Deewana (A Crazy lover)Part:10
Writer: urme prema (sajiana monir)
সায়রা আরসালের শেষ কথা শুনে আরসালকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ।আরসাল বুজতে পারে সায়রা কেন তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে ।আরসালের চেহারায় মুচকি হাসি ফুটে উঠে ।সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে এক অন্যরকম শান্তি পাচ্ছে ।এভাবে দুজন দুজনাকে জরিয়ে রেখেছে।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে সায়রা ঘুমিয়ে গেছে।আরসাল মনে মনে হাসে যে কেউ এমন কিভাবে ঘুমপাগলি হতে পারে ।সায়রাকে বালিশে শুয়িয়ে দেয় ।হঠাৎ হাতে নজর গেলে দেখতে পায় লাল হয়ে আছে ।রুমে first aide বক্স খুজেঁ সায়রার হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দেয়।আরসাল সায়রার সামনের চুল গুলো সরিয়ে কপালে ঠোঁটে গভীর চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:অনেক ভালোবাসি জান যা তোমার ধারনার বাহিরে ।তোমাকে প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা ঘন্টা প্রত্যেকটা মিনিট প্রত্যেকটা সেকেন্ড পাশে চাই তোমাকে ভালোবাসতে চাই।আমার কাছে তুমি কি তা তুমি জানো না ।এভাবে তোমার থেকে দূরে থাকা বেশ কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।আমি তোমাকে চাই নিজের করতে চাই ।নিজের মত করে ভালোবাসতে চাই ।প্লিজ জান তারাতারি নিজের মনের কথাটা বল আমি শুধু তার অপেক্ষায়ই আছি।আই লাভ ইউ জান
Humein tumse pyaar kitna
Yeh hum nahi jaante
Magar jee nahi sakte
Tumhaare binaaaa
বাড়িতে কেউ ফিরার আগেই আরসাল সায়রার কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়।সায়রা ঘুমে মগ্ন থাকে
সকালে….
ভোরে আবছা আলো জানালার ফাকঁ দিয়ে এসে সায়রার চোখে পোড়ছে ।ঘুমের মধ্যেই সায়রা কপাল কুঁচকালো যেন তার কিছটা বিরক্ত লাগছে ।জানালার বাতাসে পর্দা সরে যেতেই রোদ পুরো পুরি ভাবে মুখে পড়ে সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে ।আড়মোরা ভেঙ্গে উঠে বসে ।বাতাসে সামনের চুল গুলো মুখে পড়ছে ।রাতে আরসালের স্পর্শ আরসালের কথা গুলো মনে পড়তেই মুখে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠে ।
এতক্ষোন আরসাল কফির কাপ হাতে নিয়ে লেপটপে সায়রাকে দেখছিল সায়রার প্রত্যেকটা কাজ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছি।সায়রার সব কিছুর মাঝেই যেন বিশেষ কিছু রয়েছে যা আরসালকে তার দিকে টানে ।আরসালকে মুগ্ধ করে রাখে।আরসালের সায়রার প্রতি পাগলামো গুলোকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
হঠাৎ সায়রা ফোন বেজে উঠে সায়রা ফোনে তাকিয়ে দেখে আরসাল ফোন দিয়েছে মূহুর্তেই মুখে মুচকি হাসি ফুটে উঠে ।সায়রা কি জানো ভাবতে লাগে ।ভাবতে ভাবতে ফোন কেটে যায়।আবার ফোন বাজতে শুরু করে ।সায়রা ফোন রিসিভ করে কানে ধরে বলতে লাগে
সায়রা:হ্যালো (নরম সুরে )
আরসাল:গুডমর্নিং জান
সায়রা:মর্নিং (আস্তে করে বলে )
আরসাল :ঘুম কেমন হলো জান
সায়রা:ভালো
আরসাল :ভালো তো হবে কাল রাতে আমার বুকে যে ঘুমিয়েছিলে ।ইচ্ছে তো করছিল তোমাকে ঐ ভাবে কলে করে বাড়িতে নিয়ে আসি কিন্তু তা সম্ভব ছিল না ।
সায়রা বেশ লজ্জা পেল লজ্জা ভরা হাসি দিয়ে সামনের অবাদ্ধ চুল গুলোকে কানের পিছনে গুজতে নেয় ।হঠাৎ আরসাল বলতে লাগে
আরসাল:থাক না চুল গুলো উড়ছে ভালো লাগছে এভাবে থাক
সায়রা আশে পাশে আরসালকে খুজঁতে লাগলো ।আরসাল শব্দ করে হেসে বলতে লাগে
আরসাল: আমি তোমাকে সিসি ক্যামেরায় দেখছি জান ।আশে পাশে খুজলে আমাকে পাবে না জান
সায়রার তখন ক্যামেরার কথা মনে পড়লো এতদিন তো তা ভুলেই গিয়েছিল।
আরসাল :তবে তুমি চাইলে আমি এখন আসতে পারি ।(দুষ্টু হেসে)
সায়রা কিছু বলতে নিবে তার আগেই দরজায় নকের আওয়াজ শুনে বাহির থেকে সায়রার মা চিৎকার করে বলতে লাগে
সায়রার মা:সায়রা সায়রা দরজা খুলে নিচে ব্রেকফাস্ট করতে আসো
সায়রা:এই তো মা আসছি এখনি ।
সায়রার মা দরজার সামনে থেকে চলে যায় সায়রা আরসালকে বলতে লাগে
সায়রা :আম্মু ডাকছে বায়
আরসাল :ওকে জান ।আই লাভ ইউ
সায়রা মুচকি হেসে ফোন কেটে দিলো।আরসাল বলতে লাগে
আরসাল:জান ভালো তো তুমি আমাকে বাসো তা তুমি মুখে শিকার কর আর না কর ।খুব তারাতারি তুমি আমাকে তোমার মনের কথা বলবে জান ।শুধু সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি।কবে তোমাকে সম্পূর্ন ভাবে আমার করে পাবো ।লাভ ইউ জান
নিচে…..
সায়রা ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে নিচে চলে গেল ।নিচে গিয়ে দেখে আগে থেকেই মুন পাখি পিয়াস ব্রেকফাস্ট করছে ।সায়রার মা পাখির দিকে রেগে বলতে লাগে
মা:পাখি তুমি আবার মারামারি করেছো স্কুলে ? আজ প্রিন্সিপাল মেম আমাকে ফোন দিয়েছে ।
সায়রা :(অভাক হয়ে)আবার মারামারি করেছিস তুই পাখি ?প্রতিদিন কোন না কোন কমপ্লেইন তোর নামে আসে । এখন আবার কি করেছিস?(চোখ ছোট ছোট করে কমোড়ে হাত দিয়ে)
পাখি :দিস আমার কোন দোষ নেই ঐ ছেলে আমার ড্রইং করা ছবি ছিড়ে ফেলেছে তাই আমি আমার girls gang নিয়ে ওকে মেরেছি।ভালো করেছি না দি (দাতঁ বের করে হাসি দিয়ে)
সায়রা:(অভাক হয়ে)তোর আমার gang ও আছে ? তুই মাত্র থ্রি তে পরিস এখনি তোর girls gang আছে।
পাখি :হ্যা দি ।আর আমি তাদের বস (বুক ফুলিয়ে )
সায়রা:(মায়ের দিকে তাকিয়ে)আম্মু এটা আমারি বোন তো নাকি তুমি হসপিটাল থেকে কিনে এনেছো ?
মুন :(হাসতে হাসতে বলতে লাগে)পাখিকে আরসাল ভাইয়ার পার্ফেক্ট শালি মনে হয়।যেমন জিজু তেমন তার শালি দুজনই গুন্ডা।
সায়রা:চুড়েঁল তুই চুপ থাক
মুন :হুম বালিকা বধূ আপনি আপনার লেকচার শুরু করতে পারেন ।
সায়রা মুনের কথায় কান না দিয়ে পাখির দিকে ফিরে বলতে লাগে
সায়রা:পাখি তুই এসব কেন করিস ?প্রতিদিন কোন না কোন কমপ্লেইন আসে তোর নামে কই পিয়াস তোর বড় ওর নামে তো কোন কমপ্লেইন আসে না?তুই ভালো হবি না?
পাখি :পিয়াস ভাইয়া বড় তাই তো কোন কমপ্লেইন আসে না ।আমি বড় হলে আমার ও আসবে না ।প্লিজ দি এখন এমন লেকচার দিও না বড় হলে ভালো হয়ে যাবো
সায়রা পাখির কানে ধরে বলতে লাগে
সায়রা:নেক্সট টাইম যেন কোন কমপ্লেইন না আসে ।
পাখি :ওহোওওও দি লাগছে তো ।সত্যি আর মারামারি করবো না প্রমিজ ।এখন তো ছাড়ো দি
সায়রা :হুম মনে থাকে যেন ।
হঠাৎ পিছন থেকে দাদাজীর ডাক শুনতে পেলো ।সায়রা পিছনে তাকিয়ে দেখে দাদাজি ,দাদিমা ,অমি দাড়িয়ে আছে সায়রা দৌড় দিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরে ।জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
সায়রা:দাদাজি কেমন আছেন ?(হেসে )
দাদাজি :ভালো তুমি কেমন আছো?
সায়রা: ভালো
দাদীমা মুখ ঘুরিয়ে বলতে লাগে
দাদীমা:আমাকে কারো চোখেই পড়ে না সব ভালোবাসা নিজের
দাদাজীর জন্য
সায়রা:(দাদীকে পিছন থেকে জরিয়ে বলতে লাগে গালে চুমু দিয়ে বলতে লাগে)ও হো আমার বিউটিফুল দাদী তুমি কেন রাগ করছো ?তুমি জানো আমি তোমাকে কত কত কত গুলো মিস করছিলাম ?সত্যি তোমাকে খুব মিস করেছি
দাদীমা:হয়েছে আর মিথ্যা বলতে হবে না (সায়রা কে সামনে এনে জরিয়ে ধরে )
সায়রা:সত্যি দাদীমা ।ওকে মান অভিমান ছাড়ো ডাক্টার কি বলছে তা বলো সব কিছু ঠি ক আছে তো?
দাদীমা:হুম আমার মিষ্টি বুড়ি সব ঠিক আছে ।ঔষধ খেলে সব ঠিক হয়ে যাবে ।(কপালে চুমু দিয়ে)
মুন:ও হো সব ভালেবাসা এই বালিকা বধূর জন্য আমি ,পাখি ,পিয়াস ,দিয়া তো নদীর জলে বেসে এসেছি তাই না?
সায়রা:ঠি ক বলেছিস চুড়েঁল ।তোরা নদীর জলে বেসে এসেছিস।আমি এই বাড়ির একমাত্র মেয়ে আর তোরা পানি তে ভেসে এসেছিস
মুন : তোর সাথে পরে ঝগড়া করবো আগে আমার জন্য কি এনেছে তা দেখে নেই (মুখ ভেংচি দিয়ে)
সায়রা:লোভি চুড়েল(মুখ ভেংচি দিয়ে)
মুন পাখি দিয়া পিয়াস দাদাজী দাদিমার সাথে কথা বলতে লাগলো ।সায়রা অমি কাছে গিয়ে বলতে লাগে
সায়রা:ভাইয়া আমার জন্য কি এনেছো ?
অমি :সিরিয়াসলি সায়রু আমি কেমন আছি তা না জিগাস করে সরাসরি কি এনেছি তা নিতে এসে পরলি ।হাও মিন (অসহায় ভাবে)
সায়রা: দেখ ভাইয়া কথা না ঘুড়িয়ে আমার জন্য যা এনেছো তা দেও।আর তোমাকে কি জিগাসা করবো দেখছি তো তুমি পুরোপুরি সুস্থ আছো ।ভালো আছো
অমি:সায়রু এই তোর ভাইয়ের জন্য ভালোবাসা ভাইয়ের জন্য টান(নেকা কান্না করে)
সায়রা:এই টিভি সিরিয়ালের হিরোইন দের মত ড্রামা না করে আমাকে আমার জিনিস দেও তো
অমি :কি আমি হিরোইনদের মত ড্রামা করি? (রেগে) যা তোর জন্য যা এনেছি তা দিব না ।
সায়রা:রিয়েলি ভাইয়া ?
অমি :হুম
সায়রা:ওকে নো প্রবলেম আমি দাদাজি দাদিমাকে রিহা আপির কথা বলে দেই
অমি :কোন রিহা?(মনে করার ভাব ধরে)
সায়রা:ঐ যে শপিং মলে যে ছিল তোমার সাথে।মনে পরেছে?দা…দাজী (জোরে)
অমি :(সায়রার মুখ চেপে ধরে)সায়রু আমার ছোট মিষ্টি বোন এই নে তোর গিফ্ট ।প্লিজজ মুখ বন্ধ রাখ বোন আমার
সায়রা:(ভাব নিয়ে)ওকে এখনকার জন্য চুপ রইলাম ।হুম
অমি :ব্লেকমেইলার সায়রু (আস্তে করে )
সায়রা:কিছু বললে ভাইয়া (আরচোখে তাকিয়ে)
অমি :বলেছি আমার মিষ্টি বোন সায়রু (দাতঁ বের করে হাসি দিয়ে)
সায়রা:তাহলে ঠিক আছে ।
সবাই গল্প করছে বাড়ি আজ সবাই অনেক দিন পর এক সাথে ।হঠাৎ দাদাজি বলতে লাগলো
দাদাজী :আজ অনেক দিন পর সবাই একসাথে তাই ভাবছি আজ নিলয় আর আফরাফকে ও সবাইকে নিয়ে আসতে বলবো ।শুনেছি আরসাল নাকি দেশে এসেছে ৬ বছর ধরে ওকে দেখিনা আমার কথা রাখতে সে লন্ডনে চলে গিয়েছে ।আমার সব শর্ত সে মেনেছে।আজ সবাইকে ডিনারে invite করবো ।
দাদিমা:ঠিক বলেছে অনেকদিন হয়েছে সবাই একত্র হই না ।আর আরসালকে ও কত বছর ধরে দেখিনা।তাই আজ সবাইকে ডিনারে invite করলে ভালো হয় ছোট গেটটুগেদার হয়ে যাবে ।
দাদাজী হাতে ফোন নিয়ে নিলয় চৌধুরি ও আফনাফ খাঁনকে ফোন দিয়ে বাসায় রাতে ডিনারের জন্য invite করে ।সায়রার আরসাল আসবে শুনেই মনে মনে খুশি হতে লাগলো ।নিজের রুমে চলে গেল ।
রুমে….
সায়রা কাল রাতে আরসালের সাথে সময় কাটানোর পর ,আরসালের কথাগুলো শুনার পর ,আরসালের ভালোবাসাক স্পর্শ গুলোর পর থেকে বেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে।সায়রার মনের বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে।রুমে এসে ভাবতে লাগে কি পড়বে? আজ আরসালের সামনে যেন তাকে বেস্ট লাগে ।কিন্তু কিছুই মাথায় আসছে না ।আরসাল সায়রাকে শাড়ি পড়া দেখতে পছন্দ করে তাই এত বছর মায়ের দেওয়া শাড়ি যেগুলো কখনো সায়রা ছুয়েঁ ও দেখেনি আজ তা আলমারির থেকে বের করে সামনে নিয়ে বসে আছে।কি কালার পরবে কোনটা পড়বে তা চুজ করতে পারছে না ।সায়রার মাথা কাজ করছে না তাই উপায় না পেয়ে মাওয়াকে ভিডিও কল দেয়।মাওয়া ফোন রিসিভ করে দেখে সায়রা ঠোঁট উলটিয়ে বসে আছে ।মাওয়া সায়রার এমন ফেস দেখে বেশ হাসি আসছে ।নিজের হাসি কন্ট্রোল করে বলতে লাগে
মাওয়া:কি হয়েছে বালিকা বধূ ?এভাবে ঠোঁট উলটিয়ে বসে আছিস কেন?ভাইয়া কিছু করেছে?(মজা করে)
সায়রা: মায়ু স্টপ কিডিং ইয়ার(রেগে)
মাওয়া:ওকে ওকে বল কি হয়েছে (সিরিয়াস ভাবে )
সায়রা:আই নিড ইউওর হেল্প (কাদো কাদো করে )
মাওয়া:জিনিয়াস সায়রার আমার হেল্প প্রয়োজন ব্যপার টা ভাববার বিষয়
সায়রা:আবার শুরু করলি?(রেগে)
মাওয়া:ওকে সরি ইয়ার আর মজা করবো না বল কি হেল্প লাগবে ?
সায়রা:আজ বড় আব্বু দের আর নিলয় আংকেলদের ফেমিলির সবাইকে ডিনারে invite করেছে (আস্তে আস্তে করে)
মাওয়া:তো ???
সায়রা :মায়ু আগে কথা শেষ হতে দে তার পর বল (চিৎকার করে)
মাওয়া :ওকে সরি বল তার পর
সায়রা:এখন আমি ডিনারে কি কালার শাড়ি পড়বো তা নিয়ে কনফিউজ আছি ।আই নিড ইউওর হেল্প শাড়ি চুজ করতে হেল্প কর প্লিজজজজ
মাওয়া সায়রার এমন কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো ।সায়রা বলতে লাগে
সায়রা:প্লিজজজ মজা করিস না তোর হেল্প খুব প্রয়োজন ।সানজুর কাছে বললে ও মজা করতো তাই তোকে বলছি ।প্লিজজজ তুই মজা করিস না।
মাওয়া:(হাসি থামিয়ে বলতে লাগে)যিনি সাইকে সাজেষ্ট করে আজ উনি আমার কাছে হেল্প চাচ্ছে ।আমার থেকে তোর fashion সেন্স ভালো ।
সায়রা :আমি কনফিউজড ইয়ার (মন খারাপ করে)
মাওয়া :ওকে ওকে মেম আর মন খারাপ করতে হবে না আমি হেল্প করছি
সায়রা:থেংকস মায়ু
মাওয়া সায়রাকে শাড়ি চুজ করে দিলো ।
অন্যদিকে……
আরসাল আজ সারাদিন অফিসে মিটিং এ বেস্ত ছিল ।সারাদিন সায়রাকে না একবার দেখতে পেয়েছে না একবার কথা বলতে পেরেছে।সন্ধ্যায় বাড়িতে পৌছিয়ে জানতে পায় আজ সায়রা দের বাড়িতে ডিনারের জন্য invite করেছে মূহুর্তেই আরসাল খুশি হয়ে যায় সায়রাকে কাছের থেকে দেখতে পাবে তাই সেই আনন্দে তারাতারি রেডি হতে শুরু করলো।
রাতে…..
আরসাল সায়রাদের বাড়িতে এসে সায়রার দাদাজীকে দাদিমাকে সালাম করে কুশল বিনিময় করে ।তাদের সাথে সোফায় বসে গল্প করতে লাগে পাশেই সায়ন রিদ্ধি বসা । আরসাল আসার পর থেকে আরসালের চোখ শুধু সায়রাকে খুজঁছে । হঠাৎ আরসাল সিড়ির দিকে তাকাতেই থমকে গেল শ্বাস যেন আটকিয়ে গেল ।সায়রা কালো জরজেটের শাড়ি পড়েছে কালো শাড়িতে বেশ মানিয়েছে সায়রাকে সবসময়ের মত মুগ্ধ করা সায়রার হালকা সাজ ।কমোড় পর্যন্ত স্টেড চুল গুলো ছাড়া সামনের ছোট চুল গুলো মুখের সামনে আসছে ।মুখে মিষ্টি হাসি ।আরসাল মুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে সায়রার দিকে ।চোখের পলক ফেলছেনা আসে পাশে সবাই আছে তার সেই দিকে কোন খেয়ালই নেই।হঠাৎ রিদ্ধির ধাক্কায় আরসালের ধ্যান ভাংগে
রিদ্ধি :কি ক্রাশ খেয়েছিস ?(মজা করে)
আরসাল:(মুচকি হেসে মাথা চুলকাতে চুলকাতে আস্তে করে বির বির করে )হুম high level এর ক্রাশ খেয়েছি
সায়রা নিচে এসে সবার সাথে কুশল বিনীময় করে ।সবাই সায়রার বেশ প্রসংশা করে।সায়রা সবার সাথে বসে গল্প করতে লাগে ।আরসাল আরচোখে শুধু সায়রাকে দেখছে ।সায়রা তা বেশ ভালেভাবে লক্ষ করছে কারন সে ও আরসালকে দেখছে চুরি করে ।বড়রা সবাই ডিনার করে গার্ডেনে গল্প করতে লাগে ।আর ছোটরা সবাই টেরেসে চলে যায়।সায়রা মায়ের সাথে হেল্প করে যেই টেরেসে যেতে নেয় হঠাৎ করে কেউ টান দিয়ে সায়রা কে তার রুমে নিয়ে আসে ।সায়রা প্রথমে ভয় পেলেও পরে চেহারা দেখে ভয় পায় না ।আরসাল সায়রাকে দেয়ালের সাথে দাড় করিয়ে নিজে সায়রাকে কমোড় চেপে ধরে আছে ।পুরো রুম অন্ধকার রুমের একসাইডে ফেইরি লাইটগুলো জ্বলছে ।হালকা বাতাস আরসাল সায়রার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে কোন পলক ফেলছে না ।চোখ যেন কোন নেশা কাজ করছে কোন ঘোর আবছা আলোতে সায়রার সৌন্দর্য যেন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে ।সায়রা আরসালের এমন দৃষ্টি দেখে চোখ নামি ফেলে লজ্জায়।আরসাল সায়রার থুতনি ধরে মুখটা হালকা উপরে উঠায় ।সায়রা চোখ বন্ধ করে ফেলে ।আরসাল চোখের পাতায় চুমু দিয়ে সায়রার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে চুমু দিতে দিতে নেশা ভরা আবেগি কন্ঠে বলতে লাগে
আরসাল :তোমার আমার সামনে এই ভাবে আসা একদম উচিত হয়নি জান ।তুমি জানো না জান তুমি আমাকে কতটা অগোছালো করে দিয়েছো ।তোমার কাছ থেকে এমনি দূরে থাকা মুশকিল তার মধ্যে এভাবে আমার সামনে এসে আমাকে পাগল করাটা কি খুব জরুরি ছিল?এখন আমি নিজেকে কি করে সামলাবো ।আমার যে তোমাকে চাই জান ।আজ তোমাকে হুর লাগছে একদম আমার হুর ।আর আমার হুরের উপর কেবল মাত্র আমার অধিকার ।আমার হুরকে স্পর্শ করার ,ভালোবাসার শুধু আমার অধিকার ।এখন নিজে কন্ট্রোললেজ হয়ে গেলে তুমি আমাকে পরে কোন দোষ দিতে পারবেনা।কেরেক্টারলেস বলতে পারবে ।কারন দোষ তোমার তুমি আমাকে কন্ট্রোললেস করেছো ।নেশা যেমন মানুষ কে কন্ট্রোললেস করে দেয় তোমার নেশা ও আমাকে কন্ট্রোললেস করে দেয় ।নিজের আয়োত্তে থাকি না।এখন যা করবো তার জন্য তুমি দায়ী থাকবে প্লিজজজ জান বাধাঁ দিও না
আরসাল বলেই সায়রাকে পাগলের মত কিস করতে লাগে কপালে ,চোখে ,গলায় ,গালে ,ঠোঁটে ।সায়রা শুধু কাপছেঁ আরসাল হঠাৎ করে সায়রাকে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরে সায়রা তখনো চোখ বন্ধ করে আছে।আরসাল সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলতে লাগে
আরসাল:আই লাভ ইউ জান।তারাতারি আমার কাছে সারাজিবনের জন্য চলে আসো না ।আর কত অপেক্ষা করবো তোমার এই কাছে থেকে তোমার থেকে দূরে থাকা খুব কষ্টের জান আমি তোমাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে চাই যাতে শুধু আমি তোমাকে দেখতে পাই ।দুনিয়ার সবার থেকে লুকিয়ে রাখতে চাই।নিজের মত করে ভালোবাসতে চাই।তোমাকে ছাড়া বাচঁবো না জান।
সায়রা শক্ত করে জরিয়ে ধরে আরসাল সায়রার কপালে চুমু দেয়।হঠাৎ দরজা নকের শব্দ সায়রা দূরে সরে যায়।সায়রার মুখে স্পষ্ট লজ্জা দেখতে পায় আরসাল ।আরসাল মুচকি হেসে দরজা খুলে দেখে রিদ্ধি দাড়িয়ে আছে।রিদ্ধি বলতে লাগে
রিদ্ধি :তোদের রোমেন্স শেষ হলে নিচে চল সবাই ওয়েড করছে একটু পর সবাই বের হবে ।
আরসাল:তোর জন্য আর রোমেন্স করতে পারলাম কই ।অলওয়েজ ডিস্টার্ব করিস ।
রিদ্ধি:অনেক হয়েছে নিচে আয় না হলে সবাই তোদের খুজঁতে খুজঁতে এখানে এসে পোরবে
আরসাল:তুই নিচে গিয়ে বল আমি আসছি।
রিদ্ধি চলে গেল ।সায়রা এত সময় রিদ্ধির কথা শুনে বেশ লজ্জা পাচ্ছিল লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রাখেছে ।আরসাল সায়রা লজ্জা পাওয়া দেখে মুচকি হেসে সায়রার কাছে এসে সায়রার কপালে গভীর চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:জান নিজের খেয়াল রাখবে ।আমি এখন আসি ।আই লাভ ইউ জান ।বায়
সায়রা মাথা নাড়ায় ।আরসাল তার উওর পেয়ে যায়।আরসাল মুচকি হেসে নিচে চলে যায়।সায়রা ও পিছন পিছন যায় সবাইকে বিদায় জানাতে।নিচে গিয়ে জানতে পারে কাল সবাই গাড়িপুর রিদ্ধিদের জমিদার বাড়িতে যাবে ।পরশু থেকে রিদ্ধির বিয়ের ফাংশন শুরু হবে ।আর সব ফাংশন সেখানেই করা হবে ।কাল সকালেই সবাই একত্রে যাবে ।সবাইকে বিদায় দিয়ে সায়রা নিজের রুম গিয়ে চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আরসালের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।
সকালে…..
চলবে….
❤️❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
এখন থেকে গল্প রেগুলার দেওয়া হবে insaallah ।অনেকেই আমার উপর রেগে আছেন গল্প লেট করে দেওয়ার জন্য ।সরি লেট করে দেওয়ার জন্য।আমি দুটো গল্প একসাথে continue করতাম তাই একটা শেষ করে এই গল্পটা লিখতে চেয়েছি কারন এই গল্পে অনেক নতুন মোর আসবে আর এটা গল্পের starting ছিল আমি চাইনি তাড়াহুরোর কারনে গল্পটা নষ্ট হোক ঠান্ডা মাথায় লিখতে চেয়েছি তাই ঐ গল্প শেষ করে এটা লিখছি ।আপনাদের অপেক্ষা করানোর জন্য সরি।আর হ্যা insaallah এখন থেকে রেগুলার এই গল্প দেওয়া হবে ।আর প্লিজ আপনার সাপোর্ট করবেন আপনাদের সাপোর্টই আমার লিখার শক্তি ❤️❤️❤