Deewana (A crazy lover)
Part:17
Writer: urme prema (sajiana monir)
সায়রা:(কিছুক্ষন ভেবে )আমি যাবো অমিত ভাইয়াকে বোঝাতে
রশ্নি:কিন্তু সায়রা কোন প্রবলেম হলে ?
সায়রা :কিছু হবে না আমি সব ঠিক করে দেব আমার উপর ভরসা রাখ তুই আর অমিত ভাইয়া এক হোবি ।ভাইয়া এখন কোথায় আছে ?
রশ্নি :সে গাজিপুরে আসছে
সায়রা:ওকে তাহলে ভাইয়াকে ঠিকানা দিতে বল আমি সেখানে গিয়ে ভাইয়ার সাথে দেখা করবো এই নে ফোন (ফোন দিয়ে)
রশ্নি:ওকে থেংক ইউ সায়রু (জরিয়ে ধরে)
সায়রা:থেংকস বলতে হবে না আমরা বেস্টি তো নো থেংক্স নো সরি ওকে
রশ্নি:(হেসে)ওকে বালিকা বধূ।
সায়রা আর রশ্নি নিচে চলে গেল।
নিচে…..
সায়রা আর রশ্নি নিচে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করার জন্য দুজনই বেশ চুপচাপ বাকি সবাই মজা করছে রাতের ফাংশনের প্লানিং করছে আরসাল এসে সায়রার পাশে বসে কিন্তু সায়রার সেদিকে কোন খেয়াল নেই সে নিচের দিকে তাকিয়ে তার ভাবনায় বেস্থ কি ভাবে এখান থেকে বের হয়ে অমিতের সাথে দেখা করবে আরসালে বেশ কিছুক্ষন ধরে সায়রাকে লক্ষ করছে হঠাৎ সায়রার হাত নিজের হাতে নিয়ে নেয়।কারো হাতে স্পর্শ পেয়ে সায়রা পাশে তাকায় তাকিয়ে দেখে আরসাল তার দিকে ভ্রু কুচঁকিয়ে তাকিয়ে আছে আরসালের এই ভাবে তাকানোর কারন খুঁজে পাচ্ছেনা ।সায়রা মুখে মুচকি হাসির রেখা টেনে বলতে লাগে
সায়রা:কি হয়েছে ?
আরসাল:তোমার পাশে সেই কখন থেকে বসে আছি সে দিকে কি তোমার খেয়াল আছে?কি চিন্তায় মগ্ন তুমি ?
সায়রা:সরি একচু্য়ালি রাতের ফাংশনের কথা চিন্তা করছিলাম (আমতা আমতা করে)
আরসাল:এত চিন্তা করতে হবে না সবাই আছে ।এখন ব্রেকফাস্ট কর আর ব্রেকফাস্ট করে মেডিসিন খাবা মনে করে না হলে তোমার খবর আছে ।
সায়রা :হুম খাবো মেডিসিন
আরসাল :হাতের ব্যথা কমেছে?
সায়রা : হুম কমেছে
আরসাল: Video conference এ লন্ডনের ক্লাইন্ডের সাথে এ আমার মিটিং আছে কয়েক ঘন্টা আমি আমার রুমে থাকবো ।তুমি এর মধ্যে বাড়ি থেকে বের হবে না ।বাড়ি থেকে বের হওয়া তোমার জন্য সেফ না বুজেছো ।আর নিজের রুমে চুপচাপ রেস্ট নিবে
সায়রা :(মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে )ওকে
আরসাল সায়রার বাম হাতের উলটো পিঠে চুমু দিয়ে আবার আগের মত হাত ধরে রেখে সায়রাকে ব্রেকফাস্ট করতে বলে ।সায়রা বাদ্ধ মেয়ের মত ব্রেকফাস্ট করতে লাগে ।
রিসা ব্রেকফাস্ট করতে টেবিলে দিকে আসছিল সায়রা আরসালকে একসাথে দেখে সে ফুসতে থাকে দাতঁ কট কট করে বলতে লাগে
রিসা:কাল ভাগ্যের জোরে তুমি বেচে গেছ যাক ভালোই হয়েছে তুমি মরে গেলে ও আরসাল তোমাকে ভুলতে পারবে না তাই তোমাকে মারবো না তোমাকে আরসালের মন থেকে বের করবো যেখানে তোমার জন্য আরসালের মনে ভালোবাসা আছে সেখানে ভালোবাসার বদলে ঘৃনা আর বিষ দিবো ।তাহলে আমি তাকে খুব সহজেই হাসিল করতে পারবো ওকে
ব্রেকফাস্ট করে আরসাল উপরে চলে যায় ।সায়রা সুযোগ বুজে সবার আরালে লুকিয়ে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় সায়রাকে লুকিয়ে বের হতে দেখে রিসা ও পিছনে পিছনে সায়রা কে ফলো করতে করতে যায়।সায়রা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামিয়ে ভিতরে চলে যায়।
Restaurant…
সায়রা রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে দেখে কোনায় একটা টেবিলে অমিত বসে আছে সায়রা অমিতের কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বসে
অমিত সালামের উওর নিয়ে বলতে লাগে
অমিত:কেমন আছো সায়রা ?
সায়রা:জি ভাইয়া ভালো ।আপনি কেমন আছেন?আপনি কি করে আমার নাম জানেন?
অমিত: (মুচকি হেসে )ভালো।রশ্নির মুখে হাজার বার তোমার নাম শুনেছি ।
সায়রা:ওওও
অমিত :রশ্নি আসে নি?
সায়রা:ভাইয়া আসলে আমি আপনার সাথে রশ্নির ব্যপারে কথা বলতে এসেছি ।রাফি ভাইয়া আপনার আর রশ্নির রিলেশন সম্পর্কে জেনে গেছে আর সে কিছুতেই তা মানছে না সে রশ্নিকে হুমকি দিয়েছে যদি আপনার সাথে রশ্নি কোন যোগাযোগ রাখে তাহলে আপনাকে মেরে ফেলবে ।
অমিত:রাফি আমার ক্ষতি করতে পারবে না কারন সে কিছু করতে আসলে আমিও তাকে ছাড় দেব না ।কিন্তু আমি চাইনা কোন ঝামেলা ।আমাদের দুজনের বয়েসের difference একটু বেশি তাই বলে কি আমাদের একে অপরকে ভালোবাসার কোন অধিকার নেই?আমরা এখন দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছি নিজের মনের উপর তো আর কারো কোন কন্ট্রোল থাকে না এখন তা কি খুব বড় অপরাধ করে ফেলেছি? যদি আমরা একে অপরের সাথে খুশি থাকব ভালো থাকব তা রাফি কেন বুজছে না ?আমার রশ্নিরকে ভুলা অসম্ভব আমি ওকে ছাড়া বাচাঁর কথা কল্পনাও করতে পারিনা ।
সায়রা:ভাইয়া আমি বুজছি আপনার দিকটা কিন্তু আপনি রশ্নির দিকটা বোজার চেষ্টা করেন কিছুটা সময় নিন রিদ্ধিদির বিয়ের পর আমি আর রশ্নি দুজন রাফি ভাইয়াকে বোজাবো আংকেল আন্টিকে বোজাবো আশা করি তারা বুজবে ।কিন্তু প্লিজ ভাইয়া এর মধ্যে কোন পাগলামো করবেন না আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনার রশ্নিকে ঠি ক আপনার হাতে তুলে দেব যে কোন মূল্যই হোক আপনাদের দু জনকে এক করবো ।
অমিত:থেংক ইউ সায়রা তোমার উপকার কখনো ভুলবো না ।
সায়রা:না ভাইয়া এতে থেংকংস দেওয়ার কিছু নেই ।
অমিত:জানো আমার কোন বোন নেই আমি কি তোমাকে আমার বোন বলতে পারি ?
সায়রা:অবশ্যই ভাইয়া আমি ও একটা বড় ভাই পাবো (খুশি হয়ে)
সায়রা:আচ্ছা ভাইয়া আমাকে এখন যেতে হবে বাড়িতে কেউ জানে না আমি বাহিরে সবাই খুঁজবে ।
অমিত:আমি নামিয়ে দিয়ে আসি
সায়রা:না ভাইয়া আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি
অমিত:ওকে বোন তাহলে যাও বায়
সায়রা:বায়(মুচকি হেসে)
সায়রা গাড়ি উঠে চলে যায় ।রিসা এত সময় লুকিয়ে সব শুনেছে আর অমিত আর সায়রার ছবি তুলেছে যা দেখলে যে কেউ মনে করবে তারা প্রেমিক প্রেমিকা ।রিসা শয়তানি হেসে বলতে লাগে
রিসা :এখন এই ছবি গুলোই আমার হাতিয়ার ।এই ছবি গুলোই এই বেহেনজিকে আমার আরসালের জিবন থেকে দূর করবে ।এই বেহেনজির পিছু নিয়ে ভালোই হয়েছে ।এখন ঠি ক সময়ে এই ছবি গুলো আরসালকে দিবো আর এই বেহেনজিকে তার জিবন থেকে বের করবো।
বাড়িতে…..
সায়রা বাড়িতে এসে গেটের সামনে নেমে বাড়ির ভিতরে ডুকতে নিবে দেখে আরসাল বাড়ি থেকে বের হবার জন্য গাড়ির দিকে এগোচ্ছে ভয়ংকর রেগে আছে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে চোখ লাল হয়ে আছে ।সায়রাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে আরসাল থেমে যায় রাগটা যেন আরো বেড়ে গেলো সায়রার হাত ধরে কোন কথা না বলে সায়রাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো ।সায়রা ভয়ে কথা বলা ভুলে গেছে সায়রাকে নিয়ে আরসাল সোজা নিজের রুমে চলে যায় ।নিজের রুমে নিয়ে দরজা অফ করে দেয় ।আরসাল সায়রার দিকে এগোচ্ছে আর সায়রা সব সময়ের মত আরসালের রাগ দেখে ভয়ে পিছাচ্ছে ।পিছনে যেতে যেতে হঠাৎ করে সায়রা ধব করে বেডে বসে পরে আরসাল সায়রার কাছে এসে সায়রার হাত ধরে নিজের কাছে এনে সায়রার দিকে ঝুকেঁ চোখ বন্ধ করে নিজের রাগটাকে কিছুটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে শান্ত ভাবে বলতে লাগে
আরসাল:কোথায় গিয়েছিলে ?
সায়রা:চুপ
আরসাল:এই মেয়ে বল কোথায় গিয়েছিলে ?(জোরে ধমক দিয়ে পাশের flower vase ছুড়ে ফেলে)
সায়রা কেপেঁ উঠে চোখ থেকে পানি ঝোড়ঁতে থাকে সায়রা কেপেঁ কেপেঁ বলতে লাগে
সায়রা:মা..মার..মার্কেটে গিয়েছিলাম কিছু প্রয়ো…প্রয়োজনীয় জিনিস আ…অানতে (কান্না করতে করতে )
আরসাল সায়রাকে ভয়ে কান্না করতে দেখে নিজেকে নিজেই বলতে লাগে
আরসাল:কন্ট্রোল আরসাল কন্ট্রোল নিজের রাগকে কন্ট্রোল কর আবার নিজের রাগ ওর উপর ঝাড়ছিস। ও তোর এই রাগটাকে ভয় পায় আর তুই সব সময়ের মত একই ভুল করছিস। না না ওর কান্না থামাতে হবে নয়তো আবার ভয়ে দূরে সরে যাবে এমনি অনেক কষ্টে এত বছর পর নিজের করে পেয়েছি আবার নিজের ভুলের জন্য চাইনা দূরে সরে যাক ।
আরসাল সায়রার কাছে যেয়ে সায়রাকে নিজের কোলে নিয়ে জরিয়ে ধরে চোখেরঁ পানি গুলো নিজের ঠোঁট দিয়ে শুষে নিয়ে সায়রার একগালে হাত দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:সরি জান মিসবিহেবের জন্য । তোমাকে না বলেছি বাড়ি থেকে বের হতে না তোমার জন্য সেফ না তুমি কেন আমার কোন কথা তুমি কেন শুনো না? তুমি কেন বোঝার চেষ্টা করনা ? যে তোমাকে কিডনেপ করিয়েছিল তাকে এখন ও খুজেঁ বের করতে পারিনি সে সুযোগ খুজঁচ্ছে তোমার উপর আবার হামলা করার জন্য আর তোমার এই সব খামখেয়ালীর জন্য সে ঠি কই তা পেয়ে যাবে ।তোমার কিছু প্রয়োজন হলে বলতে আমাকে আমি যেতাম তোমার সাথে ।জানো তোমাকে পুরো বাড়িতে খুজেঁ না পেয়ে আমার কি অবস্থা হয়েছিল?কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ।ভেবেছি তোমার আবার কোন বিপদ হয়েছে ।জান যায় যায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিলে আমার ।পাগলের মত তোমাকে পুরো বাড়িতে খুজেঁছি ।যদি কোন ক্ষতি হতো ।কেন এমন খামখেয়ালি কর জান (আবেগী কন্ঠে )
সায়রা আরসালকে সেভাবেই নিজের সাথে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
সায়রা:আপনি conference এ busy ছিলেন তাই আপনাকে ডিস্টার্ভ করতে চাইনি ।
আরসাল:আমার জন্য সবার আগে তুমি তার পর সব ।তুমি আমাকে বললেই হতো আমি নিয়ে যেতাম ।একা যাওয়া উচিত হয়নি ।
সায়রা :ড্রাইভার আংকেল সাথে ছিল ।
আরসাল:(ঘাড়ে চুমু দিতে দিতে )এমন আর কখনো করবে না ।
সায়রা:ওকে (মুচকি হেসে)
আরসাল:আই লাভ ইউ জান
সায়রা:আই লাভ ইউ টু
আরসাল সায়রাকে নিজের বুকে জরিয়ে ধরে সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে মনে মনে বলতে লাগে
সায়রা:সরি মিথ্যা বলার জন্য এখন আপনাকে বললে আপনি তা বুজবেন না প্রত্যেক বারের মত পাগলামো করবেন ।সব কিছু ঠি ক হোক আপনাকে সব জানাবো কখনো কিছু আপনার থেকে লুকাবো না ।প্রমিজ
হঠাৎ আরসাল দুষ্টু হেসে সায়রাকে বেডে টান দিয়ে ফেলে সায়রার দিকে ঝুকেঁ দুষ্টু হেসে বলতে লাগে
আরসাল:এখন ভুল যখন করেছো তোমাকে তো শাস্তি পেতেই হবে
সায়রা:(ভ্রু কুচকিয়ঁ )কি শাস্তি?
আরসাল:তোমার শাস্তি হল তোমাকে তোমার হবু বরকে কিস করতে হবে (সায়রা কপালে কিস করে)
সায়রা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে
সায়রা:কখনো না
আরসাল:তাহলে আমি তোমাকে ছাড়ছি না আমি তোমাকে এভাবেই আটকিয়ে রাখবো
সায়রা:প্লিজ যেতে দিন
আরসাল :আগে কিস কর তার পর
সায়রা কিছু সময় ভেবে লো ভয়েসে বলতে লাগে
সায়রা :তাহলে চোখ বন্ধ করেন
আরসাল:ওকে জান
সায়রা আস্তে আস্তে আরসালের দিকে আগাতে থাকে আরসাল খুশি হয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে সায়রা সুযোগ বুজে আরসালকে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে দরজা খুলে দরজার সামনে দাড়িয়ে হাসতে হাসতে বলতে লাগে
সায়রা:এত সহজ না সায়রাকে জব্দ করতে পারবেন না
আরসাল:এটা ঠি ক না এটা কিন্তু চিটিং সায়রা ( ঠোঁট উলটো করে)
সায়রা :everything is fair in love and war (মুচকি হেসে)
আরসাল সায়রাকে ধোরতে নেয় সায়রা দৌড় দেয়।
রুমে…..
সায়রা বেগ থেকে লেহেঙ্গা বের করে বেডে রাখে হঠাৎ মাওয়া সায়রার রুমে এসে বলতে লাগে
মাওয়া:কি খবর বালিকা বধূ কোথায় থাকিস ?আজ কাল দেখা যায় না তোকে।ভাইয়ার সাথে রোমেন্সে বিজি থাকিস বুজি ?(দুষ্টু হেসে)
সায়রা:হ্যা দেখবি কি করে তুই তো আজ কাল সিফাত ভাইয়ার মাঝে ডুবে থাকিস
মাওয়া:স্টপ সাইরু কি বলছিস
সায়রা:যা সত্য তাই বলছি ।তো কত দূর এগোলো ? Answer দিয়েছিস?(ভ্রু নাচিয়ে মুচকি হেসে )
মাওয়া:সায়রু তোকে আজ খুন করবো (তেড়ে এসে)
সায়রা দৌড় দেয় মাওয়া ও তার পিছন পিছন দৌড় দেয় ।সায়রা মাওয়া যেতেই রিসা সুযোগ বুজে সায়রার ঘরে ডুকে সায়রার লেহেঙ্গার টপসের টেইন নষ্ট করে দেয় ।রিসা শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে লাগে
রিসা:বেহেনজি আজ সন্ধ্যায় তোমার এমন অবস্থা হবে তুমি নিজে লজ্জায় আত্নহত্যা করবে ।তুমি আমার চুলে চুংগাম লাগিয়েছিলে তাই আমি তোমার ড্রেসের এমন অবস্থা করেছি তা পরে সন্ধ্যায় পার্টিতে গেলে তা সবার সামনে খুলে যাবে আর তুমি সবার সামনে ছোট হবে ।লজ্জায় আত্নহত্যা করবে…
চলবে…
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️