Deewana (A crazy lover)Part:13

0
5345

Deewana (A crazy lover)Part:13

Writer: urme prema (sajiana monir)

সিফাত কিছু বলার আগেই সামনের টেবিলের উপর থেকে সায়রার কন্ঠ শুনতে পেল।সায়রা টেবিলে উপর উঠে হেলে দুলে হাতে ভাং এর গ্লাস নিয়ে মাতাল কন্ঠে হাসি দিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:আমি উর্মি আহমেদ সায়রা ।আমি এখন ভাং খাচ্ছি এটা খুব টেস্টি বিলিভ মি ।আপনারা খাবেন ? ডেলে দেই ?ডেলে দেই?

আরসাল সায়রার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে

আরসাল:(রাগে দাতঁ কট কট করে )ডালাচ্ছি তোমাকে ।সায়রা আজ তোমার খবর আছে ।

আরসাল রেগে সায়রার কাছে যায় আরসাল সায়রা কাছে যেয়ে বলতে লাগে

আরসাল:সায়রা উপর থেকে নামো (রেগে)

সায়রা:(ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে মাতাল কন্ঠে)উ…হু নামবো না আমার এখানে ভালো লাগছে

আরসাল:সায়রা আমি উপরে উঠলে কিন্তু তোমার জন্য ভালো হবে না কিন্তু

সায়রা:(ভ্রু কুচঁকিয়ে)তুমি পচাঁ লোক আমি তোমার সাথে যাবো না ।

আরসাল রেগে কিছু বলতে নিলে সায়ন আরসালের কাছে এসে বলতে লাগে

সায়ন :রাগ করলে কিছু হবে না ওকে শান্ত ভাবে বুঝাতে হবে ।

আরসাল চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করে বলতে লাগে

আরসাল:সায়রা জান আমার প্লিজজজ নিচে আসো

সায়রা:উহু তুমি পচাঁ আসবো না আমি তোমার কাছে।যাও যাও ঐ চুড়েল কামিনী রিসার কাছে যাও (মুখ ভেংচি দিয়ে)

আরসাল:(দাতেঁ দাতঁ চেপে ) জান আমি আর ঐ চুড়েলের সাথে কথা বলবো না অকে এখন তুমি নিচে আসো

সায়রা :(মাথা নাড়িয়ে হেলে দুলে )উহু আমার অনেক ভালো লাগছে । আমি এখন ডান্স করবো

সায়রা বলেই উড়না পাগড়ির মত মাথায় বেধেঁ টেবিল থেকে নিচে নেমে গান প্লে করে

Itna maza kyu aa raha hai

Tune hawa mein bhang milaya

Dugna nasha kyu ho raha hai

Ankhon se mitha tune khilaya

Oh teri mal mal ki khuti gulabi ho gayi

Manchali chaal kaise nawaabi ho gayi (tho)

এতসময় সায়রা একা নাচছিল হঠাৎ মাঝে রিদ্ধি মাওয়া এসে পড়ে ।তারা ও সায়রার সাথে মিলে একই স্টেপে ডান্স করে

Balam pichkari jo tune mujhe maari

tho siddhi saddhi chori sharabhi ho gayi

Ha jeans pahan ke jo tune maara

Thumka

Tho lattoo padosan ki bhabhi ho gayi(2)

সায়রা মাওয়া রিদ্ধি পুরোটা গানে নাচে তাদের নাচতে দেখে আসে পাশে সবাই তাদের সাথে তাল মিলিয়ে একই স্টেপে নাচে ।রিসাদ শুধু সায়রাকে দেখছে দূর থেকে ।আরসাল হঠাৎ করে সায়রাকে কাধেঁ উঠিয়ে বাড়ির দিকে যেতে থাকে ।সিফাত মাওয়াকে টেনে ভিড় থেকে বের করে সুইমিং পুলের পাশে চেয়ারে বসায়।সিফাত বলতে লাগে

সিফাত :আপনার এমন করা একদমি ঠিক হয়নি ।আপনি কেন ভাং খেয়েছেন ?

মাওয়া:ভাং এটা আবার কি ??(চোখ ছোট ছোট করে ভাবতে ভাবতে)

সিফাত :যা আপনি একটু আগে খেয়েছেন

মাওয়া:ওওওও ঐ টা??কিন্তু ঐটা তো ভাং না ঐটা তো অমৃত (হেলে দুলে)

সিফাত :(বিরবির করে)এ আমি কোন পাগলের প্রেমে পরেছি?

মাওয়া:কি বললেন?

সিফাত:কিছু না তো

মাওয়া :আমি কিন্তু সব শুনেছি হুম

সিফাত :কি শুনেছেন?

মাওয়া:আপনি আমাকে পাগল বলেছেন আর আর

সিফাত :আর কি?

মাওয়া:আর আর বলেছেন আপনি আমার প্রেমে পড়েছেন

সিফাত মাওয়ার কাছে এসে চোখের দিকে তাকিয়েস

সিফাত:হুম পড়েছি তো ।আপনি তো তা বুজেও না বুজার মত করে আছেন।

মাওয়া: আমি বুজতে চাই ও না

সিফাত আরো কাছে এসে হাত শক্ত করে ধরে বলতে লাগে

সিফাত:কেন বুজতে চান না?কেন আমাকে ইগনোর করেন ?আপনার আমাকে পছন্দ না?

মাওয়া:(সিফাতের চোখের দিকে তাকিয়ে)আপনাকে আমার খুবই পছন্দ তাই তো দূরে থাকি যদি আপনার চোখের মায়ায় ধরা পড়ে যাই ?যদি ভালোবেসে ফেলি?যা আমি চাই না তাই আপনার কাছ থেকে দূরে থাকি ।

সিফাত :কেন ভালোবাসতে চান না?আমি আপনাকে কখনো কোন কষ্ট পেতে দেব না সব সময় ছায়ার মত পাশে থাকবো

মাওয়া:কারন আমি আমার লক্ষের মধ্যে কোন বাধাঁ চাই না ।আর আপনাকে ভালোবাসলে আপনি আমার বাধাঁ হয়ে যাবেন ,আমার দূর্বলতা হয়ে যাবেন যা আমি কখনো চাই না ।আমার লক্ষ অসম্পূর্ন থাকুক ।

সিফাত:কি এমন লক্ষ্য যার জন্য আপনি আমাকে ভালেবাসতে পারবেন না?

মাওয়া :তা হল আমার সি এ হবার লক্ষ্য যা আমার বাবার আর আমার স্বপ্ন যার মাঝে আমি কোন বাধাঁ চাই না

সিফাত:একবার আমার হাত ধরেই দেখেন না ছায়া হয়ে আপনার পাশে থাকবো কোন বাধাঁ হব না ।আপনার ঢাল হয়ে থাকবো

সিফাত মাওয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে সে ঘুমিয়ে গেছে কলে করে নিয়ে যায় মাওয়ার রুমে বেডে শুয়িয়ে দেয়।

সিফাত:তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকেই ভালোবাসবো ।আর তুমি ঠি কই একদিন আমাকে ভালেবাসবে মায়াবিনী ।(মুচকি হেসে)

অন্যদিকে……

আরসাল সায়রাকে কাধেঁ উঠিয়ে সায়রার রুমে নিয়ে সায়রাকে বেডের উপর ফেলে সায়রা ব্যথা পেয়ে কুকঁড়িয়ে উঠে আরসাল জোরে ধমক দেওয়ায় সায়রা চুপ করে বসে ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে রাখে গুটি শুটি মেরে বসে থাকে ।আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:তুমি ভাং কেন খেয়েছো ?হুম ?আর বাহিরে কেন এই ভাবে নাচছিলে ?সবাই হা করে দেখছিল তা ভালো লাগছিল?এই মেয়ে তুমি কি কিছু বুজো না ?সব সময় কেন এমন ছেলেমানুষি কর?আর সকল থেকে আমাকে কেন এভাবে ইগনোর করছো হুম?কাল রাত পর্যন্ত তো সব ঠি কই ছিল হঠাৎ সকালে এমন কি হলো যে তুমি আমাকে ইগনোর করছো ?তুমি কি আমাকে কখনো বুজবে না ?

সায়রা হঠাৎ শব্দ করে হেসে দিলো যা আরসালের রাগ আরো শত গুন বেড়ে গেল সায়রার দিকে যেয়ে সায়রার পাশে বসে সায়রার হাত শক্ত করে ধরে কাছে টেনে এনে বলতে লাগে

আরসাল :এই মেয়ে তুমি হাসছো কেন ?হুম ?আমি হাসির কি বলেছি ?

সায়রা হাসি আটকিয়ে আরসাল থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে আরসালের কলে বসে ।আরসাল সায়রার কান্ড দেখে অবাক হচ্ছে ।আরসালের কলে বসে নিজের আঙ্গল দিয়ে আরসালের নাকে স্লাইড করতে করতে বলতে লাগে

সায়রা :আমি হাসছিলাম তোমার এই তিরের মত নাকটা রেগে গেলে যে টমেটোর মত লাল হয়ে যায় তা দেখছিলাম ।

আরসাল স্থব্দ হয়ে থাকে সায়রার এমন কথায় আর এমন ব্যবহারে তার রাগ যেন উধাও হয়ে গেছে ।সায়রা আবার ঠোঁটের কাছে তিলে হাত দিয়ে মাতাল করা কন্ঠে বলতে শুরু করে

সায়রা:তুমি জানো তোমার এই তিলটা আমার কত ভালো লাগে ?এই তিলের উপর আমি ক্রাশ খাই ।তোমার সেই কিলার হাসি আমাকে পাগল করে দেয় ।আর তোমার এই ফরসা গালে যখন হালকা চাপ দাড়ি থাকে(দাড়িতেঁ হাত ভুলিয়ে মুচকি হেসে ) তা আমার খুবববববই ভালো লাগে ।শুধু একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে তা হলো তোমার রাগ যা আমি খুবই ভয় পাই ।তুমি রাগলে খুবই হিংস্র হয়ে যাও যা আমি খুব ভয় পাই ।তুমি তখন আমাকে কষ্ট দেও ।আর আজ সকালে তুমি ঐ চুড়েলঁর সাথে কথা বলছিলে তখনো আমার খুব কষ্ট লেগেছে ।(মন খারাপ করে মাথা নিচু করে)।

আরসাল সায়রার দু গালে নিজের দু হাত দিয়ে ধরে উচুঁ করে নিজের মাথার সাথে সায়রার মাথা ঠেকিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:সরি সোনা আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেব না সত্যি।তোমাকে আর কখনো আঘাত করবো না ।আর ঐ রিসা চুড়েঁলের সাথে ও কথা বলবো না সোনা ।প্লিজ তুমি মন খারাপ করো না ।

সায়রা একটু দূরে সরে গিয়ে ভ্রু কুচঁকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:সত্যি করবে না তো?

আরসাল:সত্যি জান করবো না প্রমিজ

সায়রা:পাক্কা ?

আরসাল:পাক্কা (মুচকি হেসে)

সায়রা মুচকি হেসে আরসালকে জরিয়ে ধরে আরসাল ও আলতো করে কমোড় জরিয়ে ধরে।সায়রা এভাবে বেশ কিছু সময় থেকে আরসাল থেকে দূরে সরে যেয়ে হঠাৎ আরসালের গলা জরিয়ে ধরে আরসালের ঠোটেঁ নিজের ঠোটঁ চেপে ধরে কিস করতে থাকে ।আরসাল বড় শক খায় সায়রা নিজের থেকে এমন কিছু করবে সে স্বপ্নেও ও ভাবে নি ।ভাবহীন ভাবে কিছুসময় বসে থাকে তার পর কিছু সময় পর নিজেও সায়রার সাথে তাল মিলায় ।কিছু সময় পর সায়রা নিজে থেকে ছেড়ে আরসাল থেকে দূরে সরে বসে হাপাতেঁ থাকে ।আরসালের কাছে এখনো সব কিছু স্বপ্নই মনে হচ্ছে ।সে সায়রাকে টান দিয়ে বেডে শুয়িয়ে নিজে পাশে শুয়ে সায়রার ডান হাত নিজের বুকের উপর নিয়ে সায়রার হাত নিয়ে কিছুক্ষোন চোখ বন্ধ করে রাখে ।চোখ খুলে সায়রার দিকে তাকায় সায়রার চেহারায় এখনো লজ্জামাখা হাসি ।আরসাল সায়রার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে কাচেঁর চুড়ি গুলো নাড়াচাড়া করতে লাগে আর মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:জান এটা তুমি কি করলে ?কেন করলে ?এখন তোমার থেকে কি করে দূরে থাকবো ?আমাকে কেন এই ভাবে পাগল করলে জান?কেন এত কাছে আসলে এখন কি করে তোমার থেকে দূরে থাকবো?জানি তুমি নিজের মধ্যে নেই তুমি যা করছো নেশার ঘোরে করছো কিন্তু আমি তো পুরো সেন্সে থেকেও এখন নিজের মধ্যে নেই ।আমাকে যে তুমি তোমার নেশা ধরিয়ে দিলে ।আগে নিজেকে বাধাঁ দিতাম এই বলে যে তোমার সম্মতি নেই কিন্তু এখন নিজেকে কি করে বাধাঁ দেব এখন তো তোমার এই ঠোঁটের ছোঁয়ার নেশা ধরিয়ে দিলে।এখন কি করে তোমার থেকে দূরে থাকবো বলো জান ? আর বেশি দিন তোমাকে নিজের থেকে দূরে রাখবো না খুব তারাতারি তোমাকে আমার কাছে সারাজিবনের জন্য নিয়ে আসবো তখন তোমাকে ছোঁয়া জন্য কোন বাধাঁ থাকবে না তুমি ও বাধাঁ দিতে পারবে না তখন তোমার উপর শুধু আমার অধিকার থাকবে।আমি তোমার মন প্রান তোমার অস্তিত্ব জুড়ে থাকবো ।তোমাকে নিজের মত করে ভালোবাসতে পারবো ।তুমি শুধু আমার শুধুই আমার জান।

সায়রা :(মুখ নিচু করে আরসালের গালে হাত দিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে)আমার উপর তোমার অধিকার তাহলে কি তোমার উপর আমার কোন অধিকার নেই?

আরসাল সায়রার কপালে চুমু দিয়ে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে

আরসাল:অবশ্যই আমার উপর সব অধিকার শুধু তোমার আমার সবটা জুড়ে শুধু তুমি রয়েছো ।

সায়রা :(শক্ত করে জরিয়ে ধরে)তাহলে তুমি ঐ রিসার সাথে কেন কথা বলো ?আমার সয্য হয়না

আরসাল:(মুচকি হেসে)কেন জান ?

সায়রা:তুমি আমার ফিয়ন্সি তাই বুকে মুখ গুঁজে

আরসাল :(দুষ্টু হেসে )তুমি জেলাস ?

সায়রা:(মাথা নাড়িয়ে )হুম

আরসাল:কিন্তু কেন ?

সায়রা:বিকজ আই

আরসাল:(মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে)ইউ

সায়রা:আই লাভ

………………..

আরসাল:ইউ লাভ তার পর বল

আরসাল কোন সারা শব্দ না পেয়ে সায়রার দিকে তাকায় দেখে ঘুমিয়ে গেছে ।আরসাল সায়রাকে বালিশে ঠি ক ভাবে শুয়িয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে মুচকি হেসে বলতে লাগে

আরসাল:আজ থ্রি মেজিক্যাল ওয়ার্ড শুনা হলো না কিন্তু খুব তাড়াতারি তা তোমার মুখ থেকে শুনবো ।ঘুম ভাঙ্গলে আজকের কিছু তোমার মনে থাকবে না জানি কিন্তু আমার জন্য আজ বেস্ট ডে ছিল ।বেস্ট গিফট ছিল (কপালে চুমু দিয়ে) অাই লাভ ইউ জান ।

আরসাল চলে যায় নিজের রুমে ।

বিকেলে….

সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে মাথাটা বেশ ধরে আসছে আস্তে আস্তে বসে সাইডেই একটা গ্লাস আর চিরকুট দেখতে পায়।সায়রা চিরকুটা খুলে দেখে

মাই ডেয়ার,

বিউটিফুল ওয়াইফ

এই লেবুর জুসটা খেয়ে নেও তোমার কিছুটা আরাম লাগবে ।ফ্রেশ হয়ে গার্ডেনে আসো ।লাভ ইউ

সায়রা মুচকি হেসে চিরকুটা রেখে লেবুর জুসটা শেষ করে ফ্রেশ হতে চলে যায় ।ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নিচে গার্ডেনে চলে যায় সেখানে গিয়ে সবাইকে দেখতে পায়।মেয়েরা সবাই মুখ ফুলিয়ে বসে আছে আর ছেলেরা সবাই তাদের বেশ মজা নিচ্ছে আজকের অনুস্টানে যা করেছে তার জন্য ।সায়রা যেতেই অমি বলতে লাগে

অমি:এই যে এসে পরেছে সাইরু ।সাইরু তো আজ কেমন ভাং ঢাললি ?

সায়রা:কি যা তা বলছো ভা‌ইয়া ?

অমি :ভাং তো খুব টাস তাই না ?(ফিক করে হেসে )

সিফাত:আর মাওয়ার কাছে তো অমৃত ।(জোরে শব্দ করে হেসে)

সায়রা:কি বলছো ভাইয়া তোমরা এসব

সিফাত সব খুলে বলে সায়রাকে যা যা করেছে

সায়রা:আমি কখনো এসব করতেই পারি না (মুখ ঘুড়িয়ে)

সিফাত :তো ভাবি আমরা কি মিথ্যা বলছি ?

সায়রা:অবশ্যই

অমি :জানতাম সবাই স্বিকার করলেও তুই অস্বিকার করবি তাই আমি ভিডিও করে রেখেছি ।

সায়রা ভিডিও দেখে যেন শক খেলো ওর বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও এসব করেছে ।সায়রা বেশ লজ্জা পেয়েছে

সায়রা :ভাইয়া প্লিজ ভিডিও ডিলিট কর

অমি :কখনো না যখন না এটা তো আমার কাছে বেস্ট ফানি ভিডিও ।যার মন খারাপ থাকবে তাকে দেখাবো সে হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবে

রোহান:উফফ মিস হয়ে গেল যদি সানজিদার ভিডিও টা ও করতাম ।ও যা করেছে আজ (হাসতে হাসতে)

সানজিদা:(রেগে)আসো তোমাকে ভিডিও করাচ্ছি

রোহান ভয়ে ঢোক গিলে ।

সায়রা:সব দোষ এই রিদ্ধিদির আজ দি তোমার জন্য ওরা মজা নিচ্ছে

রিদ্ধি:ইয়ার ঘুম ভাঙার পর থেকে সায়ন আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে ।ও কি মজাই না নিচ্ছে ।আর আমি জানতাম ঐটা ভাং ছিল ?জানলে না আমি খেতাম না তোদের খাওয়াতাম ।

সায়ন:হুম তুমি তো ভাং খেয়ে আকাশে উড়ছিল পাখা ছাড়া

রিদ্ধি:স্টপ সায়ন আর মজা কর না ।

সায়রা :অমি ভাইয়া তুমি ভিডিও করবে না ?

অমি:না (ভাব নিয়ে)

সায়রা:ওকে আমিও দাদাজী দাদিমাকে বলে দেব রিহা আপির কথা (শয়তানি হাসি দিয়ে)

অমি:না এখনি করছি

সায়রা:গুড

অমি :ব্লাকমিলার

হঠাৎ আরসাল এসে সায়রার পাশে দাড়ায় সায়রা একবার আরসালের দিকে তাকিয়ে আবার সামনে তাকায়।আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:আজ ভাং এনেছিল কে?

সিফাত:(ভয়ে ভয়ে)ভাইয়া আমি

আরসাল :(জরিয়ে ধরে সায়রার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে) থেংক ইউ

সবাই বেশ অভাক হল আরসালের এমন reaction দেখে কারন সবাই ভেবেছে আরসাল রাগ করবে ।সায়রা ভ্রু কুচঁকিয়ে তাকিয়ে থাকে আরসালের দিকে সে বুজতে চেষ্টা করে আরসালের মনে কি চলছে ।আরসাল এত শান্ত কি করে ? হঠাৎ সায়রার ধ্যান ভাঙ্গে রিসার আওয়াজে

রিসা:hi guys

সবা‌ই :hello

আরসালের দিকে ঘেষে আরসালের হাত ধরে

রিসা:hi arsal

রিদ্ধি :(বির বির করে)এসে পড়েছে ড্রামা কুইং আগুন লাগাতে

রিসা:(আরসালের শার্টের কলার ধরে )ও আরসাল তোমাকে সব লুকেই বেশ হেন্ডসাম লাগে

সায়রা এসব দেখে খারাপ লাগে সে সেখান থেকে চলে যেতে নেয় আরসাল হাত ধরে ফেলে সায়রা হাত ছাড়িয়ে চলে যায়।আরসাল নিজের শার্টের কলার থেকে হাত ছাড়ি ঝাড়ি দিয়ে দূরে সরিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তোমাকে কত বার বলেছি আমার থেকে দূরে থাকো ।আর তোমার এমন গায়ে পড়া স্বভাব কেন ?আমার কাছাকাছি আসার চেষ্টা ও করবে না ।

আরসাল সায়রাকে খুজঁতে চলে যায়।

সন্ধ্যায়……….

সায়রা সুইমিং পুলের পাশে বেন্চে বসে আছে মন খারাপ করে ।আরসাল সায়রার পাশে এসে গাঁ ঘেষে বসে সায়রা দূরে সরে যায় ।আরসাল আবার কাছে যায় সায়রা আরো দূরে সরে বসে আরসাল আবার কাছে যেয়ে বসে সায়রা দূরে সরতে নেয় আরসাল কমোড় জরিয়ে ধরে নিজের কাছে মিশিয়ে নেয়

আরসাল:হাত ছেড়ে এসে পড়লে কেন ?

সায়রা:আপনার হাত ধরার মানুষ আছে

আরসাল:আমি তোমার হাত ধরতে চাই অন্য কারো না

সায়রা কোন উওর দেয় না মন খারাপ করে অন্যদিকে মুখ ঘুড়িয়ে রাখে ।আরসাল হঠাৎ করে সায়রাকে কলে উঠিয়ে নেয়।

সায়রা:কি করছেন ?নিচে নামান আমাকে (হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে করতে)

আরসাল:না নামাবো না ।

সায়রা :কোথায় নিয়ে যাচ্ছে

আরসাল কোন উওর না দিয়ে হাটঁতে থাকে ।

আরসাল সায়রাকে বাড়ির পিছনে দিকে নিয়ে গিয়ে নামায় ।

সায়রা:এখানে আনলেন কেন?

আরসাল সায়রাকে ঘুড়িয়ে পিছন থেকে সায়রার পেট জরিয়ে ধরে ঘাঁড়ে থুতনি রেখে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে

আরসাল:সামনে তাকাও জান

সায়রা সামনে তাকিয়ে অভাক চোখে তাকিয়ে থাকে মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে ।সায়রা সামনে দেখে হাজার হাজার জোনাকি পোকা জল মল করছে ।এক অপরূপ সুন্দর দৃশ্য ।সায়রা আনমনেই বলে

সায়রা :ওয়াও…বিউটিফুল

আরসাল:তোমার থেকে কম

সায়রা ভ্রু কুচঁকিয়ে তাকায় ।সায়রা মুচকি হেসে বলতে লাগে

সায়রা:থেংক ইউ

আরসাল:তোমার জন্য কিছু করিনি ।আমার জন্য করেছি ।তোমার চেহারার এই হাসিটার জন্য করেছি যা না দেখলে আমার ভালো লাগে না ।যা আমার মুগ্ধতার কারন ।

সায়রা পেটে রাখা আরসালের হাতটা সায়রা আরো শক্ত করে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।

আরসাল:থেংক ইউ জান

সায়রা :(মুখ ঘুরিয়ে আরসালের দিকে তাকিয়ে )কেন?

আরসাল:আজ দুপুরে আমাকে বেস্ট গিফ্ট দেওয়ার জন্য

সায়রা:কি গিফ্ট ?

আরসাল:(মুচকি হেসে)তা এখন না জানতে ও চলবে ।এখন এই মোমেন্টাকে ফিল কর ।

সায়রা ভাবা বাদ দিয়ে সেই জোনাকি পোকা সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে ।আরসাল নিজের সায়রাকে দেখতে ব্যস্থ

রিসা দুর থেকে তাদের দুজনকে দেখে রাগে ফুসছে ।রিসা বলতে লাগে

রিসা:আরসাল আমার ওকে তো আমি হাসিল করবোই ।ওকে অন্য কারো হতে দেব না আর এই বেহেনজির তো কখনো না।ও আমার ওকে পেতে হলে যদি এই বেহেনজিকে মেরে ফেলতে হয় তাহলে তাই করবো ।

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here