Deewana (A crazy lover)Part:28
Writer: urme prema (sajiana monir)
আরসাল বেশ বুজতে পারছে সায়রা কথা এভোয়েট করার জন্য এমন করছে আরসাল আর কথা বাড়ায় না ।সায়রাকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে নেয় সায়রা বুক থেকে সরে আসার জন্য বেশ কয়েক বার চেষ্টা করে কিন্তু আরসালের শক্তির সাথে আর আরসালের চোখের মায়ার সাথে পেরে উঠতে পারে না ।সায়রা আর চেষ্টা না করে চুপ করে বুকের মাঝে মাথা রেখে আরসালের গলায় চেইনের মধ্যে Engagement রিংটা হাতে নিয়ে নাড়া চড়া করতে লাগে ।আরসাল সায়রার কান্ড দেখে মনে মনে হাসতে লাগে ।আরসাল সায়রার চুলে হাত বুলাতে লাগে সায়রা আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে যায় আরসাল সায়রার ঘুমন্ত মুখ দেখতে দেখতে অনেক দিন পর শান্তির ঘুম দেয়।
সকালে…
ভোরের আলো ফুটতেই সায়রা আস্তে আস্তে নিজের চোখ খুলে চোখ খুলে দেখে আরসাল এখনো গভির ঘুমে মগ্ন আরসাল বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে আছে সামনে চুল গুলো বাতাসে উড়ছে সায়রাকে আরসালের চেহারার মায়া যেন টানছে আরসালের দিকে হালকা ঝুঁকে তার সামনের চুল গুলোতে হাত বুলাতে লাগলো ঠোঁটে মিষ্টি হাসি আস্তে আস্তে আরসালের দিকে আগাতে লাগলো গালের কাছে ঠোঁট আনতেই আরসালের সেদিনের কথা মনে পরে যায় সায়রা আরসালের কাছ থেকে সরে আসতে নেয় হঠাৎ আরসাল সায়রার হাত ধরে টান নিয়ে নিজের বুকের মাঝে আবার ফেলে সায়রা আরসালের দিকে ডেব ডেব করে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে ।সায়রা আরসালেকে জিগাসা করে
সায়রা:আপনি জেগে ছিলেন??
আরসাল:হুম যখন তুমি আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলে তখননি ঘুম ভেঙ্গে গেছে (মুচকি হাসি দিয়ে)
সায়রার এবার নিজের উপর বেশ রাগ লাগছে কেনই বা সে আরসালের কাছে গিয়েছিল তা ভাবছে ।রেগে আরসালের বুকের উপর থেকে উঠতে নেয় আরসাল সায়রার হাত আবার টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরে সায়রার চুল গুলো আরসালের মুখের উপর পড়ছে আরসাল চুল গুলো সায়রার কানের পিছনে গুজে দিয়ে লো ভয়েসে বলতে লাগে
আরসাল:যা করতে নিয়েছিলে তা তো শেষ কর জান
সায়রা:মা…মানে ?(থত মত খেয়ে)
আরসাল:মর্নিং কিস দেও
সায়রা :হোয়াট?(অবাক হয়ে )
আরসাল :যা শুনেছো (টেডি হাসি দিয়ে)
সায়রা:কখনোই না (মুখ ঘুরিয়ে)
আরসাল সায়রাকে আরো শক্ত করে বুকে জরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে বলতে লাগে তাহলে এভাবেই থাকো ।সায়রা আরসালের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগে
সায়রা :আমাকে ছাড়েন
আরসাল:উহু জান ।কিস কর তার পর (আগের মত চোখ বন্ধ করে মুচকি হেসে)
সায়রা বেশ কিছুক্ষন আরসাল থেকে ছাড়া ছাড়ি করার চেষ্টা চালিয়ে যায় কিন্তু কোন কাজ হয়না আরসাল আগের থেকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ।অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে সায়রা আরসালের গালে ঝটপট করে নিজের ঠোঁট ছুয়িয়ে দূরে সরে যায়।আরসাল বেশ কিছুক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তার পর বলতে লাগে
আরসাল:এটা কি ছিল?
সায়রা:কেন কিস (রেগে মুখ ঘুরিয়ে)
আরসাল:এটাকে কিস বলে ?আমার কাছে তো মনে হয়েছে নাগিনের মত ছোপড় মেরেছো (বাচ্চাদের মত ফেস করে)
সায়রা :আপনি যা বলেছেন তা করেছি এখন আমাকে ছাড়েন।
আরসাল:না হয়নি তুমি চিটিং করেছো ।আবার কর
সায়রা:আমাকে ছাড়েন (রেগে)
আরসাল:(সায়রার থুতনি ধরে নিজের কাছে এনে হালকা উচুঁ হয়ে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে)হুম এখন যাও
সায়রা রেগে বেড থেকে নেমে ফ্রেশ হতে চলে যায় ।আরসাল সায়রার রাগি ফেস দেখে মুচকি হাসতে লাগে ।সায়রা ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে আরসাল কফি নিয়ে বেডে বসে আছে ।সায়রা বের হতেই আরসাল সায়রার কাছে এসে সায়রাকে বেডে বসিয়ে কফির মগটা হাতে দিয়ে নিজে ফ্রেশ হতে চলে যায় সায়রা চুপ করে কফি খেতে লাগে ।
আরসাল ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে সায়রা নেই আরসাল সায়রাকে খুজতেঁ লাগে আরসাল খুজঁতে খুঁজতে দেখে সায়রা বারান্ধায় দাড়িয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে সামনে অনেক বড় গোলাপ বাগান চারদিকে ফুলে ভরা মাঝে বাড়িটা এক অন্যরকম প্রকৃতীক সৌন্দর্যে ভরা সায়রা মনভরে দেখছে আরসাল সায়রার পিছন দিয়ে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
আরসাল:জান তোমার জায়গাটা পছন্দ হয়েছে?
সায়রা কোন উওর দেয়না আরসাল সায়রার উওরের অপেক্ষা না করে আবার বলতে লাগে
আরসাল:বিয়ের পর হলি ডে তে আমরা এখানে বেড়াতে আসবো ।এখানে মাঝে মাঝে থাকবো ।
সায়রা:(আরসাল থেকে কিছুটা দূরে সরে)কার বিয়ে ?
আরসাল:কেন আমার আর তোমার
সায়রা:কখনোই তা সম্ভব না ।আমার আর আপনার এক হওয়া কখনোই তা সম্ভব না ।
আরসাল রেগে সায়রারে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কমোড় জরিয়ে ধরে কাছে টেনে নিয়ে রেগে বলতে লাগে
আরসাল:কেন সম্ভব না ? হুম কেন তুমি এমন করছো? তুমি চাও আর না চাও তুমি তো আমারই হবে ।আমার হতেই হবে ।তুমি আমার আর তোমাকে যে ভাবেই হোক আমি হাসিল করে ছাড়বো ।
সায়রা আরসালের দিকে বড় বড় করে তাকিয়ে আছে চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পরছে আরসাল গালে লেগে থাকা পানিটা নিজের ঠোঁট দিয়ে শুষে নিয়ে গালের সাথে গাল মিশিয়ে চোখ বন্ধ লো ভয়েসে বলতে লাগে
আরসাল:কতবার বলেছি এই বড় বড় চোখে রাগ অভিমান সয্য করতে পারবো কিন্তু চোখের পানি গুলোকে সয্য করতে পারবো না জান ।তোমার প্রত্যেকটা চোখের পানি আমাকে খুব কষ্ট দেয় তো জান ।প্লিজ কান্না কর না জান ।
সায়রা:(চোখ বন্ধ করে )আমি বাসায় যাবো
আরসাল চোখ খুলে সায়রার দিকে তাকিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল :হুম বাসায় যেও আগে নিচে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নেও তার পর আমি তোমাকে বাসায় দিয়ে আসবো ।
সায়রা চোখ খুলে আরসাল সায়রা থেকে দুরে সরে যায়।তারপর দুজন ব্রেকফাস্ট করতে নিচে চলে যায়।আরসাল নিজের হাতে সায়রাকে খায়িয়ে দেয় সায়রা বেশ কয়েকবার না করে আরসাল জোর করে তাকে খায়িয়ে দেয়।তারপর দুজন বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
গাড়িতে……
আরসাল গাড়ি চালাচ্ছে আর আড়চোখে সায়রাকে দেখছে সায়রা বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে সায়রার চুল গুলো উড়ছে আরসালের খুব ইচ্ছা করছে সামনের চুল গুলো কানের পিছনে গুজিয়ে দিতে কিন্তু এখন তা করলে সায়রা এমন কিছু বলবে যা আরসালের রাগকে আবার বাড়িয়ে দিবে আর আরসাল চায় না এই মূহুর্তে কোন ঝামেলা হোক তাই নিজের ইচ্ছার উপর কন্ট্রোল করলো ।গাড়ি সায়রাদের মোরে ডুকতেই সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
সায়রা:এখানেই রাখেন
আরসাল:কেন ?(ভ্রু কুচকিঁয়ে)
সায়রা:আপনাকে বাড়ির কেউ দেখলে বা দাদাজী দেখলে রেগে যাবে ঝামেলা হবে আর আমি তা চাইনা ।
আরসাল গাড়ি থামিয়ে দেয় সায়রা গাড়ির থেকে নামতে লক খুলতে নেয় আরসাল সায়রা হাত টান নিয়ে নিজের কাছে এনে কপালে চুমু দিয়ে সায়রার গালে হাত রেখে বলতে লাগে
আরসাল:জান নিজের খেয়াল রাখবে ।সাবধানে থাকবে ঠি ক মত খাওয়া দাওয়া করবে আর রেগুলার মেডিসিন নিবে ।কোথাও একা যাবে না বুজেছো আর আমি ফোন দিলে সাথে সাথে রিসিভ করবে না হলে আমি কিন্তু বাড়িতে চলে আসবো ।
সায়রা কোন কথা বলে না গাড়ি থেকে নেমে যায় আরসাল সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে ।সায়রা বাড়ির ভিতর ডুকতেই আরসাল গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায়।
বাসায়….
সায়রা বাসায় ডুকতেই দেখে মা ডাইনিং টেবিলে বসে ছুড়ি দিয়ে সবজি কাটছে সায়রার মা সায়রাকে দেখতেই জিগাসা করতে লাগে
মা:সায়রা তুমি ঠি ক আছো ?
সায়রা:হুম মা
মা:মুখ চোখ কেমন জানো হয়ে আছে মনে হচ্ছে শরির অসুস্থ
সায়রা:না মা তেমন কিছু না হঠাৎ কাল রাতে একটু মাথা ব্যথা করছিল কিন্তু তুমি চিন্তা করনা এখন ঠিক আছে ।
মা:কাল হঠাৎ রিদ্ধিদের বাড়িতে গেলে যে?
সায়রা:(ভয়ে ভয়ে)মা আ..আসলে রিদ্ধি দি অ..অনেক দিন পর বাড়িতে এসেছে তো তাই যেতে বলেছে প…পরে আর আসতে দেয়নি
মা:হুম আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে তোমার কথা জিগাসা করলে পরে বলে তুমি ওয়াশরুমে ।
সায়রা:(মাথা নিচু করে)হু..হুম দি আমাকে বলেছে তুমি ফোন করেছিলে ।
সায়রা নিজের রুমে চলে যায় বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে আরসালের সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা ভাবতে লাগে ।আরসালের প্রত্যেকটা কথা যেন তার কানে এখনো বাজছে ।সায়রা এসব কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় ।হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গে ফোনের রিংটনে ঘুমের মধ্যে থেকে ফোন রিসিভ করে কানে ধরে
সায়রা:হ্যালো(ঘুম জড়ানো কন্ঠে)
আরসাল:এখনো ঘুমিয়ে আছো তারাতারি উঠো লান্চ কর
সায়রা:আমি এখন ঘুমাবো
আরসাল:না জানপাখি এখন উঠো লান্চ করে পরে আবার ঘুমিও
সায়রা:এ্যা এ্যা আমি ঘুমাবো (বাচ্চাদের মত করে )
আরসাল:ওকে তাহলে আমি তাহলে আসছি ওয়েট
সায়রা:(ধপ করে উঠে বসে)এই না না আমি উঠছি
আরসাল:গুড গার্ল
সায়রা:ব্লাকমেইলার (রেগে)
আরসাল:তোমার বর আরো কিছু বলবো ?
সায়রা:না থাক
আরসাল:লান্চ করে মেডিসিন নিবে জান
সায়রা:(দাঁতে দাতঁ চেপে)জি বুজেছি
আরসাল ফোন রেখে দেয় ।সায়রা লান্চ করতে নিচে চলে যায়।এভাবেই আরসাল সায়রার প্রতি লাভ টর্চার করছে দূরে থেকে ও সায়রার খেয়াল রাখছে কিছুক্ষন পর পরই ফোন দিচ্ছে আর সায়রা আরসালের হুমকির ভয়ে বাদ্ধ হয়ে তার সাথে কথা বলছে।
সকালে……
সায়রা university তে ডুকতেই দেখে আরসাল গাড়িতে হেলান দিয়ে কিলার হাসি দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।সায়রা জন্যই অপেক্ষা করছে সায়রা আরসালকে দেখে মুখ ভেংচি দিয়ে ভিতরে চলে যায়।আরসাল সায়রা কান্ড দেখে হাসতে লাগে আর বলতে লাগে
আরসাল:এর শাস্তি তো তোমাকে পেতে হবে জান ।আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে ।
সায়রা ক্লাসের ভিতরে ডুকতেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে সামনের জনের হাতের বই পড়ে যায় সায়রা সামনে না তাকিয়ে বই উঠিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগে
সায়রা:সরি সরি আমি দেখিনি
সামনে তাকিয়ে দেখে রিসা মুচকি হাসি দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।রিসা বলতে লাগে
রিসা:ইটস ওকে ভাবি ।এন্ড থেংক ইউ ভাবি
সায়রা:(ভ্রু কুঁচকিয়ে)ভাবি???
রিসা উওর না দিয়ে চলে যায় ক্লাসে ।সায়রা ও রিসার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে মাওয়ার পাশে বসে মাওয়ার সাথে কথা বলতে লাগে ।রিসা সায়রার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে মনে মনে বলতে লাগে
রিসা:তোমাদের আলাদা করার জন্য এবার যেই চাল চালবো তাতে কখনো তোমারা এক হতে পারবে না ।অলরেডি আমি আমার গেম শুরু করে দিয়েছি ।আরসাল তো আমারই হবে ।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ।
চলবে….
❤️❤️❤️❤️
২ দিন গল্প দিতে দেরি হবে রাতের ১১টার পর দিবো গল্প ছোট হলে কেউ বোকবেন না প্লিজ ????
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️