Deewana (A crazy lover)Part:19
Writer: urme prema (sajiana monir)
আরসাল রেগে রুম বের হয়ে যায় ।সায়রা গায়ে উড়না জরিয়ে তার পিছন পিছন যায় ।আরসাল রিসাকে খুঁজতে লাগে রিসাকে হলে না পেয়ে বাড়ির পিছনের দিকে যায়।যেয়ে দেখে রিসা ফোনে কথা বলছে আরসাল যেয়ে রিসাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে শরিরের সব শক্তি দিয়ে রিসার দু গালে সজোরে থাপ্পর দেয় রিসা নিচে পরে যায় আরসাল রিসার চুল ধরে টেনে তুলে রিসার গলায় টি প দিয়ে ধরে তাকে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:তুই সায়রার ড্রেস নষ্ট করেছিস তাই না?তাই তো তুই তখন সায়রার রুমে এসেছিল আমার তোকে তখনই সন্দেহ হয়েছিল । তোকে দুপুরে warning দিয়েছিলাম আমার সায়রার থেকে দুরে থাকতে তুই আমার কথা শুনিস নি সায়রার সম্মান নিয়ে খেলতে চেয়েছিস তোকে আমি মেরেই ফেলবো ।তুই কার ক্ষতি করতে গিয়েছিস তোর কোন ধারনা নেই ।
সায়রা এসে দেখে আরসাল রিসার গলা টিপ দিয়ে ধরে রেখেছে চোখে ভয়ংকর রাগ হিংস্রতা এই মুহূর্তে রিসাকে মেরে ফেলতে আরসাল দুবার ভাববে না।আরসাল আবার বলতে শুরু করে
আরসাল:তোর সাহস কি করে হয় সায়রার ক্ষতি করার ?সায়রা শুধু আমার ভালোবাসা না ও আমার জান তুই তার সম্মান নিয়ে খেলতে চেয়েছিস?একটা মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের কি করে সম্মান নিয়ে খেলতে পারিস ?আমার সায়রা কি তোর মত নোংরা আর সস্তা মেয়ে ?তুই কি ভাবে পারলি এমন চিপ গেম প্লান করতে ?(গলা আরো শক্ত করে চেপে ধরে)
সায়রা দেখলো রিসা প্রায় মারা যাবে চোখ উলটিয়ে যাচ্ছে
সায়রা:আরসাল ওকে ছেড়ে দেন (কাছে যেয়ে হাত ধরে)
আরসাল:সায়রা প্লিজ বাধাঁ দিতে এসো না আমি এই সস্তা নোংরা মেয়েকে মেরেই ফেলবো(রেগে ধমক দিয়ে)
সায়রা ভয়ে কেপেঁ উঠে সায়রা সাহস করে আরসালের কাছে গিয়ে আরসালে হাত থেকে রিসার গলা ছাড়িয়ে আরসালকে জোরে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।আরসাল সায়রার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।সায়রা বলতে লাগে
সায়রা:ওকে খুন করলে আপনার আর ওর মাঝে পার্থ্যক থাকলো কি ?ও তো নিচ আপনি ওকে খুন করলে আপনিও তো ওর কাতারে পরে যাবেন
আরসাল:আমি কিছু জানি না আমি ওকে মেরেই ফেলবো ।ওকে মারলেই আমার কলিজা শান্তি পাবে।(রিসার দিকে তেড়ে এসে)
সায়রা দৌড় দিয়ে গিয়ে আরসালকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
সায়রা:প্লিজ আরসাল থামুন ।আজ বাড়িতে রিদ্ধিদির হলুদ বাড়ি ভরা মানুষ আমি চাই না কোন ঝামেলা হোক ।ওকে ছেড়ে দেন সবাই জানলে সবার মন খারাপ হয়ে যাবে প্লিজ বন্ধ করুন ।
আরসাল নিজের হাতে মুঠি শক্ত করে চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে তার পর রিসার দিকে তাকিয়ে রেগে বলতে লাগে
আরসাল:এখান থেকে চলে যা ভবিষত্য যেন তোর চেহারা না দেখি ।সায়রার আসে পাশে ও যেন ঘুর ঘুর করতে না দেখি ।যদি পরবর্তিতে যদি সায়রার কোন ক্ষতি করার চিন্তা ও করিস তাহলে তোকে সেদিন খুন করে ফেলবো ।আজ সায়রার জন্য বেচেঁ গিয়েছিস সেদিন কেউ তোকে বাচাঁতে পারবে না ।যা এখান থেকে
আরসাল রেগে হন হন করে ভিতরে চলে যায় ।সায়রা রিদ্ধি দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
সায়রা:আমার আর আরসালের মাঝে আসার চেষ্টা ও কর না ।আমাদের জিবন থেকে দূরে চলে যাও ।আরসাল আমার ওর দিকে নজর দিয়ে লাভ নেই ও কখনই আমাকে ছাড়বে না ।তাই তোমার জন্য ভালো হবে দূরে থাকলে এবার তোমাকে বাচাঁতে পেরেছি পরবর্তিতে বাচাঁতে পারবো না ।
সায়রা বাড়ির ভিতরে চলে যায়।রিসা সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
রিসা:আজকের অপমান সারাজিবন মনে থাকবে ।এর প্রতিশোধ তো তোমাদের থেকে অবশ্যই নিবো তাও ভয়ংকর ভাবে ।কখনো তোমাদের দুজনকে এক হতে দেব না ।আরসাল তোমার সব অহংকার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেব ।তোমাকে এখন হাসিল করা আমার জিদ হয়ে গেছে।
সায়রা আরসালের রুমে গিয়ে দেখে রুমের সব জিনিস নিচে পড়া ভাঙ্গা রুমের মধ্যে দিয়ে যেন কোন ঝড় গিয়েছে।সায়রা আস্তে আস্তে রুমে প্রবেশ করে ভিতরে গিয়ে দেখে আরসাল বেডে বসে হাটুঁতে হাত রেখে মুখে হাত দিয়ে রেখেছে সায়রা আস্তে আস্তে করে আরসালের পায়ের কাছে বসে কারো উপস্থিতী টের পেয়ে আরসাল মাথা তুলে তাকায় সায়রার দিকে ।সায়রা দেখলো আরসালের চোখ গুলো লাল হয়ে আছে চোখ গুলো টলটল করছে ।সায়রা ভয় পেয়ে যায় ।সায়রা আরসালের দু গালে নিজের দু হাত রেখে বলতে লাগে
সায়রা:কি হয়েছে ?
আরসাল:আজ আমার জন্য তোমার ক্ষতি হতে নিয়েছিল ।সব দোষ আমার আমি যদি রিসাকে আমাদের মাঝে না আনতাম তাহলে এসব কিছু হত না ।আমারই ভুল ছিল আমাদের মাঝে তৃতীয় কাউকে আনা উচিত হয়নি ।ও আমাকে পাবার লোভে এসব করছিল ।আমার ভুলের জন্য আজ তোমার কত বড় ক্ষতি হয়ে যেত ।সরি জান
সায়রা :আপনি কেন গিল্টি ফিল করছেন এতে আপনার কোন দোষ নেই ।আপনি কি আর জানতেন রিসা এতটা নিচে নামবে ?ও কারো সম্মান নিয়ে খেলবে ।
আরসাল:তার পর…
সায়রা :(ঠোটেঁ অাঙ্গুল দিয়ে)হুসসস এতে আপনার কোন দোষ নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন ।এসব চিন্তা বাদ দিন যা চলে গেছে তা নিয়ে আর ভাবতে হবে না ।
আরসাল সায়রার দিয়ে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে ।সায়রা আরসালের কপালে গভীর ভাবে কিস করে বলতে লাগে
সায়রা :আপনি এখন রেস্ট করুন আমি চলে যাই ।
সায়রা চলে যেতে নেয় পিছন থেকে আরসাল সায়রার হাত ধরে আটকায় ।সায়রা পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আরসাল সায়রার নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সায়রা আরসালের সামনে গিয়ে বসে আরসালের চোখের দিকে তাকায় ।আরসালের চোখ গুলো যেন কিছু বলতে চাইছে সায়রাকে ।আরসাল করুন চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:প্লিজ এখানে থাকবে ? তুমি থাকলে এক অন্যরকম শান্তি লাগে মনে ।আমার এখন তোমাকে খুব প্রয়োজন নিজের অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য ।
সায়রা:(মুচকি হেসে)ওকে আমি এখানে আছি ।
আরসাল শুয়ে পরে সায়রা আরসালের পাশে বসে মাথা চুলগুলোতে হাত বুলাতে লাগলো আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে আছে ।আস্তে আস্তে আরসালের চোখ লেগে আসে সায়রা ও চুলে হাত বুলাতে বুলাতে আরসালের বুকে ঘুমে ডোলে পরে ।সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে…..
ভোর সকালে সায়রার ঘুম ভাঙ্গে ।সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে সে আরসালের বুকে আছে আর আরসাল এখনও ঘুমাচ্ছে বাচ্চাদের মত করে । একদম নিশপাপ লাগছে কোন রাগ নেই ।সায়রাকে আরসালের এই ঘুমন্ত চেহারার মায়াটা টানছে ।সায়রা আলতো করে আরসালের কপালে ঠোটেঁ নিজের ঠোটঁ ছুয়িয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগে
সায়রা:গুড মর্নিং লাভ
তারপর আস্তে আস্তে সাবধানে রুম থেকে বের হয়ে যায়।নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায় আজ বিয়ে সবাই কাজে বেস্ত পুরো বাড়িতে হৈ চৈ ।সায়রা নিচে গিয়ে দেখে মাওয়া ,রশ্নিবসে মালা তৈরী করছে ।দিয়া মুন সানজিদা বাকিসব করছে ।মাওয়া মালা বানাচ্ছে হঠাৎ খেয়াল করলো সিফাত সোফায় বসে এক মেয়ের সাথে কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে মাওয়ার বেশ কষ্ট লাগছে ।সে সিফাতের দিকে রাগি দৃষ্টি তে তাকিয়ে মালা গাথছেঁ।হঠাৎ সুইঁ মাওয়ার হাতে লেগে যায় মাওয়া আহ্ করে উঠে ।সিফাত শুনতে পেয়ে মাওয়ার দিকে দৌড় দিয়ে আসে এসে দেখে হাত থেকে রক্ত জোরছে সিফাত হাত ধরতে নেয় ।মাওয়া হাত টান দিয়ে বলতে লাগে
মাওয়া:লাগবে না ।আমি ঠিক আছি
সিফাত আবার হাত ধরতে নেয় মাওয়া হাত ঝারিঁ দিয়ে সিফাতের হাত ছাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়।সিফাত মাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
সিফাত:ভাঙবে তবুও মচকাবে না ।নিজে কষ্ট পাচ্ছে তবুও স্বিকার করবে না যে আমাকে ভালোবাসে ।
মাওয়া চলে যাবার পর সায়রা রশ্নির পাশে যেয়ে বসে বলতে লাগে
সায়রা :সকাল থেকে দেখছি মন খারাপ করে বসে আছিস কি হয়েছে?
রশ্নি:অমিতের সাথে কথা বলতে পারছি না ভাইয়ার কাছে আমার ফোন ।আর কাল অমিতের বার্থডে আমি চাই ওকে সবার আগে সব সময়ের মত আমি উইশ করবো কিন্তু এখন তো কথাই বলতে পারছিনা কিভাবে পসিবল হবে
সায়রা :ইয়ার তুই এতো টেনশন নিচ্ছিস কেন ?আমি আছি তো আমি সব সামলিয়ে নিবো তুই রাতে ভাইয়াকে এখানে আসতে বল বাকি সব আমি করবো ।ভাইয়ার জন্য সারপ্রাইজ প্লান করবো
রশ্নি:কিন্তু কি করে ?কেউ টের পেলে ?
সায়রা:আমি সব কিছু এরেন্জ করবো তুই শুধু ভাইয়াকে আসতে বল আর এই নে ফোন তোর কাছে রাখ ভাইয়ার সাথে কথা বল।
রশ্নি:থেংকস সায়রু ।লাভ ইউ (খুশি হয়ে )
সায়রা:লাভ ইউ টু
রুমে….
সায়রা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে বারান্ধায় দাড়িয়ে চুল মুছতে থাকে হঠাৎ কেউ সায়রার কমোড় জরিয়ে ধরে ।সায়রার বুজতে বাকি রইলো না কে ।মুখে মুচকি হাসি ফুটে উঠে সায়রা মুখে আগের মত মুচকি হাসি রেখে বলতে লাগে
সায়রা:তো এখন ঘুম ভেঙেছে আপনার?
আরসাল ঘাড়ের মাঝে সেই আগের মত মুখ ডুবিয়ে রেখে লো ভয়েসে বলতে লাগে
আরসাল:হুম।কখন এসেছো ?
সায়রা:সকাল ৬ টায়
আরসাল:ওওও ।থেংকস
সায়রা আরসালের দিকে ঘুরে
সায়রা:কেন??
আরসাল:কাল রাতে আমার সাথে ছিলে তাই তোমার থাকাটা খুব প্রয়োজন ছিল ।নিজের মনে অশান্তি লাগছিল আমার জন্য তোমা..
সায়রা বলতে না দিয়ে মুখে হাত দিয়ে
সায়রা:আরসাল আপনি কেন এই সব ভাবছেন যা চলে গেছে। তা কাল রাতে সেখানেই শেষ হয়ে গেছে শুধু শুধু কেন আবার মনে করছেন ?তা ছাড়া আপনার কোন দোষ নেই শুধু নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করেন ।
আরসাল সায়রার দু হাত ধরে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:থেংকস জান ।তুমি মনের বোঝাটা হালকা করলে ।
সায়রা:আর এই সব কথা বলবেন না ওকে ?
আরসাল :ওকে
আরসাল সায়রাকে জরিয়ে ধরে সায়রা আরসালের বুকে মাঝে মুখ রাখে কিছুসময় দুজন দুজনের মাঝে ডুবে থাকে ।হঠাৎ আরসাল সায়রাকে বলতে লাগে
আরসাল :যে কাজে এসেছিলাম তা তো হলই না
সায়রা: কি কাজ
আরসাল সায়রার হাতে একটি ব্যাক দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল: এটা তোমার জন্য ।আজ ফাংশনে তুমি এটা পড়বে ।
সায়রা:কিন্তু
আরসাল:কোন কিন্তু না এটা পড়বে মানে এটা পড়বে ব্যাস
সায়রা ব্যাগটা খুলে দেখলো ভিতরে লেহেঙ্গা
সায়রা:এটা তো
আরসাল বলতে না দিয়ে
আরসাল:সেই লেহেঙ্গা যা রিদ্ধির লেহেঙ্গা কিনতে যেয়ে তোমার পছন্দ হয়েছিল তুমি একটা নিয়েছিলে বলে পরে এটা নেওনি
সায়রা:আপনি কি করে জানেন?
আরসাল:কারন আমার নজর সব সময় তোমার উপর থাকে আমি তখন সব দেখছিলাম তখন দিলে তুমি কখনো নিতে না তাই নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলাম ঠি ক সময়ে দেওয়ার জন্য ।আমি চাই তুমি আজ এটা পড়ো ।পড়বে তো ?
সায়রা:(জরিয়ে ধরে)অবশ্যই পরবো ।থেংক ইউ
আরসাল সায়রার কপালে চুমু দিয়ে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে মনে মনে ভাবতে লাগে
সায়রা:এতোটা কেউ কি ভাবে ভালোবাসতে পারে ?যে কিছু বলার আগেই সব বুজে যায় যে আমাকে আমার চেয়ে বেশি বুজে। সত্যি কি আমি এত ভালোবাসা পাবার যগ্য ছিলাম ?এই এত ভালোবাসা আমার কপালে সইবে তো? সব কিছু এক স্বপ্নের মত লাগছে যেই স্বপ্ন থেকে কখনো বাস্তবে ফিরতে চাইনা সারাজিবন এভাবেই থাকতে চাই…
চলবে….
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
আগামীকালকের পার্ট পরে সবার আরসালকে বা সায়রা কে আপরাধী মনে হতে পারে কিন্তু প্লিজ সবাই দু দিক বিবেচনা করবেন ❤️❤️❤️❤️
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️