷
তোমার ভয় হচ্ছে না আমাকে৷
–না।
–কেন।
–কারন আপনি আমার স্বামী।
–কি বললা আবার বলো৷
–বললাম আপনি আমার স্বামী।
–তুমি আমাকে মেনে নিসো৷ ।
–না এতো দিন যা যা কষ্ট দিছেন সুদেআসলে ফেরত নিমু তার পর মাফ৷
–কি শাস্তি দিবা বলো৷
–তা সময় হলে বলবো। তখন দেখে নিবেন। মি.স্বামী৷
–মি.স্বামী এ কেমন নাম৷
–আমার দেওয়া নাম ?
–?
আমি ওখান থেকে চলে আসলাম আমানের মুখটা দেখার মতো ছিলো বাংলার পাঁচের মতো। হা হা।
উনি ভাবছে আমি এতো সিম্পিল বিহেব কেন করলাম। আসলে উনি তো জানেই না আমি সেই বিয়ের দিন থেকে জানি উনি একটা vampire. হি হি৷ আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে এবার উনাকে শাস্তি দিমু৷
খুশিতে খুশিতে নিচে এসে মাকে জড়িয়ে ধরি৷
এখানে এসে যে ব্যাবহার টা করেছি ওটা ঠিক না৷
–কি রে তোর আবার কি হলো।
–আমার কি হবে এখন তোমাকে জড়িয়ে ধরতেও পারবো না৷
–হ্যা পারবি৷ কেন পারবি না৷
–কিরে এতো খুশি কেন৷ (তোবা)
–যাহ বাবা খুশি হতে কারন লাগে।
–না। তা না৷
–আচ্ছা তোমরা জাজ করা বাদ দিলে একটা কথা বলবো৷
–হুম মহারানি বলুন৷
–(আচ্ছা আমান জদি #vampire_king হয় তাহলে আমি ওনার স্ত্রী হিসাবে #Queen তো হবোই না। আহেরে কতো দিনের সক রানি হবার ওটাও পুরোন হলো)
–কিরে কি ভাবিস।
–কই কিছু না।
–কি বলবি বললি৷
–ও মা ফুচকা বানাও না খাবো।
–এখন৷
–হ্যা এখন৷ প্লিজ মা৷
–আচ্ছা বসো ওখানে আমি দিচ্ছি করে।
আহারে কি আনন্দ আমানকে চিন্তায় ফেলে আমি গরম গরম ফুচকা খাবো৷
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাশে। ???
মনে মনে ডান্স করছি ?
চলবে,
Black Rose
the dark prince of vampire kingdom♚
MeghLa
Part_07
কিছু সময় পর,
আমরা একটা সুন্দর লেক টাইপের কোথাও এলাম৷ চোখের পলকে৷
চাঁদ উঠেছে। আজ পুরো জোছনা।
লেকের পানির উপর চাঁদের আলো পরে প্রতিফলন হচ্ছে।
চারি দিকে বড়ো বড়ো গাছ। মিস্টি বাতাস বইছে।
সামনে থাকা একটা কাঠ দিয়ে করা পাড়ে আমাকে নামালেন।
এতো সুন্দর এ দৃশ্য দেখে আমি সত্যি বাক রুদ্ধ।
–এটা কোথায় আমান।
–আমার রাজ্য তুমি এই রাজ্যের রানি।
–এটা vampire রাজ্য?
–হুম কিন্তু এখানে আমার অনুমতি ছাড়া কাউকে এলাউ না৷
তোমার জন্য করা৷ সুন্দর হইছে?
–খুব সুন্দর। সত্যি আমার মনটা এক দম ভালে হয়ে গেছে।
–আচ্ছা আরো অনেক গুলো জায়গা আছে কিন্তু৷
–আরো অনেক?
–ভয় নেই এর মধ্যেই আরো অনেক জায়গা আছে।
চলো আজকে নতুন করে প্রোপজ করি তোমাকে।
আমি আমানের দিকে তাকালাম।
উনি একটা কালো গোলাপ হাতে হাঁটু গেঁড়ে বসে আমার দিকে গোলাপটা দিয়ে বললেন
–জীবনের বাকি ১০০০ বছর তোমার সাথে থাকতে চাই৷ আমার বেঁচে থাকার কারন হবে প্রিয়।
ওনার কথা শুনে ওনার হাত থেকে ফুলটা নিয়ে নিলাম৷
তার পর উনি আমাকে একটা আংটি পরিয়ে দিলেন।
–যত দিন এটা তোমার সাথে আছে ভাব্বে আমি আছি৷
–সারা জীবন থাকবে।
–এতোকিছুর মধ্যে একটা কঠিন সত্যি আছে মেঘ।
–কি?
–আমি বেবি নিবো না।
–কেন
–তোমার লাইফ রিক্স আছে।
–আমান আমি কিছু জানি না। একটা বেবি ছাড়া এমনি মরে জাবো আমি।
–বাট।
–চুপ এখন এই মুহুর্ত টাকে নষ্ট করতে চাই না৷
চলুন পানিতে পা ভিজিয়ে আপনার কাধে মাথা রাখি৷
উনি আমার পাশে বসলেন৷ আমরা পা পানিতে দিয়ে দিলাম।
আমি মাথাটা ওনার কাঁধে রাখলাম৷
এটা যে কি শান্তি তা সুধু আমি জানি৷
অসম্ভব সুন্দর একটা পরিবেশ। আর প্রিয় মানুষ টার কাঁধে মাথা।
আমার আর কিছু লাগবে না৷
সময়টা এখানে থমকে যাক। আমি শুধু ফিল করতে চাই৷
কিছু সময় ওখানে কাটানোর পর
আমান আর আমি বাসায় চলে আসি।
–এই চাঁদ টা আজ আমার চাঁদের কাছে ফ্যাকাসে।
–ইস এটা পাম।
–না এক দমি না৷
আমান মেঘকে কাছে টেনে নেয়।
চাঁদের আলেতে গা ভিজিয়ে পূর্ণতা পেল ওদের ভালোবাসা।
সকালে,
খাওয়া-দাওয়ার শেষ করে,
–মা আমাদের এখন বেরোতে হবে। (আহম্মেদ)
–হ্যা অফিস যাবো ওদের বাসায় দিয়ে এসে৷ (আমান)
–আজ থেকে গেলে ভালো হতো না (মেঘের আম্মু)
–না মা সম্ভব না। (আমান)
কিছু সময় পর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বাসায় চলে এলাম৷
আমান আর ভাইয়া অফিস চলে গেল৷
–মেঘ৷
–হ্যা তোবা বল (আমি আমার আপুকে নাম ধরেও ডাকি আপু বলেও ডাকি তুই তো এমনি বলি ?)
–তোর না আমি বড়ো৷
–হি হি তো কিসে হুম
–আচ্ছা শুন দেখ কাল,
–আ আ এখন না বাদ দে আমি ভুলে গেছি সব৷
–তুই তো এতো জলদি সব ভুলে জেতে পারিস না৷
–আরে
–কি রে ভাইয়া কি করে মানালো বল তো।
–ধুর তুমিও না৷
–ওরে বাবা মেয়ে আবার ব্লাস করে দেখি৷
–বড়ো আমি কথা বলবো না কিন্তু।
–তাই দেখি কি কে না বলবে৷
শুরু হলো দুই বনের বজ্জাতি পনা৷
এভাবে হাসিখুশি তে কেটে গেল প্রায় ১ মাস৷
আনন্দে ভর পুর৷ এ পরিবার৷
মেঘ ? আমান এর মধ্যে ভালোবাসা আরো গভীর হইছে।
তোবা ? আহম্মেদ ও শুখে আছে৷
তদের মায়ের শুধু একটাই প্রর্থনা ওরা যেন এভাবে শুখি থাকে৷
সব কিছুই ঠিক চলছে,
এমনি এক দিন
সকালে,
পাখির কিচিরমিচির ডাকে চারি দিকে পরিপূর্ণ। সকালের সূর্য উদয় হইছে মাত্র।
মেঘ নামাজ পরা শেষ করে জায়নামাজ রেখতে পাশে ফিরতে হটাৎ পরে যেতে নিলো৷
আমান দৌড়ে ধরে বসে,
–মেঘ কি হলো৷
–জানি না ভালো লাগছে না৷
আমান অস্থির হয়ে মেঘকে শুইয়ে দেয়৷
ওদিকে একি সময় তোবাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷
চাঁদনি খান (আমান আহম্মেদ এর মা)
চিন্তায় পড়ে গেছেন৷
কিছু সময় পর ডক্টর এসে যা শুনালেন তাতে অবাক হলেও সত্যি৷
দুই বোনই মা হতে চলেছে।
বাড়িতে আনন্দ মিছিল হচ্ছে।
কিন্তু সব খুশির মধ্যে আমানের মনে কোথাও ভয় স্পষ্ট।
সেটা বুঝতে পারেন চাঁদনি খান৷ তার অগোচরে কিছু নাই৷
–চিন্তা করো না সব সমস্যার সমাধান হবে৷
–কিন্তু মা৷
–কোন কিন্তু না আরে ভাই বাসায় দুই দুটো মেহমান আসতে চলেছে মিস্টির আয়োজন কর৷ ।
মায়ের কথা শুনে সারা পারায় মিস্টি বিতরন করলো আমান আর আহম্মেদ।
এদিকে দুই মেয়ের এ খবর শুনে চলে এসেছেন রায়হান আজিজ আর রেহানা বেগম৷ মেঘ তোবার মা বাবা৷
বাড়িটা আজ পরিপূর্ণ খুশিতে৷
সবার হাসি ঠাট্টায় মেতেছে আজ খান বাড়ি৷
ইট গুলো যেন বুঝতে পারছে নতুন মেহমান আসবে।
কিন্তু এতো শুখ আদও কি কপালে আছে৷
?
সেটাই দেখার পালা।
চলবে,