Deewana (A Crazy lover)Part:11

0
6139

Deewana (A Crazy lover)Part:11

Writer: urme prema (sajiana monir)

সায়রা মাথা নাড়ায় ।আরসাল তার উওর পেয়ে যায়।আরসাল মুচকি হেসে নিচে চলে যায়।সায়রা ও পিছন পিছন যায় সবাইকে বিদায় জানাতে।নিচে গিয়ে জানতে পারে কাল সবাই গাড়িপুর রিদ্ধিদের জমিদার বাড়িতে যাবে ।পরশু থেকে রিদ্ধির বিয়ের ফাংশন শুরু হবে ।আর সব ফাংশন সেখানেই করা হবে ।কাল সকালেই সবাই একত্রে যাবে ।সবাইকে বিদায় দিয়ে সায়রা নিজের রুম গিয়ে চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আরসালের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।

সকালে…..

সকাল থেকে বাড়িতে সবাই পেকিং শুরু করেছে ।সায়রা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পেকিং করে সবার সাথে বাড়ি থেকে বের হলো রিদ্ধি দের বাড়ির উদ্দেশ্য কারন সবাই রিদ্ধিদের বাড়ি থেকে বাসে করে গাজিপুর যাবে। অর্ধেক রাস্তা যেতেই সায়রার মনে হলো সে বাসায় ফোন রেখে এসেছে তাই তারাতারি করে গাড়ি ঘুড়িয়ে বাসায় এসে ফোন নিয়ে যায়।ফোন নিয়ে রিদ্ধিদের বাড়িতে যায় গিয়ে দেখে সবাই অনেক আগেই পৌছিয়ে গেছে ।মাওয়া,সানজিদা ,আরসালদের পরিবার ,সায়নদের পরিবার ,রোহান ,সিফাত শুধু সায়রাই লেট ।

বাসে….

বাসে উঠতেই দেখে সবাই সায়রার জন্য ওয়েট করছে ।সায়রা বলতে লাগে

সায়রা:সরি আমার জন্য সবার লেট হয়েছে (কাদো কাদো হয়ে)

নিলয় চৌধুরি: না মা কোন সমস্যা নেই এর জন্য তোমাকে সরি বলতে হবে না ।যাও সিটে বসো ।(সায়রার মাথায় হাত দিয়ে মুচকি হেসে)

সায়রা বসতে গেল গিয়ে দেখে সব সিট ফুলফিল পিছনে ছোটরা সবাই বসেছে সামনে বড়রা।রিদ্ধি -সায়ন,সানজিদা রোহান ,পিয়াস-অমি ,মুন দিয়া,আর মাওয়াকে বাদ্ধ হয়ে সিফাতের সাথে বসতে হয়েছে ।আরসালের পাশের সিট সায়রার জন্য রেখেছে আর এই সব কিছু রিদ্ধির প্লান ।সায়রা আরসালের পাশে বসে । পাশের সিট থেকে রিদ্ধি বলতে লাগে

রিদ্ধি :বালিকা বধূ আজ লেট

সায়রা:আর বলো না দি মনের ভুলে বাসায় ফোন রেখে এসেছিলম তাই অর্ধেক রাস্তা থেকে আবার বাড়িতে ফিরতে হয়েছে।

রিদ্ধি :মনে থাকবে কি করে ?আজ কাল তো তোর মন আরসালের কাছে থাকে (মজা করে)

সায়রা লজ্জা পেয়ে বলতে লাগে

সায়রা:ও হো দি তুমি ও না

সায়ন :জানো তোমাকে না দেখে আরসাল কতটা অস্থির হচ্ছিল ? বার বার রিদ্ধিকে বলছিল তোমাকে ফোন দিতে (আরসালের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে)

সায়রা:ভাইয়া আপনি ও দির মত হয়ে যাচ্ছেন ।এটা কিন্তু ঠিক না ভাইয়া(মুখ ফুলিয়ে )

আরসাল এতসময় সব কথা শুনছিল আর সায়রার লজ্জামাখা ফেস ইনজয় করছিল।হঠাৎ আরসাল রিদ্ধি আর সায়নকে বলতে লাগে

আরসাল:তোরা চুপ থাক আমার বউকে বিরক্ত করা বন্ধ কর।নিজেদের রোমেন্সে বেস্ত থাক আমাদের ডিস্টার্ভ করা বন্ধ কর ।

সায়রা আরসালের মুখে বউ ডাকটা শুনে মনে যেন এক অজানা শান্তি অনুভব করছে ।সায়রার বেশ ভালো লাগছে সে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে ।

সায়ন:তোকে বলতে হবে না হুম ।

রিদ্ধি :সরাসরি বললেই পারিস তোর আমাদের জন্য ডিস্টার্ভ হচ্ছে সায়রার সাথে রোমেন্স করতে পারছিস না (মুখ ভেংচি দিয়ে)যা তোদের আর ডিস্টার্ভ করবো না (মুখ ঘুড়িয়ে )

আরসাল :থেংক ইউ

রিদ্ধি আর সায়ন নিজেদের মত কথা বলতে শুরু করলো ।সায়রা জানালার কাছে ঘেষে বসেছে আরসাল সায়রার কমোড় জরিয়ে ধরে কাছে টেনে আনে ।আরসাল সায়রার চোখে চোখ রেখে বলতে লাগে

আরসাল:আমি আমাদের মাঝে কোন দূরত্ব চাই না জান।

সায়রা আরসালের এমন কথায় বেশ লজ্জা পায় ।চোখ নামিয়ে ফেলে আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে থাকে আর সায়রা বাহিরে কারন আরসালের এই আবেগ প্রবল দৃষ্টি সয্য করার মত ক্ষমতা সায়রার নেই।

অন্যদিকে …

সিফাত অনেক খুশি তার পাশে মাওয়া বসেছে।সে এমনি একটা সুযোগ খুঁজছিল ।সেদিনের পর থেকে মাওয়া যেন সিফাতকে ঝেকেঁ ধরেছে।কিছুতেই সে মাওয়ার কথা ভুলতে পারছে না ।তার যেন মাওয়ার প্রতি অন্যরকম ফিলিংস কাজ করে।প্রথম দেখা মাওয়ার মায়াবি চেহারাটা যেন তাকে কোন জাদু করেছে ।সে মাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

সিফাত:হায় আই এম সিফাত (হাত বাড়িয়ে)

মাওয়া :জানি তো (মুখ ঘুড়িয়ে)

সিফাত বেশ বড়সড় ধাক্কা খেল সে মাওয়ার কাছে এমন এনসার আসা করেনি ।সে আবার বলতে লাগে

সিফাত:আপনি এমন রুডি নাকি শুধু আমার সাথেই এমন করেন?

মাওয়া:আমি এমনই

সিফাত:কেমন?

মাওয়া:যেমন আপনি দেখছেন

সিফাত:(সিফাত নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে)আমার ধারনা ছিল আপনি দেখতে যেমন মিষ্টি মেবি কথা ও তেমন মিষ্টি হবে ।কিন্তু এখন দেখি আপনি করোলার রসের মত তেতো কথা বলেন।

মাওয়া:তো আপনি কি ব্যবহার আশা করছিলেন ?আমি আপনার সাথে ফ্যাটিং করবো?

সিফাত:আমি কি তা একবার ও বলেছি?আমি জাস্ট ফ্রেন্ড হবার চেষ্টা করছিলাম আর কি

মাওয়া:কোন দরকার নেই আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে ।

মাওয়া কথা শেষ করেই সিফাতকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মুখের সামনে উপন্যাসের বই দরে পড়তে লাগে ।সিফাত অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে।

সায়রা বাহিরে তাকিয়ে চকলেট মিল্ক খাচ্ছে ।এটা সাযরার অভ্যাস জার্নির সময় কিছু না কিছু খাওয়া।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল :তোমার এখন ও অভ্যাস চেন্জ হয়নি?(মুচকি হেসে )

সায়রা:কি অভ্যাস(ভ্রু কুচকিয়ে)

আরসাল: জার্নি করার সময় খাওয়ার

সায়রা:ও না আর কখনো হবে ও না

আরসাল সায়রার কাছ থেকে নিয়ে নিজে
খেতে লাগে সায়রা বলতে লাগে

সায়রা :এটা আমার ছিল আমি খাচ্ছিলাম (হাত বাড়িয়ে নিতে নিতে)

আরসাল:তো (খেতে খেতে )

সায়রা:আমার খাওয়াটা ছিল এটা

আরসাল:তাতে কি হয়েছে তুমি আমার তোমার সব কিছু আমার তোমার খাওয়াটা আমি খেতেই পারি ।আর তা ছাড়া শুনেছি শেয়ার করে খেলে ভালেবাসা বাড়ে এই উসিলায় যদি তোমার মনে আমার প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় ।

সায়রা অভাক হয়ে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে এমন ভাবেও কেউ ভালেবাসতে পারে তার তা জানা ছিল না ।কেউ কাউকে এভাবে পাগলের মত ভালোবাসতে পারে হয়ত আরসালকে না দেখলে তা জানা যেত ।আরসালের পাগলামো ,ভালোবাসা সবকিছুই সায়রাকে ঘিরেই।সায়রা আরসালের কথার কোন উওর না দিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে আরসালের কথা ভাবতে থাকে হঠাৎ ঘুমিয়ে যায় আরসালের কাধেঁ হেলে পরে আরসাল সায়রাকে ঠি ক করে নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।রিদ্ধি সায়ন পাশের সিট থেকে দেখে মিট মিট করে হাসতে থাকে ।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে মুখের সামনে চুল সরিয়ে লো ভয়েসে বলতে লাগে

আরসাল:আমি তোমাকে সারাজিবন এই ভাবেই নিজের বুকের সাথে জরিয়ে রাখতে চাই নিজের করে রাখতে চাই।নিজের মত করে ভালোবাসতে চাই জান ।

১২ টায় গাড়ি গাজিপুর রিদ্ধিদের জমিদার বাড়ির সামনে পৌছিয়ে গেল সবাই বাস থেকে নামতে লাগে ।সায়রা এখনো আরসালের বুকে ঘুমিয়ে আছে ।আরসালের সায়রাকে ডাকতে ইচ্ছে করছে না অন্য সময় হলে কলে করে নিয়ে যেত কিন্তু এখন দাদাজি দাদীমা আর বড়রা সবাই আছে তাই তাকে তো সায়রাকে ডাকতে হবেই ।আরসাল আস্তে করে সায়রাকে ডাকতে লাগে

আরসাল :সায়রা ,সায়রা

সায়রা: আম্মু প্লিজ ঘুমাতে দেও না

আরসাল বেশ অভাক চোখে সায়রার দিকে তাকিয়ে থাকে কেউ এই অল্প সময়ের মধ্যে এত গভির ঘুম কি করে দিতে পারে ।আরসাল আবার ডাকে এবার সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে উপরের দিকে তাকায় ।তাকিয়ে দেখে আরসাল তার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে একবার তাকিয়ে দেখলো সে কোথায় আছে যখনি দেখলো আরসালের বুকের মাঝে আছে লাফ নিয়ে উঠে ঠি ক হয়ে বসে ।

আরসাল:জান রাতে না হয় আবার আমার বুকে ঘুমিও ।(দুষ্টু হেসে)

সায়রা আরসালের কথায় বেশ লজ্জা পেল ।আর নিজের উপর তার বেশ রাগ লাগছে নিজেকে নিজেই বকতে লাগে এমন কেয়ারলেস কেন সে আর যেখানে না সেখানেই ঘুমিয়ে যায় তার এই ঘুমের জন্য তাকে সব সময়ই বকা খেতে হয় মায়ের কাছে ।আজ এই ঘুমের জন্যই এমন লজ্জাময় পরিস্থীর মুখো মুখি হতে হচ্ছে ।নিজেকে আরো কতক্ষোন বকে গাড়ি থেকে নামলো সায়রা ।সায়রা গাড়ি থেকে নামতেই দেখে রিদ্ধি ,মুন ,দিয়া ,মাওয়া ,রশ্নি ,সানজিদা সায়রাকে দেখে বেশ হাসাহাসি করছে ।সায়রা তাদের কাছে যেতেই সানজিদা বলতে লাগে

সানজিদা:বালিকা বধূ ঘুম কেমন হল?

সায়রা:(কিছু না ভেবেই বললো )ভালো

মুন :ভালো তো হবেই কারন হবু বরের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছো(হাসতে হাসতে )

সায়রা এবার বুজতে পারলো তাদের হাসির কারন ।সায়রা রেগে বলতে লাগে

সায়রা:(মুনের দিকে তেড়ে এসে)চুড়েঁল তোকে তো আমি ছাড়বো না।

সায়রা মুনকে মারার জন্য তার পিছনে দৌড় দিলো হঠাৎ দাদীমায়ের সাথে ধাক্কা খেল ।দাদিমা সায়রাকে ধরে জিগাসা করেতে লাগলো

দাদীমা:কি হয়েছে এমন দৌড়াচ্ছো কেন?

সায়রা :দেখ না দাদীমা এই চুড়েল আমাকে এসব কি বলে রাগাচ্ছে (আদুরে গলায় দাদীমার গলা জরিয়ে ধরে)

দাদীমা:আমার মিষ্টি বুড়িকে কেন রাগাচ্ছো মুন ?

মুন :দাদীমা তুমি জানো না তোমার মিষ্টি বুড়ি আজ কাল কি করছে (সায়রার দিকে ভ্রু নাচিয়ে বলতে লাগে )

দাদীমা :কি করছে ?

মুন দাদীমাকে সব বললো দাদীমা ও সায়রার সাথে মজা করতে শুরু করলো সায়রা রেগে ভিতরে চলে গেল।

বাড়িটা বেশ বড় চারদিকে বিভিন্ন গাছে রয়েছে অনেকটা রিসোর্টের মত । বাড়ি এতো দিন কেয়ারটেকার দেখাশোনা করেছে ।বাড়িতে সবার জন্য আলাদা আলাদা রুম রয়েছে ।সায়রা নিজের রুমে গিয়ে ব্যাগটা সাইডে রেখে বেডে হাত ছড়িয়ে শুয়ে পোড়লো ।শুয়ে শুয়ে চারদিকে চোখ বুলালো ঘরের সব জিনিসের মধ্যে যেন কেমন রাজকিয় ভাব সব কিছু পুরোনো কিন্তু তার পর ও সব কিছুর মধ্যে অন্যরকম সৌন্দর্য রয়েছে ।রুমের সব ফার্নিচার কাঠের সব ফার্নিচারে নিক্ষুদ কাজ করা ।রুমের পাশেই বড় বারান্ধা যা পাশের রুমের সাথে জয়েন্ট করা ।সায়রা কিছু সময় রেস্ট নিয়ে ওয়াশরুমে শাওয়ার নিতে চলে গেল ।

সায়রা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে টেবিলের উপর থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে গান প্লে করে কানে এয়ার ফোন লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে নাচতে শুরু করে

Mere khwabon mein jo aaya

Aake mujhe chhed jaaye(2)

Uss se kaho kabhi saamne tho aaye

Mere khawabon mein jo aaye

Aake mujhe chhed jaaye

Uss se kaho kabhi saamne tho aaye

Mere khwabon mein jo aayeeeeeeee

হঠাৎ সায়রা গানে কাজলের স্টেপের মত করতে নিলে পরে যেতে নেয় হঠাৎ মনে হয় সে হাওয়া বাসছে সাথে সাথে চোখ খুলে চোখ খুলে অভাক চোখে তাকিয়ে থাকে ।সামনে দেখে আরসালের তাকে ধরে রেখেছে

আরসাল:স্বপ্নের থেকে বস্তবে তো এসেছি কিন্তু তুমিই তো দেখে ও না দেখার মত করে থাকো (মুচকি হেসে(

সায়রা:আ ….আপনি?আর কি বলছেন যে বাস্তবে এসেছেন ?

আরসাল :তুমি ই তো বলছিলে যে uss se kaho kabhi samne tho aaye তাই বললাম তোমার সামনেই তো আছি কিন্তুই তো দেখো না ।

সায়রা:আমি গান বলছিলাম ।তাছাড়া আমি আপনাকে কেন বলবো হুম ?

আরসাল সায়রাকে ঘুরিয়ে সায়রার পিছনে সায়রার হাত চেপে ধরে নিজের বুকের সাথে সায়রাকে মিশিয়ে সায়রার ভেজা চুলের মাঝে নিজের মুখ ডুবিয়ে চুলের ঘ্রান নিতে থাকে সায়রা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে আরসাল নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:কারন তোমার স্বপ্নে আসার অধিকার কেবল মাত্র আমারই রয়েছে অন্য কারো না ।তোমার উপর সব অধিকার আমার ভালোবাসার ,স্পর্শের সব কিছুর ।তুমি কেবল স্বপ্নে আমাকেই দেখবে জান ,তোমার মনে ,প্রানে ,অস্তিত্বে কেবল মাত্র আমারই নাম থাকবে যেমন আমার মধ্যে তুমি আছো ।জানি তোমার মনে আমার জন্য ভালোবাসাটা এখনো এই রূপ পর্যন্ত পৌছায়ননি কিন্তু আমি সেদিনের অপেক্ষা করবো যেদিন তুমি নিজের থেকে বলবে তুমি আমাকে ভালোবাসো জান।আই লাভ ইউ জান

সায়রা বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে আরসাল সায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে গভীর কিস করে বলতে লাগে

আরসাল:ভয় নেই তোমার সম্মতি ছাড়া কিছু করবো না জান ।তোমার উওরের অপেক্ষায় থাকবো ।আমার তোমাকে সারাজিবনের জন্য চাই ।

আরসালের প্রত্যেকটা কথা যেন সায়রার মনের উঠাল পাতাল করছে কিছু সময় আরসালের সাথে থাকলে হয়তো নিজেকে বাধাঁ দিতে পারবে না আরসালকে জরিয়ে ধরে নিজের মনের কথা বলে দিবে ।কিন্তু সায়রা এখন কিছু বলতে চায় না সঠিক সময় সে তার মনের কথা বলবে ।সে কথা এড়ানোর জন্য আরসাল থেকে দূরে যেয়ে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি আমার রুমে কি করে আসলেন দরজা তো লক?

আরসাল:পাশের রুমটা আমার আমি বারান্ধা দিয়ে এসেছি ।

সায়রা:তাহলে তো আমি এই রুমে থাকবো না (মুখ ভেংচি দিয়ে)

আরসাল:ওকে নো প্রবলেম যেতে পারো কিন্তু সাবধানে থেকো

সায়রা:কেন সাবধানে থাকবো (ভ্রু কুচঁকিয়ে)

আরসাল:যদি ভূত ধরে আবার

সায়রা:ভ…..ভূত (ভয়ে বড় ঢোক গিলে)

আরসাল ভালো করে জানে সায়রার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা কি আর কি বললে সায়রা ভয় পায়।আরসাল মুখ টিপে হাসি আটকিয়ে রেখে বলতে লাগে

আরসাল:শুনেছি এই জমিদার বাড়িতে নাকি প্রেত আত্না ঘুরো ঘুরি করে ।রাতে কান্না করে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায় ।জমিদার নাকি তার স্ত্রি খুন করেছিল তার পর থেকে তার স্ত্রির আত্না ঘুর ঘুর করে প্রতিশোধের জন্য রাতে যাকে পায় তারই নাকি ঘাড় মটকায়।স্পেশালি বাড়ির পিছনের রুমে দিকে ঘুর ঘুর করে আর তোমাকে তো সেই দিকেই থাকতে হবে তাই না জান কারন সব রুমতো অলরেডি বুক যে যার যার রুমে এখন শুধু পিছনের রুমগুলো খালি ।তো জান সাবধানে থেকো

সায়রা বেশ ভয় পেয়েছে আরসাল তা ভালোই বুজেছে ।আরসাল এত সময় সব মিথ্যা বলেছে । সায়রা ভয়ে ভয়ে মুখে হাসির রেখা টেনে বলতে লাগে

সায়রা:না না আমি এখানেই থাকবো ।আপনি তো ঐ রুমে থাকবেন আপনি তো আর আমার রুমে থাকছেন না তো আমার কোন সমস্যা নেই ।

আরসাল:(মুচকি হেসে)হুম। চল এখন লান্চ করবে।সবাই ডাইনিং স্পেছে ওয়েট করছে

সায়রা:হুম চলেন ।

সয়রা আরসাল নিচে চলে গেল লান্চ করতে ।সায়রা বেশ ভয় পেয়েছে আর আরসাল সায়রার ভিতু চেহারা ইনজয় করছে ।আরসাল ভালো করেই জানে সায়রা কিসে জব্ধ হবে ।

চলবে…..

❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

ছোট করে দেওয়ার জন্য সরি ???খুবই busy আছি নেক্সট বড় করে দেব insaallah ❤️❤️❤️❤️Next part এ exciting কিছু থাকবে ???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here