Deewana (A crazy lover)Part:22

0
5094

Deewana (A crazy lover)Part:22

Writer: urme prema (sajiana monir)

৪ দিন পর সায়রা আগের থেকে কিছুটা সুস্থ হলে হসপিটাল থেকে রিলিজ হয়ে বাসায় চলে যায় ।বাসায় গিয়ে সায়রা নিজের রুম থেকে গেস্টরুমে শিফ্ট হয়ে যায় যাতে আরসাল সায়রাকে সিসি camera তে না দেখতে পায়।বাসায় আসার পর আরসাল সায়রার ফোনে হাজার ফোন মেসেজ দিতে থাকে কিন্তু সায়রা তা ইগনোর করে আরসালের সাথে যোগাযোগের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়।আরসাল সায়রাদের বাসায় সায়রার সাথে দেখা করার চেষ্টা করে কিন্তু সায়রার পরিবার তাকে সায়রার সাথে দেখা করতে দেয় না।

পরেরদিন সকালে….

সায়রা ঘুম থেকে উঠে নিচে যেতে‌ই দেখে রশ্নি আর অমিত বসে আছে ।সায়রা রশ্নির সাথে অমিতকে দেখে বেশ অবাক হলো ।রশ্নি সায়রাকে দেখেই সায়রার দিকে ছুটে চলে আসে এসে সায়রার গলা জরিয়ে ধরে সায়রা ও রশ্নিকে জরিয়ে ধরে ।রশ্নি সায়রা বলতে লাগে

রশ্নি:এখন কেমন লাগছে?

সায়রা:হুম আগের থেকে কিছুটা ঠিক আছি ।তুই কেমন আছিস?

রশ্নি :ভালো।

সায়রা:ভাইয়া কেমন আছেন ??

অমিত:ভালো ।তোমার শরিরের কি অবস্থা ?

সায়রা:জি ভাইয়া ভালো ।

সায়রা রশ্নি আর অমিতের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো

সায়রা: তোরা দুজন একসাথে কি করে?যদি রিফাত ভাইয়া জানতে পারে?

রশ্নি :(মুচকি হাসি দিয়ে)জানলে কিছু হবে না কারন বাড়িতে সবাই আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।আর ৩ দিন পর আমাদের Engagement ।তোকে ইনভাইট করতে এসেছি

সায়রা:( খুশি হয়ে )ওয়াও ইয়ার দ্যাটস গ্রেড ।আমার কাছে খুব খুশি লাগছে ।এই চমৎকার কি করে সব হলো ?কি করে মেনে নিলো সবাই ?আমাকে প্লিজ পুরো কাহিনী ডিটেলসে বল ।

রশ্নি :সব আরসাল ভাইয়ার জন্য হয়েছে।আরসাল ভাইয়া সবাইকে রাজি করিয়েছে ।

সায়রার মুখ মুহূর্তেই কালো হয়ে গেল ।রশ্নি চেহারায় হাসি ফুটিয়ে রেখে বলতে শুরু করলো

রশ্নি:তুই যখন হসপিটালে ছিলি তোর জ্ঞান ফিরার কথা শুনে সবাই ভিতরে চলে যায় তোর সাথে দেখা করতে ।তোর অসুস্থতার কথা শুনে অমিত সেদিন তোকে দেখতে হসপিটালে আসে।অমিত কে দেখে আরসাল ভাইয়া রেগে যায় আরসাল ভাইয়া রেগে অমিতের কাছে এসে অমিতকে মারতে শুরু বার বার বলতে লাগে তার জন্য নাকি তোর এই অবস্থা হয়েছে অমিত নাকি তোর আর ভাইয়ার মাঝে এসে গেছে অমিত না করলে ভাইয়া বলে কাল রাতে নাকি তোকে আর অমিতকে একসাথে দেখেছে সাথে তোর সাথে অমিতের রেস্টুরেন্টের ছবি ও দেখায়।আমি ভাইয়ার এসব কথা শুনে ভাইয়ার দিকে অভাক হয়ে তাকিয়ে থাকি তখন বুজলাম ভাইয়া misunderstanding হয়েছে ।তার পর ভাইয়াকে অনেক কষ্ট থামিয়ে সব কিছু খুলে বলি আমার আর অমিতের রিলেশন সম্পর্কে তোর হেল্প তোর অমিতের সাঙ্গে দেখা করার কারন ,সেদিন রাতে আমি তোর ড্রেস পরে অমিতের সাথে দেখা করতে গিয়েছি সব কিছু বলি ।সব কিছু শুনার পর ভাইয়া স্থব্দ হয়ে যায় মাথা ঘুরে পরে যেতে নেয় অমিত ভাইয়াকে ধরে ভাইয়া অমিতের কাছে ক্ষমা চায় ।কান্না করতে করতে বলতে লাগে যে সে অনেক বড় ভুল করছে তোকে বিশ্বাস না করে ।তোকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে তোর সাথে অন্যায় করেছে তোর গায়ে হাত তুলেছে নিজেকে শাস্তি দিতে লাগে নিজের হাত দেয়ালের মধ্যে ঘুষি দিতে লাগে হাত থেকে রক্ত ঝোরতে লাগে পাগলের মত করতে লাগে ।অনেক কষ্টে আমি আর অমিত তাকে শান্ত করি ।সে তোকে দেখার জন্য তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য কেবিনে যায় তুই তখন ঘুমের মধ্যে ছিলি তোর পাশে বসে হাত ধরে অনেক কান্না করে হঠাৎ দাদাজী এসে ভাইয়েকে রুম থেকে বের করে দেয় ভাইয়া অনেক আকুতি মিনুতি করে দাদাজীর পা পর্যন্ত ধোরতে বাকি রাখে না কিন্তু দাদাজী শুনে না দাদাজী বার বার বলছিল যে সব কিছুর জন্য আরসাল ভাইয়া দাই তাই তাকে তোর জিবনে আসতে দিবে না ।পরে বিকালে যখন আন্টি তোর সাথে কথা বলছিল বাহির থেকে আরসাল ভাইয়া সব শুনছিল যখন তুই বলছিলি তুই এই সম্পর্কে থাকলে ভিতরে ভিতরে মরে যাবি ভাইয়ার সাথে থাকা তোর পক্ষে সম্ভব না তখন ভাইয়া চলে যায় তার ২ দিন কোন খোঁজ ছিল না পরে একদিন হঠাৎ করে আমাদের বাসায় অমিতকে নিয়ে আসে ।আমাদের সম্পর্কের কথা বলে ভাইয়া বাবা মা সবাইকে বোঝায় ।অনেক কষ্টে তাদের রাজি করায় ।তার পর অমিতের বাসার থেকে সবাই আমাদের বাসায় এসে সব কিছু ঠি ক করে Engagement এর ডেট ফিক্সট করে ।

সায়রা সব মনযোগ দিয়ে মাথা নিচু করে সব কথা শুনছিল আর নিজের চোখের জল ফেলছিল ।রশ্নি আবার বলতে শুরু করে

রশ্নি:সায়রু জানি আরসাল ভাইয়া ভুল করেছে কিন্তু তাকে কি একটা সুযোগ দেওয়া যায় না?উনাকে ক্ষমা করা যায় না?(অসহায় ভাবে)

সায়রা করুন চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে রশ্নিকে বলতে লাগে

সায়রা:রশ্নি তুই এসব কথা বলছিস ? তুই একবার আমার দিকটা চিন্তা করে দেখলি না ? কি করে তাকে ক্ষমা করবো ?আর কি করেই তার সাথে সম্পর্কে থাকবো যেখানে কোন বিশ্বাস নেই ।সে আমার চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলেছে ।আমি কি করে তাকে ক্ষমা করবো ?সব সময় কি তার ইচ্ছা অনুযায়ী হবে ?আমার কি কোন আত্মসম্মান নেই?সব পারলেও তাকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না ।প্লিজ এর পর থেকে উনার ব্যপারে আমার সাথে কোন কথা বলিস না আমি তার কোন কথাই শুনতে চাই না ।

রশ্নি বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে বলতে লাগে

রশ্নি :আচ্ছা বলবো না ।তোকে কিন্তু Engagement এর আগেদিন যেতে হবে

সয়রা:আমি আগেদিন যেতে পারবো না ।কিন্তু engagement অবশ্যই যাবো (মুচকি হেসে )

রশ্নি:ওকে সায়রু ।

অমিত:সায়রা তুমি যেহেতু আমার বোন তাহলে তোমাকে আমার পক্ষ থেকে থাকতে হবে

রশ্নি:সায়রু আমার বেস্টফ্রেন্ড তো আমার পক্ষ থেকে থাকবে

অমিত:আমার বোন হয় সায়রা তো আমার পক্ষে থেকে থাকবে

দুজন ঝগড়া করতে লাগলো সায়রা তাদের ঝগড়া দেখে হাসতে হাসতে বললো

সায়রা:স্টপ guys আমি দুপক্ষ থেকেই থাকবো ।

রশ্নি অমিত সায়রার বেশ কিছুক্ষন গল্প করে তারপর চলে যায়।

বিকালে….

সায়রা:রুমে থাকতে থাকলে বোর হয়ে গেছি ।বাসা থেকে ও বের হতে পারছি না বাসা থেকে বের হলে পাড়া প্রতিবেশিরা দেখলেই নানা কথা জিগাসা করতে থাকে ।সেদিন তো কিছু মহিলারা বাসা এসে বলতে লাগে যে হয়ত আমার দোষ ছিল তাই নাকি Engagement ভেঙ্গেছে আরো বিভিন্ন কটুউক্তি করতে লাগে এসব শুনতে শুনতে অসয্য লাগছে সব কিছু ভুলতে চেষ্টা করছি ।তাই বিকালে একটু ছাদে গেলাম মুক্ত খোলা আকাশে শ্বাস নিতে হঠাৎ চোখ গেল বাড়ির কিছু দূরে দাড়ানো গাড়িটার দিকে হসপিটাল থেকে আসার পর থেকে যখনি ছাদে বা বারান্দায় যাই তখনই এ গাড়িটা দেখি একি জায়গায় ।কালো গাড়ি গাড়ির কাচঁ গুলো ও কালো তাই ভিতরের কিছু দেখা যাচ্ছে না ।গাড়ি থেকে চোখ ফিরিয়ে মোবাইলে গান প্লে করে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম ।কিছুক্ষোন পর হঠাৎ একটি আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে ।ফোন রিসিভ করতে করতেই ফোন কেটে যায়।সাথে সাথে আবার ফোন আসে ফোন রিসিভ করে বলতে লাগলাম

সায়রা:হ্যালো

অন্যপাশে :চুপ

সায়রা:হ্যালো ….হ্যালো…

অন্যপাশে :চুপ

সায়রা:আচ্ছা কে আপনি ?ফোন দিয়ে কথা বলছেন না কেন ?কথা না বলার থাকলে কেন ফোন দিয়েছেন ?আজব

সায়রা রেগে ফোন কেটে দেয় ।

অন্যদিকে….

আরসাল কান থেকে ফোন রেখে গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে ছাদে সায়রার দিকে তাকিয়ে আছে একমনে চোখের কোন দিয়ে পানি ঝড়ছে আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:অনেক বড় অপরাদ করেছি তোমার সাথে জান ।তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুখটাও নেই ।অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি ।জানিনা ক্ষমা করবে কিনা কিন্তু তেমাকে ছাড়া থাকতে ও পারছিনা ।কি করে তোমাকে ছাড়া থাকবো বলো ?আমার নিশ্বাসের সাথে তুমি মিশে আছো জান ।তোমাকে অনেক আঘাত করে ফেলেছি জান তোমার ভয়ে তোমার কাছে যেতে পারছিনা যদি নিজের কোন ক্ষতি করে ফেলো আবার দূরেও থাকতে পারছিনা তোমার কাছ থেকে ।মরার মত করে বেচেঁ আছি । ভিতরে আগুন জ্বলছে প্রত্যেক মূহুর্তে সে আগুনে পুড়ছি ।প্লিজ আমার কাছে ফিরে আসো জান প্লিজজজজ

তিনদিন পর….

সায়রা:আজ রশ্নির Engagement কিন্তু যেতে ভয় করছে সে সেখানে থাকবে তার সামনে পরতে হবে ।আমি চাইনা তার সামনে পরি তাকে দেখলেই নিজের কষ্ট গুলোর কথা মনে পরে যায় তার সেদিনের সেই ব্যবহারের কথা মনে পরে যাবে।কি করে তার মুখমুখি হবো ?তার উপর সেখানে অনেক লোক থাকবে এক এক জন এক এক কথা বলবে সমালচনা করবে তা সয্য করতে পারবো না ।যেতে ইচ্ছে করছেনা কিন্তু না গেলে রশ্নি অমিত ভাইয়া কষ্ট পাবে কি করবো কিছু বুজতে পারছিনা ।হঠাৎ মনে হল কেউ আমার রুমে প্রবেশ করলো পছনে তাকিয়ে দেখি আম্মু এসেছে ।আম্মু বলতে লাগলো

আম্মু:সায়রা তুমি এখনো রেডি হও নি ?একটু পরে সবাই বের হবে

সায়রা অসহায় চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে ।মা সায়রার এমন দেখে সায়রার পাশে বেডে বসে সায়রার গালে হাত রেখে বলতে লাগে

মা:সায়রা আমি জানি তুমি ভয় পাচ্ছ সব কিছুর মুখোমুখি করার জন্য কিন্তু সায়রা এভাবে নিজেকে ঘরে গুটিয়ে রাখলে চলবে না ।লোকে তো বলবেই তাই বলে কি তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখবে ? বাহিরে যাও সকল কিছুর মোকাবেলা কর তোমাকে ভেঙে পরলে হবে না ।নিজের ভয়কে জয় করতে হবে ।রেডি হয়ে নিচে আসো

সায়রা :ওকে আম্মু (আস্তে করে )

সায়রার মা নিচে চলে যায় ।সায়রার মা যেতেই সায়রা কিছু সময় বসে মায়ের কথাগুলো ভাবতে লাগে ।তারপর বেড থেকে উঠে কাবার্ড থেকে কালো গ্রউন বের করে তা পরে নেয় হেবি মেকওভার করে ,হালকা জুইলারি পরে চুল গুলো ছেড়ে নিচে চলে যায় ।নিচে গিয়ে দেখে সবাই রেডি হয়ে বসে আছে সায়রার ওয়েট করছে সায়রা নিচে নামতেই সবাই সায়রার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে ।সায়রা সবার দিয়ে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলতে লাগে

সায়রা:সবাই আমাকে এভাবে কেন দেখছেন?

মুন :সায়রা তুই ঠি ক আছিস তো?

সায়রা:হুম আমি পুরো ঠি ক আছি ।এত দিন ঠি ক ছিলাম না কিন্তু এখন পার্ফেক্ট আছি কত দিন মানুষের ভয়ে নিজেকে আরাল করে রাখবো ? তাই ভাবলাম এখন থেকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনি ।সকল কিছু ভুলে সামনে এগিয়ে যাই ।কোন পিছুটান রাখবো না ।সব কিছু ভুলতে হলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে তাই আজ থেকে তা শুরু করে দিলাম ।

দাদাজী: আমি জানতাম তুমি ঠি ক নিজেকে সামলিয়ে নিবে ।

সায়রা:দাদাজী এখন বের হতে হবে না হলে দেরী হয়ে যাবে ।

দাদাজী:হুম চলো সবাই

সবাই engagement এর উদ্দেশ্য রওনা হলো রশ্নিদের বাড়িতে ।

রশ্নিদের বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই সবাই এক এক করে ভিতরে গেলো ভিতরে গিয়ে হলে প্রবেশ করতেই দেখে অনেক মানুষ সায়রা কিছুটা ভিতু হয়ে যায় তার পর আবার নিজের মনে সাহস জুটিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ।ভিতরে গিয়ে রশ্নি আর আমিতের কাছে চলে যায়।রশ্নি সায়রাকে দেখেই সায়রা কে জরিয়ে ধরে সায়রা ফ্লাওয়ার বুকে দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানায়

সায়রা:কেমন আছিস ইয়ার ?

রশ্নি:হুম ভালো ।তুই

সায়রা:হুম ভালো ।তুই তো ভালো থাকবিই কারন অবশেষে আমার সাদাসিদে ভাইয়ের ঘাড়ে এসে পোড়লি

রশ্নি:ওহহহ আসছে আমার ভাই দরদি?মারবো তোকে(এগিয়ে এসে)

সায়রা:(অমিতের দিকে তাকিয়ে)দেখেন ভাইয়া তোমার বউ আমার হুমকি দিচ্ছে

অমিত:রশ্নি আমার বোনকে হুমকি দিলে তোমার খবর আছে হুম

সায়রা:দেখেছিস আমরা ভাই বোন এক টি ম

মাওয়া:(পিছন থেকে)আমি রশ্নির টিমে হুম

সায়রা মাওয়াকে দেখে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

সায়রা:কেমন আছিস ?

মাওয়া :ভালো ।তুই কেমন আছিস

সায়রা:ভালো ।

রশ্নি অমিত সায়রা মাওয়া গল্প করতে লাগলো ।দূর থেকে আরসাল ছল ছল চোখে সায়রাকে দেখছে ।ইচ্ছে করছে তার কাছে আসতে কিন্তু পারছে না । এতদিন পর নিজের ভালোবাসাকে এতকাছে পেয়ে দূর থেকে তাকে দেখছে ।ইচ্ছা থাকার স্বর্থেও তাকে ছুঁয়ে দিতে পারছেনা ।নিজের সাথে জরিয়ে ধোরতে পারছে না ।সায়রা হঠাৎ আরসালের দিকে চোখ যায় সাথে সাথে নিজের চোখ ফিরিয়ে অন্যদিকে যেয়ে বসে থাকে ।আরসালের সায়রার ইগনোর গুলো সয্য করতে পারছে না ।হঠাৎ সায়রা পাশে দুটি মহিলার কথা শুনতে পেলো

১ম মহিলা:এটা সায়রা না রশ্নি বান্ধুবী ?

২য় মহিলা:হুম ।

১ম মহিলা:শুনেছি এই মেয়ের নাকি Engagement হয়েছিল নিলয়ের বন্ধুর ছেলের সাথে

২য় মহিলা:কিছুদিন আগে তা ভেঙ্গেও গেছে

১ম মহিলা:কেন ?কেন?(উৎসুক ভাবে)

২য় মহিলা:হয়তো মেয়ের মধ্যে কোন সমস্যা ছিল চরিত্রের সমস্যা ছিল অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল ।(মুখ ভেংচি দিয়ে)

সায়রা এতসময় তাদের সব কথা শুছিলো শেষের কথাটা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনা কান্না করতে করতে ভিতরে রুমে চলে যায়।

রুমে..

সায়রা রুমে বসে কান্না করতে লাগে হঠাৎ দরজা লাগানোর শব্দে পিছনে ফিরে ।পিছনে ফিরে দেখে আরসাল দরজা লাগিয়েছে তার চোখ ছল ছল করছে চোখ ভয়ংকর লাল হয়ে আছে আরসাল সায়রার দিকে এগোচ্ছে সায়রা ভয়ে ভয়ে এক পা এক পা করে পিছনের দিকে যাচ্ছে…..

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here